মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

ইকুয়েডরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, দেশটিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪১৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো আড়াই হাজারের মত মানুষ।

ইকুয়েডরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, দেশটিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪১৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো আড়াই হাজারের মত মানুষ।

ইকুয়েডরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, দেশটিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪১৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো আড়াই হাজারের মত মানুষ।
এদিকে শনিবারের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সোমবারও ইকুয়েডরের পশ্চিম অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।
ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে কয়েকজন বিদেশিসহ এ পর্যন্ত ৪১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে  কানাডার দুইজন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
দেশের দুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ে শনিবারের ওই ভূমিকম্পকে ৭০ বছরের মধ্যে সবচাইতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে কয়েক শ কোটি ডলারের সহায়তা প্রয়োজন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর থেকে পোর্টোভিয়েজো ও পেদার্নালস শহর দুটির শত শত মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। সাড়ে ১৩ হাজারের মত উদ্ধারকর্মী ইকুয়েডরের বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছেন।সোমবার রাতে উপকূলীয় শহর মান্তার এক হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন বছর ও নয় মাসের দুটি মেয়ে শিশুও রয়েছে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দুটো হচ্ছে পোর্টোভিয়েজো ও পেদার্নালস। শনিবারের ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল পেদার্নালস। শহরের মেয়র গাব্রিয়েল এলসিভার বলেছেন, ভূমিকম্পে গোটা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে সেখানে পড়ে আছে মৃতদেহ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন,‘আমরা এর ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। এই দুর্যোগের মধ্যেও শহরটিতে  লুটপাট হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর সত্যতা স্বীকার করে জর্জ ইসকুইভেল নামের এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেছেন,‘এই দুর্যোগের মধ্যেও আমি লুণ্ঠনের মত জঘন্য কাজ করেছি। খাবার কেনার জন্য আমার টাকার দরকার ছিল। ভূমিকম্পে আমার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। শহরে পানি নেই, আলো নেই।’
এদিকে ইকুয়েডরের ভূমিকেম্পর পর সোমবার প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়াতেও ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। তবে জাপান ও ইকুয়েডরের ভূমিকম্পের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইকুয়েডরে ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা আগে জাপানে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
ভূমিকম্পের পর রহস্যময় ফেনায় ঢেকে যাচ্ছে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফুকুওকা। শহরের কেন্দ্রস্থলে মাটির নিচ থেকে উঠে আসছে এই ফেনা। আর ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। (ভিডিও)

ভূমিকম্পের পর রহস্যময় ফেনায় ঢেকে যাচ্ছে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফুকুওকা। শহরের কেন্দ্রস্থলে মাটির নিচ থেকে উঠে আসছে এই ফেনা। আর ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। (ভিডিও)

ভূমিকম্পের পর রহস্যময় ফেনায় ঢেকে যাচ্ছে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফুকুওকা। শহরের কেন্দ্রস্থলে মাটির নিচ থেকে উঠে আসছে এই ফেনা। আর ভেসে যাচ্ছে রাস্তা।
সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, শনিবার সকালে  জাপানের কিয়ুশু এলাকায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়। আহত হয় দেড় হাজার। অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়েছে। এই ভূমিকম্পের পর থেকেই নিকটবর্তী ফুকুওকা শহরে রহস্যময় ফেনা দেখা যাচ্ছে।
ফুকুওকার ব্যস্ততম জেলা তানজিনের কাজুকি নাবেতা বলেন, ‘ভূমিকম্পের পরপরই আমি এই ফেনা দেখতে পাই।’
মাটির নিচে কী এমন ঘটেছে যে ওপরে উঠে আসছে শুধু ফেনা? -এর কোনো সদুত্তর কেউ দিতে পারেনি। তবে অনেকের ধারণা, ভূমিকম্পের কারণে মাটির নিচে কোনো পাইপ ফেটে গেছে; যা থেকেই হয়তো এই ফেনার উৎপত্তি।
নাবেতা বলেন, ‘আমার বাড়ির কাছেই ফেনা বেরিয়ে আসছে। তাই আমিও এই দৃশ্য দেখার জন্য বেরিয়ে এসেছি। ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু এখানে বিশেষ কিছু হয়নি, এগুলো সাধারণ ফেনা।’ 



এরকমই এক দৃশ্য দেখা গেল ভূমিকম্প বিধবস্ত কুমামোতো শহরের। তবে মাটির তলা থেকে জল নয়, বেড়িয়ে আসছে ফ্যানা। রাস্তা ঘাট ভর্তি করে গোটা শহর জুড়ে শুধুই ফ্যানা। কিন্তু কোথা থেকে আসছে এত ফ্যানা? মাটির তলায় কী এমন হয়েছে যে উপরে উঠে আসছে শুধু ফ্যানা? এর কোনও সদুত্তর কারওর কাছে নেই। তবে অনেকের ধারণা মাটির নিচে কোনো জলের পাইপ ফেটে গেছে ভূমিকম্পের জেরে। আর সেখান থেকেই হয়তো এই ফ্যানার উৎপত্তি।
শনিবারের সকাল। ফের প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। 

২০১২ ছবিটার কথা মনে আছে। প্রবল ভূমিকম্প আছড়ে এসে পড়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ায়। আর মাটির তলা থেকে উপরে উঠে এসেছিল সমুদ্রের জল। সেই জলের তোড়ে প্রশান্ত মহাসাগরের তলায় তলিয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা একটা শহর।