শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বাসচালকের ছেলে সাদিক খান যুক্তরাজ্যের সাবেক ছায়া বিচারমন্ত্রী ও বর্তমানে লেবার পার্টি থেকে টুটিংয় এলাকার এমপি।

বাসচালকের ছেলে সাদিক খান যুক্তরাজ্যের সাবেক ছায়া বিচারমন্ত্রী ও বর্তমানে লেবার পার্টি থেকে টুটিংয় এলাকার এমপি।

ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড নামে যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্র ও ব্রিটিশ লেবার পার্টির ফেইসবুক সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের বাসচালকের ছেলে সাদিক খান যুক্তরাজ্যের সাবেক ছায়া বিচারমন্ত্রী ও বর্তমানে লেবার পার্টি থেকে টুটিংয় এলাকার এমপি।
তিনি যুক্তরাজ্যের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডেম টেসা জাওয়েলসহ পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোটে হারিয়ে প্রধান বিরোধী দলের মনোনয়ন পেলেন। 
শুক্রবার লন্ডনের রয়েল ফেস্টিভ্যাল হলে লেবার পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের পঞ্চম দফায় ৪৮,১৫২ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ ৫৮.৯ শতাংশ সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন সাদিক খান।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী জাওয়েল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩,৫৭৩ ভোট পেয়ে ৪১ দশমিক ১ শতাংশ সদস্যের সমর্থন পেয়েছেন।
এদিকে, ফলাফল ঘোষণা পরপর সাদিক খানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ডেম টেসা জাওয়েলসহ অন্য চার প্রতিদ্বন্দ্বি।
লেবার দলীয় মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পরপর সাদিক খান বলেন, “আজ লন্ডনের এতো অধিবাসী আমার উপর আস্থা রেখেছে,তাই আমি তাদের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আশা রাখছি আমরা একসঙ্গে লন্ডনকে পরিবর্তন করতে পারব।”
লেবার পার্টির মেয়র প্রার্থীদের মাঝে সাদিক খান
ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড জানায়, যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে গত আট বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা লেবার পার্টিকে আবার ক্ষমতায় আনতে লড়বেন তিনি। বর্তমান কনজারভেটিভ পার্টির বরিস জনসন এখানকার মেয়র। ২০১৬ সালের মে মাসে লন্ডনের মেয়র পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত। তবে, এবার প্রার্থী হচ্ছেন না বরিস জনসন। 
এ মাসের শেষদিকেই কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী ঘোষণার কথা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থিতার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন জ্যাক গোল্ডস্মিথ ও সৈয়দ কামাল নামে আরেক মুসলিম।

মক্কায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে

মক্কায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে


সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের হারাম শরিফে ক্রেন ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ২৩৮ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ বাংলাদেশি রয়েছেন। 
আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মক্কার স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিশালাকারের ক্রেনটি নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। 
সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রচণ্ড ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মাগরিবের নামাজের আগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 
দুর্ঘটনার সময় হারাম শরিফ মুসল্লিতে পরিপূর্ণ ছিল। তাঁদের অধিকাংশই হজ পালনের উদ্দেশে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সমবেত হওয়া মুসল্লি বলে ধারণা করা হচ্ছে। পবিত্র হজ শুরুর অল্প কয়েক দিন আগে এ দুর্ঘটনা ঘটল। 
বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের প্রধান জেনারেল সুলেইমান আল-আমর বলেন, ‘হতাহত সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে আর কোনো হতাহত ব্যক্তি নেই।’ 
দুর্ঘটনাস্থলে সৌদি আরবের জরুরি উদ্ধার কর্মীরা। ছবি: এএফপিএই কর্মকর্তার ভাষ্য, শক্তিশালী ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে পড়ায় ক্রেনটি আছড়ে পড়েছে। 
গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্ প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় ৪০ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানোর পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ গুরুতর আহত হননি। 
এ ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব ও ক্ষয়ক্ষতির আনুষ্ঠানিক তথ্য এখন পর্যন্ত জানায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। 
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিশাল ক্রেনের অংশ। 
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হারাম শরিফের চতুর্থ তলায় আছড়ে পড়ে ক্রেনটি। 
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর অনেকের রক্তাক্ত দেহ হারাম শরিফের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কারও কারও দেহ চাপা পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে। 
ইউটিউবে পোস্ট করা এক ছবিতে দুর্ঘটনার পর আতঙ্কিত মুসল্লিদের কাউকে কাউকে কান্না ও ইতস্তত ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। পবিত্র মক্কা নগরের গ্র্যান্ড মসজিদের এই ছবিটি গত ১৪ জুলাই ওপর থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। 
গতকাল জুমার দিন হওয়ায় হারাম শরিফে মুসল্লিদের ভিড় স্বাভাবিকভাবেই অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। হজের উদ্দেশে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখো হাজিও এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। 
অধিক সংখ্যক মুসল্লি যাতে পবিত্র হজ সম্পাদন করতে পারেন, এ জন্য হারাম শরিফ কমপ্লেক্সের আয়তন বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। নির্মাণকাজের জন্য হারাম শরিফের চারপাশে অনেক ক্রেন বসানো হয়েছে। 
গতকালের দুর্ঘটনার আগে ২০০৬ সালে হজের সময় পদদলিত হয়ে শতাধিক হাজির মৃত্যু ঘটে।