মুসলমানদের পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার দুই প্রধান মসজিদের সংরক্ষক সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। মসজিদুল আল-আকসাও মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।
বাদশা সালমান এই ঘটনার পরে টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওঁলাদ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সাথে কথা বলেছেন। বাদশা তাদের সাথে কথা বলে ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে তার উদ্বেগের কথা জানান। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সীর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাদশা সালমান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছেন আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলা বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার জন। তিনি প্যালেস্টাইনি জনগণ, পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে রক্ষা এবং প্যালেস্টাইনী জনগণের স্বাধীনতা মেনে নেওয়ার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।
বাদশা সালমান বলেন, ইসরাইলি এই হামলার জন্য ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্টের পাশাপাশি ধর্মীয় উগ্রবাদীদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে যা বর্তমান বিশ্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সৌদি সরকার এই জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে হামলার জন্য ইসরাইলি আগ্রাসনকে দায়ী করে বলেন, এর জন্য ইসরাইলকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে।
তারা ইসরাইলকে সর্তক করে বলে ইসরাইলি আগ্রাসনের কারনে মুসলমানদের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এই ধরনের হামলা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। সৌদি এক কর্মকর্তা সর্তক করে দিয়ে বলেন জায়ানবাদী রাষ্ট্রের এ ধরনের নিপীড়নমূলক কাজের জন্য এই পুরো অঞ্চলেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সেই কর্মকর্তা আল-আকসা মসজিদকে প্যালেস্টাইন থেকে আলাদা করার জন্য ইসরাইল চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সৌদি বাদশাকে এই সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি এও জানান যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে তিনি পবিত্র মসজিদ রক্ষার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন।
এই সপ্তাহে ইসরাইলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে হামলা চালায়। হামলার পরে পুরো আরব বিশ্বে ঐ হামলায় ইসরাইলের প্রতি নিন্দার ঝড় উঠে। মসজিদে হামলার পরে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসে।