শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

সময়ের তাজা কাহিনী:(The fresh stories):: সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত:...

সময়ের তাজা কাহিনী:(The fresh stories):: সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত:...

সময়ের তাজা কাহিনী:(The fresh stories):: সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত:...: পর্নস্টার খ্যাত ও বলিউডের ‘বিতর্কিত’ নায়িকা সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত হেফাজতে ইসলাম। প্রয়োজনে যে বিমানবন্দর দ...
সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত: হেফাজতে ইসলাম।

সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত: হেফাজতে ইসলাম।


পর্নস্টার খ্যাত ও বলিউডের ‘বিতর্কিত’ নায়িকা সানি লিওনের বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে রক্ত দিতে প্রস্তত হেফাজতে ইসলাম। প্রয়োজনে যে বিমানবন্দর দিয়ে সানি লিওনকে আনা হবে সেই বিমানবন্দরে আক্রমনের হুমকি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের খুতবার আগে বয়ানে হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির ও শহরের বৃহৎ মসজিদ ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আউয়াল এ হুমকি দিয়েছেন।
মসজিদে উপস্থিত কয়েকজ হাজার মানুষকে আহ্বান জানিয়ে মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘বাংলার জমিনে কোনো নর্তকীকে বেহাল্লপনা করতে দেয়া হবে না। তৌহিদী জনতাকে উপেক্ষা করা হলে প্রয়োজনে যে বিমানবন্দর দিয়ে সানি লিওনকে আনা হবে সেই বিমানবন্দরেও আক্রমণ করা হবে।’
ইসলামী বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠা মাওলানা আবদুল আউয়াল তাৎক্ষণিকভাবে মসজিদে উপস্থিত কয়েক হাজার লোকজনের প্রতি আহ্বান জানালে তারা হাত তুলে সমর্থন করে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে হেফাজতের এ নেতা বলেন, ‘আমি আবদুল আউয়াল হয়তো হজের কারণে দেশে থাকতে পারব না। তবে আমার ঘোষণা হলো, যে কোনো মূল্যে ওই অনুষ্ঠান ঠেকাতে হবে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি সে আহ্বান আয়োজকদের কানে দিতে চাচ্ছি। এতেও তাদের হেদায়েত না হলে নারায়ণগঞ্জের তৌহিদী জনতা রুখে দাঁড়াবে। রক্ত দিয়ে হলেও বেহাল্লপনা নর্তকীদের রুখবে।’
মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের উপার্জিত টাকা এভাবে নর্তকীর পায়ে ঠেলে দেয়া যাবে না। দেশে এখনো মুসলমানরা বেঁচে আছে। এখনো হাজার হাজার মসজিদ আর হাফেজে কোরআন, মাওলানাসহ আল্লাহর বান্দারা আছে। তাদের উপেক্ষা করে যদি এমন আয়োজন করা হয় তাহলে যেন আল্লাহ তাদের হেদায়েত দেয়। আর তাতেও কাজ না হলে যেন আল্লাহ তাদের তুলে নেয়। তবুও দেশের যুব সমাজকে যেন আল্লাহ ও রাসূল বিরোধী করা না হয়।’
উল্লেখ্য, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ঢাকার বসুন্ধরার কনভেনশন হলে সানি লিওনের কনসার্ট আয়োজনের কথা রয়েছে। বলিউডের আলোচিত ওই অভিনেত্রীর নিজস্ব কনসার্টের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে অফিসিয়াল কনসার্টের অনুমোদন দিয়েছে। নাচের পারফর্মেন্সের জন্য তার পুরো দলও ঢাকায় আসবে। তার পারফর্মেন্সের আগে গান গাইবেন আতিফ আসলাম। এর মধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষও হয়েছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান খুব শিগগিরই নির্ধারিত তারিখ অফিসিয়ালি জানাবে। কনসার্টে চার ক্যাটাগরির আসন বিন্যাস রাখা হয়েছে। সর্বমোট চার হাজার টিকিট থাকবে। টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য পনের হাজার টাকা রাখা হয়েছে।
সময়ের তাজা কাহিনী:(The fresh stories):: বান্ধবী পিয়াকেই বিয়ে করছেন অনুপম

সময়ের তাজা কাহিনী:(The fresh stories):: বান্ধবী পিয়াকেই বিয়ে করছেন অনুপম

সময়ের তাজা কাহিনী:(The fresh stories):: বান্ধবী পিয়াকেই বিয়ে করছেন অনুপম: অবশেষে বিয়ে করছেন ওপার বাংলার বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, কম্পোজার অনুপম রায়। এবং অবশ্যই দীর্ঘদিনের পরিচিত নিজের প্রে...
বান্ধবী পিয়াকেই বিয়ে করছেন অনুপম

বান্ধবী পিয়াকেই বিয়ে করছেন অনুপম


অবশেষে বিয়ে করছেন ওপার বাংলার বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, কম্পোজার অনুপম রায়। এবং অবশ্যই দীর্ঘদিনের পরিচিত নিজের প্রেমিকাকেই। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার ও ফেসবুকে তিনি নিজেই বিয়ের খবরটি জানিয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীদের।

জানা গেছে, আসছে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে নিজের বিয়ের দিন ধার্য করেছেন অনুপম রায়। বান্ধবী পিয়া চক্রবর্তীর সাথেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে অনুপম খুবই মিডিয়া বিমুখ হলেও নিজের বিয়ে নিয়ে তাকে সাহসীই মনে হলো। কেননা,পাবলিক নেটওয়ার্ক সাইট -এ নিজের বিয়ের খবরটা তিনিই দিলেন। শুধু কি তাই! হবু স্ত্রীর সাথে একটি ছবিও পোস্ট করলেন অনুপম।

খুবই অনাড়ম্বর ভাবে বিয়েটি সম্পন্ন করতে চান অনুপম রায় ও তার হবু স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। পিয়া চক্রবর্তী এখন এন্থ্রোপলোজিতে পি.এইচ.ডি করছেন গ্রেটার নয়ডাতে। উনি ছিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রী আর অনুপম ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারপর চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের মাধ্যমে পরস্পরের কাছে আসা। অতঃপর প্রেম। আর এখন চলছি বিয়ের আয়োজন। : 
গুগলের চেয়েও ৪৭ ভাগ নিখুঁত সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেছে ১৬ বছরের কিশোর

গুগলের চেয়েও ৪৭ ভাগ নিখুঁত সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেছে ১৬ বছরের কিশোর


গুগলকে টেক্কা দিল ষোল বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোর। এমন একটি পার্সোনালাইজড সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করে ফেলল কানাডা নিবাসী অনমোল টুকরেল যেটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের থেকেও ৪৭% বেশি নিখুঁত। এবং গড়ে পৃথিবীর সব সার্চ ইঞ্জিনের থেকে যা ২১% বেশি নিখুঁত।

গুগলেরই বিজ্ঞান মেলায় অনলাইনে ১৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতার জন্যই সার্চ ইঞ্জিনটি ডিজাইন করে আনমোল।

মাত্র কিছুদিন আগেই নিজের টেন্থ গ্রেড ক্লিয়ার করেছে আনমোল। মাত্র কয়েক মাসেই এই সার্চ ইঞ্জিনটি ডিজাইন করে ফেলেছে এই কিশোর। ইঞ্জিনটা কোড করতে সময় নিয়েছে ৬০ ঘণ্টা। একটি দৈনিককে আনমোল জানিয়েছে 'পের্সোনালাইজড সার্চ স্পেসে কিছু করতে চাইছিলাম। কিন্তু তারপর ভেবে দেখলাম কাজটাতো ইতিমধ্যেই গুগল করে ফেলেছে। তাই ভাবলাম পরবর্তী লেভেলে একে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।'
১ জিবি ফ্রি স্পেস সহ একটি সাধারণ কম্পিউটার, পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট, একটি স্পিড শাটার প্রোগ্রাম, গুগল অ্যাকসেস এবং  নিউইয়র্ক টাইমস। এই কম্বিনেশনেই কেল্লাফতে। গুগলের থেকেও এফিসিয়েন্ট সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করে ফেলেছে আনমোল।

গুগল সার্চের ক্ষেত্রে ইউসারের লোকেশন ও ব্রাউসিং  হিস্ট্রির উপর জোর দেয়। আনমোলের সার্চ ইঞ্জিন এই দু'টির সঙ্গেই বোঝার চেষ্টা করেছে সার্চ সাবজেক্টের কনটেক্সট ও মানেও। যার জেরেই সে মাত দিয়েছে গুগলকেও। 
মুসলিম মেয়েরা সব সময় আড়ালেই থাকে।

