বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

সমুদ্র গর্ভেই হারিয়ে যাবে বিশ্ব!

সমুদ্র গর্ভেই হারিয়ে যাবে বিশ্ব!

অবশেষে কি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এবার এমনটাই সতর্কবার্তা দিচ্ছে নাসা। নাসার এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে তাতে নিশ্চিত বিশ্বে সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বাড়ছে৷ আর আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর অন্তত ১ মিটার বাড়বেই। আশঙ্কার কথা এই যে, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে যে হারে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক দ্রূত হারে বাড়ছে জলস্তর৷এটা কোনওভাবেই আটকানো কিংবা বাধা দেওয়া সম্ভব নয়।
সমুদ্রের জলস্তর ১ মিটার বাড়লে কী হবে?
বিজ্ঞানীদের মতে, ডুবে যাবে প্রশান্ত, ভারত মহাসাগরের অসংখ্যা দ্বীপ৷ সমুদ্র উপকূলবর্তী হাজারও শহর৷ হয়তো অস্তিত্বই থাকবে না ফ্লোরিডার মতো অনেক জনপদের৷ অচিরেই যার ফল ভুগতে হবে ১৫ কোটি মানুষকে৷ নাসার সমুদ্র জলস্তর নিয়ে গবেষণাকারী দলের প্রধান স্টিভ নেরেম জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক গবেষণায় যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে, তাতে আমরা নিশ্চিত ১০০ বছরের মধ্যে জলস্তর এক মিটার বাড়বেই৷ যার ফল ভুগতে হবে গোটা বিশ্ববাসীকে৷’
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের জলস্তর মাপা হয়েছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে, জল যেমন বেড়েছে সমুদ্রে তেমনই জলে ভাসমান বরফের পাহাড়ের উচ্চতাও বেড়েছে৷ নাসার এই নতুন ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষার ফল নির্দিষ্ট শুধু নয়, একেবারেই নির্ভুল বলে দাবি করছেন গবেষকরা৷ তাঁরাই জানাচ্ছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রাও দ্রূত বাড়ছে৷ যার জেরে আণ্টার্কটিকা, গ্রিণল্যান্ডের বরফের স্তর শুধু উপরিভাগ থেকেই নয়, জলের নীচ থেকেও গলছে৷ বরফ গলায় ওজন কমার ফলে বরফের পাহাড় ভেসে উঠছে৷ বাড়ছে উচ্চতা৷
গবেষকরা বেশি চিন্তিত গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর নিয়ে৷ কারণ, তথ্য বলছে গত এক দশকে প্রতিবছর গ্রিনল্যান্ডে ৩০৩ ‌গিগাটন বরফ গলেছে৷ আণ্টার্কটিকায় গলেছে ১১০ গিগাটন৷
সমুদ্র বিশেষজ্ঞ জশ উইলস বলছেন, “আমরা যতটা ভেবেছিলাম গত কয়েক বছরে তার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি বরফ গলেছে৷ আমাদের ধারণা, আগামী ২০ বছরে আরও দ্রূত হারে বরফের স্তর গলবে৷”
কিন্ত্ত কেন এত দ্রূত হারে গলছে বরফ, বাড়ছে জলস্তর তার কিছুটা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে গবেষকদের একাংশ৷

যুক্তরাষ্ট্রে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট বাংলাদেশী মৌমিতার

যুক্তরাষ্ট্রে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট বাংলাদেশী মৌমিতার

যুক্তরাষ্ট্রে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় স্টেট পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মৌমিতা খন্দকার। মিস ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রতিযোগিতায় নিউইয়র্কে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
প্রতি বছর মিস ইন্টারকন্টিনেল্টাল ইউএসএ প্রতিযোগিতা হলেও এবারের আয়োজনটি একটু ভিন্ন ধরনের। বেশ কয়েকটি রাউন্ড পেরিয়ে বহু প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস নিউইয়র্কের মুকুট বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মৌমিতা খন্দকার-এর।
অক্টোবরের নয় তারিখে মিস ইন্টারকন্টিনেল্টাল ইউএসএর ফাইনাল রাউন্ডে জয়ী হতে বাঙালিদের সমর্থন চেয়েছেন মৌমিতা।
মিস ইন্টারকন্টিনেন্টাল মুকুট জয়ী হলেও খন্দকার মাহবুব এবং ডিনা খন্দকারের মেয়ে মৌমিতা একজন চিকিৎসক হতে চান। আর বাংলা গান গাইতেও পছন্দ করেন তিনি।

‘কিরণমালা’ দেখতে না পেরে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

‘কিরণমালা’ দেখতে না পেরে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসার সিরিয়াল ‘কিরণমালা’ দেখতে না পেরে সঞ্চিতা সাহা (২০)  নামে অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সঞ্চিতা নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াবাড়ির চিত্ত রঞ্জন সাহার মেয়ে ও নীলফামারী সরকারী কলেজের অনার্স শ্রেণির ছাত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে ‘কিরণমালা’ সিরিয়াল দেখা নিয়ে সঞ্চিতা ও তার ছোট বোন মল্লিকার (১১) ঝগড়া হয়। সঞ্চিতা ‘কিরণমালা’ দেখতে না পেয়ে রাগ করে নিজ ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। সারারাত ও সকাল পার হয়ে দুপুর হলেও সঞ্চিতা ঘরের দরজা খোলেনি। অনেক ডাকাডাকির সাড়া না পাওয়ায় বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের আড়ার সাথে সঞ্চিতার ঝুলন্ত  লাশ দেখতে পায়।

ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। নিহতদের পরিবার ও  এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরকানদের ঘোড়া আটকের কারণে হামলা হতে পারে : বিজিবি মহাপরিচালক

আরকানদের ঘোড়া আটকের কারণে হামলা হতে পারে : বিজিবি মহাপরিচালক

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মিদের ১০টি ঘোড়া আটকের কারণে বান্দরবানের থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্তচৌকি (বিওপি) ও টহল দলের ওপর বুধবার হামলাটি চালানো হতে পারে বলে ধারণা করছেন মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহেমদ।

বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মঙ্গলবার আরকান আর্মিদের ১০টি ঘোড়া আটক করে বিজিবি। এটা হামলার একটা কারণ হতে পারে। অথবা আরাকানরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীদের তাড়া খেয়ে বিজিবির সামনে পড়ে হামলা করে।

বুধবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহাপরিচালক জানান, হামলার সময় আরাকান আর্মির দলে ৫০ থেকে ৬০ জন সদস্য ছিল। তারা ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা আক্রমণ করে। এ ঘটনায় একজন আরকান আর্মিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার হাতে কাটা ও শরীরের বিভিন্নস্থনে স্প্লিন্টারের ক্ষত রয়েছে।

গোলাগুলির ঘটনার পর ওই জায়গা থেকে রক্তাক্ত জামা-কাপড় ও বেল্ট পাওয়া যায়। এতে আরকান আর্মিদের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিহত হতে পারে বলেও জানান বিজিবি প্রধান।

সংবাদ সম্মেলনে আজিজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত বিজিবি ও সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরাকান লিবারেশন পার্টি’ ও ‘আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও অভিযান চালাচ্ছে।

ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তের যোগাযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ নেই, যাতে আমরা এ ধরনের হামলা প্রত্যাশিত মনে করতে পারি। দুই দেশের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ হয়ে থাকে। ঘটনার পরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে তারা আমাদের সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

কানাডার জাতীয় নির্বাচনে একমাত্র বাংলাদেশি প্রার্থী

কানাডার জাতীয় নির্বাচনে একমাত্র বাংলাদেশি প্রার্থী

ক্যালগেরি, ২৭ আগষ্ট- ক্যালগেরির একটি তেল কোম্পানিতে কর্মরত পেশাদার ভূ-তত্ববিদ নেওয়াজ খালিশ। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশী কানাডিয়ান। ২০১৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রাজনীতিক, যিনি কানাডার নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। মাগুরার মোহাম্মদপুরের আর এইচ কে এইচ ইন্সটিটিউশনের সাবেক শিক্ষার্থী নেওয়াজ খালিশ আলবারটার ক্যালগেরিতে বসবাস করেন। তবে তিনি যে নির্বাচনী এলাকা থেকে এনডিপির মনোনয়ন পেয়েছেন, সেই এলাকায় মাত্র কয়েকজন বাংলাদেশী বসবাস করেন। ক্যালগরি সিগনাল হিল এলাকায় এনডিপি পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। আগামী ১৯ অক্টোবরের নির্বাচনে এনডিপির হয়ে ভোটযুদ্ধে নামছেন নেওয়াজ খালিশ। হিল এলাকায় উৎসাহী মানুষদের কাছে পেছনে পড়ে থাকা নাগরিকের সহায়তা নিন্ম-মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন আর কানাডার ভবিষ্যত প্রজন্মের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেওয়াজ খালিশ। 
বগলের গন্ধ শুঁকে জ্ঞান হারানো নয়, করা যায় মোটা রোজগার

বগলের গন্ধ শুঁকে জ্ঞান হারানো নয়, করা যায় মোটা রোজগার

বাসে, ট্রামে, ট্রেনে বা মেট্রোয় চড়তে আপনার সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণটা যে কারও পেশা সেটা জানেন কি! ধরুন আপনি বাসে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাত্‍ই আপনার পাশ দাঁড়িয়ে থাকা লম্বা লোকটা হাত তুলল। তারপর! বিশ্রী গন্ধে আপনার গা গুলিয়ে এল। বগলের গন্ধে জ্ঞান হারানোটা হলিউডের কমেডি সিনেমায় নয়, বাস্তবেও শোনা যায়। কিন্তু এই বগলের গন্ধ শুঁকে কোনও বেশ কিছু মানুষ দারুণ উপার্জন করে বড়লোক হচ্ছেন সে খবর রাখেন কি? সম্প্রতি এক ম্যাগাজিনের খবর অনুযায়ী অদ্ভুত পেশা বা চাকরিতে যুক্ত মানুষদের রোজগারের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সবার ওপরে আছেন ডিওডোরেন্ট টেস্টার বা সুগন্ধী পরীক্ষক। একজন অভিজ্ঞ পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট টেস্টারের মাসিক মাইনে যে কোনও কর্পোরেট অফিসে কাজ করা উচ্চ পদস্থ কর্মীদের থেকে বেশি হয়।
একজন পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট টেস্টারের কাজটা ঠিক কী? তাদের কাজ হল প্রতিদিন বিভিন্ন মানুশের গায়ে লাগানো সেন্ট বা ডিওডোরেন্টের গন্ধ শোঁকা। এই পেশার মানুষদের দিনের পুরো সময়টা অন্যের শরীরের ডিওডোরেন্টের গন্ধ পরীক্ষা করতে হয়। কোন ফ্লেভারটি আমার,
আপনার জন্য ভালো হবে এটা তারাই বাছাই করেন। ডিওডোরেন্টের গন্ধ সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় বগল আর গলায়। তাই এই বিষয়ে পেশাদার পরীক্ষককে মূলত বগলের গন্ধই বেশি শুঁকতে হয়। একবার পরীক্ষককে শুঁকতে হয় বগলের দুর্গন্ধ থাকা অবস্থায়, তারপর তাঁকে শুঁকতে হয় সেন্ট না দিয়ে সাধারণ গন্ধ, একেবারে শেষে সেন্ট লাগানোর পর সুগন্ধে ভরা বগলের গন্ধ। এরপরই পরীক্ষক কোম্পানিকে রিপোর্টে লেখেন সেই বিশেষ সেন্ট বা ডিওডোরেন্টের পারফরম্যান্স, ভাল দিক- খারাপ দিক, বাজারে কতটা চলবে, সেই সব বিষয়ে।
 
পৃথিবীতে অদ্ভুত পেশায় যুক্ত হয়ে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। পেশাগুলো অদ্ভুত কারণ এসব কাজগুলো যে কারও পেশা হতে পারে, সে খবরই আমরা রাখি না। এই যেমন- ওয়াইন টেস্টর, সেক্স টয় টেস্টার, ওয়াটার স্লাইড টেস্টার, পোষা জীব-জন্তুর খাবার পরীক্ষক, প্রোফেশনাল পুশার, বমি পরিষ্কারের চাকরি। পেটের দায়ে কত কিছুই না করতে হয়! কিন্তু এইসব পেশাদর সঙ্গে যুক্ত মানুষরা বলেন, তারা এসব কাজকে মনের আনন্দেই করেন। 
 সৌদিতে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ৫ যুবকের প্রকাশ্য ফাঁসি (ভিডিও)

সৌদিতে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ৫ যুবকের প্রকাশ্য ফাঁসি (ভিডিও)

বাসায় ডেকে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ যুবককে জনসম্মুখে ফাঁসি কার্যকর করা হয়! উক্ত যুবকরা তরুণীকে বাসায় এনে প্রথমে নাচ দেখে পরে জোর করে ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও করে ।



রহস্যে ঘেরা হাজারীবাগের কিশোর হত্যা ও ক্রস্ফায়ার

রহস্যে ঘেরা হাজারীবাগের কিশোর হত্যা ও ক্রস্ফায়ার

বেলা সাড়ে তিনটায় মোবাইল চুরির অভিযোগে হত্যা করা হয় কিশোর রাজা মিয়াকে। রাত সাড়ে তিনটায় বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগ নেতা আরজু মিয়াকে। দু’জনেই রাজধানীর ট্যানারি শিল্প এলাকা হাজারিবাগের বাসিন্দা। প্রতিবেশীও। গত ১৭ আগস্ট এদের হত্যাকা- নিয়ে এখন চলছে আলোচনা সমালোচনা। মাত্র বার ঘণ্টার ব্যবধানে এ দুটো হত্যাকা-ের ঘটনায় হাজারিবাগে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দু’পরিবারের অভিযোগও পরস্পরবিরোধী। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। র‌্যাবকে অভিযুক্ত করে আদালতে নালিশ করেছেন আরজুর পরিবার। ইতোমধ্যে ওই এলাকার র‌্যাব সিও এসএম মাসুদ রানা ও হাজারিবাগ থানার ওসি মাইনুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিহত রাজা মিয়ার পরিবারের অভিযোগ-মোবাইল চুরির মতো একটা তুচ্ছ অজুহাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে হত্যা করা হয়। বার বার তার বোন ছাত্রলীগ নেতা আরজুর পায়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তাকে বিন্দুমাত্র দয়া দেখানো হয়নি। 
অন্যদিকে আরজুর পরিবারের অভিযোগ, রাজা মিয়া ওই রাতে তাদের বাসায় ঢুকে মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরি করে নিয়েছে। সে জন্য তাদের বাসার সামনে এনে মহল্লাবাসী গণপিটুনি দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। তারপর সাদা পোশাকে র‌্যাব এসে আরজুকে ধরে নিয়ে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করেছে। 
দুই পরিবারের পরস্পরবিরোধী এ সব অভিযোগ কতটা সত্যা মিথ্যা এবং প্রকৃত অর্থেই সে দিন কি ঘটেছিল তা জানতে গত সোম ও মঙ্গলবার পর পর দু’দিন হাজারিবাগে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান এ প্রতিনিধি। এ সময় দু’পরিবার ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ ও সাধারণ নিরীহ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ দুটো হত্যাকা-ের নেপথ্য কাহিনী। 
হাজারিবাগ মনেশ্বর রোডের বটতলার এক দোকানদার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকায় বসবাস করছেন। এ দুটো হত্যাকা-ের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রথম দু’দিন প্রতিবাদ ও হৈচৈ করলেও এখন সেটাও থেমে গেছে। হাজারীবাগ থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ও র‌্যাব সিও মাসুদকে প্রত্যাহারের পর সবাই চুপসে গেছে। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগেরও একটা অংশ এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করার পক্ষপাতি নয়। 
তবে আরজুর প্রতিবেশী, গণকটুলি এলাকার একজন বাসিন্দার প্রশ্ন, ‘কমিশনারের অফিস থেকে আরজু মিয়াকে সাদা পোশাকের লোকজন ডেকে নিয়ে হোন্ডায় তুলে নিয়ে গেল। অথচ স্থানীয় সাংসদকে একজন নেতাকর্মীও এ খবরটা দেয়নি। বরং আরজুর ভাই মাসুদ রানা বার বার যখন স্থানীয় কমিশনার সজীবসহ অন্য নেতৃৃবৃন্দের কাছে জানতে চান-কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে তখন তাকে সবাই নিশ্চিত করেন, আরজু সেইফে আছেন। তার কোন ক্ষতি হবে না।’
