৩১ আগষ্ট- ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। রোববার দেশটির হাজ্জাহ প্রদেশে বোমা তৈরির কারখানা লক্ষ্য করে ও রাজধানী সানায় একটি বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া রাজধানী সানায় একটি বাড়িতে চালানো অপর এক বিমান হামলায় অন্তত চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত মার্চ থেকে হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। হাজ্জাহ প্রদেশের বাসিন্দা ইসসা আহমেদ বার্তা সংস্থা জানান, বোতল কারখানায় ওই বিমান হামলায় নিহত ৩৬ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালের ওই হামলায় শ্রমিকদের অনেকের লাশ পুড়ে গেছে। এছাড়া অনেকের দেহ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আসেরি। তিনি বলেন, বোমা তৈরির কারখানা লক্ষ্য করেই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হুথি বিদ্রোহীরা ওই স্থাপনা বোমা তৈরির জন্য ব্যবহার করতো। এছাড়া আফ্রিকান অভিবাসীদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতো বলে তিনি দাবি করেন।
সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫
খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে নির্দিধায় প্রতারণা করতো আব্দুল মতিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো এ ব্যাপারটা শুনলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। কেননা খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে নির্দিধায় প্রতারণা করতো আব্দুল মতিন। আর এ অভিযোগে তাকে আটক করেছে র্যাব।
আটক আব্দুল মতিন উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।
র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, মতিন দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি এমকে শামীম চৌধুরী পিএস সাজ্জাদুল ইসলামের পরিচয় ব্যবহার করে রামগতি, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। পরে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও র্যাব জানায়, মতিন প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স ব্যবহার করে গরীব ও অসুস্থ ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়ে বিপুল অংকের টাকা ইতোমধ্যেই আত্মসাৎ করেছে।
প্রথমে তিনি ০১৭১৬৫০২২৩৯ নম্বর ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন করে, মোবাইল ম্যাসেজ এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো এক কাল্পনিক ছাত্রের নামে বানানো ভুয়া ডাক্তারি কাগজপত্র পাঠিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এমনকি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করে নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে অর্থ পাঠানোর জন্য তাগিদ দিয়ে প্রতারণা করতো।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার গৌরগবিন্দকে প্রকৃত সাজ্জাদুল হাসান, পিএস-১, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মনে করে ১ লাখ টাকা টিটি করে পাঠিয়েছেন। সে এই কাজে আরও ০১৮১১১৬৮০৯১, ০১৮৫০৩৫৪০৪২, ০১৮১৯০০২২৩৮ নম্বরগুলো এবং হিসাব নম্বর ৪৫২৩, মিজানুর রহমান, কমলাপুটি শাখা, ফেনী, হিসাব নাম্বার ৩৪০৭২০৫৫, রুমা আক্তার, অগ্রণী ব্যাংক, ফেনী এবং বিকাশ নাম্বার ০১৮১১৯২৯৩৯৬ ব্যবহার করতো। তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে ছবি এডিটিংয়ে পারদর্শী। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজের ছবি এডিট করে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক প্রদর্শনের মাধ্যমেও প্রতারণা করতো।
র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে তার গতিবিধি ও কার্যক্রম গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখে অবশেষে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার এ প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সব দোষ স্বীকার করেছে বলে র্যব জানায়।
রামগতি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক মতিনকে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর মেয়ে কাঁপাচ্ছে রাশিয়া (ভিডিও)
বিশ্বগণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্টিক কন্যার কথা। প্রতিবেদনে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বাংলার বাঘিনী’নামে। আর এই খেতাব তাঁকে দিয়েছেন রুশ কোচ ইরিনা ভিনের। রাশিয়ার গণমাধ্যমেও রিতাকে ‘বাংলার বাঘিনী’ নামেই উল্লেখ করেছে। রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে! যা কিনা সত্যি গর্বের ও আনন্দের…
কে এই রিতা?
২০১৩ সালে রিতার এমন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের কারণে তাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে। রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্ট এর প্রচ্ছদে উঠে আসে রিতার সাফল্যের গল্প। তার বাবা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর ছেলে। ১৯৮৩ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তিনি রাশিয়া যান। পরে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যান। সবচেয়ে মজার তথ্য হল পাঠক, বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই রিতাকে বিশ্ব গণমাধ্যম অন্য এক নামে চেনে, সেখানে তার নাম‘মার্গারিতা মামুন’। ঠিক এই নামেই এই রিদমিক জিমন্যাস্টিকে চেনেন বিশ্ববাসী। রিতার রক্তে বইছে জিমন্যাস্টিকস, ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কোতে জন্ম নেয়া রিতার বাবা বাংলাদেশী বংশদ্ভুত আবদুল্লাহ আল মামুন প্রকৌশলী হলেও তার মা রাশিয়ান বংশদ্ভুত এ্যানা একজন পেশাদার রিদমিক জিমন্যাস্টিক ছিলেন। তাই ছোট বেলা থেকেই জিমন্যাস্টিকস চর্চা চালিয়ে গেছেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে এখনও বিয়ে করেননি মার্গারিতা মামুন রিতা। তার একটি ছোট ভাই আছে, নাম ফিলিপস। বর্তমানে তারা সপরিবারে রাশিয়ার মস্কোতে বসবাস করছেন।
২০১১ সাল থেকে রিতার খেলোয়াড়ী জীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে শুরু করে। ২০১১ সালে মন্ট্রিল ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নিয়ে ১০৬.৯২৫ পয়েন্ট অর্জন করে অল-অ্যারাউন্ডে ব্রোঞ্জ পান রিতা। আর বল ফাইনালে ২৭.০২৫ পয়েন্ট নিয়ে স্বর্ণ জিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ওই বছর রাশিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে হুপ ও বলে অল-অ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে ডাক পড়ে যায় তার। উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী রিতা রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে সবমিলিয়ে সিলভার মেডেলিস্ট এবং ২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ‘অল অ্যারাউন্ড’ চ্যাম্পিয়ন।
এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তার শুরু হয়ে যায় তার জয়যাত্রা। ২০১১ সালে তার ওয়াল্ড ৠাংকিং ছিল ২২, যা কিনা ২০১২ সালে হয়ে যায় ১৭। কিন্তু ২০১৩ সালে একলাফে ওয়াল্ড র্যা ঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে চলে আসেন তিনি। মস্কো গ্রান্ড প্রিক্সে স্বর্ন জেতার মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করেন। এরপর কাজান ইউনিভার্সিয়াড, সেন্ট পিটার্নবার্গ ওয়াল্ড কাপ ফাইনাল, ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের মতো বড় ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতে রিতার তার যোগ্যতার পরিচয় দেয়। আর বর্তমানে তিনি আছেন ওয়াল্ড ৠংকিংয়ের ২ নম্বরে। রিতার এগিয়ে চলা শানিত ফলা ঠিক একই রকম আছে। চলতি বছর জার্মানির স্টুটগার্টে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় রিতা তিনটি স্বর্ণ পদক, একটি সিলভার এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন । রিতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলু জানালের, ‘রিতাকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সকল দিক বিবেচনা করে তিনি রাশিয়ার হয়েই খেলছেন। আর এ ধরণের একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেয়া দরকার তা আমাদের পক্ষে আসলেই সম্ভব নয়। তবে খুব সম্প্রতি তার সাথে আমরা আর যোগাযোগ করেনি।’ প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে কোন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত নাগরিকের এটাই বড় সাফল্য। তাই রিতার এই অর্জনে বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষ খুবই খুশী। এমনকি ফেইসবুকে ও ইন্সটাগ্রামে তারা রিতার প্রতিযোগিতার ছবি প্রকাশ করেছে।
যুদ্ধ হলে ভারতের ভয়াবহ ক্ষতি হবে : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে নামলে এমন বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, যা কয়েক দশক মনে রাখবে ভারত, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মুহম্মদ আসিফ। ভারত-পাক সীমান্তের কাছে শিয়ালকোটে কুন্দুনপুর গ্রামে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, পাক-সেনাবাহিনী যেকোনো মূল্যে তাদের মাতৃভূমি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।আসিফের অভিযোগ, ভারত তাদের দেশে ‘সন্ত্রাসবাদ’কে মদত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়ে গেছে। তারা চায়, সীমান্তে সবসময়ই অব্যাহত থাকুক উত্তেজনা। ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলি চালানোর অভিযোগও তুলেছেন তিনি।তিনি আরো বলেন, ভারতের এই ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ পাকিস্তানবাসীদের মাতৃভূমির প্রতি টান আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মুহম্মদ আসিফতার অভিযোগ, নিজেদের আভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকতে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে জেনারেল অ্যাসেম্বলি-র মিটিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাদের দেশের ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন। আসিফের দাবি, সেই অভিযোগ প্রমাণ করার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে রয়েছে পাকিস্তানের।উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট পাকিস্তান-ভারত জাতীয় নিরাপত্তা (এনএসএ) পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
'ভিডিও সেলফি'র ক্রেজ ছড়িয়ে দিয়েছে 'ডাবস্ম্যাশ'
এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ বলে পরিচিতি পেতে পারে ডাবস্ম্যাশ। একে এক কথায় ভিডিও সেলফি বলা যায়। তারকা থেকে শুরু করে যেকোনো মানুষ ডাবস্ম্যাশে ভিডিও সেলফি দিচ্ছেন। সেলফি এমতিনেই দারুণ জনপ্রিয় ট্রেন্ড। কিন্তু স্থির চিত্রের পরিবর্তে যখন ভিডিও চিত্রের সেলফি পেয়ে গেছেন মানুষ, তখন কি অবস্থাটা হতে পারে? জনপ্রিয় তারকা থেকে শুরু করে যেকোনো মানুষ এখন ভিডিও সেলফি দিতে ব্যস্ত।
আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে পাবেন ডাবস্ম্যাশ। ভিডিও মেসেজিং অ্যাপটি এটি। কিন্তু মানুষের কাছে ভিডিও সেলফি বলেই মনে হয়েছে। এখানে অসংখ্য গান, সিনেমা এবং বিখ্যাত ও জনপ্রিয় উক্তির সঙ্গে মুখ মিলিয়ে নিজের ভিডিও প্রকাশ করত পারেন ব্যবহারকারীরা। এসব ভিডিও আপলোড করতে পারবেন এবং নিজের পছন্দমতো নিজের অডিও ছাড়াও কালার ফিল্টার এবং টেক্সট অ্যানিমেশন রেকর্ডিংয়ে জুড়ে দিতে পারবেন। এসব ক্লিপ নিজের ডিভাইসে সেভ করতে হবে এবং তা অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে বন্ধুদের পাঠিতে দিতে পারবেন।
জোনাস ড্রুপেল, রোল্যান্ড গ্রিনকি এবং ড্যানিয়েল টাচিক এটি বানিয়েছেন। মোবাইল মোশন ডেভেলপারস-এর অ্যাপটির সাইজ ৩৪.২ মেগাবাইট।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর অ্যাপটি বাজারে আসে। খুব দ্রুত জার্মানিতে এক নম্বর অ্যাপ বলে বিবেচিত হয়। দেখতে দেখতে ২৯টি দেশের তালিকায় এক নম্বরে চলে আসে। এ বছরের জুন নাগাদ ১৯২টি দেশে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটি।
এটি গুগল স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। অ্যাপের সাইটে দেখুন http://www.dubsmash.com/ সূত্র : ইন্টারনেট
Zafar Iqbal won’t press for BCL men’s punishment
Professor Zafar Iqbal has said he will not press for punishment of the Bangladesh Chhatra League (BCL) activists over yesterday’s attack on teachers of Shahjalal University of Science and Technology (SUST).
“Whose punishment shall I demand? They are the students of this university,” the eminent educationist told journalists today, a day after the event at the university in the northeastern district.
- Teachers continue demo for VC’s resignation
- Students condemn attack
An acclaimed writer, Zafar Iqbal alleged that it was the university authorities who were using the BCL. “Otherwise, they (BCL activists) couldn’t have done it.”
Activists of the ruling Awami League’s student front swooped on teachers’ demonstration in front of the Vice-Chancellor Aminul Haque Bhuiyan’s office yesterday. About 10 teachers, including Zafar Iqbal’s wife Yasmeen Haque, were assaulted.
“We never gave such education,” said Zafar Iqbal, who was seen sitting dejected in the rain and appeared shell-shocked after the attack yesterday.
“It’s hard for me to accept it.”
MOVEMENT FOR VC’S RESIGNATION TO CONTINUE
Meanwhile, Shahjalal university teachers followed up yesterday’s demo with work abstention today.
All examinations however have been kept out of its purview.
Agitating under the banner of Mahan Muktijuddher Chetonay Udbuddho Shikkhak Parishad, the teachers brought out a procession this morning. They condemned yesterday’s attack and said their movement for resignation of the VC will continue.
Former university proctor, Emdadul Haque, requested Prime Minister Sheikh Hasina’s intervention in removal of Shahjalal university VC within 24 hours.
Also, general students today staged demonstrations under various banners condemning the attack on teachers.
ভালো পরিবারের ছেলে-মেয়ের জন্য সিনেমা নয়!