মুসলিম মেয়েরা সব সময় আড়ালেই থাকে।


মুসলিম মেয়েরা সব সময় আড়ালেই থাকে। তাঁদের কাছে ডানা মেলে উড়তে পারার আনন্দটাই আলাদা। আর এমন সুযোগ যদি আসে কোনও গোঁড়া পরিবারের মেয়ের হাতে, তাহলে তো আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ বেড়ে যায় কয়েকগুন। ঠিক এমনটাই হয়েছে জামারুদ পারভিনের ক্ষেত্রে। ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজনোরে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা জামারুদের। গোঁড়া মুসলিম পরিবারের মেয়ে হলেও ২১ বছর বয়সী পারভিনকে সব সময়ে অন্য কিছু করার উৎসাহ দিয়েছেন তাঁর মা এবং বাবা। আর ঠিক এই কারণেই আজ জামারুদ পারভিন উবর ট্যাক্সি পরিষেবার একজন ট্যাক্সিচালক।


জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস কোর্সে বিএ পড়ছেন জামারুদ। পাশাপাশি চলছে দিল্লির রাস্তায় স্টিয়ারিং হাতে যাত্রী পারাপারও। দিল্লির রাস্তায় উবর-এর একমাত্র নারী চালক জামারুদ। না দিল্লির মতো শহরে এখনও নিশ্চিন্তেই গাড়ি চালান পারভিন। বরং যে শহরে ক্রমাগত ট্যাক্সি চালকদের বিরুদ্ধে নারী যাত্রীদের প্রতি অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ আসে, সেখানে মোবাইল অ্যাপে যখন ভেসে আসে ট্রেন্ডি হিজাব পরা পারভিনের মুখ, তখন তৈরি হয় ভরসা।

পুরো বোরখা পরে গাড়ি চালাতে অসুবিধে হয় বলেই ড্রাইভিংয়ের সময়ে শুধুই নিকাব পরেন তিনি। অবশ্য ভবিষ্যতে উবর চালক নয়, নিজেকে দেখতে চান শিক্ষকের ভূমিকার। এমএ পাশ করে তিনি ইসলামিক স্টাডিজ পড়াতে চান।

পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও রয়েছে তিন বোন। এক বোনের বিয়ে হয়ে গেলেও তারা সবাই একসঙ্গে এক কামরার ঘরে ভাড়া থাকেন। পারভিনের বাবা পেশায় নির্মাণ শ্রমিক এবং এই এক কামরার ঘরে রয়েছেন বিগত ২০ বছর ধরে। স্কুল পাশ করার পরে মায়ের উত্‍‌সাহেই জামারুদ পারভিনের গাড়ি চালানো শেখা। তবে সারাদিন মোটেই উবর-এ পাওয়া যায় না পারভিনকে। সকাল ৭টায় লগইন করেন তিনি। দুপুরে কিছুটা সময় লগঅফ করেন উবর-এর সিস্টেম থেকে। বিকেল ৪ টা নাগাদ আরও একবার লগইন করেন। তবে সন্ধ্যা ৭-৮টার পর আর কোনও ট্রিপ নেন না তিনি।


এই রুটিন মেনেই একদিকে যেমন দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তে পারছেন, তেমনই পরিবারের সঙ্গেও কিছুটা সময় কাটাতে পারছেন। মাসে ১৫ হাজার টাকা রোজগার করে আজ পারভিন শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরেছেন।
সমাজের চোখরাঙানি ও প্রচলিত নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছেন জামারুদ পারভিন। জীবনে গতি বড়ই পছন্দ তাঁর। আর তাই তো প্রতি ঘন্টায় ১০০-১২০ কিমি গতিতে হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চালাতে সব থেকে বেশি ভালোবাসেন তিনি।
উড্ডয়নের সময় বাজ পড়ল বিমানের ওপর

উড্ডয়নের সময় বাজ পড়ল বিমানের ওপর


আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওড়ার জন্য তৈরি ছিল ডেল্টা এয়ারলাইন্সের বিমানটিl কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় নির্দিষ্ট সময় থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ছাড়ে বিমানটি l আর তখনই যাত্রীদের চোখে পড়ে ঘটনাটি। দেখা যায় ওড়ার সময় আচমকাই বাজ পড়ে বিমানটিতে। অন্য বিমানে থাকা যাত্রীদের মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দী হয় সেই দৃশ্য।

৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে, বাজ পড়ার সময় বিদ্যুতের ওই রশ্মি প্রায় ১৮ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।  যদিও, ওই ঘটনায় যাত্রীদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।  ডেল্টা এয়ারলাইনসের মুখপাত্র মরগ্যান ডুরানট জানিয়েছেন, লাস ভেগাস যাওয়ার জন্য ৭৩৭-৯০০আর-এর বিমানটি আটলান্টা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই বিমানটিতে ক্রিউ মেম্বার সহ ১১১ জন যাত্রী ছিলেন l নির্দিষ্ট সময়ের ২ ঘণ্টা পর বিমানটি ছাড়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে l দুর্ঘটনা কিছু ঘটেনি l তবুও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। - 
বিশ্বের সবাইকে ছাড়িয়ে তামিম-ইমরুল জুটি

বিশ্বের সবাইকে ছাড়িয়ে তামিম-ইমরুল জুটি


টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উদ্বোধনী জুটির নাম তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান এসেছে এই দুজনের ব্যাট থেকেই। তবে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, গত সাড়ে তিন বছরে ওপেনিং জুটির গড় হিসেবে বিশ্বের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১২ সালের পর থেকে টেস্টে দলের হয়ে কমপক্ষে দশ ইনিংস খেলা উদ্বোধনী জুটিতে গড় রানের দিক দিয়ে সেরাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তামিম-ইমরুল। উদ্বোধনী জুটিতে ক্রিস রজার্স-ডেভিড ওয়ার্নার, আলভিরো পিটারসেন-গ্রায়েম স্মিথ, শিখর ধাওয়ান-মুরালি বিজয়, নিক কম্পটন-অ্যালিস্টার কুকদের মতো বিশ্বখ্যাত ওপেনারদেরও পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
গত সাড়ে তিন বছরে টেস্টে তামিম-ইমরুল ওপেনিং জুটিতে মোট রান এসেছে ৭৮৪, গড় ৮৭.১১। তামিম-ইমরুলের পরে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দুই ইংলিশ ওপেনার কম্পটন ও কুক। ১৭ ইনিংসে জুটি বেঁধে ৯২৭ রান তুলেছেন দুজন, গড় ৫৭.৯৩। ৪১ ইনিংসে রজার্স-ওয়ার্নার জুটির থেকে এসেছে ২০৫৩ রান, গড় ৫১.৩২।
আরেক দিক থেকেও সবার ওপরে তামিম-ইমরুল। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১২ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন দুজন। ওপেনিং জুটিতে গত সাড়ে তিন বছরে ৩০০ রান করতে পারেননি আর কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিখর ধাওয়ান ও মুরলি বিজয়ের। ভারতীয় ওপেনারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৮৯ রান।
অবশ্য গত সাড়ে তিন বছরে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ান জুটি রজার্স-ওয়ার্নার। দুই অসি ওপেনার এই সময়ে ১৪১ ইনিংসে মোট ২০৫৩ রান সংগ্রহ করেছেন। নয়টি শতরানের জুটিও গড়েছেন দুজন। এ তালিকায় তামিম-ইমরুল জুটির অবস্থান সাতে। দুজন মিলে ১০ ইনিংসে সংগ্রহ করেছেন ৭৮৪ রান। শতরানের জুটি রয়েছে দুটি।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরমাণু বোমা প্রদর্শন করবে রাশিয়া

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরমাণু বোমা প্রদর্শন করবে রাশিয়া

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরমাণু বোমা প্রদর্শনীর পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়ার সরকার। তবে, ‘টিসার বোম্বা’ নামের বড় বোমাটি সরাসরি প্রদর্শনীতে আনা হবে না বরং তার জায়গায় হবহু নকল কপি দেখানো হবে।  
আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাশিয়ার আণবিক বোমা তৈরির ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত রুশ অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোজাটম স্টেট অ্যাটোমিক এনার্জি কর্পোরেশন মস্কোয় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আসন্ন এ প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ হবে এএন-৬০২ যা ‘টিসার বোম্বা’ নামে পরিচিত।
১৯৬১ সালে রাশিয়া আর্কটিক মহাসাগরে বিশাল আকারের পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় এবং এর বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিল ৫৭ থেকে ৫৮.৬ মেগাটন। বিস্ফোরণের পর বিশাল আকারের আগুনের কুণ্ডলি ওঠে যা ১,০০০ কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায়। এছাড়া, আকাশে ৬৭ কিলোমিটার উচ্চতায় মাশরুমের মতো মেঘের সৃষ্টি হয়। রুশ পরমাণু বোমার পরীক্ষার পর ৮০০ কিলোমিটার দূরের ঘরবাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছিল। এছাড়া, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে রেডিও সিগন্যাল বাধাগ্রস্ত হয়। 
পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ট্রায়াল পাইল স্থাপন হচ্ছে আজ

পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ট্রায়াল পাইল স্থাপন হচ্ছে আজ


পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ট্রায়াল পাইল স্থাপন হচ্ছে আজ শুক্রবার। সকাল ১০টায় ৩ হাজার টন ওজন ক্ষমতার জার্মানীর হ্যামার ড্রাইভ করে এটি স্থাপন শুরু হবে। মাওয়া সাইডের নদীর ৭ নম্বর পিলারে বসছে এটি।
এর আগে টেস্ট পাইল স্থাপন কাজ শুরু হলেও কনস্ট্রাকশন ট্রায়াল পাইল স্থাপন এই প্রথম।
পদ্মা সেতুতে মোট দু’টি কনস্ট্রাকশন ট্রায়াল পাইল স্থাপন হবে।
আর টেস্ট পাইল স্থাপন হবে মোট ১০টি। এরইমধ্যে ৩টি টেস্ট পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। ১২০ মিটার দীর্ঘ কনস্ট্রাকশন পাইলটি মূল পাইলের মতই তিন মিটার ব্যাস রয়েছে। জার্মানী থেকে আসা বিশাল হ্যামারও এই প্রথম ব্যবহার করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ২১ আগস্ট পদ্মা সেতুর জন্য স্মরণীয় একটি দিন।
দেশী বিদেশী প্রকৌশলী এবং বিশেষঞ্জ প্যানেল এটি স্থাপনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশের পরই এটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলসেতুর ঠিকাবার চায়না মেজর ব্রীজ কোম্পানি।
এটি বসানোর এবং কাজের গুণগত মানও পর্যবেক্ষণ চলবে নিখুঁতভাবে। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই কনস্ট্রাকশন ট্রায়াল পাইল স্থানের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। এরই মধ্য দিয়ে মূল পাইল স্থাপনের কাজ শুরু প্রক্রিয়াও এগিয়ে গেল।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী অক্টোবরেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মূল পাইল স্থাপনের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যেই মূলসেতুর ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবমিলিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
নদী শাসন, দুপারের এ্যাপ্রোচ সবই চলছে এখন পুরোদমে। তবে নদী শাসনের ড্রেজিং করা বিপুল পরিমাণ বালু ফেলার স্থান নির্ধারণ নিয়ে রয়েছে কিছুটা সমস্যা।
এই সূত্রটি জানায়, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে হংকং ও সিঙ্গাপুরের ন্যায় শহর গড়ে তোলা বা পদ্মার চরে অলিম্পিক ভিলেজসহ নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেখানে এই বালু ব্যবহার করলে বিপুল অর্থের সাশ্রয় ছাড়াও ড্রেজিংয়ের এই বালু রাখার সঙ্কটের সমাধান হতে পারে।
এ ব্যাপারে শীর্ষ পর্যায়ের ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃষ্টি-বর্ষার মধ্যেও উত্তাল পদ্মায় সেতুর কাজ চলছে পুরোদমে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে নদী ভাঙ্গন দেখা দিলেও তা প্রতিরোধ করা হয়েছে। এখন সব কিছুই পদ্মা সেতুর অনুকূলে।
৪২টি পিলারের ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতুটি নির্মিত হবে। ১৫০ মিটার পর পর থাকছে পিলার। এছাড়া দেড় কিলোমিটার করে উভয়পারে তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতুর জন্য আরও ২৪টি পিলার করা হবে। মূলসেতুর ৪০টি পিলারে ৬টি করে ২৪০ এবং দু’পারের ১২টিতে দু’টি করে ২৪টি অর্থ্যাৎ সর্বমোট ২৬৪টি পাইল করতে হবে।
পদ্মা বহুমুখী এই সেতু হবে দ্বিতল। সেতরু উপরের তলায় থাকবে চার লেনের মহাসড়ক। নিচে রেললাইন। ট্রেনের গতিসীমা হবে ১৬০ কিলোমিটার। থাকবে গ্যাস ও বিদ্যুত সংযোগ। দেশের দক্ষিণ পশ্চিম গ্যাস সরবরাহের জন্য থাকবে হাইপ্রেসার গ্যাস পাইপলাইন। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর মঙ্গলা সমুদ্রবন্দরের ব্যবহার বাড়বে। পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পায়ন ও বিনিযোগ বাড়বে। বাড়বে জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু আয়। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর দ্রুত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দেখে তাই আনন্দে উদ্বেল এই অঞ্চলের মানুষ। 
বলিউড ষ্টার দিয়া মির্জা এখন ঢাকায়

