কোরবানির ঈদের আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিম্ন পর্যায়ে ১১৭১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া রবিবার এ-সংক্রান্ত ফাইলে সই করেছেন। তিনি বলেন, কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে ১১০০ পুলিশ সদস্য এএসআই হয়েছেন। এ ছাড়া সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) পদে থাকা ২৮ জনকে পদোন্নতি দিয়ে টাউন উপপরিদর্শক (টিএসআই) করা হয়েছে। আর সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) হয়েছেন ৪৩ জন। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লোকবল বাড়াতে গত ৬ সেপ্টেম্বর সাত হাজার ১৩৯টি নতুন পদ সৃষ্টি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি উদ্ধার ।
দুবাই থেকে আসা কনটেইনারভর্তি ভারতীয় মুদ্রা জব্দের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক চোরাচালন চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক ড. মঈনুল ইসলাম খান। তবে গোয়েন্দাদের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মূলত দুবাই হয়ে শ্রীলংকার কলম্বো সমুদ্র বন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আসা এই চালানটির গন্তব্য বাংলাদেশ নয়, ভারতই হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা।
জব্দ করা কনটেইনার থেকে উদ্ধারকৃত রুপি গণনা করে দেখা গেছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি। তবে এসব রুপি জাল না আসল তা সনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মেশিন আনা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় আসল রুপির যে ২৯ টি চিহ্ন থাকে তার মধ্যে সব কটি নোটে ২৭টি চিহ্ন সঠিক থাকলেও ২টি মিলছে না।
সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান এ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, দুবাইয়ের জাবেল আলী পোর্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর চালানটি শিপমেন্ট হয়ে ট্রানজিটের জন্য কলম্বো বন্দর পৌঁছে। সেখান থেকে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ১৬ সেপ্টেম্বর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানের একটি কন্টেইনার আটক করা হয়েছে। কন্টেইনারের ৪টি কার্টনে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া গেছে। কন্টেইনার করে ভারতীয় মুদ্রা আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত আছে বলে মনে করছি। চালানটি দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এটা বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যেত। সুতরাং এর সঙ্গে একাধিক চক্র জড়িত আছে। জড়িত চক্রগুলোকে তদন্তের মাধ্যমে তুলে আনার চেষ্টা করা হবে।
গোয়েন্দা একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় রুপিগুলো দুবাই থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ভারতেই চলে যেতো।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, এ ঘটনায় চালানটি খালাসে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফ্লাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মো. শামীমুর রহমানসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসা শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, এ ঘটনায় চালানটি খালাসে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফ্লাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মো. শামীমুর রহমানসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসা শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ড.মঈনুল ইসলাম খান আরো বলেন, মুদ্রাগুলো বৈধ কাজে ব্যবহারের জন্য আসেনি। এমনিতে জাল নোট নিষিদ্ধ। আর এভাবে মুদ্রা আনারও নিয়ম নেই। জড়িত চক্রটি এভাবে মুদ্রা আনা-নেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। কন্টেইনারগুলোতে মুদ্রা ছাড়াও আরও কিছু থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বন্দরের ৮ নম্বর ইয়ার্ডে দুবাই থেকে আসা একই মালিকের চারটি কনটেইনারের মধ্যে একটি কনটেইনার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর রাতে কনটেইনার থাকা ১৬৫টি কার্টনের মধ্যে একটি কার্টন খোলা হয়। সেটিতে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যায়। পরে দুপুরে সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে কনটেইনারে থাকা চারটি কার্টন খুললে সেখানে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সবগুলো কার্টন ও অন্য তিনটি কনটেইনারেই ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যাবে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুবাই থেকে কলম্বো বন্দর হয়ে একটি চালানে চারটি কন্টেইনার আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। মনরুভিয়ার পতাকাবাহী ‘প্রোসপা’ নামের একটি জাহাজে করে এই চালানটি আসে। দুবাই থেকে হাটহাজারীর বাসিন্দা শাহেদুজ্জামান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফ্লাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে চালনটি চট্টগ্রামে পাঠান।
মোবাইল অ্যাপ্সে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস
ফলে মাটি হঠাৎই থরথর করে কেঁপে উঠে, হুড়মুড়িয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে, চাপা পড়েন লক্ষ-লক্ষ মানুষ। আগেভাগে আঁচ পেয়ে তারা পালাতে পারেন না বলে। তাই ভূমিকম্পের অনিবার্য পরিণতি হয়ে দাঁড়ায় মৃত্যুর মিছিল।
এবার কি সেই অনিবার্য পরিণতি থেকে কিছুটা রেহাই মেলার হাতিয়ার মানুষের হাতে আসে গেল? অন্তত মিনিটখানেক আগে কি এবার আমরা জানতে পারব, ভূমিকম্পে কখন আমাদের ঘর-বাড়ি থরথর করে কেঁপে উঠতে চলেছে?
হয়তো পারব। এই আশা জুগিয়েছে মেক্সিকোয় সদ্য-আবিস্কৃত দুটি মোবাইল-অ্যাপ্স-‘স্কাইঅ্যালার্ট’ ও ‘অ্যালার্টা সিসমিকা ডিএফ’। এই দুটি অ্যাপ্স দেড়-দু’হাজার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সব স্মার্টফোনেই ‘সিগন্যাল’ পাঠিয়ে দেবে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে।
ভূকম্পণ যদি প্রথম অনুভূত হয় এমনকি হাজার দুই কিলোমিটার দূরের কোনো জায়গাতেও, তাহলেও বড়জোর দুই সেকেন্ড সময় লাগবে ওই অ্যাপের। ওই দুই সেকেন্ডের মধ্যেই দুই হাজার কিলোমিটার দূরে বসেও জানা যাবে আর মিনিটখানেকের মধ্যে আমার-আপনার ঘর-বাড়ি ভূকম্পণে দুলে উঠবে কি না।
সেই ‘সিগন্যাল’টা কেমন হবে?
আমার-আপনার মোবাইলে আসবে একটি ‘অ্যালার্ট-কল’। যাতে শুনবেন ‘শিগগিরই ভূমিকম্প হতে পারে’। তার পর মোবাইলে আসবে একটি ‘টেক্সট মেসেজ’। তাতে জানিয়ে দেওয়া হবে আসন্ন ভূকম্পণের মাত্রা কতটা। তা দুর্বল না শক্তিশালী। সম্প্রতি এই দুটি মোবাইল-অ্যাপ্স চালু হয়েছে মেক্সিকোয়। কিন্তু এরই মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওই দুটি অ্যাপ্স। ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ওই দুটি অ্যাপ্স এখন ব্যবহার করছেন।
ফোনের চার্জ অন্তত ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।
যখন ফোনের স্ক্রিন লক করা থাকে। আপনি জানতেও পারেন না, আপনার স্মার্টফোনের চার্জ কখন নিঃশব্দে শেষ হতে থাকে। তাই বৈজ্ঞানিকরা এবার এমন এক অ্যাপ বানিয়েছেন, যা আপনার ফোনের চার্জ অন্তত ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।
অ্যাপটির নাম দিয়েছেন হাশ (Hush)। এই প্রথম এত বড় পরিসরে ব্যাটারি খরচ করে কোন কোন অ্যাপ তা নিয়ে সমীক্ষা হল। ইনটেল কর্পোরেশনের অধীনস্ত সংস্থা অন্তত ২০০০ টি স্যামসং গ্যালাক্সি এস ৩, এস ৪ হ্যান্ডসেটের উপর সমীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছে, অ্যাপটি কার্যকরী। ৬১টি দেশের ১৯১ মোবাইল অপারেটরের কানেকশন সমৃদ্ধ হ্যান্ডসেটে অ্যাপটি সত্যি সত্যি ব্যাটারি বাঁচিয়েছে।
হাশ আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যে যে অ্যাপগুলো অজান্তেই চলছে সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়। ফোনটি লক করে দিলেই ‘হাশ’ ফোনকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেবে।গুগল প্লে স্টোরে আর কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে অ্যাপটি।
হাশ আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যে যে অ্যাপগুলো অজান্তেই চলছে সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়। ফোনটি লক করে দিলেই ‘হাশ’ ফোনকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেবে।গুগল প্লে স্টোরে আর কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে অ্যাপটি।