সন্ধ্যা থেকে সারা রাত এমন নিশ্চয়তাই দিয়েছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অথচ সকালে শিকদার মেডিক্যালের পেছনে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার ভাই মাসুদ রানা। 
মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে চরম বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আরজুকে ধরে নেয়ার পর স্থানীয় কমিশনার সজীব, ওয়াকিব, তুহিন, মারুফ ও মনিরসহ ক্ষমতাসীন দলের অন্তত সাতজন নেতাকে ফোন করি। তারা সবাই জোর দিয়ে নিশ্চিত করেন আরজু সেইফে আছেন। তার কিছুই হবে না। সকালে যখন ভাইয়ের লাশ দেখি তখন বুঝতে পারি ওরা সবাই কেন এক সুরে কথা বলছে। ওদের চোখের সামনে থেকে আরজুকে ধরে নিয়ে গেল, অথচ তারা তাকে বাঁচানোর জন্য কিছুই করেননি। ওরা যদি এমপি তাপস ভাইকে তাৎক্ষণিক ফোন করে জানাত, বাঁচানোর অনুরোধ করত, তাহলে র‌্যাব এই সাহস করত না। আমার ভাইও মরত না। এটাই আমাদের দুঃখ।’
মাসুদ রানার ক্ষোভ প্রকাশে এটা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বের সঙ্গে রেষারেষি, হিংসা ও প্রতিহিংসার সম্পর্ক ছিল আরজুর। স্থানীয় রাজনীতিতে কয়েকজনকে ডিঙ্গিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে যাওয়া আরজু মিয়ার সাম্প্রতিক কিছু কর্মকা-ে স্থানীয় থানা পুলিশও ছিল তার প্রতি বেশ ক্ষুব্ধ। এগুলোর মধ্যে ছিল- মাস খানেক আগে এক রাতে মহল্লার এক দোকানে হাজারীবাগ থানার একজন দারোগাকে লাঞ্ছিত করা, ডিশ ও টেম্পো ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়া।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় ওয়ার্ড কমিশনার তারিকুল ইসলাম সজীব জনকণ্ঠকে বলেন, আরজু হত্যাকা- এখানকার রাজনীতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। স্থানীয় সংসদ সদস্য তাপস ভাইয়ের হাতে গড়া এই নেতার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না। হাজারিবাগ থানায় তার নামে কোন মামলা বা জিডিও ছিল না। ক্লিন ইমেজ থাকার কারণেই তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়। এবার আরজু এম এ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার পরীক্ষার ফিটাও আমি দিয়েছি। সে যদি চাঁদাবাজ হতো তাহলে তো টাকার অভাব হতো না। আসলে তিনি পুলিশের রোষানলের শিকার হয়েছেন। কারণ পুলিশের অনেক অবৈধ কাজে আরজু বাধা দিতেন সেজন্যই তাকে সহ্য করতে পারেননি ওসি মাইনুল। 
আরজুকে ধরে নেয়ার খবর আপনারা তাৎক্ষণিক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে জানাননি কেন প্রশ্ন করা হলে সজীব বলেন, ‘আমার ফোনে চার্জ ছিল না। সকালে যখন তাপস ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয় তখন তিনিও স্বীকার করেন- রাতে কেউ তাকে জানায়নি। জানালে হয়ত তিনি একটা কিছু করতেন। 
এ দিকে আরজুর বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারিবাগ থানার একাধিক দারগা জনকণ্ঠের কাছে পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি জামায়াত দেশব্যাপী যে নাশকতার তা-ব চালিয়েছিল, সে সময় মাঠে কোন ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছিল না। ওই সময় একমাত্র পুলিশ, র‌্যাব ও বিডিআর জীবন বাজি রেখে বর্তমান সরকারকে রক্ষা করে। সেটা করতে গিয়ে সারাদেশে পুিলশের শতাধিক লোক প্রাণ হারায়। এখনও পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন অনেকেই। কিন্তু এই পুলিশ এখন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হাতে মার খাবে, লাঞ্ছনার শিকার হবে, অপমানিত হবে এটা কিছুতেই বরদাশত করার মতো নয়। এই আরজু থানায় এসে ওসির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। রাতের আঁধারে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার শাহজাহানকে আরজু ও তার লোকজন লাঞ্ছিত করেছে। 
এদিকে নিহত কিশোর রাজা মিয়ার বড় বোন শাবানা জনকণ্ঠকে জানান, তুচ্ছ একটা মোবাইল ফোন সেট চুরির অভিযোগে তাকে বাসার সামনে থেকে ধরে নিয়ে আরজুর বাসায় আটক রাখা হয়। ওখানে উপস্থিত ছিল আরজুর ক্যাডার মনির, সাগর, এসকে বাবু, সুজনসহ আরও অনেকে। আরজুর মাও সেখানেই ছিলেন। সেখানে তাকে চরম অমানুষিক নির্যাতন করা হয় যাতে সে চুরির কথা স্বীকার করে। কিন্তু রাজা কখনই তা স্বীকার করেনি। তখন দৌড়ে আমি আরজুর বাসায় গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। সারা শরীরে মারের আঘাত। এ সময় লোহার খুন্তি গরম করা হয় তার শরীরে ছ্যাকা দেয়ার জন্য। আমি তখন আরজু ও তার মায়ের পায়ে পড়ে রাজার প্রাণভিক্ষা চাই। তখন ওকে বাসা থেকে বের করে তারা বাড্ডানগরের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দিকে নিয়ে যায়। আমি তার পিছু যেতে থাকলে তখন আরজু আমাকে বলেন, আপনি চলে যান। আমরা তাকে আর মারব না। শুধু জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেব। সে যদি মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে তাহলে আর মারব না। 
আরজুর মুখে এমন কথা শুনে আমি চলে আসি। তারপর বিকেল চারটায় শুনি ওরা ওই ভবনে মারতে মারতে রাজাকে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। 
শাবানার প্রশ্নÑ রাজা যদি চুরিই করত তাহলে কি সে এত মার খাওয়ার পরও স্বীকার করত না। ওরা যখন তাকে আমার চাচা ও ফুফুর সামনেই মারতে থাকে তখনও আমি ওদের বলেছি তোমরা তাকে এভাবে মের না। ওকে পুলিশে দিয়ে দাও। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। শাস্তি দিক। ওরা আমাদের ধোঁকা দিয়ে নিয়ে গেল নির্মাণধীন ভবনে- যা আরজুর রিমান্ড ঘর নামে পরিচিত। কিন্তু পরে তো আরজুকে মরতে হলো বন্দুকযুদ্ধে। আর এটাই হচ্ছে আল্লাহর বিচার। আমরা তো এ বিচার করতে পারতাম না। আল্লাহ একজন আছেন। তিনিও এমন নির্যাতন সহ্য করেননি, বলেই বিচারটা নগদ করেছেন। 
মঙ্গলবার রাজা মিয়ার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, গণকটুলির এক গলির ভেতর একতলা ছোট একটা বাসায় তার পরিবারের বসবাস। মা নেই। বাবা বাবুল মিয়া পাশের একটি মার্কেটে নাইটগার্ডের কাজ করেন। রাজা এখানেও থাকত না। সে খলামোড়া বড় বোনের বাসায় থেকে স্টিলের কাজ করত। মাঝে মাঝে এখানে বেড়াতে আসত। যেদিন তাকে হত্যা করা হলো সেদিন বিকেলেই তার খলামোড়া ফিরে যাবার কথা ছিল। 
এ সময় রাজা মিয়ার বাবা বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন আমি চোখের অপারেশন করাতে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হই। মারা যাবার পরদিন আসি। তারপর সন্তানের লাশ, হাসপাতাল, থানা পুলিশ নিয়ে সবাইকে পেরেশানিতে থাকতে হয়। 
তিনি আরজুর এহেন নৃশংসতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতার জোরে এমন ঘটনা ঘটাল। তার বিরুদ্ধে তো অভিযোগের শেষ নেই। 
এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আরজুর ভাই মাসুদ রানা জনকণ্ঠকে বলেন, ঘটনার আগের রাত তিনটার সময় রাজা মিয়া চুরির উদ্দেশ্যে এই বাসার জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। আরজু তখন শুয়ে ছিল। সকালে উঠে দেখে তার রুম থেকে চারটা মোবাইল ফোন ও একটা ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেছে। এটা আসলে রাজা মিয়াই করেছে। বাসার কেচি গেট লাগানো থাকলেও রাজা মিয়া পাশের ছাদ দিয়ে ভেতরে ঢুকে এগুলো নিয়ে গেছে। 
এ জন্য তাকে মেরে ফেলতে হবে এমন প্রশ্ন করা হলে মাসুদ রানা বলেন, তাকে তো আরজু মারেনি। রাজা মিয়ার চাচা শামীমই তাকে ধরে আনে। এ সময় আরজুর দলের কর্মীরা অতি উৎসাহে এগিয়ে এসে নিজেরাই মারতে থাকে। আসলে আরজুকে খুশি করার জন্যই মহল্লার কয়েকজন কর্মী এমন ঘটনা ঘটায়। তারাই তাকে মারে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। সেখান থেকে হাসপাতালে। সেখানেই মারা যায়। 
রাজা মিয়া আসলেই চোর ছিল কি না মহল্লার কোন লোকজন সে বিষয়েও তেমনটা অবগত নয় বলে জানান। 
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, আরজু কি করেছে তা থানার রেকর্ডেই আছ্। এ নিয়ে আর কথা বলার দরকার নেই।
মাত্র বারো ঘণ্টার ব্যবধানে হাজারীবাগে দুই হত্যাকাণ্ড রহস্যে ঘেরা

মাত্র বারো ঘণ্টার ব্যবধানে হাজারীবাগে দুই হত্যাকাণ্ড রহস্যে ঘেরা

বেলা সাড়ে তিনটায় মোবাইল চুরির অভিযোগে হত্যা করা হয় কিশোর রাজা মিয়াকে। রাত সাড়ে তিনটায় বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগ নেতা আরজু মিয়াকে। দু’জনেই রাজধানীর ট্যানারি শিল্প এলাকা হাজারিবাগের বাসিন্দা। প্রতিবেশীও। গত ১৭ আগস্ট এদের হত্যাকা- নিয়ে এখন চলছে আলোচনা সমালোচনা। মাত্র বার ঘণ্টার ব্যবধানে এ দুটো হত্যাকা-ের ঘটনায় হাজারিবাগে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দু’পরিবারের অভিযোগও পরস্পরবিরোধী। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। র‌্যাবকে অভিযুক্ত করে আদালতে নালিশ করেছেন আরজুর পরিবার। ইতোমধ্যে ওই এলাকার র‌্যাব সিও এসএম মাসুদ রানা ও হাজারিবাগ থানার ওসি মাইনুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিহত রাজা মিয়ার পরিবারের অভিযোগ-মোবাইল চুরির মতো একটা তুচ্ছ অজুহাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে হত্যা করা হয়। বার বার তার বোন ছাত্রলীগ নেতা আরজুর পায়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তাকে বিন্দুমাত্র দয়া দেখানো হয়নি। 
অন্যদিকে আরজুর পরিবারের অভিযোগ, রাজা মিয়া ওই রাতে তাদের বাসায় ঢুকে মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরি করে নিয়েছে। সে জন্য তাদের বাসার সামনে এনে মহল্লাবাসী গণপিটুনি দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। তারপর সাদা পোশাকে র‌্যাব এসে আরজুকে ধরে নিয়ে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করেছে। 
দুই পরিবারের পরস্পরবিরোধী এ সব অভিযোগ কতটা সত্যা মিথ্যা এবং প্রকৃত অর্থেই সে দিন কি ঘটেছিল তা জানতে গত সোম ও মঙ্গলবার পর পর দু’দিন হাজারিবাগে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান এ প্রতিনিধি। এ সময় দু’পরিবার ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ ও সাধারণ নিরীহ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ দুটো হত্যাকা-ের নেপথ্য কাহিনী। 
হাজারিবাগ মনেশ্বর রোডের বটতলার এক দোকানদার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকায় বসবাস করছেন। এ দুটো হত্যাকা-ের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রথম দু’দিন প্রতিবাদ ও হৈচৈ করলেও এখন সেটাও থেমে গেছে। হাজারীবাগ থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ও র‌্যাব সিও মাসুদকে প্রত্যাহারের পর সবাই চুপসে গেছে। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগেরও একটা অংশ এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করার পক্ষপাতি নয়। 
তবে আরজুর প্রতিবেশী, গণকটুলি এলাকার একজন বাসিন্দার প্রশ্ন, ‘কমিশনারের অফিস থেকে আরজু মিয়াকে সাদা পোশাকের লোকজন ডেকে নিয়ে হোন্ডায় তুলে নিয়ে গেল। অথচ স্থানীয় সাংসদকে একজন নেতাকর্মীও এ খবরটা দেয়নি। বরং আরজুর ভাই মাসুদ রানা বার বার যখন স্থানীয় কমিশনার সজীবসহ অন্য নেতৃৃবৃন্দের কাছে জানতে চান-কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে তখন তাকে সবাই নিশ্চিত করেন, আরজু সেইফে আছেন। তার কোন ক্ষতি হবে না।’
সন্ধ্যা থেকে সারা রাত এমন নিশ্চয়তাই দিয়েছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অথচ সকালে শিকদার মেডিক্যালের পেছনে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার ভাই মাসুদ রানা। 
মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে চরম বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আরজুকে ধরে নেয়ার পর স্থানীয় কমিশনার সজীব, ওয়াকিব, তুহিন, মারুফ ও মনিরসহ ক্ষমতাসীন দলের অন্তত সাতজন নেতাকে ফোন করি। তারা সবাই জোর দিয়ে নিশ্চিত করেন আরজু সেইফে আছেন। তার কিছুই হবে না। সকালে যখন ভাইয়ের লাশ দেখি তখন বুঝতে পারি ওরা সবাই কেন এক সুরে কথা বলছে। ওদের চোখের সামনে থেকে আরজুকে ধরে নিয়ে গেল, অথচ তারা তাকে বাঁচানোর জন্য কিছুই করেননি। ওরা যদি এমপি তাপস ভাইকে তাৎক্ষণিক ফোন করে জানাত, বাঁচানোর অনুরোধ করত, তাহলে র‌্যাব এই সাহস করত না। আমার ভাইও মরত না। এটাই আমাদের দুঃখ।’
মাসুদ রানার ক্ষোভ প্রকাশে এটা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বের সঙ্গে রেষারেষি, হিংসা ও প্রতিহিংসার সম্পর্ক ছিল আরজুর। স্থানীয় রাজনীতিতে কয়েকজনকে ডিঙ্গিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে যাওয়া আরজু মিয়ার সাম্প্রতিক কিছু কর্মকা-ে স্থানীয় থানা পুলিশও ছিল তার প্রতি বেশ ক্ষুব্ধ। এগুলোর মধ্যে ছিল- মাস খানেক আগে এক রাতে মহল্লার এক দোকানে হাজারীবাগ থানার একজন দারোগাকে লাঞ্ছিত করা, ডিশ ও টেম্পো ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়া।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় ওয়ার্ড কমিশনার তারিকুল ইসলাম সজীব জনকণ্ঠকে বলেন, আরজু হত্যাকা- এখানকার রাজনীতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। স্থানীয় সংসদ সদস্য তাপস ভাইয়ের হাতে গড়া এই নেতার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না। হাজারিবাগ থানায় তার নামে কোন মামলা বা জিডিও ছিল না। ক্লিন ইমেজ থাকার কারণেই তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়। এবার আরজু এম এ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার পরীক্ষার ফিটাও আমি দিয়েছি। সে যদি চাঁদাবাজ হতো তাহলে তো টাকার অভাব হতো না। আসলে তিনি পুলিশের রোষানলের শিকার হয়েছেন। কারণ পুলিশের অনেক অবৈধ কাজে আরজু বাধা দিতেন সেজন্যই তাকে সহ্য করতে পারেননি ওসি মাইনুল। 
আরজুকে ধরে নেয়ার খবর আপনারা তাৎক্ষণিক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে জানাননি কেন প্রশ্ন করা হলে সজীব বলেন, ‘আমার ফোনে চার্জ ছিল না। সকালে যখন তাপস ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয় তখন তিনিও স্বীকার করেন- রাতে কেউ তাকে জানায়নি। জানালে হয়ত তিনি একটা কিছু করতেন। 
এ দিকে আরজুর বিষয়ে জানতে চাইলে হাজারিবাগ থানার একাধিক দারগা জনকণ্ঠের কাছে পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি জামায়াত দেশব্যাপী যে নাশকতার তা-ব চালিয়েছিল, সে সময় মাঠে কোন ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছিল না। ওই সময় একমাত্র পুলিশ, র‌্যাব ও বিডিআর জীবন বাজি রেখে বর্তমান সরকারকে রক্ষা করে। সেটা করতে গিয়ে সারাদেশে পুিলশের শতাধিক লোক প্রাণ হারায়। এখনও পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন অনেকেই। কিন্তু এই পুলিশ এখন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হাতে মার খাবে, লাঞ্ছনার শিকার হবে, অপমানিত হবে এটা কিছুতেই বরদাশত করার মতো নয়। এই আরজু থানায় এসে ওসির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। রাতের আঁধারে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার শাহজাহানকে আরজু ও তার লোকজন লাঞ্ছিত করেছে। 
এদিকে নিহত কিশোর রাজা মিয়ার বড় বোন শাবানা জনকণ্ঠকে জানান, তুচ্ছ একটা মোবাইল ফোন সেট চুরির অভিযোগে তাকে বাসার সামনে থেকে ধরে নিয়ে আরজুর বাসায় আটক রাখা হয়। ওখানে উপস্থিত ছিল আরজুর ক্যাডার মনির, সাগর, এসকে বাবু, সুজনসহ আরও অনেকে। আরজুর মাও সেখানেই ছিলেন। সেখানে তাকে চরম অমানুষিক নির্যাতন করা হয় যাতে সে চুরির কথা স্বীকার করে। কিন্তু রাজা কখনই তা স্বীকার করেনি। তখন দৌড়ে আমি আরজুর বাসায় গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। সারা শরীরে মারের আঘাত। এ সময় লোহার খুন্তি গরম করা হয় তার শরীরে ছ্যাকা দেয়ার জন্য। আমি তখন আরজু ও তার মায়ের পায়ে পড়ে রাজার প্রাণভিক্ষা চাই। তখন ওকে বাসা থেকে বের করে তারা বাড্ডানগরের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দিকে নিয়ে যায়। আমি তার পিছু যেতে থাকলে তখন আরজু আমাকে বলেন, আপনি চলে যান। আমরা তাকে আর মারব না। শুধু জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেব। সে যদি মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে তাহলে আর মারব না। 
আরজুর মুখে এমন কথা শুনে আমি চলে আসি। তারপর বিকেল চারটায় শুনি ওরা ওই ভবনে মারতে মারতে রাজাকে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। 
শাবানার প্রশ্নÑ রাজা যদি চুরিই করত তাহলে কি সে এত মার খাওয়ার পরও স্বীকার করত না। ওরা যখন তাকে আমার চাচা ও ফুফুর সামনেই মারতে থাকে তখনও আমি ওদের বলেছি তোমরা তাকে এভাবে মের না। ওকে পুলিশে দিয়ে দাও। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। শাস্তি দিক। ওরা আমাদের ধোঁকা দিয়ে নিয়ে গেল নির্মাণধীন ভবনে- যা আরজুর রিমান্ড ঘর নামে পরিচিত। কিন্তু পরে তো আরজুকে মরতে হলো বন্দুকযুদ্ধে। আর এটাই হচ্ছে আল্লাহর বিচার। আমরা তো এ বিচার করতে পারতাম না। আল্লাহ একজন আছেন। তিনিও এমন নির্যাতন সহ্য করেননি, বলেই বিচারটা নগদ করেছেন। 
মঙ্গলবার রাজা মিয়ার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, গণকটুলির এক গলির ভেতর একতলা ছোট একটা বাসায় তার পরিবারের বসবাস। মা নেই। বাবা বাবুল মিয়া পাশের একটি মার্কেটে নাইটগার্ডের কাজ করেন। রাজা এখানেও থাকত না। সে খলামোড়া বড় বোনের বাসায় থেকে স্টিলের কাজ করত। মাঝে মাঝে এখানে বেড়াতে আসত। যেদিন তাকে হত্যা করা হলো সেদিন বিকেলেই তার খলামোড়া ফিরে যাবার কথা ছিল। 
এ সময় রাজা মিয়ার বাবা বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন আমি চোখের অপারেশন করাতে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হই। মারা যাবার পরদিন আসি। তারপর সন্তানের লাশ, হাসপাতাল, থানা পুলিশ নিয়ে সবাইকে পেরেশানিতে থাকতে হয়। 
তিনি আরজুর এহেন নৃশংসতায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতার জোরে এমন ঘটনা ঘটাল। তার বিরুদ্ধে তো অভিযোগের শেষ নেই। 
এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আরজুর ভাই মাসুদ রানা জনকণ্ঠকে বলেন, ঘটনার আগের রাত তিনটার সময় রাজা মিয়া চুরির উদ্দেশ্যে এই বাসার জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। আরজু তখন শুয়ে ছিল। সকালে উঠে দেখে তার রুম থেকে চারটা মোবাইল ফোন ও একটা ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেছে। এটা আসলে রাজা মিয়াই করেছে। বাসার কেচি গেট লাগানো থাকলেও রাজা মিয়া পাশের ছাদ দিয়ে ভেতরে ঢুকে এগুলো নিয়ে গেছে। 
এ জন্য তাকে মেরে ফেলতে হবে এমন প্রশ্ন করা হলে মাসুদ রানা বলেন, তাকে তো আরজু মারেনি। রাজা মিয়ার চাচা শামীমই তাকে ধরে আনে। এ সময় আরজুর দলের কর্মীরা অতি উৎসাহে এগিয়ে এসে নিজেরাই মারতে থাকে। আসলে আরজুকে খুশি করার জন্যই মহল্লার কয়েকজন কর্মী এমন ঘটনা ঘটায়। তারাই তাকে মারে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। সেখান থেকে হাসপাতালে। সেখানেই মারা যায়। 
রাজা মিয়া আসলেই চোর ছিল কি না মহল্লার কোন লোকজন সে বিষয়েও তেমনটা অবগত নয় বলে জানান। 
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, আরজু কি করেছে তা থানার রেকর্ডেই আছ্। এ নিয়ে আর কথা বলার দরকার নেই।
এক গানের দর্শক সাড়ে চার লাখ!

এক গানের দর্শক সাড়ে চার লাখ!

‘তোর ইশারাতে, মন হারাতে, ছুটে যায়’, ১৩ আগস্ট আশিকী ছবির গানটির ভিডিও এসেছে ইউটিউবে। প্রথম চার দিনে গানটির দর্শক ছিল দুই লাখ! এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১৩ দিন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে জানা গেছে, গানটির ভিডিও দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ছবিটির বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার গানের দর্শক ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৭৩ আর ভারতের এসকে মুভিজের দেওয়া গানের দর্শক ২ লাখ ৯৩ হাজার ১০১।
আশিকী ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়া আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অঙ্কুশ। ছবির কাজ শেষ করে ২৩ আগস্ট দেশে ফিরেছেন নুসরাত ফারিয়া। পরদিন দুপুরে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। রাজধানীর হাতিরঝিলে ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকে।
: প্রথম ছবি। কেমন লাগছে?
: দারুণ!
: ‘তোর ইশারাতে, মন হারাতে, ছুটে যায়’ গানটির শুটিং কোথায় করেছেন?
: ওয়েলসে। আমরা দুদিন কাজ করেছি। গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন আদিল শেখ। তিনি বজরঙ্গি ভাইজান ছবির গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন। তিনি আমাদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আর এত দ্রুত কাজ করেছেন, মনেই হয়নি, কোথা দিয়ে দুই দিন চলে গেছে। পরে যখন পুরো গানটি তৈরি হয়েছে, দেখে সবাই মুগ্ধ। এখন দেখছি, দর্শকও পছন্দ করছেন।
: ছবির গান। আপনি প্রথম অভিনয় করেছেন। ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়ার আগে কেমন অনুভূতি হয়েছিল?
: আমার তো মনে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে। প্রথম ছবির গান। আমি নতুন। সবকিছু মিলিয়ে চ্যালেঞ্জ ছিল। পরে যখন দেখলাম, চার দিনে দুই লাখ দর্শক গানটি দেখেছেন, তখন দারুণ আনন্দ হয়েছে!
নুসরাত ফারিয়া আশিকী ছবির শুটিং করেছেন টানা ৩১ দিন। ছবির শুটিং হয়েছে স্কটল্যান্ড, লন্ডন, কার্ডিফ, ওয়েলস আর ক্রলিতে। এরপর দেশে ফিরেছেন। কয়েক দিন পর আবার যান। এবার ভারতের কলকাতায়। এখানে ছবির ডাবিং করেন আর অংশ নেন ছবির প্রচারণায়।
কে এই নুসরাত ফারিয়া? শুরু থেকেই এমন প্রশ্ন ছিল কলকাতার প্রচারমাধ্যমগুলোতে। কিন্তু চিত্রটা পাল্টে যায় ‘তোর ইশারাতে, মন হারাতে, ছুটে যায়’ গানের ভিডিও দেখার পর। ছবির ট্রেলারও এখানে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘শুরুতে কলকাতায় আমাকে কেউ গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু হঠাৎ জাদুর মতো সব পাল্টে যায়। একের পর এক টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিও আর পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে দিতে একসময় আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাই।’
এখনো মুক্তি পায়নি আশিকী। কিন্তু এরই মধ্যে কলকাতা থেকে একাধিক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন এই ছবির নায়িকা। কিন্তু এখনই এ ব্যাপারে এর বেশি কিছু বলতে চাননি। এদিকে ঢাকায় ফিরেই নতুন একটি ছবিতে কাজের আলাপ চূড়ান্ত করেছেন। ছবির নাম পুলিশগিরি। এ ছবিতে নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করবেন আরিফিন শুভর সঙ্গে। ছবিটি পরিচালনা করবেন সৈকত নাসির।
ছবিতে নায়িকা হওয়ার জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া। মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে সাড়ে তিন বছর ভাত খাননি। নিয়মিত ব্যায়াম করছেন। বললেন, ‘টানা ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা শুটিং করেও এতটুকু ক্লান্ত হইনি। আমি কিন্তু স্বাস্থ্য-সচেতন।’
চলচ্চিত্রের নায়িকা নুসরাত ফারিয়া একেবারে নতুন। কিন্তু বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে তিনি খুব পরিচিত। নিজের কাজের ব্যাপারে সব সময়ই তিনি ছিলেন সচেতন। তাই কখন কী কাজ করেছেন, সব বলে দিতে পারেন এক নিমেষেই। এই যেমন নিজের কাজের সংখ্যা জানালেন এভাবে, ‘তিন বছরে আমি টিভির লাইভ অনুষ্ঠান করেছি ৩৬০টি আর টিভিতে আগে ধারন করা এবং টিভির বাইরে প্রায় হাজার দুয়েক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি।’
আবার কবে উপস্থাপনা করবেন? বললেন, ‘না না, এখন আর উপস্থাপনা করার ইচ্ছে নেই।’
অনেকক্ষণ থেকেই একটা প্রশ্ন করার খুব আগ্রহ হচ্ছে। নুসরাত ফারিয়া নায়িকা হলেন কীভাবে? এবার তাঁর চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক। বললেন, ‘এ বছর জানুয়ারি মাসে কাতারে চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলাম। সেখানে মঞ্চে আমি আর আরিফিন শুভ একটি গানের সঙ্গে অভিনয় করেছি। তা দেখে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আজিজ আমাকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। সেই থেকে শুরু।’
পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ফলাফল করেছেন নুসরাত ফারিয়া। এবার পড়াশোনার কী হবে? ছন্দপতন? তিনি বললেন, ‘আমি এআইইউবিতে বিবিএ সপ্তম সেমিস্টারে পড়ছি। ছবির শুটিংয়ের কারণে আট মাস পড়াশোনা থেকে দূরে ছিলাম। এখন আবার শুরু করছি।’
ছবি তোলা শেষ। নুসরাত ফারিয়াও ব্যস্ত। অনেক দিন পর দেশে ফিরেছেন। অনেক কাজ জমা হয়ে আছে।
সবশেষে বললেন, ‘নিজেকে আমি পুরোপুরি একটি প্যাকেজ হিসেবে উপস্থাপন করছি। যে ভালো কথা বলবে, ভালো নাচবে, ভালো গান করবে, ভালো মডেলিং করবে। শোবিজে সব ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করব। আজ হয়তো অনেকেই আমার এই কথাগুলো অতিরিক্ত মনে করবেন। কিন্তু আমি অপেক্ষা করছি আশিকী ছবি মুক্তির জন্য। আমি বিশ্বাস করি, এরপর সবাই আমার সঙ্গে এই কথাগুলোর মিল খুঁজে পাবেন।


C-Section Scar Photo of Newborn Baby Goes Viral

C-Section Scar Photo of Newborn Baby Goes Viral

Photo of a mother with her newborn sleeping peacefully next to her emergency C-section wound goes viral, just three days after being born by caesarean section has been shared more than 62,000 times on Facebook. The image touched a nerve around the world after Helen shared it online, and it has been seen 11.5 million times and liked by nearly 215,000. Helen Aller, 29, from Guernsey, who is eight months pregnant, took the black and white image of the unnamed woman.
Helen, a mother-of-two, posted on Facebook: ‘I didn’t expect this image to reach so far.
‘I photographed this mama’s pregnancy a couple of weeks back and she was telling me how terrified she was of having a c-section.
‘Over the weekend she went into labour but had to have an emergency c-section after losing a lot of blood.