অবশেষে কি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এবার এমনটাই সতর্কবার্তা দিচ্ছে নাসা। নাসার এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে তাতে নিশ্চিত বিশ্বে সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বাড়ছে৷ আর আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর অন্তত ১ মিটার বাড়বেই। আশঙ্কার কথা এই যে, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে যে হারে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক দ্রূত হারে বাড়ছে জলস্তর৷এটা কোনওভাবেই আটকানো কিংবা বাধা দেওয়া সম্ভব নয়।
সমুদ্রের জলস্তর ১ মিটার বাড়লে কী হবে?
বিজ্ঞানীদের মতে, ডুবে যাবে প্রশান্ত, ভারত মহাসাগরের অসংখ্যা দ্বীপ৷ সমুদ্র উপকূলবর্তী হাজারও শহর৷ হয়তো অস্তিত্বই থাকবে না ফ্লোরিডার মতো অনেক জনপদের৷ অচিরেই যার ফল ভুগতে হবে ১৫ কোটি মানুষকে৷ নাসার সমুদ্র জলস্তর নিয়ে গবেষণাকারী দলের প্রধান স্টিভ নেরেম জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক গবেষণায় যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে, তাতে আমরা নিশ্চিত ১০০ বছরের মধ্যে জলস্তর এক মিটার বাড়বেই৷ যার ফল ভুগতে হবে গোটা বিশ্ববাসীকে৷’
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের জলস্তর মাপা হয়েছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে, জল যেমন বেড়েছে সমুদ্রে তেমনই জলে ভাসমান বরফের পাহাড়ের উচ্চতাও বেড়েছে৷ নাসার এই নতুন ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষার ফল নির্দিষ্ট শুধু নয়, একেবারেই নির্ভুল বলে দাবি করছেন গবেষকরা৷ তাঁরাই জানাচ্ছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রাও দ্রূত বাড়ছে৷ যার জেরে আণ্টার্কটিকা, গ্রিণল্যান্ডের বরফের স্তর শুধু উপরিভাগ থেকেই নয়, জলের নীচ থেকেও গলছে৷ বরফ গলায় ওজন কমার ফলে বরফের পাহাড় ভেসে উঠছে৷ বাড়ছে উচ্চতা৷
গবেষকরা বেশি চিন্তিত গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর নিয়ে৷ কারণ, তথ্য বলছে গত এক দশকে প্রতিবছর গ্রিনল্যান্ডে ৩০৩ গিগাটন বরফ গলেছে৷ আণ্টার্কটিকায় গলেছে ১১০ গিগাটন৷
গবেষকরা বেশি চিন্তিত গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর নিয়ে৷ কারণ, তথ্য বলছে গত এক দশকে প্রতিবছর গ্রিনল্যান্ডে ৩০৩ গিগাটন বরফ গলেছে৷ আণ্টার্কটিকায় গলেছে ১১০ গিগাটন৷
সমুদ্র বিশেষজ্ঞ জশ উইলস বলছেন, “আমরা যতটা ভেবেছিলাম গত কয়েক বছরে তার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি বরফ গলেছে৷ আমাদের ধারণা, আগামী ২০ বছরে আরও দ্রূত হারে বরফের স্তর গলবে৷”
কিন্ত্ত কেন এত দ্রূত হারে গলছে বরফ, বাড়ছে জলস্তর তার কিছুটা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে গবেষকদের একাংশ৷
কিন্ত্ত কেন এত দ্রূত হারে গলছে বরফ, বাড়ছে জলস্তর তার কিছুটা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে গবেষকদের একাংশ৷