ঢাকা হাজারীবাগে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, দাম নাগালের মধ্যে গত ছয়-সাত দিন ধরে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে পশু আসতে শুরু করলেও মূলত আজই তা জমে উঠেছে। ঢাকা হাজারীবাগে কোরবানির পশুর হাটে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের অর্থাৎ সকল ধরনের গরু আছে । বৃষ্টিতে কিছুটা অসুবিধা হলেও রাজধানীবাসী ছুটছে হাটগুলোতে। বিক্রেতারা আশা করছেন রাজধানীর পশুর হাটে আশানুরুপ বিক্রি হবে। পানি-কাদা উপেক্ষা করে ক্রেতারা ভিড় করছেন রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে। পছন্দের পশু নিয়ে চলছে দরকষাকষি। ট্রাকে ট্রাকে এখনো প্রচুর সংখ্যক গরু, ছাগল আসছে হাটগুলোতে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, গরুর দাম গত বারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও তা নাগালের বাইরে নয়। বিক্রেতারাও আশা করছেন ক্রেতা সমাগম ক্রমেই বাড়বে এবং প্রত্যাশিত পশু দামে বিক্রি করে বাড়ি ফিরবেন।
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
প্রতিদিন আপডেট নতুন এবং সবার আগে সব নতুন নতুন খবর পেতে ক্লিক করুন
প্রতিদিন আপডেট নতুন এবং সবার আগে সব নতুন নতুন খবর পেতে ক্লিক করুন
অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত!!
১৯৯৩ সালের পাঁচ এপ্রিল, আজও এই দিনটির কথা মনে হলে আতঁকে উঠেন অনেক দিব্যা ভক্ত। শোকের এ রাতে পাঁচতলা এপার্টমেন্ট থেকে পড়ে মারা যান অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। অনেকে বলেছেন এটা আত্মহত্যা, আবার অনেকে বলেছেন খুন। নান জল্পনা-কল্পনা শেষে রহস্যের কোন কুল কিনারা না পেয়ে ১৯৯৮ সালে এই হত্যামামলার ফাইল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সম্প্রতি উন্মোচিত হয়েছে এর রহস্য বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইবলিউড।
মনে করা হয় দিব্যার খুনের জন্য দায়ি তার স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। অনেকে আবার বলেন, মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যতা থাকার কারণে আত্মহত্যা করেছেন নায়িকা।যেদিন রাতে মারা যান সেদিন একজন মধ্যস্থ কারবারির (দালাল)সঙ্গে বান্দ্রায় নেপচুন এপার্টমেন্ট ঘুরে দেখেন দিব্যা। পছন্দসই এপার্টমেন্ট খুঁজে পেয়ে তা নিয়ে ভাই কুনালের সঙ্গে আলোচনাও করেন।
পরে সন্ধ্যায় তিনি একটা ফোন পান। সেখানে বলা হয়, ভারসভার বাসায় ডিজাইনার নীতা লুল্লা এবং তার স্বামী সুনীল তার সঙ্গে দেখা করবেন। রাত দশটায় নীতা লুল্লা এবং সুনীল তার বাসায় আসেন এবং তারা অ্যালকোহল নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন।
অবশেষে দিব্যার মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত
দিব্যার গৃহকর্মী অমৃতা শোবার ঘরে ছিল। দিব্যা তাকে সেখান থেকে রান্নাঘরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। দিব্যার শোবার ঘরে কোন ব্যালকনি ছিল না বরং বড় একটি জানালা ছিল। বাড়ির সব জানালায় গ্রিল থাকলেও ওই জানালায় কোনো গ্রিল ছিল না। জানালা
বরাবর একটি গাড়ি পার্ক করা থাকে সবসময়। কিন্তু সেদিন কোন গাড়িও পার্ক করা ছিল না।
সবার চোখের আড়ালে জানলার নিচে সানসেটে গিয়ে দাঁড়ান দিব্যা। তবে সেটি এতোই সংকীর্ণ ছিল যে জানালার ফ্রেম না ধরে সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। মাতাল অবস্থায় ভালমতো দাঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পার্কিংয়ে পড়ে যান। শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে দিব্যার দেহ। মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে নেয়ার সময় জীবিত থাকলেও জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি।
দিব্যার বন্ধুরা জানায়, তিনি সবসময় স্টান্ট করতে পছন্দ করতেন এবং অনেকবার ছবির শুটিংয়ের সময় তিনি নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছেন।
কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর কাঁচা চামড়ার সংগ্রহের মূল্য ফের কমনো হলো। এবার প্রতি বর্গফুটে দাম গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা করে কমানো হয়েছে।
কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর কাঁচা চামড়ার সংগ্রহের মূল্য ফের কমনো হলো। এবার প্রতি বর্গফুটে দাম গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা করে কমানো হয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, এবার রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। ঢাকার বাইরে এই দাম হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
এছাড়া প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত খাসির চামড়া ২০ থেকে টাকা ২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৪ থেকে ১৫ টাকায় সংগ্রহ করা হবে।
বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) পক্ষ থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএলএলএফইএ’র সভাপতি আবু তাহের। এসময় অন্যদের মধ্যে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ, বিএইচএসএমএ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চামড়ার দাম কমানো সম্পর্কে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ জানান, নতুন শিল্প নগরীতে কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ, কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ, রপ্তানি বাজারে মূলহ্রাস, পরিবেশ বান্ধব নয় অজুহাতে বাংলাদেশি চামড়ায় প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের অনীহা, ইউরো ও আরএনবি’র দরপতনে চামড়ার উদ্যোক্তারা হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া গত বছর সংগ্রহকৃত চামড়ার অর্ধেক এখনো রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি পাউন্ড চামড়ার মূল ছিল ১০৬ দশমিক শূন্য ছয় সেন্ট। বর্তমানে এর দাম ৭১ সেন্ট।
এর আগে গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকেও ব্যবসায়িদের পক্ষ থেকে কাঁচা চামড়া কমানোর কথা বলা হয়েছিল।
গত বছরও চামড়ার দাম এক দফা কমানো হয়েছিল। ওই বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ঢাকার বাইরে এই দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
ওই সময়ে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত মহিষের চামড়ার দাম ধরা হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় সংগ্রহ করা হয়।
এছাড়া ২০১৩ সালে নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কেনা হয় ৮৫-৯০ টাকায়। ঢাকার বাইরে তা কেনা হয় ৭৫-৮০ টাকায়।
আর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা। বকরির ৪০-৪৫ টাকা এবং মহিষের চামড়া ৪০-৪৫ টাকায় কেনা হয়।