বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে।

১৬ সেপ্টেম্বর- কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে। কিছু কিছু স্থানে কড়াকড়ি থাকলেও বেশ কয়েকটি করিডর দিয়ে গত বছরের তুলনায় বেশি গরু এসেছে বলে জানা গেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, সারা দেশে খামারি ও সাধারণ মানুষের কাছে কোরবানির যোগ্য ৪০ লাখ হৃষ্টপুষ্ট গরু ও মহিষ আছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, এ বছর ৫০ লাখের মতো কোরবানি হতে পারে। এদিকে রাজধানী ঢাকার গরুর হাট এবং কোরবানি নিয়ে সিটি করপোরেশন ও পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিকল্পনা জানিয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, আগামী শনিবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) আগে ঢাকায় গরু ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর গরুর হাটগুলোকে তাদের চৌহদ্দির বাইরেও ছড়াতে দেওয়া হবে না। প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের সীমান্তে গরু ‘পাচারে’র ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করলেও দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গত বছরের তুলনায় এবার বেশি ভারতীয় গরু এসেছে। গরু আসছে পূর্বের মিয়ানমার সীমান্ত দিয়েও। তবে সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে গরু কম আসছে বলে জানা গেছে। রাজশাহী কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ের অধীনে ভারত থেকে গবাদিপশু আমদানির মোট আটটি করিডর রয়েছে। কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্টে উত্তরাঞ্চলের সাতটি করিডর দিয়ে ৩৬ হাজার ৩০৭টি গবাদিপশু বাংলাদেশে ঢুকেছে। এর মধ্যে গরু ২৭ হাজার। গত বছর এ সময়ে গবাদিপশু আসার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৩০৩। সুলতানগঞ্জ করিডর দিয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম ১২ দিনে ৩ হাজার ৪০০ গরু-মহিষ ঢুকেছে। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় গবাদিপশুর হাট হচ্ছে নগরের সিটি বাইপাস হাট। এই হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান বলেন, গত মাসেও ভারতীয় গরুর বড় চালান এসেছে শুনেছেন কিন্তু তাঁরা সেই গরু-মহিষ পাননি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা সরাসরি সুলতানগঞ্জ ও কানসাট থেকে নিয়ে চলে গেছেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর শুল্ক করিডর দিয়ে গরু আসছে। কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ হাজার ৬০৭টি গরু আসে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৫৫। কুড়িগ্রামের কাস্টম অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জুলাই থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গরু এসেছে প্রায় ৬০ হাজার। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৬৭৫। কক্সবাজারে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত গরু এসেছে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল সাড়ে চার হাজারের কম। বগুড়ায় এবার দেশি খামারিদের কাছ থেকে বেশি গরু পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খন্দকার বজলুর রহমান বলেন, এবারের কোরবানির বাজার সামনে রেখে জেলার ১ হাজার ২৬১টি খামার ও কৃষকের বাড়িতে মোট ৭৬ হাজার ৮২২টি পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর জেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার গরু এবং ৮৯ হাজার ছাগল ও ভেড়া কোরবানি হয়েছিল। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির হাটে গরু আসবে। ঢাকায় পুলিশের নির্দেশ: গতকাল কোরবানির ঈদ নিয়ে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সভায় ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী, পরিবহন নেতারাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এবার ডিএমপির আওতার মধ্যে একটি স্থায়ীসহ ২৩টি পশুহাট বসবে। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে পশুহাটের সংখ্যা ১৭। সভায় ডিএমপির কমিশনার আশ্বস্ত করেন, গরু হাটে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। চাঁদাবাজদের ধরার ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়সহ অন্য যেকোনো পরিচয়ই বিবেচনায় না নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় কমিশনার বলেন, এবারে গরুর হাটগুলোকে তাদের চৌহদ্দির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না। হাটের ইজারার কাগজে উল্লেখিত নির্ধারিত সীমানার ভেতরেই হাটের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই হাটে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তবে ১৯ সেপ্টেম্বরের আগে ঢাকায় অস্থায়ী হাটগুলোর জন্য কোনো গরু ঢুকতে দেওয়া হবে না। হাটগুলোতে সিসি ক্যামেরা, পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থাকবে। তিনি বলেন, হাটগুলোতে প্রকাশ্য স্থানে পশু বিক্রির হাসিলের দর লিখে রাখতে হবে। আর পশু ব্যবসায়ীরা যে হাটে গরু নিতে চান, তাঁরা যেন সে হাটেই গরু নিতে পারেন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে কোনো জবরদস্তি করা যাবে না। এমনকি বেশি টাকা পরিবহনের জন্যও পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন গরু ব্যবসায়ীরা। হাটের ব্যবসায়ীদের লেনদেনের সুবিধার্থে হাট এলাকার ব্যাংকগুলোতে সন্ধ্যাকালীন লেনদেনের সুবিধা থাকবে বলে সভায় জানানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে সান্ধ্য লেনদেনের সুবিধা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছিল। রাত নয়টা পর্যন্ত হাটের আশপাশের ব্যাংকগুলোতে সন্ধ্যাকালীন লেনদেন করা যাবে। সরকারি ছুটির দিনও ওই সব ব্যাংকে লেনদেন চলবে। হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা থাকবে। 
মক্কায় মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ রিয়াল অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার।

