শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এবার ইসলাম গ্রহন করেছেন জ্যানেট জ্যাকসন ।

এবার ইসলাম গ্রহন করেছেন জ্যানেট জ্যাকসন ।

শোনা যাচ্ছে মার্কিন গায়িকা জ্যানেট জ্যাকসন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়েছেন। ২০১২ সালে কাতারের মুসলমান শিল্পপতি ওয়াসাম আল মানাকে বিয়ে করেন তিনি। গুঞ্জন উঠেছে, ৪০ বছর বয়সী মানাকে বিয়ের পরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন জ্যানেট। আর এরপর থেকেই কনসার্টে খোলামেলা পোশাক পরিধান এবং যৌন আবেদনময় ভঙ্গিতে নাচাও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক সূত্র বলছে, "নতুন ধর্মের মধ্যে জ্যানেট যেন আপন ঘর খুঁজে পেয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে তার পরিবার ও বন্ধুদের জানিয়েছেন, তারা সবাই জ্যানেটের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছেন।" সূত্রটি আরও বলছে, "জ্যানেট অনেকটা সময় ধরে ইসলাম এবং অনুসারীদের নিয়ে পড়াশোনায় ব্যয় করেছেন। অশালীন ভঙ্গীতে নাচ ও যৌনাবেদনময় গানের কথা এখন তার জন্য অতীতের বিষয়।"
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান বলছে, জ্যানেট তার সর্বশেষ ট্যুরের ইতি টানার সময় বলেন ‘ইনশাআল্লাহ্’। ২০০৮ সালে জ্যানেটের ভাই মাইকেল জ্যাকসন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে দাবী করেছিল ট্যাবলয়েডটি।
রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে।

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে।

হঠাৎ করে রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জন ভর্তি হয়েছে। এই মাসেই গড়ে প্রতিদিন ২৬ জন করে রোগী ভর্তি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৮৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। জুন, জুলাই ও সেপ্টেম্বরে মাসে মারা গেছে চারজন। গত সাড়ে তিন মাসেই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩৩৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায়  প্রায় চার গুণ বেশি। এ বছরে গড়ে প্রতিদিন ১২ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোয়। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে ১২৩৭ জন বাসায় ফিরেছে। বাকি ৯৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এদিকে সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছেলে আমান মওদুদ মারা যান। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমানের অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুন-জুলাই-আগস্ট মাসে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু এবার যেহেতু সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি হচ্ছে তাই মশার উপদ্রব আছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। জমে থাকা বৃষ্টির পানি থাকলে মশার প্রজনন বাড়ে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ সময়টাতে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তাই বাড়ি বা বাড়ির আঙিনার কোথাও যেন পরিষ্কার পানি জমে না থাকে সে ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশা করছেন আগামী মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে। 
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত রমনা ও ইস্কাটন, ধানমন্ডি, কলাবাগান, গুলশান, বনানী এলাকার বাসিন্দারাই ডেঙ্গু জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গত দু-তিন মাস থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ করেই মশার প্রকোপ মারাত্মক আকারে বেড়ে গেছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। মশার কামড়ে অনেকের রাতের ঘুম হারাম হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, মশার উপদ্রব বাড়লেও উত্তর বা দক্ষিণ কোন সিটি করপোরেশনে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তেমন চোখে পড়ছে না। 
এ বিষয়ে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, এবছর বৃষ্টি আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। কখনও হয় বা কখনও বন্ধ থাকে। এতে বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার পানি জমে। ফলে মশা ডিম পাড়ে। এই সময়ে এটা বেশি হয়। গত বছরের তুলনায় একটু বেশি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে, এই মুহূর্তে এখনও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আগামী মাস থেকে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অতীতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর চেয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। আস্তে আস্তে কমে এসেছে। তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশেই নয় ভারত ও পাকিস্তানেও ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, ১লা জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুর উপস্থিতি তেমন থাকে না। এতে দেখা যায়, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে শূন্য, মার্চে ২ জন, এপ্রিলে ২ জন এবং মে মাসে একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু মশার উপদ্রব বাড়ে জুন থেকে। সেই হিসাবে চলতি বছরের গত ১লা জুন থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ে রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১৩৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে জুন মাসে ১৫ জন, জুলাই মাসে ১৫৬ জন, আগস্ট মাসে ৭২৭ জন এবং চলতি মাসে ৪৪৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ১২৩৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। চারজন মারা গেছে। সেন্ট্রাল হাসপাতালে জুন মাসে একজন, এ্যাপোলো হাসপাতালে জুলাই মাসে একজন এবং ইউনাইটেডে হাসপাতালে জুলাই একজন ও ১২ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে একজন রোগী মারা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি আছে ৯৯ জন। এর মধ্যে বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে ৬৫ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে দুজন, ইউনাইটেডে হাসপাতালে সাতজন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চারজন, বারডেম হাসপাতালে একজন, হলি ফ্যামিলিতে নয়জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে একজন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে একজন, কর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চারজন, স্কয়ার হাসপাতালে ১১ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে সাতজন এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল হাসপাতালে নয়জন রোগী ভর্তি আছেন। অন্যদিকে আইইডিসিআর’র পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছরের গত ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩৪০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে আগস্ট মাসে ভর্তি হয়েছেন ৭২৭ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৪৩৭ জন। 
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার গতকাল মানবজমিনকে বলেন, সাধারণত জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তবে, জুলাই ও আগস্ট মাসে বেশি থাকে। কারণ এই সময়ে বর্ষার পানি জমে। কিন্তু এবার সেপ্টেম্বরেও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। পানি ৩ থেকে ৫ দিন একই স্থানে স্থির থাকলে সেখানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় মশার উপদ্রব বেশি বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজন রোগী মারা গেছে।  ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছেলের মারা যাওয়া প্রসঙ্গে ডা. আয়েশা আক্তার ‘নিউজে এসেছে’ উল্লেখ করে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা গেলে তারা সেটি হিসাবে রাখেন।
স্থাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ভর্তি হয়েছে ৩৭৩ জন, কেউ মারে যায়নি। ২০১৩ সালে ১৪৭৮ জন, ২০১২ সালে ১২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। ২০১১ সালে  ১৩৬২ জন, ২০১০ সালে ৪০৯ জন- এই সালে ছয়জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২০০৯ সালে ৪৭৪ জন, ২০০৮ সালে ১১৫৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসে।
ডেঙ্গু জ্বরের উৎস ও কারণ: চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহী রোগ। এই রোগের উৎস এডিস মশা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রধানত বর্ষার শুরুতে কিংবা শেষের দিকে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি ঘটে। এডিস ইজিপটাই ও এলবোপিকটাস নামক দুই প্রজাতির স্ত্রী মশা ডেঙ্গু জ্বরের বাহক। ডেঙ্গ ভাইরাসবাহী মশাটি যে সুস্থ মানুষকে কামড়াবে তার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হবে এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবে।
চিকিৎসকরা জানান, বাংলাদেশ ১৯৬৪ সালে সর্ব প্রথম ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়লেও ২০০০ সাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবদ্ধ পানি থেকে এই রোগের বাহক মশার উৎপত্তি। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা দিন দিন সচেতন হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি হওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে আসছে।

ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

টাঙ্গাইলে কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো ৬ জন। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতরা হলো কালিহাতী উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের ছানু শেখের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) ও কালিহাতী উপজেলার কালিয়া গ্রামের মুত ওসমান এর ছেলে  শামিম (৩২)। এ ঘটনায় তিন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার আঠারদানা ও হামিদপুর এলাকার ৪-৫শ’ লোক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কালিহাতী থানা ঘেরাওয়ের উদ্দেশে কলেজগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের বাকবিত-া হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে কালিহাতী থানার এসআই ফারুক, কনস্টেবল  লিয়াকত ও কনস্টেবল হারুন আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে পুলিশের হামলা চালায় ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারিরা দিকবিদ্গিক দৌঁড়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০-২৫ জন আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, ঘাটাইল উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে ২-৩ হাজার লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে থানার দিকে আসতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে একজন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল মারাত্মকভাবে আহত হন। বাধ্য হয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি। তিনি আরো জানান, মা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা হাফিজ উদ্দিন ও রোমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেমাকে তার ছেলের সামনে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে রোমার ভগ্নিপতি হাফিজ উদ্দিনের অপতৎপরতায় ওই মা-ছেলেকে ঘরে আবদ্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয়। 
সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

মুসলমানদের পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার দুই প্রধান মসজিদের সংরক্ষক সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। মসজিদুল আল-আকসাও মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।
বাদশা সালমান এই ঘটনার পরে টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওঁলাদ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সাথে কথা বলেছেন। বাদশা তাদের সাথে কথা বলে ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে তার উদ্বেগের কথা জানান। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সীর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাদশা সালমান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছেন আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলা বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার জন। তিনি প্যালেস্টাইনি জনগণ, পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে রক্ষা এবং প্যালেস্টাইনী জনগণের স্বাধীনতা মেনে নেওয়ার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।
বাদশা সালমান বলেন, ইসরাইলি এই হামলার জন্য ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্টের পাশাপাশি ধর্মীয় উগ্রবাদীদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে যা বর্তমান বিশ্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সৌদি সরকার এই জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে হামলার জন্য ইসরাইলি আগ্রাসনকে দায়ী করে বলেন, এর জন্য ইসরাইলকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে।

তারা ইসরাইলকে সর্তক করে বলে ইসরাইলি আগ্রাসনের কারনে মুসলমানদের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এই ধরনের হামলা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। সৌদি এক কর্মকর্তা সর্তক করে দিয়ে বলেন জায়ানবাদী রাষ্ট্রের এ ধরনের নিপীড়নমূলক কাজের জন্য এই পুরো অঞ্চলেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সেই কর্মকর্তা আল-আকসা মসজিদকে প্যালেস্টাইন থেকে আলাদা করার জন্য ইসরাইল চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সৌদি বাদশাকে এই সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি এও জানান যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে তিনি পবিত্র মসজিদ রক্ষার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন।
এই সপ্তাহে ইসরাইলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে হামলা চালায়। হামলার পরে পুরো আরব বিশ্বে ঐ হামলায় ইসরাইলের প্রতি নিন্দার ঝড় উঠে। মসজিদে হামলার পরে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসে।