বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

১৫ কোটি শ্রমিকের সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘটে ভারতজুড়ে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।

১৫ কোটি শ্রমিকের সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘটে ভারতজুড়ে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘শ্রমিক বিরোধী নীতির’ প্রতিবাদে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।

ধর্মঘট সফল করতে গত দুই মাস ধরেই সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির তরফে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
রাজনৈতিকভাবে বিজেপি এবং তৃণমূল ছাড়া দেশের বাকি প্রধান দলগুলি শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের কারণ দেখিয়ে এই ধর্মঘটকে সমর্থন করায় পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের নানা প্রান্তে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।


তবে ধর্মঘটে আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে দুধ, পানি, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমসহ জরুরি পরিষেবাকে।
পশ্চিমবঙ্গে এদিন সকাল থেকেই ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা।
ধর্মঘট রুখতে মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকেই রাজ্যটির একাধিক জায়গায় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে পুলিশের সঙ্গে।
শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া সেকশনে একাধিক জায়গায় ধর্মঘট সমর্থনকারীরা রেললাইনের ওপরে বসে পড়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
একাধিক জায়গায় রেলের তারের ওপরে কলাপাতা ফেলে দেওয়ার ফলেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রেল পরিষেবা। বেশ কয়েকটি স্টেশনে এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে, ফলে সমস্যার মুখে পড়ে বহু যাত্রী।
এদিকে, সোদপুরে ধর্মঘট সমর্থনকারী ও বিরোধীদের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুঁড়িতে এক নারী আহত হয়েছেন।
এছাড়াও করুণাময়ী, যাদবপুর, বসিরহাট, হাওড়া, বারুইপুর সহ একাধিক স্থানে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সকাল থেকেই অধিকাংশ স্কুল-কলেজ, দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।
তবে কলকাতার দমদম বিমান বন্দরে এখনও পর্যন্ত ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি।
কলকাতাসহ রাজ্যের অন্যত্র রাস্তায় সরকারি বাস নামলেও বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় সরকারি বাসের চালককে মাথায় হেলমেট পড়ে বাস চালাতে দেখা যায়।
যানবাহন থাকলেও তাতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।অন্যদিকে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি ধরে রাখতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে অনুপস্থিতির উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে একদিনের বেতন কাটা যাবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
সেই মতো রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নসহ অনেক সরকারি অফিসেই রাত কাটান কর্মচারীরা।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কেরল, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, কর্নাটকসহ কয়েকটি রাজ্যেও ধর্মঘটের সামান্য প্রভাব পড়েছে।
দিল্লিতে এদিন বাস, সিএনজি চলাচল স্বাভাবিক ছিল না। কেরলের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম।
রাজ্যটির তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর বলে পরিচিত টেকনোপার্ক এবং ইনফো পার্কে উপস্থিতির হার কম।
হিমাচল প্রদেশে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম থাকলেও রাজ্য সরকারের অফিস এবং স্কুল-কলেজ পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক আছে। যদিও তামিলনাড়ুতে ধর্মঘটের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।


SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: