বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

মানবাধিকার নামে, কাজে না।

মানবাধিকার নামে, কাজে না।

আজ ১০ ডিসেম্বর, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হয়েছিল। দিবসটি সব জাতির, সব মানুষের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ মানদণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় বলে পশ্চিমাদের দাবি। আমরা যারা তৃতীয় বিশ্বের খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর দেশে বাস করি তাদের কাছে এই বিশ্ব মানবাধিকারের সঙ্গায়ন যেটা পশ্চিমাদের করা এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন এক দৃষ্টিতে দেখতে পারিনা কিংবা সেটা দেখাও উচিত নয় আমাদের জন্য। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ” আমাদের স্বাধীনতা- আমাদের অধিকার চিরন্তন”। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা অর্থাৎ সারা বিশ্বের প্রতিটি নাগরিক কি আজ স্বাধীন? দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের যে অধিকারের কথা বলা হচ্ছে সেটা কি চিরন্তন হয়েছে নাকি আরো আটকে গেছে?বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকারের চিত্র যদি আমরা একটু দেখি তাহলে বুঝতে পারি আসলে মানবাধিকারের ব্যবসায়ীরা বিগত সাতষট্টি বছর ধরেই কেমন যেন মানবাধিকারের নামে একধরনের ছলনা করে চলেছেন।মানবাধিকার বলতে আমরা বুঝি মানবের অধিকার যেখানে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার মানবীয় অধিকার নিশ্চিত হবে এবং যে অধিকার বাস্তবায়নে বিশ্বসম্প্রদায় একযোগে কাজ করবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে আশা আমাদের পূরণ হয়নি। বর্তমান বিশ্বে আজকে যারা মানবাধিকারের ঢোল পেটান সুযোগ পেলেই তারাই আবার কুৎসিতভাবে মানবাধিকারের গলা টিপে ধরেন।আজকের সিরিয়ায় লাখ, লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে ,হাজারো মানুষ সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন এখনও দিচ্ছেন এর জন্য কারা দায়ী ? যারাই আজ মানবাধিকারের ঢোল পেটাচ্ছেন তারাই এর জন্য দায়ী, আই এস সৃষ্টি যারা করেছেন ঠিক তারাই তালেবান সৃষ্টি করেছিলেন এভাবেই তারা মধ্যপ্রাচ্যকে আজীবনের জন্য অস্থির করে রেখেছেন উদ্দেশ্য একটাই সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র নামের যে ক্যান্সারটি আছে, সেটা আরো বড় করা। অদূর ভবিষ্যতে হয়ত সেটা হয়েও যাবে।সুতরাং মানবাধিকার দিবস যদি শুধু পালনের জন্যই এসে থাকে, সেখানে যদি প্রকৃত মানবাধিকার বাস্তবায়নের তাড়া যদি কারো ভিতরে না থেকে থাকে এবং তাতে যদি কারো কিছু করার না থাকে তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। বর্তমান বিশ্বে নাকি ইউরোপিয়ানদের চেয়ে বেশি মানবতাবাদী আর কোন জাতি নেই, তারা রক্ত দেখলে ভয় পায় তাই ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ একসাথে এই অঞ্চলে আগামীতে মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে গরু জবেহ করা নিষিদ্ধ করতে চাইছে , একসাথে হাজারো গরু জবাই করলে প্রচুর রক্তপাত ঘটে তাতে মানুষ ভয় পায় সুতরাং এই রক্তারক্তি বন্ধ করতে হবে। অথচ অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করেছি বিগত শতাব্দীতে কিংবা শতাব্দীতে মার্কিন আগ্রাসনে ইরাক,আফগানে, সিরিয়া কিংবা লিবিয়ায় যত মানুষ মরেছে যত একপেশে যুদ্ধ হয়েছে তার সবখানেই ইউরোপিয়ানদের প্রচ্ছন্ন মদদ ছিলো তারা এসব যুদ্ধের মোট ব্যয়ের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বহন করেছে । তাহলে কি আজ এটিই প্রমাণিত যে ইউরোপিয়ানদের কিংবা পশ্চিমাদের নিকট মানুষের রক্তের চেয়ে গরুর রক্তের মূল্য অনেক, অনেক বেশি। অতএব মানবাধিকার নিয়ে আজ শুধু নিজের মত করে চিল্লালেই হবেনা,পশ্চিমা বিশ্বকে বিশ্ববাসীর সবার সমান অধিকার দিয়ে তারপর মারবাধিকারের জয়গান গাইতে হবে,তাহলেই মানবাধিকারের প্রকৃত জয়গান গাওয়া হবে। 

ঝলসে গেলো বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের শরীর!

ঝলসে গেলো বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের শরীর!

প্রেসার কুকার বিস্ফোরণে বুক, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জলসে গেছে আলোচিত এবং সমালোচিত প্রগতিশীল লেখক তসলিমা নাসরিনের।
বুধবার সন্ধায় নারীবাদি এই লেখক তার  ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ছবিসহ তার আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।ফেসবুক স্ট্যাটাটে তসলিমা নাসরিন তার আহত হওয়ার ছবিগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘না এগুলো চুম্বনের দাগ নয়, এগুলো প্রেসার কুকার বিস্ফোরনের দাগ।’ 
তসলিমা বলেন, প্রেসার কুকার এক্সিডেন্ট। ডাল রাঁধতে গিয়ে এই হয়েছে. গায়ের জোরে খুলতে চেয়েছিলাম ঢাকনা। গরম ডাল বোমার মতো ছিটকে এসে বুকে মুখে পেটে হাতে পড়ল. সিলভার এক্স লাগাচ্ছি. জ্বলন প্রচন্ড. দোজখের আগুন যে কী করে সইব বুঝতে পারছি না।তার স্ট্যাটাস এবং ছবিগুলো দেশে তার শুভাকঙ্খীরা সমবেদনা জানিয়েছেন, সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রগতিবাদি বিভিন্ন লেখার কারণে তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে হয়। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন।

ফেসবুক খুলে দেয়া হয়েছে

ফেসবুক খুলে দেয়া হয়েছে

অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক খুলে দেয়া হলো তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মাধ্যমটি খুলে দেওয়া হয় বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। এনটিভি অনলাইন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বরাত দিয়ে বলে, ফেসবুক খোলার সরকারি নির্দেশনা এসেছে। তাই ফেসবুক খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ভাইবার, হোয়াটঅ্যাপসসহ অন্য অ্যাপসগুলো পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো (অ্যাপস)। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এসব সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
ওই দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার পর পরই দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রায় সোয়া ঘণ্টা বন্ধ থাকে সারা দেশের ইন্টারনেট সংযোগও।
গত ৩ ডিসেম্বর ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নামেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী সব আইন বাতিল করার দাবি জানান।

এদিকে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের বরাত দিয়ে প্রথম আলো অনলাইন জানায় বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ফেসবুক খোলার কথা নিশ্চিত করেন প্রতিমন্ত্রী। জুনাইদ আহমেদ বলেন, ফেসবুক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নয়, পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এখনো ডেস্কটপ ও কিছু মোবাইল ডিভাইস থেকে ফেসবুক দেখা যাচ্ছে না।
ফেসবুক খোলা প্রসঙ্গে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ফেসবুক খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। দেশের তরুণদের কথা মাথায় রেখে তিনি ফেসবুক খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। দেশের তরুণের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণেরা ফেসবুক না থাকায় সমস্যায় পড়ছিলেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ফেসবুক খুলে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক খুলে দেওয়া হলেও সরকারের বন্ধ করা অন্যান্য অ্যাপস এখনো চালু হয়নি।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, ফেসবুকভিত্তিক অপরাধ কার্যক্রমের বিষয়টি ভবিষ্যতে সতর্কতার সঙ্গে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়াও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।