শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পরকালের সত্যতা পেয়ে গেলো বিজ্ঞানীরা,

পরকালের সত্যতা পেয়ে গেলো বিজ্ঞানীরা,

পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন যে কাজকর্ম করে,তার একটা প্রতিক্রিয়া বিপরীত জগতে সৃষ্টি হওয়া বিপরীত সত্তার উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। পদার্থ বিজ্ঞানের রীতি অনুযায়ী এটি একটি চিরসত্য বিধান। কণিকা জগৎ বিষয়টি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে। 

          আধুনিক বিজ্ঞান দাবী করছে বস্তুজগতের পাশাপাশি সমান্তরালে বিপরীত জগৎ সৃষ্টি হয়ে আছে। আর সেই জগতে এ পৃথিবীতে যতো প্রকার সত্তা আছে,তার প্রতিটিরই বিপরীত সত্তা সৃষ্টি হয়ে বিদ্যমান আছে।অর্থাৎ আমাদের মানব সমাজের প্রত্যেকেরই একটি করে বিপরীত সত্তা তৈরী হয়ে আছে যাকে বলে identical twin.আগামীতে যতো মানুষ আসবে পৃথিবীতে,ঠিক ততোজনেরই বিপরীত সত্তা ঐ বিপরীত জগতে তৈরী হবে। 
           পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন যে কাজকর্ম করে,তার একটা প্রতিক্রিয়া বিপরীত জগতে সৃষ্টি হওয়া বিপরীত সত্তার উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। পদার্থ বিজ্ঞানের রীতি অনুযায়ী এটি একটি চিরসত্য বিধান। কণিকা জগৎ বিষয়টি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বস্তুজগৎ ও প্রতিজগৎ অবশ্যই বিদ্যমান আছে। কোরআনে বলা হয়েছেঃ
            “তিনি যথাযথভাবে (প্রতিটি বিষয়ে পরিমাপ ও পরিমাণের অনুপাত ঠিক করে) সমগ্র মহাবিশ্ব (বস্তুজগৎ ও প্রতিবস্তুজগৎ এ দু’ভাগে বিভক্ত করে) সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আয্‌ যুমার : ৫)
কোরআনে আরো বলা হয়েছেঃ 
“আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়(পৃথিবীর মানুষ এবং একই চেহারার পরকালের জন্য প্রতিবস্তু দিয়ে সৃষ্ট বিপরীত মানুষ )।”(সূরা আন্‌ নাবা : ৮ )
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে বিজড়িত আলোর কণার জোড় থেকে ১ টি ফোটন কণিকা আলাদা করে যদি দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে বিভিন্ন অবস্থায় নাড়া-চাড়া করা হয়,তাহলে অপর ফোটন কণিকাটিও একইভাবে নড়ে-চটে ওঠে। যদিও তাদের মধ্যে অনেক দূরত্ব বজায় থাকে।এতে প্রমাণিত হলো পৃথিবীর মানুষ যে ধরনেরই আমল করুক না কেন,সাথে সাথে তা বিপরীত জগতে সৃষ্ট তাঁরই বিপরীত সত্ত্বার উপর হুবহু প্রতিফলিত হবে।এতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ঘটবেনা।কারণ মানুষসহ প্রত্যেকটি জিনিসই এ মহাবিশ্বে আলোর কণা ফোটন দিয়েই সৃষ্টি হয়েছে মৌলিকভাবে।এ তথ্যও প্রমাণিত সত্য।
তাই এ কারণে এবং আরো অন্যান্য কারণেও বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন নিশ্চয় আবিষ্কৃত অদৃশ্য বস্তু ও শক্তি আমাদের বস্তুজগতে (দৃশ্যমান বস্তুর জগতে) এতো প্রভাবশালী হতে পারলে অবশ্যই তাদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা আমদের জগতের সমান্তরালে দৃশ্যমান বস্তুর বিপরীতে অদৃশ্য বস্তু ও শক্তি দিয়ে প্রতিবস্তুর জগৎ সৃষ্টি করে থাকবে।অদৃশ্য বস্তু ও শক্তির প্রভাব বিদ্যমান থাকায় আমরা সেই প্রতিজগতকে কখনো দেখতে পাবো না।
এ বিষয়ে আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরানে সূরা ‘নামল’-র ৬৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন এভাবে-
“বল আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কেউ মহাবিশ্বে অদৃশ্য বিষয়সমূহের পূর্ণ জ্ঞান রাখে না।”
প্রতিজগৎ বা পরজগৎ সম্পর্কে কুরান সূরা মুমিনের ৩৯ নং আয়াতে মানব জাতিকে অবহিত করেছে এভাবে-
“(মুমিন ব্যক্তিটি বললো) হে আমার সম্প্রদায়! বস্তুজগৎ (ইহজগৎ) তো হচ্ছে অস্থায়ী উপভোগের বস্তু আর পরকালই (প্রতিজগৎ) হচ্ছে স্থায়ী উপভোগের আবাস।”
সুতরাং এই বস্তুজগতে যারা আল্লাহ্‌র কথামতো জীবন চালাবে,তারা সফলতা লাভ করবে,আর তার বিনিময়ে চিরশান্তির জান্নাত পাবে।

 ফেসবুক ও টুইটারের দুই প্রধানকে আইএস  এর হুমকি

ফেসবুক ও টুইটারের দুই প্রধানকে আইএস এর হুমকি

ফেসবুক ও টুইটারের দুই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) হুমকি
দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম দুটিতে জঙ্গিবাদ-সংশ্লিষ্ট তথ্যের আদান-প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগে ক্ষুব্ধ হয়ে এমন হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিতে সন্ত্রাসীদের পোস্ট করা তথ্য ও ছবিসংবলিত উপকরণ জব্দের চেষ্টা গ্রহণের পর থেকে আইএসের হুমকি পাওয়াটা একটা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
আইএসের প্রকাশিত ২৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ ও টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসের পাশাপাশি দুটি ছবি দেখা যায়। এই ছবিতে বন্দুকের গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আইএসের সাম্প্রতিকতম ভিডিওতে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘যদি তোমরা আমাদের একটা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করো, তবে আমরা দশটা খুলব এবং শিগগিরই তোমাদের শেষ করার পর নাম মুছে ফেলব। আমরা যা বলি তা যে সত্যি, সেটা তোমরা দেখতে পারবে।’
ভিডিওতে দাবি করা হয়, ফেসবুকের ১০ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও রয়েছে দেড় শ ফেসবুক গ্রুপ ও পাঁচ হাজার টুইটার প্রোফাইল।
টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেন, এ রকম হুমকি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হওয়ায় এই ভিডিওর কোনো সাড়া দেবেন না তাঁরা। তবে এমন কতগুলো হুমকি প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এই হুমকির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা উইলসন এনজি বলেন, টুইটার সদর দপ্তরের বিরুদ্ধে কোনো ‘বিশ্বাসযোগ্য হুমকির’ ব্যাপারে তাঁর জানা নেই।
প্রসঙ্গত, অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলার উপায় নিয়ে গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাঁরা বৈঠক করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ফেসবুক ও টুইটারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সূত্র-বিডি নিউজ ডেস্ক।