বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৬

ফ্রিল্যানসিং – এ মাসে ৭০ হাজার টাকা !

ফ্রিল্যানসিং – এ মাসে ৭০ হাজার টাকা !

ফ্রিল্যানসিং হলো টাকার গাছ, ঝাঁকি দিলেই পড়ে! সাজ্জাদ যেভাবে ৫ ঘন্টা কাজ করে মাসে ৭০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন, আপনিও করতে পারেন !

ফ্রিল্যানসিং-এ সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় । এটা কোন ফাজলামো নয় । নতুন ফ্রিল্যানসারদের প্রতি সাজ্জাদের পরামর্শ: কাজের প্রতি সৎ থাকবেন। প্রথম দিকে কঠোর পরিশ্রম করবেন। আর কখনোই চুরি, ধোঁকাবাজি করবেন না। অনেকের এই ধরনের সৎ ইচ্ছা থাকলেও পারছে না। আপনি কিভাবে পারলেন ? আপনি তো ঢাকায়ও থাকতেন না ?
freelance- viral_bd
এই প্রশ্ন করা হলে ময়মনসিং জেলার কৃতি ফ্রিল্যানসার সাজ্জাদের সরল উত্তর : “ফ্রিল্যানসিং হলো টাকার গাছ । ঝাঁকি দিলেই পড়ে । কিন্তু ঝাঁকিটা কে দিচ্ছে তার উপর নির্ভর করে । আমি ইংরেজিতে দুর্বল ছিলাম, খুবই দুর্বল ছিলাম। দুই বছর আগের কথা, ২০১৪ এর মার্চ। ইংলিশ টুডের অনলাইন ইংলিশ সম্পর্কে জানতে পাই। অনলাইন কোর্সের ফি এত কম দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। হাতি ঘোড়া গেল তল, পিপড়া বলে কত জল-এমন একটা ধারণা তৈরী হয়েছিল প্রথমে। প্রতারণার এক নতুন ফাঁদও মনে হয়েছিল। ইংরেজির সব দিকে দক্ষ হতে আমি অনেক টাকা আর সময় নষ্ট করেছি এখানে সেখানে কোর্স করে। এখন বুঝি সব সেকেলে (backdated) । কিন্তু শেখার প্রয়োজন ছিল আমার, ইচ্ছা ছিল অদম্য। বুক ভরা আশা আর মনে অনেক সন্দেহ নিয়ে তাদের কর্তা ব্যক্তির সাথে কথা বলতে চাইলাম। তিনি কবির স্যার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA-এর MBA করা শুনে সন্দেহ কিছুটা দূর হলো। ভাবলাম, অন্তত প্রতারক হবে না। দেখি কথা বলে।কিছুক্ষণ কথা বলে ভালো লাগে। IBA-তে কারা চান্স পায়, বুঝলাম। উনার সাথে সেদিন আমি অনেকক্ষণ কথা বলেছিলাম, যা এখানে বললে সময় লাগবে। তার নির্দেশ ফলো করতে মন থেকেই সায় দিল। মনে পড়ে, মাত্র ২,৫০০ টাকা দিয়ে তার নির্দেশে অনলাইনে স্পোকেন ইংলিশের ভিডিও কোর্স শুরু করি। সেই ভিডিওগুলো আমার কাছে এখনো আছে।”
“আমার কোথাও যদি বুঝতে সমস্যা হতো, আমি প্রশ্ন করলেই রিপ্লাই দিত।টিচারের সাথে অনলাইনে চ্যাট করে বুঝে নিতাম। টিচারকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাওয়া যায়। কোনো কোনো অনলাইন কোর্সে কবির স্যার নিজেই চ্যাটে থাকতেন। ৬ মাসের মধ্যেই আমি নিজেকে নতুন করে সৃষ্টি করি, আমি যেমন চেয়েছিলাম! English Today (www.englishtoday.co) -র অনলাইন কোর্সগুলো ধৈর্য ধরে শেষ করলে আমার মতে ১ বছরেই একজন আমার মতো ফ্রিল্যানসার হওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। কবির স্যারের সাথে আগে কথা হলে আমার অত সময় আর অত টাকা নষ্ট হতো না। এখন আমি ফ্রিল্যানসার তৈরী করার মতো অবস্থানে থাকতাম। শেষ ভালো হয়েছে বলে আমার কোনো আফসোস নাই।”
ফ্রিল্যানসিং-এ আসলে একজন কত টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে ?
এই প্রসঙ্গে সাজ্জাদের সোজা উত্তর, “প্রস্তুত না হয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে ধাক্কা খাবেন। হয় আর উঠতে পারবেন না, না হয় ‘এই মাত্র ৫ মিনিট কাজ করে ৫০০ টাকা আয়’ ফেইসবুকে এই ধরনের ‘ফ্রিল্যানচোর’ হয়ে থাকতে হবে। ২০১০ সালের BASIS(Bangladesh Association of Software and Information Services)-এর এক হিসেবে বাংলাদেশে ১ লক্ষ ফ্রিল্যানসার কাজ করে। তারা দৈনিক ১ কোটি টাকা অর্থাৎ একজন আয় করে ১০০ টাকা, মাসে ৩,০০০ টাকা। মাসিক গড় আয়ের এই করুণ দশা কেন, তা পাঠক হয়তো বুঝতে পারছেন। ইংরেজি, ইংরেজি এবং ইংরেজি। আমার সমান আয় হলে এই ১ লক্ষ ফ্রিল্যানসার প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা আনতে পারত তখন।” সাজ্জাদের সমান আয়ের কথা বাদই দেই । এখানে আরেক ফ্রিল্যানসার ফয়সালের থেকেও জানার আছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । অন্তত তার মতো হলেও এই এক লক্ষ্ বাংলাদেশী ফ্রিল্যানসারের একেক জনের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় হতো।
যার যার, তার তার – আপনি যা, তাই পাবেন !
সাজ্জাদ বলেন “এটা চরম সত্য এই জগতে। ফ্রিল্যানন্সিং মার্কেটের বিশালতা বোঝা কঠিন। তথ্য -গরিব মানুষের যা হয় আর কি! Payoneer-এর এক জরিপে দেখায়, ২০১৫ সালে পাকিস্তানেই এক এক ফ্রিল্যানসার ঘন্টায় পায় ২০ ডলার, মানে ১,৬০০টাকা। কোথায় আছেন? প্রচুর টাকা আছে, দেখিয়ে দিলাম। কিন্তু আপনার উপার্জন কি আমি করে দেব? Payoneer-এর এই রিপোর্টটি ডাউনলোড করে রাখবেন। কাজে দেবে।”
ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার !
সাজ্জাদ আরো বলেন, “আমি দেখি অনেকের কত দম্ভ, কত ভালো ইংরেজি জানে – এমন ভাব নিয়ে আমার কাছে আসে ফ্রিল্যানন্সিং এর আইডিয়া নিতে। ‘My grandfather was a dog’-এই বাক্যটি ভুল কোথায় বা ঠিক আছে কিনা- প্রশ্ন করে তাদের সাথে একটু মজা করি। আমতা আমতা করলে বলে দেই, “আমার দাদা একটা (…) ছিল! ব্রাকেটের মধ্যে কি হবে, তা সবাই বুঝে গেছেন! এভাবে বলায় মনে কষ্ট পেলে দুঃখিত!”
“এই বাস্তবতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমিও এই দলেই ছিলাম। কিন্তু এখন আমি কাজের জন্যই প্রতিদিন অনলাইনে ইংরেজি পত্রিকা পড়ি। ১০ মার্চে রয়টার’স এর একটা নিউজ পড়ছিলাম। ঘটনাটা সবাই জানেন। নিচে পাঠকদের জন্য সেটা অনুবাদ করে দিলাম। ইংরেজি নিউজের লিংকও আছে। বাংলার সাথে ইংরেজিটাও দেখে নেবেন। ইংরেজিটা পড়ে বোঝার জন্য বলছি না। একটু দেখবেন। আর আমার বাংলা অনুবাদটা পড়বেন। আমি কেন আমার যোগ্যতা অনুযায়ী উপার্জন করতে পারছি, তা বুঝতে পারবেন। আর ইংরেজিতে ভুল করলে কি মাশুল দিতে হয়, তা’ও দেখবেন। (চোরের এই ভুলের জন্য যদিও ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় চুরি থেকে রক্ষা পেয়েছে!)
সবাই বলে ইংরেজি, ইংরেজি- ইংরেজিটা আসলে কোথায় দরকার !
“ফ্রিল্যান্সিং করতে ইংরেজির দক্ষতা কেন এবং কোথায় দরকার? Skype- তে ক্লায়েন্টদের সাথে ঠিকঠাক ইংরেজিতে কথা বলা (speaking), তাদের কথা শুনে বুঝা(listening), বাক্যের গঠন, ভোকাবুলারি- র বানান ঠিক রেখে ইংরেজিতে ইমেইল করা (writing), কেও ইমেইল করলে তা পড়ে বোঝা এবং রেপ্লাই দেওয়া, নিয়মিত দেশ বিদেশের অনলাইনে ইংরেজি পত্রিকা পড়ে নিজেকে আপডেট রাখা (reading)। বলে রাখি, ইংরেজিতে গরুর রচনা পড়ে বুঝা আর ইংরেজি পত্রিকা পড়া অথবা বিদেশী ক্লায়েন্টদের ইমেইল পড়ে বুঝা হলো সেই ব্যবধান, যে ব্যবধান পার হয়ে আজ আমি এখানে।”
আপনার অনুবাদটি আমরা পড়ব। তার আগে আরেক ফ্রিল্যানসার ফয়সালের থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানি। তিনি এখনই মাসে প্রায় ২০,০০০ টাকা উপার্জন করেন। নতুন ফ্রিল্যানসাররা কি ধরনের সমস্যায় পড়ে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন:“৩ টি সমস্যা খুবই প্রকট।”
ঝামেলা কি আরো বাড়লো? একজন বলে ১ টা, আরেকজন বলে ৩ টা ! 
“হ্যাঁ, এই ৩ সমস্যা ঐ ১ সমস্যা ঘিরেই:
১. তারা ক্লায়েন্টদের ইংরেজিতে লেখা ইমেল পড়তে পারে না;
২. ফ্রিল্যানসিং প্লাটফর্মগুলোতে একাউন্ট খোলার জন্য ঠিক মতো তথ্য দিতে পারে না;
৩. ডলার আনার মাধ্যম যেমন পেপল, নেটেলার, পেওনিআর ইত্যাদি একাউন্টে লেনদেন সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হলে তারা ইমেইল পাঠায়। সেই ইমেইল বুঝতে পারে না। একাউন্ট লক হয়ে যায়, সাসপেন্ড হয় ।”
“তখন উপায় না দেখে বেচারা নতুন ফ্রিল্যানসার ফেইসবুকের গ্রুপে পোস্ট দেয়। আমার একাউন্ট লক, কি করব? ডিসকভারি চ্যানেলে দেখি, বন্য গরুর পাল নদী পার হচ্ছে। পানিতে কুমির। ডুব দিয়ে আছে। টার্গেট একটা বাচ্চা অথবা একটা দুর্বল গরু। অনভিজ্ঞ এই নতুন ফ্রিল্যানসার ফেইসবুকের গ্রুপে ওৎ পেতে থাকা কুমিরের খপ্পরে পড়ে। কুমির বলে, আমি এক্সপার্ট। দুই দিনেই সমাধান! ৫,০০০ টাকা লাগবে, বিকাশ করেন। ওহ! একাউন্ট খুলে যাবে, আবার ডলার আসবে! প্রতিদিন ‘এক’ ডলার ! আশাবাদী সেই বেচারার চোখ চকচকে হয়ে উঠে।”
“কিন্তু বিকাশ করার পর দেখে ওই নাম্বার বন্ধ। বার বার ফোন দেয়। শতবার। কিন্তু ফোন সেদিন একদমই বন্ধ। পরের দিন খুললেও রিসিভ করে না। মেসেজ। আকুতি। টাকা ফেরত দেন। কিভাবে দেবে, কুমিরের পেটে তো সেটা হজম হয়ে গেছে!”
“তারপর সে ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রুপে আবার পোস্ট দেয়। তবে এবার অন্য কারণে। বলে, অমুক নাম্বারের অমুক বাটপারের সাথে কেও কোনো লেনদেন করবেন না। সে বুঝে না, কেন সে প্রতারিত হলো। ডলার আয়ের একাউন্টও লক। কোথায় যাবে সে? আরেক কুমিরের খপ্পরে পড়বে? এই কুমির আছে, অনেক আছে। নানাভাবে আছে আর বংশ বিস্তার করছে।”
ফয়সালের থেকে আরো একটি বিষয় জানার ছিল আমাদের। তারা যে ডলার আয় করে, তা তারা হাতে পায় কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন , “পেপলে।” সবার জন্য একটু বিস্তারিত বলুন, পেপল থেকে ভাঙান কিভাবে? “ক্লায়েন্টরা আমাকে ডলার পাঠায়। আর সেই ডলার বিক্রি করে আমি টাকা নেই।” কোথায় বিক্রি করেন? “এখন আমার জন্য অনেক সহজ হয়েছে, যদিও প্রতারণার ফাঁদ সর্বত্র। ডলার লেনদেনে যারা ভুক্তভোগী, তারা এই ধরনের প্রতারণার কথা জানেন। ফেইসবুকে এমন অনেক বড় বড় গ্রুপ আছে যেখানে অ্যাডমিনরাই একটা প্রতারনার সিন্ডিকেট। অনেক মেম্বাররা তো নিয়মিত প্রতারণা করেই যাচ্ছে। যে কুমিরের কথা আগে বললাম। আমি Flexi Dollar-এর সাথে লেনদেন করি। আমি নিরাপদ। ”
ইংলিশের ভুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ হাজার কোটি টাকা হ্যাকারদের হাতছাড়া !
ফ্রিল্যানসিং এর মাধ্যমে উপার্জনের এই আলোচনার মূল বিষয়ের একটি অনাকাংখিত কিন্তু প্রাসঙ্গিক রয়টার’স এর এই নিউজের কিছু অংশ অনুবাদ করে দিয়ে সাজ্জাদ পাঠকদের ভালোভাবে ইংরেজি জানার গুরুত্ব চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ।
গত ১০ মার্চের রয়টার্স এর একটি শিরোনাম : “How a hacker’s typo helped stop a billion dollar bank heist.” অর্থ : হ্যাকারের বানান ভুলের কারণে কিভাবে ১ বিলিয়ন ডলার চুরি হওয়া থামানো গেল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে পেমেন্ট স্থানান্তরের জন্য তথ্য চুরি করে। এরপর হ্যাকাররা নিউইয়র্কের ফেডারাল রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম থেকে অনুরোধ পাঠায় ফিলিপাইন ও শ্রীলংকার প্রতিষ্ঠানে টাকা পাঠানোর জন্য।
৪টি আবেদনের মাধ্যমে ফিলিপাইনে ৮১ মিলিয়ন ডলারের স্থানান্তর করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা। কিন্তু বানান ভুলের কারণে শ্রীলংকার একটি এনজিও-তে ২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর পঞ্চম আবেদনটি স্থগিত করে দেয় Deutsche ব্যাংক।
হ্যাকাররা শ্রীলংকার ঐ এনজিও-র নামের বানানে foundation না লিখে ‘fandation’ লেখে। এই ভুল দেখে এই স্থানান্তরের জন্য নিযুক্ত Deutsche ব্যাংকের সন্দেহ হয়। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে এই ভুল শোধরানোর জন্য বললে এই মহা চুরির ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। এই ভুল না হলে হয়ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পুরো ১ বিলিয়ন ডলারই চুরি হয়ে যেত!
হ্যাকার না, আপনি হবেন ডলার আর্নার !
সৎভাবে ফ্রিল্যানসিং-এ এই দুইজনের গল্পেই শেষ নয়। এমন আরো অনেক সফলতার গল্প আছে ফ্রিল্যানসিং জগতে। অনেকে এদের চেয়েও সফল। আশার কথা, ফ্রিল্যানসিং-এ আয়ের সুযোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। দুনিয়ার সব মানুষের তিন ভাগের এক ভাগ এখন ইন্টারনেটে। আরো আসছে। যত আসবে, তত ফ্রিল্যানসিং-এর সুযোগ। ফেইসবুককে দেখেন। যতবেশী ইউজার, ততবেশী জাকার্বার্গের আয়।কি খুশি সে, তার মুখে হাসি ছাড়া তার কোনো ছবিই দেখা যায় না। হবে না আবার! ফ্রিল্যানসিং-এর হিসাবটাও এমনি। যত বেশি বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে, ততবেশী ফ্রিল্যানসিং-এর সুযোগ বাড়বে। আপনার কি মনে হয়, ইন্টারনেটের ব্যবহার ভবিষ্যতে কমবে?
আপনাকে যোগ্য করে তুলুন, এখনি সচেষ্ট হন। আরামে দিন কাটিয়ে মনে করছেন, আহ কি আরাম! এভাবেই দিন চলে যাবে। হ্যাঁ, দিন ঠিকই যাবে। ৫ বছর পর ৬ নাম্বার গাড়িতে ঝুলে ঝুলে অথবা মানুষের ঠেলায় চ্যাপ্টা হয়ে অফিসে যাবেন। পাশ দিয়ে শ করে চলে যাওয়া গাড়িটার দিকে নির্বিকার তাকিয়ে থাকবেন। তখন ভাববেন, চেষ্টা করলে হয়ত আমিও পারতাম !
আপনি যা চাবেন, তাই পাবেন (You will get what you want)। এই কথা বিশ্বাস করুন। এই কথার তাৎপর্য বুঝার চেষ্টা করুন। আপনার আকাঙ্খা, চেষ্টা আর ধৈর্য থাকলে আপনিও পারবেন আরেক সাজ্জাদ হতে, আরেক ফয়সাল হতে। তখন আপনার থেকেও আমরা গল্প শুনব !