মক্কায় মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ রিয়াল অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার।

মক্কায় মসজিদুল হারামে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ রিয়াল অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি সরকার। এ ছাড়া যারা আঘাতের কারণে একেবারে স্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের ১০ লাখ রিয়াল ও আহত ব্যক্তিদের ৫ লাখ রিয়াল করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এক ফরমানে সৌদি বাদশাহ সালমান এ ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার মসজিদুল হারামের চতুর্থ তলায় ক্রেন ভেঙে পড়লে ১১১ জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয় আরো ২৩৮ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বাংগালী। দুর্ঘটনায় যারা স্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন তাদেরও একই পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের ৫ লাখ রিয়াল অর্থাৎ ১ কোটি ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে সৌদি আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করলে যে অর্থ পাওয়ার কথা, এর মধ্যে তা অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ এটি কেবল সৌদি বাদশাহর পক্ষ থেকে দেওয়া ক্ষতিপূরণ।
রাজকীয় ওই ফরমানে আরো জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবারের দুই সদস্যকে আগামী বছর সরকারি খরচে হজ করানো হবে। এ ছাড়া যারা আহত হওয়ার কারণে এবার হজ করতে পারছেন না, তাদের আগামী বছর রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ করানো হবে। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের স্বজনরা যাতে সৌদিতে এসে তাদের সঙ্গে থাকতে পারেন, সে জন্য তাদের ভিসাও প্রদান করা হবে। সূত্রঃ-ইন্টারনেট ।

দাফনের ৭ বছর পর আবার বাড়িতে ফিরে এসেছে ছোট বুড়ি ।

দাফনের ৭ বছর পর আবার বাড়িতে ফিরে এসেছে ছোট বুড়ি ।

চাঞ্চল্যকর খবর! দাফনের ৭ বছর পর আবার বাড়িতে ফিরে এসেছে ছোট বুড়ি । এমন সংবাদের  ছোট বুড়িকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে নারীপুরুষ। তবে আসল ছোট বুড়ি নাকি নকল বুড়ি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন পরিবারের লোকজনের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের সালকুপা গ্রামে।
সরেজমিন শালকোপাড়া গ্রামে গিয়ে জানা যায়, শালকোপা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মোল্লার মেয়ে  ছোট বুড়ি (৬০) মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯০ সালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোজ হয়।  দীর্ঘ ১৫ বছর তার কোন খোজ ছিল না। হঠাৎ ২০০৫ সালের দিকে পরিবারের লোকজন খবর পায় ছোট বুড়ি সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে বেড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এর পর পরিবারের লোকজন  তাকে সেখান থেকে ধরে বাড়িতে আনে।  এরপর পেরিয়ে যায় ৩ বছর। হঠাৎ একদিন  ছোট বুড়ি মারা যায়। দাফন করা হয় বাড়ির পাশেই। এ পর সবাই নিশ্চিন্তে ছিল। ৭ বছর পর আবার গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ছোট বুড়ি কে সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে দেখা গেছে এমন খবর পেয়ে তার সেজো ভাই সদর উদ্দিন মোল্লাসহ অন্যরা সেখানে যায়। এবং দেখে তার বোনের মতোই চেহারার একটি মহিলা। এর পর তারা তাকে প্রশ্ন করে তোমার বাড়ি,তোমার বাবার নাম, তোমার ভাইদের নাম কি। একে একে সে উত্তর দেয়। এর পর তাকে আবার নিজ বাড়িতে আনে সদর উদ্দিন। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকার নারীপুরুষ ছোট বুড়ি কে দেখার জন্য ভিড় করছে তার বাড়িতে।
ঐ গ্রামের মরিয়ম বেগম, আলেয়া খাতুন জানান, অনেকে ধারণা করছে  ছোট বুড়ির আত্মা নিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে এসেছে। কিন্তু অলৌকিক কিছু ঘটেনি। আসলে আগের মরে যাওয়া ছোট বুড়ি হয়তো নকল ছিল।
ছোট বুড়ির ভাই সদর উদ্দিন মোল্লা জানান, আগে যখন তার বোন ভেবে ছোট বুড়ি কে নিয়ে আসা হয়েছিল তার সাথে নিজ বোনের হু বহু মিল ছিল। তার বোনের মতো কান কাটা-নাক টাকা ছিল যার প্রেক্ষিতে তাকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। এক পর্যায়ে সে মারা যায় । আমরা তাদের বাড়ির পাশেই দাফণ করি। কিন্তু ৭বছর পর হঠাৎ করে আবার যখন আমরা আরেক ছোট বুড়িকে পাই তখন বুঝতে পারি এটাই আমাদের আসল বোন। তিনি আরো জানান,  বর্তমানে যে বোনটিকে পাওয়া গেছে সে মানুষিক রোগী হলেও আমাদের নাম,বাবার নাম বলতে পারে। কিন্তু আগে যাকে দাফন করা হয়েছে বুড়ি ভেবে সে কোন কথা বলতে পারতো না।
ঘোড়শাল ইউনিয়নের ১ নং ওয়াড্র্রে মেম্বর জাহিদুল ইসলাম দুদু জানান, ঘটনাটি জানার পর এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমানে যে ছোট বুড়িকে পাওয়া গেছে সেটিই আসল । আর যাকে আগে দাফন করা হয়েছিল সেজন নকল ছিল।