রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

ছাত্রলীগের তান্ডবে হতবাকঃ আমার গলায় রশি দেওয়া উচিতঃ ডঃ জাফর ইকবাল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ আগেই শিক্ষকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের এমন ন্যাক্কারজনক হামলায় নিস্তব্ধ, নির্বাক হয়ে গেছেন জনপ্রিয় শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অভিমানে আঝোর ধারায় বৃষ্টিতে ভিজছেন তিনি। লজ্জা আর ঘৃণা তার চোখেমুখে ভর করেছে। অন্য শিক্ষকদের মাথায় ছাতা থাকলেও জাফর ইকবাল ছাতা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বসে আছেন। অন্য শিক্ষকরা তার পাশে ভিড় করে আছেন। 

উল্লেখ্য, রোববার সকালে ছাত্রলীগের হামলায় আন্দোলনরত অন্তত সাতজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের। গত কয়েক মাস ধরে তারা অন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
এদিকে শাবি ভিসি আমিনুল হক ভূইয়া রোববার বিকাল ৩ টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরইমধ্যে ভিসিকে সমর্থন দিয়ে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা ব্যানার নিয়ে সেখানে যান সকাল সাড়ে ৭টার দিকে।
সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা ব্যানার কেড়ে নেয় এবং শিক্ষকদের গলা ধাক্কা দিয়ে এবং মারধর করে সরিয়ে দেয়। তাদের ধাক্কায় ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান। এসময় সুযোগ পেয়ে ভিসি ভবনে ঢুকে দোতলায় নিজের কার্যালয়ে চলে যান।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম জানান, হামলায় তাদের ৭জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। প্রফেসর ইয়াসমিন হক ছাড়াও মারধরের শিকার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল গণি, প্রফেসর এ ন ক সমাদ্দার, মোস্তফা কামাল মাসুদ, এসোসিয়েট প্রফেসর মো. ফারুক উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও কোন কাজ হয়নি।


SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: