শাহরুখের লাক্সারি বাসে যা আছেবলিউড বাদশা শাহরুখ খান এবার বাদশাহর মতোই কাজ করলেন। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা দিয়ে একটি বিলাসবহুল বাস কিনে নিয়ে আসলেন। এখন সেটি শাহরুখের গ্যারেজে। ১৪ মিটার লম্বা বাসটিতে রয়েছে চারটি রুম। মিটিং রুম, বেড রুম, টয়লেট এবং মেকআপ ও চেঞ্জরুম। যদি আরো একটি ঘরের প্রয়োজন হয় তবে আরো একটি রুম বাড়ানো যাবে। প্রতিটি ঘরে ওয়াই ফাই সিস্টেম এবং অ্যাপেল টিভি রয়েছে। স্যাটেলাইট টিভিসহ তিনটি ফোরকে টেলিভিশন আছে। অসাধারণ একটি সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে। যেটির আউটপুট সাউন্ড প্রায় চার হাজার ওয়াট। বাসের টয়লেটে এমন যন্ত্রপাতি আছে যেগুলো বাদশাকে পানিতে ভিজিয়ে স্নান করাবে। আবার গা মুছিয়েও দেবে। আর রান্না ঘরটিতে রয়েছে হাজার রকমের চা কফির ব্যবস্থা। রয়েছে একটি মাইক্রো ওয়েভ। উল্লেখ্য, বাসটির ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করেছে বিখ্যাত হলিউডি সংস্থা ডিসি স্টুডিও।
মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা করতে চেয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী
১৯৮০ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরে এসে পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটিগুলির ওপর সামরিক আঘাত হানতে চেয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। যাতে, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র না তৈরি করতে সমর্থ হতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৈরি হওয়া “ইন্ডিয়াজ রিঅ্যাকশন টু নিউক্লিয়ার ডেভেলপমেন্টস ইন পাকিস্তান”— শীর্ষক সিআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বেচার জন্য অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এবছরের জুন মাসে সিআইএ-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়া ১২-পাতার ওই ‘ডিক্লাসিফায়েড’ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি জানতে পেরেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে ইসলামাবাদ আর বেশি দূরে নেই। কারণ, সেই সময়ে পাক প্রশাসন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্লুটোনিয়াম এবং এনরিচড (সমৃদ্ধ) ইউরেনিয়াম জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৈরি হওয়া “ইন্ডিয়াজ রিঅ্যাকশন টু নিউক্লিয়ার ডেভেলপমেন্টস ইন পাকিস্তান”— শীর্ষক সিআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বেচার জন্য অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এবছরের জুন মাসে সিআইএ-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়া ১২-পাতার ওই ‘ডিক্লাসিফায়েড’ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি জানতে পেরেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে ইসলামাবাদ আর বেশি দূরে নেই। কারণ, সেই সময়ে পাক প্রশাসন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্লুটোনিয়াম এবং এনরিচড (সমৃদ্ধ) ইউরেনিয়াম জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
তাই দেশের আগাম সুরক্ষা হিসেবে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান করার কথা ভাবছিলেন ইন্দিরা। সিআইএ নিজেদের রিপোর্টে লিখেছিল, আগামী দু-তিন মাসে যদি পরিস্থিতি না পাল্টায় তাহলে ইন্দিরা হয়ত পাকিস্তানে আঘাত হানবেন। যদিও, পাকিস্তানে হামলা করা থেকে নিজেকে পরে বিরত রাখেন ইন্দিরা গাঁধী।
তার পরিবর্তে ইন্দিরা গান্ধী নিজের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি লক্ষ্যের সিদ্ধান্ত নেন। যার প্রেক্ষিতে, ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থানে থর মরুভূমিতে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ৪০-কিলোটন শক্তির পরমাণু পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে যায় ভারত। সিআইএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান পরমাণু পরীক্ষা করার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতও পরীক্ষা করবে।
তবে, পাকিস্তানও তখন পরীক্ষা না করায়, ভারতও করেনি।
সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ছোটখাটো যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান দলবীর সিং। ১৯৬৫-র পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ নিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'এখনকার যুদ্ধের প্রকৃতি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। কোনো রকম হুঁশিয়ারি ছাড়াই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই যুদ্ধের পরিস্থিতির জন্য সব সময় তৈরি থাকাই এখন ভারতীয় সেনার অন্যতম কৌশল।'
দলবীরের কথায়, 'আগের থেকে চ্যালেঞ্জ অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছে। সীমান্তজুড়ে তাই সেনাবাহিনীর কার্যকলাপও অনেকটাই বেশি। কারণ ঘনঘন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হচ্ছে। জঙ্গি অনুপ্রবেশের নিত্য নতুন পন্থা চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত জম্মু-কাশ্মীর এবং ভারতের আরো নানা প্রান্তে নাশকতা চালাতেই এটা করা হচ্ছে।'
সেমিনারে প্রাক্তন শহীদদের তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান।
শরীর থেকে অঙ্গ খুলে বিক্রি! চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল সংস্থাগুলো!
শুধু মুক্তিপণ আদায় নয়, পাচার হওয়া মানুষের অঙ্গও বিক্রি করা হয় থাইল্যান্ডে। নৌকা থেকে নামানোর পর প্রথমেই পাচার হওয়াদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। ম্যাচিং হলে, চাহিদা অনুসারে কিডনি, লিভার, চোখসহ অন্যান্য প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ বিক্রি করে দেয়া হয়।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের শংখলা প্রদেশের গণকবরগুলোতে পাওয়া মৃতদেহের ময়নাতদন্তে এ বিষয়টি উঠে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী নৌকায় পাচার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিক সোহেল জানান, থাইল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছুলে, নৌকা থেকে নামিয়ে সবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এরপর চাহিদা অনুযায়ী কিডনি ও চোখের অবস্থা বুঝে সেসব লোকদের আলাদা করে রাখা হয়।
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা আর্ন্তজাতিক সংস্থা তেনাগানিতার সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক প্রোগ্রাম অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, পাচারকারীদের অন্যতম লাভের জায়গা হচ্ছে মানবদেহের অঙ্গ বিক্রি। অনেক সময় মুক্তিপণের টাকা দিয়েও ছাড়া পায় না মানুষ। কারণ দেখা যায়, তার রক্ত, কিডনি বা চোখের ম্যাচিং হয়েছে চাহিদানুযায়ী।
তিনি জানান, ২০১০ সালে তেনেগানিতাতে পাচার হওয়া ৩ জন বাংলাদেশির কিডনি বিক্রির কেস আসে তেনেগানিতাতে। কিন্তু পরবর্তীতে এদের আর চিহ্নিত করা যায়নি। কারণ বিক্রি হয়ে যাওয়াদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। অথবা এরা মারা যায়।
জানা যায়, থাইল্যান্ড ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের সেরা হাসপাতালগুলোতে প্রতিস্থাপনের জন্য পৌছে যায় এসব মানব অঙ্গ। পৃথিবীতে শুধু ইরানে মানবদেহের অঙ্গ বিক্রিকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। ফলে ইরানেও পাঠানো হয় সুস্থ অঙ্গের মানুষদের। এছাড়াও জাপান, ইতালি, ইসরাইল, কানাডা, তাইওয়ান, আমেরিকা এবং সৌদি আরবে স্বাস্থ্যকর অঙ্গ বিক্রি করা হয়।
২০১২ সালের গ্লোবার অবসারভেটরি অন ডোনেশন অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশনের তথ্যানুযায়ী মানবদেহের সবচেয়ে বেশি প্রতিস্থাপিত অঙ্গ কিডনি। যা বিশ্বজুড়ে মোট প্রতিস্থাপিত অঙ্গের ৬৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে লিভার ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ, লাঞ্জ ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, অগ্নাশয় ২ দশমিক ১১ শতাংশ, ছোট পেট ০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
নৌকায় পাচার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, থাইল্যান্ডে পাচারকারী দালালদের সঙ্গে কয়েকজন চিকিৎসকও থাকেন। যারা রক্ত পরীক্ষা করান এবং তাদের ল্যাবে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সম্পন্ন করেন। এসব চিকিৎসকদের বেশিরভাগই চীন ও তাইওয়ানের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর মানবদেহের ১০ হাজারের ওপর অঙ্গ পাচার হয়। যা প্রতিস্থাপন করা মোট অঙ্গের ১০ শতাংশ।
দ্যা রেড ক্রস অর্গান ডোনেশন সেন্টারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত শুধু থাইল্যান্ডেই ৪ হাজার ৩২১ জন অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় ছিলেন। এর মধ্যে ৫৮১ জন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য।
এ কারণেই মুক্তিপণ পাওয়ার আশা না থাকলেও সামান্য অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের নৌকায় তোলা হয়। কারণ অঙ্গ বিক্রির সুযোগটি খোলা থাকে। আর সুস্থ কিডনি বা অঙ্গের মানুষকে প্রয়োজনে নিয়ে যাওয়া হয়, প্রতিস্থাপন করা দেশে।
আশিক বলেন, গত ২ বছরে মানব অঙ্গ বিক্রির অভিযোগ এসেছে ১০ বারের মতো। এগুলোর বেশিরভাগই প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা। কারণ, কিডনি খুলে নেয়া মানুষগুলো সাধারণত সেখানেই মারা যান।
সৌদি আরবের জমজমের পানির রহস্য উন্মোচন করলেন জাপানী বিজ্ঞানী
সৌদি আরবের জমজমের পানির রহস্য উন্মোচন করলেন জাপানী বিজ্ঞানী ।
বিজ্ঞান এর সূচনালগ্নের অনেক পরে জমজমের পানি সম্পর্কে নতুন রহস্য প্রকাশ করেছে এবং এটা কিভাবে গৌরবময় কোরানের আয়াত দ্বারা প্রভাবিত হয়। আপনি আশ্চর্য হবেন! আমরা সাম্প্রতিককালে মাদুলীর বা তাবিজের ব্যবহারের মূল্য বুঝতে সমর্থ হয়েছি। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত হয়েছে যে পান যোগ্য পানির উপরে যা পাঠ করা হয় তা দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হয়।
জাপানের বিজ্ঞানী মাশারো ইমোটোর একটি অনন্য অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি বইতে পড়েছেন যে আকাশ থেকে পড়া তুষার কনা হচ্ছে অনন্য। তিনি বলেছেন যে তার বৈজ্ঞানিক অনুভূতি তাকে বলেছিল যে এটা সত্য হতে পারে না। তুষার কনার জ্যামেতিক আকার এর রাসায়নিক গঠন দ্বারা নির্ধারিত হয়। পানির গঠন সু-পরিচিত। দুইটি হাইড্রোজেন পরমানু ও একটি অক্সিজেন পরমানু দ্বারা এটা গঠিত হয়।
তাই আকাশ থেকে পড়া তুষার কনাগুলো একে অন্যের থেকে আলাদা কিভাবে হতে পারে? তিনি বলেছেন, “আমি দৃঢ় মানষিকতা বদ্ধ ছিলাম যে এই তত্ত্বকে কিভাবে ভুল প্রমানিত করব।” তিনি একটি গবেষনাগার তৈরি করেছিলেন যাতে একটি রেগুলেটরসহ একটি ডিপ ফ্রিজার ছিল। যেহেতু কোন তরল পদার্থ যদি হঠাৎ করে জমাটবদ্ধ করা হয় তাহলে একটি জ্যামেতিক আকার গ্রহণ করতে পারে না।
জমাট বাধা অবশ্যই ধীরে হতে হবে যাতে করে পরমানুগুলো বিধাতা দ্বারা নির্ধারিত আকারে স্ফটিকায়ন হবার সুযোগ লাভ করে। একটি রেগুলেটরসহ একটি ডিপ ফ্রিজার ছিল। মাইনাস (-৭ ) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি ঠান্ডা কক্ষ এবং ক্যামেরা দ্বারা সুসজ্জিত কতগুলি অনুবীক্ষন যন্ত্র ছিল যাতে করে তুষার কনা গলে যাওয়ার আগে এগুলোর আলোকচিত্র গ্রহণ করা যায়।
বিজ্ঞানীরা এই কক্ষে গরম কাপড় পরে কাজ করা শুরু করে। তিনি বলেছিলেন, “আমি গবেষনাগারে দুইটি নলের থেকে নমুনা নিয়েছিলাম, আমি এদেরকে জমাট করি, এবং প্রতিটি নমুনা আমাকে একটি আলাদা তুষার কনা দিয়েছিল।
নমুনাগুলি দুইটি আলাদা কুপের থেকে, দুইটি আলাদা নদীর থেকে এবং দুইটি আলাদা হ্রদের থেকে গ্রহণ করেছিলাম। আমি পাগল হয়ে গেছিলাম এবং ভেবেছিলাম এটি একটি যাদু মন্ত্র।” টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নরত একজন সৌদি ছাত্রের সাথে তার হঠাৎ করে দেখা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে কি ভুল হয়েছে। মাশারো তাকে তার সমস্যা সম্পর্কে বলে।
ছাত্রটি তাকে বলে যে, “আমাদের আর্শীবাদ পুষ্ট পানি আছে যাকে জমজমের পানি বলে। আমি আপনাকে এই পানির একটি নমুনা দেব যাতে করে আপনি এর উপর পরীক্ষা চালাতে পারেন। জমজমের পানি যাদু মন্ত্র বা জীন দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাই এটা ব্যবহার করা হলে এটা সমগ্র তত্ত্ব প্রমান বা মিথ্যা সাব্যস্থ করবে।” ইমোটো জমজমের পানির একটি নমুনা নিলেন এবং বললেন, “আমি এটাকে স্ফটিকায়ন করতে পারি নি, এমনকি পর্যন্ত পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করার পরেও।” অন্য কথায় তিনি ১ ঘন সেন্টিমিটিারকে ১ লিটারে রূপান্তর করেন।
তিনি বলেন যে তিনি যখন পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করেন এবং জমাটবদ্ধ করেন তিনি তখন একটি অনবদ্য আকারের স্ফটিক লাভ করেন। দুইটি স্ফটিক গঠিক হয় একটি অপরটির উপরে, কিন্তু এগুলি একটি অনন্য আকার গ্রহন করে। যখন তিনি তার মুসলিম সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন কেন দুটো স্ফটিক হলো তিনি তাকে বলেন যে যেহেতু জমজম দুইটি শব্দ দ্বারা গঠিত, “জম এবং জম”। মাশারো ইমোটো বলেন, “আমার মুসলিম সহকর্মী পানির উপর কোরআনের আয়াত পাঠ করার প্রস্তাব দেয়”।
সে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে আসে এবং কতগুলি কোরআনের আয়াত বাজায় এবং আমরা সবচাইতে নিখুত আকৃতির স্ফটিক লাভ করি। তার পরে সে আল্লাহ (সর্বশক্তিমান) এর ৯৯টি নাম বাজায়। প্রতিটি নাম একটি অনবদ্ধ আকারের স্ফটিক তৈরি করে। যখন ডাক্তার ইমোটো এইসব পরীক্ষা সম্পন্ন করেন যা ১৫ বছর স্থায়ী হয়েছিল তিনি একটি ৫ খন্ডের বই নির্মান করেন যার নাম হচ্ছে “পানির থেকে বার্তা”। তিনি লেখেন, “আমি প্রমান করেছি যে পানি, ঐ বিশেষ তরলটি চিন্তা করার, মাপার, বোধ করার, উত্তেজিত হওয়ার এবং নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে”।
ডাক্তার মাশারো ইমোটো নিম্নোক্তভাবে লিখেছেন, জমজম পানির গুণ/বিশুদ্ধতা এই পৃথিবীর অন্য কোথাও পানিতে এর যে গুণ আছে তা পাওয়া যাবে না। তিনি নানো নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, এবং জমজম পানির উপর প্রচুর গবেষনা করেন এবং দেখতে পান যে যদি জমজম পানির ফোটা নিয়মিত পানির ১০০০ ফোটাতেও মিশ্রিত হয় তবুও নিয়মিত পানি জমজম পানির মত সমান গুণ লাভ করবে।
তিনি আরো দেখতে পান যে জমজম পানির এক ফোটাতে একটি খনিজ পদার্থের এর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে যা এই পৃথিবীর অন্যকোন পানিতে পাওয়া যাবে না। তিনি কিছু পরীক্ষাতে দেখতে পান যে জমজম পানির গুণ বা উপকরণ পরিবর্তন করা যায় না, কেন, বিজ্ঞান এর কারণ জানে না। তিনি এমনকি পর্যন্ত জমজম পানির পুন-প্রক্রিয়াজাত করেন, কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় নি, এটা বিশুদ্ধ ছিল। এই বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে মুসলমানেরা খাওয়া বা পান করার আগে বিসমিল্লাহ বলে। তিনি বলেন যে নিয়মিত পানিতে বিসমিল্লাহ বলা হলে এর ফলে নিয়মিত পানির গুণে কতগুলি অদ্ভুতপরিবর্তন ঘটে।
এর ফলে এটা সবোর্ত্তম পানি হয়। তিনি আরো দেখতে পান যে যদি নিয়মিত পানির উপর কোরআন পাঠ করা হয় তা হলে এটা বিভিন্ন ব্যাধি চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা লাভ করে। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয় আল্লাহর এটা একটি কুদরত। জমজম পানি পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০.৬ ফুট নিচে এটা আল্লাহর কুদরত যে জমজম ক্রমাগত প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার হারে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে পাম্প করা হয় তখন পানির পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ৪৪ ফুট নিচে নেমে যায়, কিন্তু যখন পাম্প করা বন্ধ করা হয় তখন পর্যায় দ্রুত ১১ মিনিট পরে আবার ১৩ ফুট উচ্চতায় ফিরে আসে।
প্রতি সেকেন্ড ৮০০০ লিটার অর্থ হল ৮০০০ x ৬০ = ৪,৮০,০০০ লিটার প্রতি মিনিটে, প্রতি মিনিটে ৪,৮০,০০০ লিটারের অর্থ হল ৪,৮০,০০০ x ৬০ = ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার প্রতি ঘন্টায় এবং প্রতি ঘন্টায় ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার মানে হচ্ছে ২৮৮০০০০০ x ২৪ = ৬৯১.২ মিলিয়ন লিটার প্রতি দিনে। তাই তারা ২৪ ঘন্টায় ৬৯০ মিলিয়ন লিটার জমজম পানি পাম্প করে, কিন্তু এটা কেবলমাত্র ১১ মিনিটে আবার পূর্ণ হয়। এখানে দুইটা কুদরত আছে, প্রথমটি হলো জমজম দ্রুত পুনর্ভর্তি হয় এবং দ্বিতীয় হলো আল্লাহ অসামান্য শক্তিশালী একুফার ধারণ করেন যা কুপের বাইরে কোন অতিরিক্তজমজম পানি নিক্ষেপ করে না। অন্যথায় পৃথিবী ডুবে যেত।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন যে, “আমরা তাড়াতাড়ি তাদেরকে বিশ্ব ভ্রমান্ডে আমাদের চিহ্ন দেখাব এবং তাদের নিজস্ব আত্মায় আমাদের চিহ্ন দেখাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা তাদের কাছে পরিষ্কার হয় যে এটা হচ্ছে সত্য। এটাকি আপনার প্রভু সম্পর্কে যথেষ্ট না যে তিনি সকল জিনিসের উপরে একজন স্বাক্ষী?”
রাসুল (সঃ) এর সাক্ষাৎপ্রাপ্ত বেচে থাকা একমাত্র সাহাবী গাছ। (ভিডিও সহ)
রাসুল (সঃ) এর সাক্ষাৎপ্রাপ্ত বেচে থাকা
একমাত্র
একমাত্র
সাহাবী গাছ ।
আজো বেঁচে আছে বিস্ময়কর ১৫০০ বছর আগের রাসুল (সঃ) এর সাক্ষাৎপ্রাপ্ত বেচে থাকা একমাত্র সাহাবী গাছ। ইংরেজিতে এ গাছকে বলা হয় The Blessed Tree. শুনতে অবাক লাগলেও কিন্তু বেঁচে আছে গাছটি।
পৃথিবীতে এত পুরনো কোনো গাছ এখনো বেঁচে আছে তা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও কিন্তু সত্যি। সাহাবি গাছ এমনই একটি গাছ যে গাছটি অবিশ্বাস্যভাবে শত বর্গ কিলোমিটারজুড়ে মরুভূমিতে গত ১৫০০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। দেখতে খুবই সুন্দর গাছটি।
মরুভূমির রুক্ষ পরিবেশের কারণে জন্ম থেকেই গাছটি ছিল পাতাহীন শুকনো কিন্তু একসময় আল্লাহর হুকুমে গাছটি সবুজ পাতায় ভরে উঠে এবং আজ পর্যন্ত গাছটি সবুজ শ্যামল অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
অবিশ্বাস্য এই গাছটি জর্ডানের মরুভূমির অভ্যন্তরে সাফাঈ এলাকায় দণ্ডায়মান। জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ সর্বপ্রথম এই স্থানটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে ঘোষণা দেন।
৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বয়স তখন ১২ বছর, তিনি তার চাচা আবু তালিবের সঙ্গে বাণিজ্য উপলক্ষে মক্কা থেকে তৎকালীন শাম বা সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
যাত্রাপথে তারা সিরিয়ার অদূরে জর্ডানে এসে উপস্থিত হন। জর্ডানের সেই এলাকাটি ছিল শত শত মাইলব্যাপী বিস্তৃত উত্তপ্ত বালুকাময় এক মরুভূমি। মোহাম্মদ (সা.) এবং তার চাচা আবু তালিব মরুভূমি পাড়ি দেয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
তখন তারা একটু বিশ্রামের জায়গা খুঁজছিলেন। কিন্তু আশপাশে তারা কোনো বসার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চারদিকে যত দূর চোখ যায় কোনো বৃক্ষরাজির সন্ধান পাচ্ছিলেন না।
কিন্তু দূরে একটি মৃতপ্রায় গাছ দেখতে পেলেন তারা। উত্তপ্ত মরুভূমির মাঝে গাছটি ছিল লতাপাতাহীন শীর্ণ ও মৃতপ্রায়। উপায় না পেয়ে তারা মরুভূমির উত্তাপে শীর্ণ পাতাহীন সেই গাছটির তলায় বিশ্রাম নিতে বসেন।
উল্লেখ্য, রাসূল মোহাম্মদ (সা.) যখন পথ চলতেন তখন আল্লাহর নির্দেশে মেঘমালা তাকে ছায়া দিত এবং বৃক্ষরাজি তার দিকে হেলে পড়ে ছায়া দিত।
মোহাম্মদ (সা.) তার চাচাকে নিয়ে যখন গাছের তলায় বসেছিলেন তখন তাদের ছায়া দিতে আল্লাহর নির্দেশে মৃতপ্রায় গাছটি সজীব হয়ে উঠে এবং গাছটির সমস্ত ডালপালা সবুজ পাতায় ভরে যায়।
সেই গাছটিই বর্তমানে সাহাবি গাছ নামে পরিচিত। এ ঘটনা দূরে দাঁড়িয়ে জারজিস ওরফে বুহাইরা নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রি সবকিছু দেখছিলেন।
আবু তালিব মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে পাদ্রীর কাছে গেলে তিনি বলেন, আমি কোনোদিন এই গাছের নিচে কাউকে বসতে দেখিনি।
পাদ্রী বলেন, গাছটিও ছিল পাতাহীন কিন্তু আজ গাছটি পাতায় পরিপূর্ণ। এই ছেলেটির নাম কি? চাচা আবু তালিব উত্তর দিলেন মোহাম্মদ! পাদ্রী আবার জিজ্ঞাসা করলেন, বাবার নাম কি? আব্দুল্লাহ!, মাতার নাম? আমিনা!
বালক মোহাম্মাদকে (সা.) দেখে এবং তার পরিচয় শুনে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকি রইল না যে, এই সেই বহু প্রতীক্ষিত শেষ নবী মোহাম্মদ। চাচা আবু তালিবকে ডেকে পাদ্রী বললেন, তোমার সঙ্গে বসা বালকটি সারা জগতের সর্দার, সারা বিশ্বের নেতা এবং এই জগতের শেষ নবী।
তিনি বলেন, আমি তার সম্পর্কে বাইবেলে পড়েছি এবং আমি ঘোষণা দিচ্ছি, এই বালকটিই শেষ নবী।
চাচা আবু তালিব ও মহানবী (সা.) যেই গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিয়েছিলেন সেই গাছটি ১৫০০ বছর আগ যে অবস্থায় ছিল আজো সেই অবস্থায় জর্ডানের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে।
গাছটি সবুজ লতা-পাতায় ভরা এবং সতেজ ও সবুজ। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, গাছটি যেখানে অবস্থিত তেমন মরুদ্যানে কোনো গাছ বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। গাছটির আশপাশের কয়েকশ’ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আর কোনো গাছ নেই।
গাছটির চারিদিকে দিগন্ত জোড়া শুধুই মরুভূমি আর মরুভূমি। উত্তপ্ত বালুকাময় মরুভূমির মাঝে গাছটি দাঁড়িয়ে থেকে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে মহানবী রাসূল মোহাম্মদের (সা.) স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রেখেছে, যা আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি ক্ষমতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। সূত্র : ইন্টারনেট
সেলফি নিষিদ্ধ ভারতের কুম্ভমেলায়
ভারতে মহারাষ্ট্রের নাসিকে কুম্ভমেলা উপলক্ষে যে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীর সমাগম হচ্ছে, সেখানে সম্ভাব্য ভিড়ের জায়গাগুলোতে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভিড়ের চাপে মানুষ যাতে পদদলিত না-হয় কিংবা হুড়োহুড়ির মধ্যে মাটিতে না-পড়ে যায়, সে জন্যই কোনও কোনও জায়গায় সেলফি তুলতে মানুষকে বারণ করা হয়েছে।
নাসিক ও ত্রিম্বকেশ্বরে নদীর ঘাটগুলোতে – যেখানে এখন কুম্ভমেলা চলছে – তার অনেকগুলোতেই ‘নো সেলফি জোন’-এর পোস্টার পড়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে।
সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করার আগে অন্তত ১০০জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে এই ছবি তুলতে গিয়ে মানুষ কী কী ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
কুম্ভাথন নামে একটি অনলাইন ফোরাম মেলার আয়োজেন প্রশাসনকে সাহায্য করছে, তার প্রধান কর্মকর্তা সন্দীপ শিন্ডে বলছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে সেলফি তুলতে গিয়ে মানুষ প্রবল ভিড়ের মধ্যেও অনেক সময় থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন।
তা ছাড়া ‘ভাল অ্যাঙ্গেল’ থেকে সেলফি তোলার জন্য তারা অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায় উঠে পড়তেও দ্বিধা করেন না।
চলতি মাসের ১৩ ও ১৮ তারিখে নাসিকে এবং ১৩ ও ২৫ তারিখে ত্রিম্বকেশ্বরের ঘাটে সন্ন্যাসীদের পুণ্যস্নান বা শাহী স্নান উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাসিকের পুর কমিশনার প্রবীণ গেদাম জানিয়েছেন, শাহী স্নানের দিনগুলোতেই তারা সেলফির ওপর নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে কঠোরভাবে প্রয়োগ করবেন। অন্য দিনগুলোতে অবশ্য নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল থাকবে।
দেড় মাস আগে নাসিক ও ত্রিম্বকেশ্বরে কুম্ভমেলা শুরু হওয়ার পর সেখানে এ পর্যন্ত প্রায় তিরিশ লক্ষ লোক-সমাগম হয়েছে বলে প্রশাসন জানাচ্ছে। তবে এর আগে কোনও কুম্ভতেই সেলফি-র ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না।
ঢাকায় প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেছেঃ তোলপাড় ফেসবুক ।
বেশিরভাগ ছবিতেই দেখা যায় জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় তীব্র যানজট, গাড়ি নিশ্চল অবস্থায় পড়ে আছে। বাস গাড়ি রিকশা অর্ধেক ডুবে আছে পানিতে। রিকশা আরোহীরা পা উপরে তুলে রেখেছেন।
কোনো কোনো সড়কে পানির ওপর দিয়েই নৌকার মতো গাড়ি চলছে। সিটি কর্পোরেশন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন না করতে পারলে অন্তত একটা সাঁতারের কোর্সতো চালু করতে পারে নগরবাসীদের জন্য
কেউ লিখেছেন, পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই রাস্তা না নদী।
দুপুরের কিছু আগ থেকে মুষুলধারে বৃষ্টি হলে শহরের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট অলিগলি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
কেউ কেউ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, জলাবদ্ধতার কারণে তারা শহরের একই জায়গা গাড়িতে কয়েক ঘণ্টা আটকা পড়ে আছেন।
জল ও যানজটে নাকাল বাসিন্দাদের অনেকে এই পরিস্থিতির জন্যে নগর কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন।শেখ খলিল সোহেল ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের একটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাজধানীর চিত্র বদলাবে না। জল আর জটে আমরা এভাবেই অচল হয়ে থাকবো, আর শুনে যাব দিন বদলানোর কথা। এভাবে আর কতদিন..
তিনি লিখেছেন, “আজ সংসদ বসবে। এমপি-মন্ত্রীরা কি নৌকায় করে আসবেন?”
সাখাওয়াত আল আমিন তার স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, “সিটি কর্পোরেশন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন না করতে পারলে অন্তত একটা সাঁতারের কোর্সতো চালু করতে পারে নগরবাসীদের জন্য! রাজপথ নামক অথৈ সাগরে ডুবে মরলে তার দায় নিশ্চয়ই নৌমন্ত্রনালয় বা বিআইডব্লিউটিএ নেবে না!”
রাস্তায় আটকে পড়া একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে পানি উঠে যাওয়ার ছবি দিয়েছেন মেহরীন মাহমুদ নামে একজন।শিশুরা পানিতে টইটুম্বুর রাস্তার ওপর ভেলার মতো বানিয়ে খেলা করছে।
অর্চি অতন্দ্রিলা ডুবে যাওয়ার শহরের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, প্রায় সাতার কাটার মতো অবস্থা এই ঢাকা শহরে।
রোজিনা ইসলাম তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এভাবে: “মেয়র যাবেন, প্রশাসক আসবেন! প্রশাসক যাবেন মেয়র আসবেন... এখনো ঢাকায় দুজন শক্তিশালী মেয়র আছেন...যে যখন দায়িত্ব নেবেন তার আগের আগের জনের দোষ খোজা হবে।... কিন্তু রাজধানীর চিত্র বদলাবে না। জল আর জটে আমরা এভাবেই অচল হয়ে থাকবো, আর শুনে যাব দিন বদলানোর কথা। এভাবে আর কতদিন!এক জায়গায় তিন ঘণ্টা বসে আছি! আমাদের সময়ের দাম নেই, আমাদের জীবনেরও নয়।”
এক টাকাতেই পেট পুরে খাবার!
দুর্মূল্যের বাজারে এখন হয়তো ভিক্ষুককেও এক টাকা কেউ ভিক্ষা দেন না। কিন্তু এই এক টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে পেট পুরে খাবার।
অসম্ভব শোনালেও এমনটাই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক মেস মালিক ভেঙ্কট রামন। এই দামে খাবার দেয়া হয় মেসের পাশের হাসপাতালে আগত দরিদ্র রোগীদের।
গত আট বছর ধরে সেখানকার সরকারি হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের দিনে ও রাতে এই দামে খাবার দিয়ে আসছেন তিনি।
ভেঙ্কট রামনের এ উদ্যোগ নেয়ার পেছনেও আছে একটি ঘটনা। ২০০৭ সালে এক বৃদ্ধা তার অসুস্থ স্বামীর জন্য ভেঙ্কট রামনের দোকানে খাবার কিনতে আসেন। তিনি এতটাই দরিদ্র, যে দু’জনের খাবার কেনার মত সঙ্গতিও ছিল না তার। ওই বৃদ্ধা ১০ টাকার খাবার চান, যেন স্বামীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেতে পারেন। বৃদ্ধার এ অবস্থা ভেঙ্কট রামনের মনে দাগ কাটে। তিনি ওই দামেই বৃদ্ধাকে দু’জনের খাবার দেন।
ভেঙ্কটরামন জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর সরকারি হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখেন অধিকাংশ রোগীদের আত্মীয়রাই ভীষণ গরীব। সারাদিনে এক কাপ চা ও রুটি খেয়েই কাটিয়ে দেন তারা। এটা দেখার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার সামর্থ অনুযায়ী প্রতিদিন কয়েকটি পরিবারকে অল্প দামে খাবার দিবেন।
যথারীতি তিনি ওই হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদেরও বিষয়টা জানান। তাদের সহায়তায় তিনি এবং তার স্ত্রী মিলে টোকেন সিস্টেমে ১০ জনকে এই ১ টাকায় খাবার দেওয়া শুরু করেন। এখন সেই সংখ্যাটা ১০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০। শুধু সকালেই নয়, বিকেলে ৪০ জনকে এবং রাতে ২০ জনকে এক টাকায় মিল দেওয়া হয়। বর্তমানে ৮ জন কাজ করেন ওই মেসে।
আগামী দিনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ করতে চান ভেঙ্কট রামন। তার মেসে এমনিতে প্রতি মিলের দাম ৫০ টাকা। এরই পাশাপাশি এক টাকায় মিল দেয়ার উদ্যোগ চালাচ্ছেন তিনি। এর ফলে তার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
দুই মেয়ের মা ভেঙ্কট রামনের স্ত্রী জানিয়েছেন, আর্থিক ক্ষতির কথা না ভেবেই এই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এভাবেই এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এবং একজনকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন। এই সংখ্যাটা আরও বাড়ুক এমনটাই চান ওই দম্পতি। এভাবেই দরিদ্রদের পাশে থাকতে চান তারা।
শাবিতে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় বহিষ্কার ৪
শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ধনী রাম রায়, রাজনীতি অধ্যয়ন বিভাগের আবদুল্লাহ আল মাসুম, বন ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের আরিফুল ইসলাম আরিফ ও জাহিদ হোসেন নাঈম। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলামেইলকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়া। তিনি জানান, গত রোববার শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগে চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না বলেতে পারেনতি ভিসি। এদিকে, গতকাল সোমবার রাতে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলার জড়িত অভিযোগে ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও অঞ্জন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজ। প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। এরপর থেকে শিক্ষকদের বাধায় কোনো অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সভা করতে পারেননি উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া। কিন্তু গত রোববার বিকেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভার আহ্বান করেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। কিন্তু তাদের কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে সকাল ৬টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। অপর দিকে আন্দোলনরত শিক্ষকরাও তাদের কর্মসূচি পালন করতে ক্যম্পাসে অবস্থান নেয়। সকাল ৮টায় ভিসি তার কার্যালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসিকে তার কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়। এসময় শিক্ষকরা ভিসিকে ঘিরে টানাহেঁচড়া করেন। এরপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে শিক্ষকদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তিন নেতাকে বহিষ্কার করার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চারজনকে বহিষ্কার করলো।