মডেল অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা। সম্প্রতি বোমা ফাঁটিয়েছেন ঢাকাই কিং শাকিব খানের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে আরো বেশি আলোচনায় আছেন তিনি। এমন কি তার সাহসেরও তারিফ করছেন অনেকে।
এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের না হলেও, অল্প সময়েই তিনি পেয়েছেন দর্শক প্রিয়তা। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, তার ধ্যান জ্ঞান চলচ্চিত্রে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির মতো, এখানেও রয়েছে রাজনীতির মারপ্যাঁচ। আর এই রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়েছেন তিনি। এ নিয়ে বেশ হতাশা এ অভিনেত্রী।
২০১২ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগীতায় সেরা দশে ছিলেন তিনি। সে হিসেবে মিডিয়ায় অভিষেক তার তখনই। তারপর থেকেই নিয়মিত বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন এ তারকা। এর কিছুদিন পর তিনি নাটকও কাজ করেন।
পিয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার কথা ছিলো রয়েল-অনিক পরিচালিত ‘গেম’ ছবির মধ্য দিয়ে। কিন্তু ছবিটা শেষ পর্যন্ত তার করা হয়নি। এরপর সৈয়দ জাফর ইমামির ‘রুদ্র-দ্য গ্যাংস্টার’ ছবিটির কাজ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ছবিটি আসি আসি করছে, এ নিয়ে পিয়াও কিছুটা বিরক্ত।
এদিকে ঘটা করেই খবর বেরিয়ে ছিলো পিয়া বিপাশা ঢাকাই কিং শাকিব খান এবং আরেক খান জায়েদ খানের সঙ্গে রাজনীতি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে সম্প্রতি বোমা ফাঁটিয়েছেন এ অভিনেত্রী। অনেকটা হাঁটে হাড়ি ভাঙার মতো তীর ছুড়েছেন তিনি।
রাজনীতি ছবি ছাড়া প্রসঙ্গে পিয়া বলছেন, আমার মতো অনেকেই স্বপ্ন নিয়ে চলচ্চিত্রে আসছে। কিন্তু দুই একটি কাজ করার পর তাদের আর খোঁজ মিলছে না। এর পেছনে একটা পলিটিক্স রয়েছে। তাই শুরু থেকেই সাবধাণতা অবলম্বন করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, গত মে মাসে আমার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি হিসেবে ‘রাজনীতি’তে চুক্তিবদ্ধ হই। তার কয়েকদিন পর থেকেই আমার থাকা, না থাকা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়।
পিয়া বলেন, ছবির পরিচালক ও প্রযোজককে জিম্মি করে আমার চরিত্রটি অন্য একজনকে দেয়ার জন্যই এত কিছু করা। আর এ সব কিছুই হয়েছে একজন নায়কের কারণে। তাই শেষ পর্যন্ত নিজ থেকেই ছবিটি না করার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ ‘রাজনীতি’ না ছাড়লে, আমাকে বাদ দেয়া হত।
তিনি বলেন, আসলে চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিবেশ কাজ করার উপযোগী নয়। ভাল পরিবারের ছেলে মেয়েরা এখানে কাজ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিয়া অভিযোগ করে বলেছিলেন ‘রাজনীতি’ ছবিতে নায়ক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান খ্যাত একজন নায়ক তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করাসহ ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই ‘রাজনীতি’তে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা চুক্তিভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে ‘রাজনীতি’ ছবি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে এতোদিন খবর পাওয়া গেলেও তা ভিত্তিহীণ বলছেন পিয়া। শুধু তাই নয়, তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার কিং খানের বিরুদ্ধে।
পিয়া অভিযোগ করেন, ছবিতে নায়ক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান খ্যাত একজন নায়ক তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করাসহ ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই রাজনীতিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে আমি নতুন। ভালো কাজ করতে এসেছি। এখানে এসে কোনো ধরনের পলিটিক্সের মধ্যে পড়তে রাজি নই। আমাকে নিয়ে পলিটিক্স হচ্ছে। কোনো নায়কের অশোভন আচরণ মেনে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আমার নেই। তিনি যেই হোন না কেন। প্রথম সারির একজন নায়ক এমন অশোভন প্রস্তাব দিতে পারেন সেটা আমার জানা ছিল না। তাছাড়া সবকিছু মেনে নিয়ে আমি যদি ছবিটি করতামও তবুও এর কাজ কোনোদিন শেষ হতো বলে আমার মনে হয় না। কারণ এ ছবি নিয়ে বেশ পলিটিক্স হচ্ছে।
কিছুদিন আগে ঘটা করে শাকিব খান ও জায়েদ খানকে নিয়ে ‘রাজনীতি’ নামের নতুন একটি ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস। ছবিতে নায়িকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন পিয়া বিপাশা।
এ ব্যাপরে ঢালিউড কিং শাকিবের খানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি দেশের বাইরে থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাতের আঁধারে রহস্যময় এফডিসি: সারিবদ্ধভাবে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা (নগ্ন ভিডিওসহ)
নায়িকা হতে গিয়ে হারাতে হয় সর্বস্ব দেখুন ভিডিওতে
সারা দিন হিরো-হিরোইন আর পরিচালকের আনাগোনায় এফডিসি প্রাণবন্ত থাকলেও আঁধার ঘনিয়ে আসতেই পাল্টে যায় চিত্র। রহস্যে ভরে ওঠে চারপাশ। শুরু হয় রহস্যময় মানুষের আনাগোনা। ভেতরে আসা এবং ১৫ মিনিটের সিডিউল নিয়ে আরো গভীরে চলে যাওয়া। সারা রাতই চলে এমন। অনুসন্ধানে যা বেরিয়ে এলো তা এফডিসির মতো জায়গায় কারোরই প্রত্যাশিত নয়।
দিনের ব্যস্ততা শেষে আঁধার নামতেই এফডিসির ফ্লোরগুলো জমে ওঠে আড্ডায়। মুখরিত হয় নানা খুঁনসুটিতে। যেন মুহূর্তেই দূর হয়ে যায় সব অবসাদ। কোথাও চেয়ার নিয়ে কোথাও সবুজ ঘাসে গোল হয়ে বসে চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা। আর এই আড্ডায় বাড়তি আমেজ ছড়াতে থাকে গান-বাজনার আসর।রাত ৯টা। এফডিসির গেটটি যেন বুক উদম করে দাঁড়িয়ে আছে কাওরান বাজার এলাকার দিকে। বাইরে রয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। কেউ অপেক্ষা করছেন নায়ক বা নায়িকা দেখতে, কেউ আবার অপেক্ষা করছেন সুযোগের। গেটে দাঁড়ানো ভয়ঙ্কর গোঁফওয়ালা দারোয়ানকে ম্যানেজ করতে পারলেই ভেতরে ১৫ মিনিটের মজা!
রাত ঘন হতেই বিশেষ এক শ্রেণীর লোকের আনাগোনা বেড়ে যায় মূল ফটকের সামনে। এরা যারা গেটে দাঁড়িয়ে আছেন ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় তারা কেউই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাহলে কেন তারা ভেতরে ঢুকতে চাইছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ভিড় ঠেলে গেটের সামনে যেতেই পথ আগলে দাঁড়ালেন সেই গোঁফওয়ালা প্রহরী। হাতে ইয়া মোটা লাঠি, যদিও এর প্রয়োগ খুব একটা হয় না। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি আর ঝামেলা করলেন না।
ভেতরে পা ফেলতেই কেমন একটা থমথমে অনুভূতি। রাস্তার দু’ধারে শ্যুটিং সেটের লোকজন গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আড্ডার পাশাপাশি কেউ ঠিক করছেন লাইট। কেউ আবার কাজ করছেন পরের দিনের শ্যুটিংয়ের সেট তৈরিতে।
একটু এগিয়ে ক্যান্টিনের কাছে যেতেই যেন অন্যরকম পরিবেশের হাওয়া শরীর ছুঁয়ে যায়। সেখানেও গোল হয়ে চলছে নারী-পুরুষের আড্ডা। তবে রহস্যের ব্যাপারটা হচ্ছে ১০ বা ১৫ মিনিট পরপর একজন করে উঠে সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছেন। ফিরছেনও ১০ বা ১৫ মিনিট পরে। কোথায় যাচ্ছেন তারা, কী এমন কাজ করছেন যে নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে সময় লাগছে ফিরতে? রহস্যের জাল ছেদ করতে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া মানুষগুলোর পিছু নিয়ে দেখা যায়, সবাই ছোট ছোট পা ফেলে যাচ্ছেন মান্না ডিজিটাল হলের দিকে। বিড়ালের মতো নিঃশব্দে মান্না ডিজিটাল হলের কাছে যেতেই দেখা যায় ছোট একটি লোহার গেট দিয়ে সবাই একে একে প্রবেশ করছেন ঝর্ণা স্পটে। সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছেন ঝর্ণা স্পটের ব্রিজের ওপারে। সেখানে আবার রয়েছে বসার জন্য সুন্দর বন্দোবস্ত।
খুব সাবধানে পা ফেলে ঝর্ণা স্পটের পেছনে পৌঁছে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে চলছে নারী-পুরুষের সঙ্গম। পাশেই পড়ে রয়েছে অসংখ্য ব্যবহৃত টিস্যু ও নানা ব্র্যান্ডের প্যাকেট। প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেতেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান তারা। ব্যস্ত হয়ে ছুটতে থাকেন এদিক ওদিক। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই নারীরাই দিনে কাজ করেন ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে এক্সট্রা হিসেবে। আর রাতে কিছু বাড়তি উপার্জনের নেশায় চলে শরীর বিক্রি। পুরুষগুলোও কাজ করেন বিভিন্ন সেটে। রাত হলে তারাও চান নারী শরীরের ঘাম শুষতে। চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের কেন্দ্র বলা হয় এফডিসিকে। এটা ধরতে গেলে দেশের নির্মাতাদের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে যে কেউই হতবাক হবেন। এখানে শুধু অনৈতিক কর্মকাণ্ডই চলছে এসব যারা করছেন তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেসনে ময়লা আবর্জনা ফেলে ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলেছেন ।
রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫
বাঙ্গালী এক তরুনী যখন বিয়ে করলেন সভ্যতা থেকে হাজার ক্রোশ দূরে আমাজানের অসভ্য নগ্ন গোষ্ঠীর সর্দারকে !
পৃথিবী যখন আধুনিকায়নের সিঁড়ি বেয়ে দিন দিন মহাশূন্যের গ্রহ নক্ষত্র চাঁদ সবকিছু মানুষের হাতের মুঠোই নিয়ে এসেছে ঠিক এই সময় দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল আমাজান নদীবিধৌত অঞ্চল ব্রাজিলের অ্যাকরি রাজ্যের পেরুর সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলের গভীর আমাজান জঙ্গলে এখনো সভ্যতার আলো ছাড়া বাস করে প্রাচীন উপজাতীয় মানবগোষ্ঠী। যাদের অনেকের সঙ্গেই কোনো যোগাযোগ নেই সভ্য দুনিয়ার। যাদের পরনে এখনও কোন কাপড় নেই।
লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। আর সেখানকার আমাজানের গহীনে বসবাস করে এক দল আদিবাসী, যারা এখনো কাপড় পরতেও শিখেনি, সভ্যতার ছোঁয়া যেন তাদেরকে এখনো ছুঁতে পারেনি। সেই বনের মাঝে অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক বাঙালি নারী। তাও আবার ওখানকার আদিবাসি সরদারকে বিয়ে করে!
বাঙালি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা সারাহ বেগম লন্ডনের কিংস্টোন কলেজ থেকে তখন মাত্র ডিগ্রি শেষ করেছেন। তার স্বপ্ন জীবনে তিনি ব্যতিক্রমী কিছু করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের জমানো সঞ্চয়টুকু দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের বিমান টিকিট কিনলেন।
সেই সঙ্গে ভাড়া করলেন একজন সিনেমাটোগ্রাফার। ব্যাস, ছুটলেন আমাজান জঙ্গলে বসবাসরত হুয়ারোয়ানি আদিবাসীদের গ্রামে। উদ্দেশ্য- তাদের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তাদের ওপর তেল অনুসন্ধানকারী কোম্পানিগুলোর হুমকির বিষয়টি তুলে ধরা।
কিন্তু সেখানে যাওয়ার কয়েকদিনের মাথায় বিয়ে করে ফেললেন সভ্যতার আলো থেকে বহু দূরে থাকা আদিবাসীটির এক শিকারি পুরুষকে। তাও আবার কনের বয়স যেখানে ২১, বরের বয়স ৫০!হুয়ারোয়ানি আদিবাসীর লোকেরা বাস করে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে তেল সমৃদ্ধ এলাকাটিতে। এ কারণে সেখানে তেল অনুসন্ধানকারী কোম্পানিগুলোর আনাগোনা বেশি। ইতিমধ্যে সেখানে আসন গাড়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে বড় বড় পাঁচটি তেল কোম্পানি। এর ফলে হুমকির মুখে পড়ে এ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্র ও জীববৈচিত্র্য। এ বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ২০১০ সালে ইকুয়েডের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সারাহ।
সারাহ সে সময় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। জীবনে ব্যতিক্রমী কিছু একটা করছেন- এ বিশ্বাস থেকে চাকরিটা ছেড়ে দেন। হাতে জমানো টাকা দিয়ে কিনে ফেললেন ইকুয়েডরের বিমান টিকিট। সঙ্গে নিলেন একজন সিনেমাটোগ্রাফার। ইকুয়েডরে গিয়ে নিলেন একজন গাইড। এরপর চললেন হুয়ারোয়ানিদের গ্রাম বামেনোতে।
হুয়ারোয়ানিদের মোট জনসংখ্যা তিন হাজার। বিদেশিদের ব্যাপারে তাদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত। ১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঁচ ধর্মযাজক এসেছিলেন হুয়ারোয়ানিদের ধর্মান্তরিত করতে। এ নিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে নিহত হয় ওই পাঁচ যাজক। এরপর থেকেই বিদেশিদের সম্পর্কে একটা বাজে ধারণা রয়েছে এ বামেনোর বাসিন্দাদের। তবে সারাহ যখন তার উদ্দেশ্যের কথা জানালেন গ্রামবাসী বেশ ভালোভাবেই বরণ করে নিল।
সারাহ জানান, গ্রামে যাওয়ার কয়েকদিন পর তাকে একটি কুঁড়েঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘরের নারীরা সব নগ্ন। তারা সারাহকে জানালো, তার জন্য তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরি করছে। গাছের আঁশ দিয়ে তৈরি এ জামাটি কেবল কটিদেশে জড়ানো হয়। ঘরের নারীরা সারাহকে তার কাপড়চোপড় খুলে ফেলতে বলে। সারাহর কাছে প্রথমে মনে হয়েছিল যেহেতু এগুলো রেকর্ড করা হচ্ছে তাই তিনি নগ্ন হতে পারবেন না।
এক সময় মনে হলো তিনি সেখান থেকে ছুটে পালাবেন। পরে অবশ্য মনে হলো তিনি তাদের সংস্কৃতিটা খুব কাছ থেকে বুঝতে চান। এ কারণে আর দ্বিমত করলেন না। একজন নারী এসে সারাহর জামাগুলো খুলে নেয়। পুরোপুরি নগ্ন করার পর তারা ম্যাকাও পাখির পাখা দিয়ে তৈরি একটি মুকুট পরিয়ে দেয়। পরে তারা সারাহকে ঘিরে নাচতে শুরু করে।
এসময় তারা জানায়, সারাহকে তারা রানী করতে যাচ্ছে। এসময় গোত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় যোদ্ধা গিনক্তোর সঙ্গে তার বিয়ে দেয়া হয়। এতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সারাহ। পরে উপজাতির লোকেরা জানায়, বিয়ে মানা কিংবা না মানা সারাহর ইচ্ছা। এটা কেবল একজন বহিরাগত হিসেবে গোত্রের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার প্রতীক হিসেবে করা হয়েছে।
স্থানীয় ভাষা না জানলেও সারাহ নতুন স্বামীর সঙ্গে কাজ চালিয়েছেন তার সঙ্গে থাকা গাইডের মাধ্যমে। যে কাজের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন সেটা বেশ ভালোভাবেই শেষ করেছেন সারাহ।
এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা সিনেমাটোগ্রাফার বুলের হাত কেটে গেলে তাতে সংক্রমণ দেখা দেয়। সারাহরও কৃমির সমস্যা দেখা দেয় এবং তা পাকস্থলিতে সংক্রমিত হলে তারও চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফিরে আসেন আধুনিক দুনিয়ায়।
হুয়ারোয়ানিদের ওপর নির্মিত সারাহর প্রামাণ্যচিত্র গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঠাঁই পেয়েছিল। এছাড়া শেফিল্ড ডকুমেন্টারি ফেস্টিভাল ও অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম ফেস্টিভালেও জায়গা করে নিয়েছিল আধা ঘণ্টার এই প্রামাণ্যচিত্রটি। এর বদৌলতে রয়েল জিওগ্রাফি সোসাইটি সারাহকে তাদের ফেলো বানিয়ে নিয়েছে।
এখনো সম্পূর্ণ আদিম সভ্যতায় অদ্ভুত জীবন-যাপন কারী আমাজান জঙ্গলের অধিবাসীদের অজানা রহস্যকথা
চার বছর হলো সারাহ হুয়ারোয়ানিদের কাছ থেকে ফিরে এসেছেন। তবে তিনি তাদের ভুলে যাননি। হুয়ারোয়ানিদের যারা মাঝে মাঝে শহরে আসে তাদের সঙ্গে ইমেইল ও ফেসবুকে যোগাযোগ হয় তার। সারাহর ইচ্ছা, আরেকবার সুযোগ পেলে তিনি তাদের দেখতে ছুটে যাবেন।
মুখপোড়া হনুমানের ‘দখলে’ পুরো এলাকা ! চরম আতংকে দিন-রাত্রী কাটছে ১০ টি গ্রামের মানুষের
মুখপোড়া হনুমান এখন স্থানীয় এলাকাবাসির কাছে এক আতংকের নাম । বেশ কিছুদিন ধরে খাবারের অভাবে চরম দুর্দশায় পড়েছে যশোরের কেশবপুরে বসতি গড়া তিন শতাধিকের বেশি হনুমান। খাবারের খোঁজে মরিয়া হয়ে মুখপোড়া হনুমানের পাল হানা দিচ্ছে স্থানীয়দের বসতবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত , দোকান পাট, এমনকি স্থানীয় অফিসগুলোতেই। এমন আকস্মিক ঘটয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে আতঙ্কে দিনযাপন করছেন কেশবপুর ও মনিরামপুরের অন্তত ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা।
কেশবপুর গ্রামের প্রবীন সাহেব আলী জানান , কেশবপুর পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর নদীর তীরে এক যুগ আগে মুখপোড়া হনুমানের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে। সরকার এই অভয়ারণ্যের হনুমানের জন্য খাবারও বরাদ্দ করে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তাই খাবারের সন্ধানে কেশবপুরসহ পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের ফসলের ক্ষেতে দল বেঁধে হানা দিচ্ছে এই হনুমানের দল । এর ফলে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না। অনেকে ফসল বাঁচাতে রাত জেগে পাহাড়া বসিয়েছেন। তাতেও প্রতিকার মেলেনি। ক্ষেত থেকে ধাওয়া খেয়ে হনুমান এখন হানা দিচ্ছে গ্রামের মানুষজনের ঘরবাড়িতে। কোথাও কোথাও দলবদ্ধ হনুমানের হামলার শিকারও হচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।
মনিরামপুরের মুজগুল্লি গ্রামের যুবক রফিক সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, একই গ্রামের তার আত্মিয় কৃষক আবুল কাশেম মিয়া প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে পাঁচ বিঘা জমিতে আম ও বরই চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু হনুমানের পাল তার পুরোটাই সাবাড় করে দিয়েছে।
এমন অসংখ্য অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফারুক হোসেন জানালেন , এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অন্যদিকে, কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা হাবিবুজ্জামান জানান, তিন শতাধিক হনুমানের জন্য প্রতিদিন সরকারিভাবে বরাদ্দ ২০ কেজি পাকা কলা, তিন কেজি বাদাম ও দুই কেজি পাউরুটি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে খাদ্য সমস্যা দূর করা গেলে হনুমানের অত্যাচার থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করা যাবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করা হবে।
ছাত্রলীগের তান্ডবে হতবাকঃ আমার গলায় রশি দেওয়া উচিতঃ ডঃ জাফর ইকবাল
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ আগেই শিক্ষকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের এমন ন্যাক্কারজনক হামলায় নিস্তব্ধ, নির্বাক হয়ে গেছেন জনপ্রিয় শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অভিমানে আঝোর ধারায় বৃষ্টিতে ভিজছেন তিনি। লজ্জা আর ঘৃণা তার চোখেমুখে ভর করেছে। অন্য শিক্ষকদের মাথায় ছাতা থাকলেও জাফর ইকবাল ছাতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বসে আছেন। অন্য শিক্ষকরা তার পাশে ভিড় করে আছেন।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে ছাত্রলীগের হামলায় আন্দোলনরত অন্তত সাতজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের। গত কয়েক মাস ধরে তারা অন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
এদিকে শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূইয়া রোববার বিকাল ৩ টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরইমধ্যে ভিসিকে সমর্থন দিয়ে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা ব্যানার নিয়ে সেখানে যান সকাল সাড়ে ৭টার দিকে।
সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা ব্যানার কেড়ে নেয় এবং শিক্ষকদের গলা ধাক্কা দিয়ে এবং মারধর করে সরিয়ে দেয়। তাদের ধাক্কায় ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান। এসময় সুযোগ পেয়ে ভিসি ভবনে ঢুকে দোতলায় নিজের কার্যালয়ে চলে যান।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম জানান, হামলায় তাদের ৭জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। প্রফেসর ইয়াসমিন হক ছাড়াও মারধরের শিকার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল গণি, প্রফেসর এ ন ক সমাদ্দার, মোস্তফা কামাল মাসুদ, এসোসিয়েট প্রফেসর মো. ফারুক উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও কোন কাজ হয়নি।
কুয়ালালামপুরে চলছে দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ!
দুর্নীতির অভিযোগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
রোববার কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রীয় অংশের এ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই আগের দিন বিক্ষোভের পর রাস্তায়ই রাত্রিযাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী নাজিবের একটি একাউন্টে রহস্যজনকভাবে ৬০ কোটি ডলার হস্তান্তরের একটি ঘটনার খবর প্রকাশিত হলে মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার রাজধানী কেন্দ্রস্থলে জমায়েত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ শুরু করে।
সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদ এ দিন বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। এতে বিক্ষোভকারীদের মনোবল আরো বেড়ে যায়।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও বেআইনি কিছু করেননি বলে দাবি করেছেন নাজিব।
বিক্ষোভকারীদের শক্তিশালী কোনো নেতা না থাকায় নাজিবের পদত্যাগের দাবিটি ব্যাপক জনসমর্থন আকর্ষণে ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কুয়ালামপুরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় দাঙ্গা-বিরোধী যান মোতায়েন করে প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
তবে একদিন পার হলেও বিক্ষোভে সহিংসতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিক্ষোভকারীরা উৎসবের আমেজে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দিয়েছেন। রোববার বিক্ষোভস্থলে উপস্থিতদের দলীয় ব্যয়ামের মধ্য দিয়ে দিনটি উৎসবের আমেজেই শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী নাজিবের একটি একাউন্টে রহস্যজনকভাবে ৬০ কোটি ডলার হস্তান্তরের একটি ঘটনার খবর প্রকাশিত হলে মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার রাজধানী কেন্দ্রস্থলে জমায়েত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ শুরু করে।
সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদ এ দিন বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। এতে বিক্ষোভকারীদের মনোবল আরো বেড়ে যায়।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও বেআইনি কিছু করেননি বলে দাবি করেছেন নাজিব।
বিক্ষোভকারীদের শক্তিশালী কোনো নেতা না থাকায় নাজিবের পদত্যাগের দাবিটি ব্যাপক জনসমর্থন আকর্ষণে ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কুয়ালামপুরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় দাঙ্গা-বিরোধী যান মোতায়েন করে প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
তবে একদিন পার হলেও বিক্ষোভে সহিংসতার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিক্ষোভকারীরা উৎসবের আমেজে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দিয়েছেন। রোববার বিক্ষোভস্থলে উপস্থিতদের দলীয় ব্যয়ামের মধ্য দিয়ে দিনটি উৎসবের আমেজেই শুরু হয়।
প্রতিবাদ আয়োজনের জন্য গণতন্ত্রপন্থী সংগঠন বেরিশের করা অনুমতির একটি আবেদন প্রত্যাখান করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। এতে ২০১২ সালের মতো বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে।
সরকার বেরিশের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাদের পরিচয় বহনকারী হলুদ টি-শার্ট পরা নিষিদ্ধ করেছে।
সরকার বেরিশের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাদের পরিচয় বহনকারী হলুদ টি-শার্ট পরা নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু বিক্ষোভস্থলে বিক্ষোকারীদের পরা হলুদ টি-শার্ট এলাকাটিকে ‘সরিষা ফুলের মাঠ’ বানিয়ে রেখেছে।
বাদশাহী বিলাশবহুল ৩ কোটি টাকার গাড়ী শাহরুখের
অনেকেই স্বপ্ন দেখেন। কেউ কেউ করে দেখান। তেমনই একজন বলিউডের কিং খান- শাহরুখ। সাড়ে তিন কোটি টাকা দিয়ে একটি বাস উড়িয়ে এনেছেন বিদেশ থেকে। যার জুড়ি এই মূহূর্তে নাকি বলিউডে নেই।
কী আছে এই সুপার ডুপার লাক্সারি বাসে? না না, বরং প্রশ্ন করা ভাল কী নেই এতে? বাসটি লম্বায় ১৪ মিটার। সবমিলিয়ে ভিতরে ২৮০ স্কোয়্যার ফুট জায়গা রয়েছে। মেঝে মোটা কাচের। ছাদ কাঠের। মেঝের নিচে এলইডি আলো ঝলমলিয়ে উঠছে। বাসে চারখানা ঘর রয়েছে। মিটিং রুম, বেড রুম, টয়লেট এবং মেকআপ ও চেঞ্জরুম।
যদি কোনও দিন মনে হয় আরো একটা ঘরের বড্ড দরকার। তাও করে ফেলা যাবে। বাসটির ইন্টিরিয়র ডেকরেশন করেছে বিখ্যাত হলিউডি সংস্থা ডিসি স্টুডিও। ডিসি স্টুডিও অত্যাধুনিক হাইড্রলিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাসটিকে এমনভাবে সাজিয়েছে, যে কোনও সময়ে আরও ৮০ স্ক্যোয়ার ফুট জায়গা বের করা সম্ভব।
আরও আছে। প্রতিটি ঘরে ওয়াই ফাই সিস্টেম এবং অ্যাপেল টিভি রয়েছে। স্যাটেলাইট টিভি-সহ তিনটি ফোর-কে টেলিভিশন আছে। অসাধারণ একটি সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে। যেটির আউটপুট সাউন্ড প্রায় চার হাজার ওয়াট।
বাসে আলো জ্বলবে বাদশার মর্জি মাফিক। একটা সুইচ আছে। সেটি এতটাই টাচ সেনসিটিভ যে, শাহরুখ তাতে আঙুল ছোঁয়ানো মাত্রই সে বুঝে যাবে মালিকের মুড কেমন। মালিক কী চান, নাচতে, বিশ্রাম করতে নাকি পার্টি করতে। ঠিক সেভাবেই একে একে প্রতিটি ঘরে জ্বলে উঠবে এলইডি বাতিগুলো। বাসের টয়লেটে এমন যন্ত্রপাতি আছে যেগুলি বাদশাকে জলে ভিজিয়ে স্নান করাবে। আবার গা মুছিয়েও দেবে।
তবে রান্নাঘরটি তুলনায় নেহাতই সাদামাটা। দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার রকমের চা-কফি রাখা আছে। যেগুলো বাদশার পছন্দের। আর আছে একটি মাইক্রোওয়েভ। কিন্তু এছাড়া খাওয়া-দাওয়ার পাট বিশেষ নেই। বাসটি সদ্য এসেছে শাহরুখের গ্যারাজে। গৌরী নাকি এখনও বাসে ওঠেননি। দেখা যাক, ঘরণী রান্নাঘরটির হাল ফেরানোর চেষ্টা করেন কি না।
জাতীয় মাছ ইলিশ এখন পুকুরে ।
মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলে একটি প্রবাদ ছিল । কিন্তু এখন আর ততটা নাই । যে পরিমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মাছের উৎপাদন একেবারেই কম । তার উপর বাংলার জাতীয় মাছ ইলিশের যে দাম এখন আর মাছে ভাতে বাঙ্গালী নাম করণের সবারথকতা বিচার করা চলে না ।
সদ্য পুকুরে এবার ইলিশ চাষের প্রক্রিয়া চলছে। পুকুরে ইলিশ চাষ প্রক্রিয়া সফল হলে দেশবাসীর ইলিশ সংকটের নিরসন হবে বলে প্রকল্পের দাবী ।
এবার মোবাইল ফোন চার্জ করবে ছাতা!
মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভোডাফোন ও ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের গবেষকেরা যৌথভাবে আধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ একটি ছাতার আবিষ্কার করেছেন। যে ছাতার সাহায্যে সৌরশক্তি ব্যবহার করে যে কোনও সময়েই করে নেওয়া যাবে মোবাইল চার্জ।
এ ছাতার নাম দেওয়া হয়েছে ব্রুস্টার ব্রোলি। শুধু মোবাইল চার্জ হওয়া নয়, আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রুস্টার ব্রোলিতে মাইক্রো অ্যান্টেনা, এলইডি টর্চ, নমনীয় সৌর প্যানেল এবং স্মার্টফোন রাখারও সুবিধা রয়েছে।
ভোডাফোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছাতা মেলে রোদে গেলে এর ওপরে বসানো সৌর প্যানেলগুলি সৌরশক্তির সাহায্যে তিন ঘণ্টার মধ্যেই মোবাইলের ব্যাটারিকে সম্পূর্ণ চার্জ করে দেবে। ছাতাটি তৈরি কার্বন ফাইবারের। যাতে এর মধ্যে হাওয়া ঢুকতে পারে না।
ব্যস, এখন থেকে ছাতায়ই হবে মোবাইল চার্জ। অবশ্য ঠিক কবে নাগাদ এই ছাতা বাজারে আসছে, সে খবর এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি ভোডাফোন কর্তৃপক্ষ কিংবা গবেষকেরা। সুতরাং, আপাতত এ ছাতার অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে এর গ্রাহকদের।
এক ছবিতেই শরণারথীর ভাগ্য পরিবর্তন তোলপাড় টুইটার !!
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ৪০ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ঘরবাড়ি হারানো এই মানুষগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ তুরস্ক, জর্ডান ও লেবাননে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ আবার সুন্দর জীবনের আশায় ইউরোপে যেতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছেন। শরণার্থী এই মানুষগুলোর বেঁচে থাকার আর্তির হৃদয়গ্রাহী ছবি প্রতিনিয়তই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসে।
এমন দৃশ্য অনেককেই কাঁদায় ঠিকই, কিন্তু এই শরণার্থী মানুষগুলোর জীবনে কতটা পরিবর্তন আসে? তবে সম্প্রতি এমনই এক ছবি বদলে দিয়েছে এক সিরীয় শরণার্থীর জীবন।
নরওয়ের ত্রাণকর্মী জিস্সুর সাইমানারসন গত সপ্তাহে টুইটারে এক সিরীয় শরণার্থীর ছবি প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, কয়েক বছর বয়সী মেয়েকে কাঁধে নিয়ে লেবাননের রাজধানীয় বৈরুতের রাস্তায় কলম বিক্রি করছে ওই সিরীয়। দেবদূতের মতো শিশুটি বাবার কাঁধে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর ওই ব্যক্তি কলম হাতে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে, মুখের অভিব্যক্তিতে করুণ আহ্বান। কয়েকদিনের মধ্যেই ছয় হাজারের বেশি মানুষ ছবিটি ফলো করেন।
সাইমনারসন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, সিরীয় শরণার্থীটির মুখের অভিব্যক্তি ও হাতের কলম ধরে রাখা দেখলে মনে হয় যেন এই কয়েকটি কলমই তাঁর শেষ সম্বল।
টুইটারে ছবি পোস্ট করার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ ওই ব্যক্তিকে সহায়তা করতে চায়। কিন্তু সাইমনারসন ওই ব্যক্তির পরিচয় ও ঠিকানা জানতেন না। এমন কী ছবিটি কার তোলা তাও ছিল অজানা। এই ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেরই সহায়তা নেন সাইমনারসন । তিনি টুইটারে বাইপেনস হ্যাশট্যাগ (#BuyPens) ব্যবহার করে সিরীয় শরণার্থীটির খোঁজ শুরু করেন।
দুই দিন পর বৈরুতে থাকা সিরীয় শরণার্থীটি খোঁজ পান তিনি। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল (৩৫)। সারা বিশ্বের মানুষ তাঁকে খুঁজছে জানতে পেরে অবাকই হন তিনি। আর ছবিতে থাকা আবদুলের চার বছরের মেয়ে রিমকে এবার জেগে থাকা অবস্থায়ই পাওয়া যায়। মেয়েটির সঙ্গে ছবি তোলে তাঁদের খুঁজে বের করা অপর ত্রাণকর্মী ক্যারল মালোউফ।
আবদুলের মুখ থেকে জানা যায় তাঁর জীবনের করুণ কাহিনী। সিরিয়ার অন্যতম অবরুদ্ধ এলাকা ইয়ারমোক থেকে এসেছে সে। গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে একটি চকোলেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ছিলেন তিনি। যুদ্ধ শুরু হলে সন্তানদের নিয়ে তিনি বৈরুতে এসেছেন এবং শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।
আবদুলের পরিবারকে সহায়তা হিসেবে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহের জন্য টুইটারে আহ্বান জানান সাইমনারসন। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে উল্লেখিত অর্থ সংগ্রহ হয়ে যায়।
এর পর সাইমনারসনের টুইটারে লেখেন, ‘এতেই প্রমাণ হয় মানবতা এখনো হারিয়ে যায়নি।’ সহায়তা পাঠানো অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবদুলের পরিবারের সহায়তায় তিন হাজার মানুষ ৮০ হাজারের বেশি মার্কিন ডলার পাঠায়।
সহায়তা হিসেবে অর্থের অঙ্ক জানতে পেরে বিস্ময়ে মাটিতে বসে পড়েন আবদুল। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সাইমনাসন টুইটারে বলেন, তখন বার বার আমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছিল আবদুল।’
আবদুল বলেন, তিনি এখন দুই সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারবেন। অন্য শরণার্থীদেরও সহায়তা করতে চান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যক্তি আরবিতে লিখেছেন, রিম ও তাঁর বাবার মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এবার আমরা কিছু সম্ভব করেছি। এমন আরো মানুষকে সহায়তা করতে হবে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫
অন্তঃসত্ত্বা হলেই চাকরি খতম !
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিংবা চাকরির প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে করলে বরখাস্ত করা হবে চাকরি থেকে। তাও আবার কোনো আজেবাজে প্রতিষ্ঠান নয়, এ নিয়ম কাতার এয়ারওয়েজের। যদিও শেষ পর্যন্ত এ নিয়ম নিয়ে পিছু হঠতে হয়েছে সৌদি আরবের এই বিমান সংস্থাটিকে। জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজমেন্ট হাঠাৎ করেই নিয়ম করে বসে- কোনো কর্মী যদি চাকরির প্রথম ৫ বছরের মধ্যে বিয়ে করে আবার বিয়ে করা কর্মীদের কেউ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।এই নিয়মের তীব্র বিরোধিতা করা হয় ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
এরপরই তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয় কাতার এয়ারওয়েজ। সেই নিয়ম বাতিল করে একটি নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কর্মী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে তার শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী ওই সময় গ্রাউন্ড স্টাফের কাজ দেয়া হবে এবং শেষ কয়েক মাস মাতৃত্বকালীন ছুটিও মঞ্জুর করা হবে। এছাড়া চাকরির প্রথমে ৫ বছরের মধ্যে কেউ বিয়ে করতে চাইলে তাকে অবশ্যই আগে সংস্থাকে জানাতে হবে। অবশ্য কাতার এয়ারওয়েজের এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাস ফেডারেশন।
‘‘শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় পরমাণু শক্তিধর দেশ হচ্ছে পাকিস্তান’’
২৮ আগষ্ট- আগামী তিন বছরে মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রধারী দেশে পরিণত হবে পাকিস্তান৷ এমনই দাবি করা হল দুই মার্কিন থিঙ্ক ট্যাংক, কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস এবং দ্যা স্টিমসন সেন্টারের প্রতিবেদনে৷
ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, আগামী তিন বছরে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার বেড়ে অন্তত সাড়ে তিনশ’তে পৌঁছবে৷ দ্রুত নিজের পরমাণু বোমার ভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে ইসলামাবাদ৷দাবি, পরমাণু বোমা মজুদের দিক থেকে ভারতকে ছাপিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিবেদনের হিসাবে অনুযায়ী, পাকিস্তানের ভাণ্ডারে ১২০টি পরমাণু বোমার মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে রয়েছে প্রায় ১০০টি পরমাণু বোমা৷
পাকিস্তান প্রতিবছর গড়ে ২০টি করে পরমাণু বোমা তৈরি করছে বলেও এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷ প্রচুর ইউরেনিয়াম মজুত থাকায় আগামী কয়েক বছরে পাকিস্তান বেশ কেয়কটি কমক্ষমতা সম্পন্ন পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে৷
অবশ্য ভারতের কাছে এর তুলনায় অনেক বেশি প্লুটোনিয়াম মজুত রয়েছে৷ পাকিস্তানের তুলনায় অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বোমাতৈরিতে প্লুটোনিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ভারত অভ্যন্তরীণ জ্বালানি তৈরিতে বেশির ভাগ প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
মাত্র ৫ টাকায় ১ জিবি
মাত্র ৫ টাকায় ১ জিবি ডাটা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। শুধুমাত্র প্রি-পেইড গ্রাহকরা এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন। গ্রামীণফোন জানিয়েছে, যে সমস্ত প্রিপেইড গ্রাহক গত ৩ মাসে ১৫০ কেবি’র চেয়ে কম ডাটা ব্যবহার করেছেন তাদের জন্যে এই অফারটি ঘোষণা করা হয়েছে।
অফারটি পাওয়ার জন্য ডায়াল করতে হবে *৫০০*৪৫#। এই অফারটির আওতায় ৫০০ এমবি ওপেন এবং ৫০০ এমবি ফেসবুক ব্যবহারের জন্য ডাটা পাওয়া যাবে। ডাটার মেয়াদ ৭ দিন। টুজি এবং থ্রিজি নেটওয়ার্কে এই ডাটা ব্যবহার করা যাবে।
ওপেন ইন্টারনেটের ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন *৫৬৬*১০#। ফেসবুক ইন্টারনেটের ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন *৫৬৬*১#।
এই অফারের সঙ্গে ৩ শতাংশ এসডি চার্জ ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।
অফার চালকালে মাত্র ১ বার ৫ টাকায় ১ জিবি ডাটা প্যাকের সুবিধা পাওয়া যাবে। মেয়াদ শেষে ইন্টারনেটের নিয়মিত চার্জ প্রযোজ্য।
হ্রদ শুকিয়ে বেরিয়ে পড়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান
পোল্যান্ডে হ্রদের পানি শুকিয়ে বেরিয়ে পড়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি বিমান। এর ভেতর দুজন বৈমানিকের দেহাবশেষও পাওয়া গেছে। স্থানীয় এক বেতারমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যামিয়নে অবস্থিত অক্সোবও হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বিমানটির দেখা মিলেছে। বিমানের গায়ে অঙ্কিত চিহ্ন ও বৈমানিকদের শীতপোশাক থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ওই বিমান সোভিয়েত বাহিনীর। হ্রদের পানি শুকিয়ে বিমানটির বেশির ভাগ অংশ বেরিয়ে পড়েছে। পাওয়া গেছে ইনস্ট্রুমেন্টাল প্যানেল, ইঞ্জিন, চাকা ও সুরক্ষিত রেডিও সেট। তবে বিমানটি এতটাই বিধ্বস্ত হয়েছে যে, সেটি কোন মডেলের, তা আর শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিমানের বেশ কিছু ছবি অনলাইনে পোস্ট করেছে উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ। বিমান উদ্ধারের তত্ত্বাবধানে থাকা ভিসটুলা রিভার মিউজিয়ামের পরিচালক জানান, সম্ভবত ১৯৪৫ সালের জানুয়ারিতে জার্মান গোলন্দাজ বাহিনীর হামলায় বিমানটি হ্রদে তলিয়ে গিয়েছিল। বিমানের উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে স্থানীয় ইতিহাসবিষয়ক এক সংস্থা। সহায়তার হাত বাড়িয়েছে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীও। সূত্র : বিবিসি।
প্রলভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে কিডনি কেটে নিতো তারা ঃ গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর গাবতলী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে দুইজন ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়। তাদের একজনের বাড়ি জয়পুরহাট ও অন্যজনের মুন্সীগঞ্জে।
গোয়েন্দা পুলিশরে যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই চক্রটি গ্রামের সহজ সরল ব্যক্তিদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসতো। এরপর চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে শরীর থেকে কিডনি কেটে নিতো। এই চক্রটি এর আগে অজ্ঞান পার্টির সদস্য ছিল। এখন তারা পেশাবদল করে কিডনি পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে।
চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আব্দুল জলিল, শেখ জাকির ইবনে আজিজ ওরফে শাকির, আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন, ফজলে রাব্বি ও জিহান রহমান। এই চক্রের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া দুই ভুক্তভোগী হলেন- আবু হাসান ও শান্ত।
মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দু’টি চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ, একটি ধারালো ছোরা এবং একটি তোয়ালে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জলিল বিভিন্ন সময় ভারতে গিয়েছিল কিডনি বিক্রি করতে। সে গত ১০ বছর ধরে এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’
এই অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক জড়িত রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জলিল কিডনি বিক্রির উদ্দেশ্যে আবু হাসানকে গ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। একটি কিডনির বিনিময়ে সিএনজি ও টাকার প্রলোভন দেখায় সে। অপরদিকে শান্তকে পূর্ব পরিচিত আশিকুর তার চাচীকে রক্ত দেয়ার নাম করে গ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে।’
‘যাওয়া-আসার খরচ ও ২০ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে আশিকুর। রক্ত দেয়ার সময় তারা চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে শান্তর কিডনি কেটে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল চক্রটি। কিডনি অপসারণের পর শান্তকে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়ার অথবা অন্য নামে লঞ্চে রুম বুকিং করে লাশ সুটকেসে ঢুকিয়ে সেখানে ফেলে রাখার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।’ বললেন মনিরুল ইসলাম।
এক গানের দর্শক ১১ লাখ
‘শুধু তোমর জন্য এখন/ কত স্বপ্ন দেখে মন’ এই এক গান দিয়েই শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ। গত বছর ঈদুল আযহায় মুক্তি পায় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘শুধু তোমার জন্য’। ঐ অ্যালবামেই গানটি টাইটেল ট্র্যাক হিসেবে স্থান পায়। অ্যালবামটি প্রকাশ পাওয়ার পরপরই শ্রোতা মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় গানটি। যার ফলশ্রুতিতে ধ্রুব তার এই গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করে এ বছরের শুরুর দিকে ভিডিওটি আপলোড করেন ইউটিউবে। কিন্তু মাত্র আট মাসে গানটি প্রায় ১১ লাখ দর্শক দেখেছেন।
‘শুধু তোমার জন্য’ গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছে সিনেআর্ট প্রডাকশন। গানটিতে মডেল হয়েছেন সময়ের আলোচিত মডেল সিয়াম এবং শাহতাজ। প্রিন্স রুবেলের কথায় গানটির সুর এবং সংগীতায়োজন করেছেন তরিক আল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে ধ্রব গুহ বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত। দর্শক যে আমাকে এত ভালোবাসা দিবেন আমি চিন্তাও করতে পারিনি। তবে আমি আমার সেরা গায়কি দেয়ার চেষ্টা করেছি এই গানে। গানটির কথা, সুর ও সংগীত ছিলো অসাধারণ। আর মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ক্ষেত্রেও আমি ব্যতিক্রমী ভাবনা তুলে ধরেছি। এই কারণেই হয়তো দর্শক শ্রোতা গানটি পছন্দ করেছেন।’
এদিকে দেশের সংগীতাঙ্গনে অনেকটা পথ পারি দিতে চান ধ্রুব। শ্রোতাদের দিতে চান ভালো ভালো গান। সম্প্রতি এ শিল্পীর ‘যে পাখি ঘর বোঝেনা’ শিরোনামে আরও একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে।
Tropical storm losing strength as it nears Florida, 20 dead in Dominica
Tropical Storm Erika was soaking Haiti with heavy rain and strong winds on Friday as it swirled across the Caribbean but showed signs of losing steam as it headed toward south Florida, the US National Hurricane Center (NHC) said.
Twenty people were confirmed dead onthe island of Dominica, Prime Minister Roosevelt Skerrit said in an address carried on television and online late Friday. Rescuers were still searching for others reported missing.
Erika was no longer forecast to make landfall in the United States as a hurricane due to some likely weakening over mountainous areas of Haiti and Cuba. Instead, it could lose tropical storm strength by Saturday, with winds falling below 40 miles per hour (64 kph) as it moves over eastern Cuba, although "very heavy rainfall" was a concern.
"The forecast intensity has been significantly changed to show a much weaker cyclone," the hurricane center said in a Friday evening advisory.
Erika could regain intensity over the Straits of Florida and the Gulf of Mexico if it survives the mountains, the NHC said.
"We're not quite prepared to rule out tropical storm impacts in Florida," it said.
Florida Governor Rick Scott declared a state of emergency on Friday, noting the storm could travel "up the spine of Florida" from Sunday into next week.
Scott said the Tampa area on Florida's Gulf Coast was a major flood concern due to saturation from rain this month.
Forecasters have described Erika, the fifth named storm of the Atlantic hurricane season, as unusually hard to predict due to disruption from wind patterns and interaction with land, which weakens a storm, as well as warm water, which adds energy.
Meteorologist Jeff Masters said the mountainous island of Hispaniola, which Haiti shares with the Dominican Republic, "has saved us so many times in the past," thanks to its 10,000-feet (3,000-meter) peaks.
"It's probably saved thousands of lives in South Florida over the years," he said.
However, heavy rain over impoverished Haiti's eroded hillsides, with up to 10 inches (25 cm) possible in some areas, could cause "life-threatening flash floods and mudslides," the Miami-based NHC said.
Erika's sustained winds dropped to 45 mph (72 kph) as it moved over Haiti's capital, Port-au-Prince, on Friday night, the NHC said.
Haiti's government warned those who live by ravines, rivers and the coast to use extreme caution if they go outdoors. Mayors and local authorities were told to open schools and public buildings as makeshift shelters.
Dominica in the eastern Caribbean was the worst-affected island so far. The prime minister said swollen rivers and rain-triggered landslides had swept away homes, roads and bridges.
Some communities were cut off on the small, mountainous island with a population of about 72,000.
Skerrit said 20 people had died and several others were still missing. He described the destruction as "monumental."