বলিউড ষ্টার দিয়া মির্জা এখন ঢাকায়


বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা এখন ঢাকায়। রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনের বলরুমে আজ শুক্রবার রাতে ‘দি লাস্ট্রাস রানওয়ে’ শীর্ষক ফ্যাশন শোতে শোস্টপার হিসেবে অংশ নেবেন ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা। তিনিই এই আয়োজনের মূল আকর্ষণ।
আয়োজকরা জানান, এটি ‘দি লাস্ট্রাস রানওয়ে’র ষষ্ঠ আয়োজন। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেসবুক প্রচারণা। এতে বিজয়ীরা ছবি তোলার সুযোগ পাবেন দিয়ার সঙ্গে।
পন্ডস লাস্ট্রাস রানওয়েতে অংশ নিতে এর আগে ঢাকায় এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া, সোহা আলি খান ও মালাইকা অরোর খান।
ভারি বর্ষণের সময় বজ্রপাতে নিহত-২

ভারি বর্ষণের সময় বজ্রপাতে নিহত-২

ভারি বর্ষণের সময় বজ্রপা
তে পৃথক স্থানে আলামিন (৩৫) ও আবু কালাম (৪০) নামে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জামাল নামে অপর একজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ও সাচড়া ইউনিয়নে ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত জামলকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আলামিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের সিবপুর গ্রামের হাবিবুল্লা মিয়ার ছেলে ও আবু কালাম সাচড়া গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে আলামিন ও জামাল বাড়ির পাশে ক্ষেতে ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে ক্ষেত নিড়ানি দিচ্ছিল। এ সময় ভারি বর্ষণের সঙ্গে বজ্রপাত হলে উভয়ই গুরুতর আহত হন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আশঙ্কাজন অবস্থায় তাদের উভয়কে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আলামিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত জামাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, উপজেলার সাচড়া গ্রামের আবু কালাম গরু নিয়ে মাঠে যায়। এ সময় হঠাৎ করেই বর্জপাতে আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন কৃষ্ণ রায় চৌধুরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও ডা শাহিন বাংলামেইলকে এ তথ্য  নিশ্চিত করেছেন।
মাতৃগর্ভে কী করে শিশুরা?

মাতৃগর্ভে কী করে শিশুরা?

মাতৃগর্ভে কী করে শিশুরা?


মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় শিশু রা কেমন থাকে, কী করে? এমন প্রশ্নগুলোর জবাব জানার আগ্রহ কমবেশি সকলেরই আছে। বিশেষ করে যে মা শিশু টিকে গর্ভে ধারণ করছেন, তিনি প্রতিনিয়ত জানতে চান শিশু টির অবস্থা। প্রযুক্তি এখন অনেক এগিয়ে গেছে। চাইলেই এখন মা-বাবা দেখতে পারেন গর্ভস্থ সন্তানের ছবি। Ultrasound স্ক্যানে শিশু র  বেশ পরিষ্কার ছবিই ভেসে ওঠে। হ্যাঁ, এই ভিডিওটি আমরা আজ দেখাতে যাচ্ছি, সেটা সম্ভবত গর্ভস্থ শিশু র সবচাইতে পরিষ্কার ছবি।
4D স্ক্যানের এই ভিডিও ফুটেজে আপনি স্পষ্ট দেখতে পারবেন শিশু টির নড়াচড়া, তার আবেগ, খাওয়া দাওয়ার ছবি। সত্যি বলতে কি, ভিডিওটি ভীষণ বিস্মিত করবে আপনাকে। আর এই সবই হচ্ছে প্রযুক্তির আশীর্বাদ। ভিডিওটি Sander van der Laan দম্পতির শিশু পুত্রের। 2D ও 3D স্ক্যানের পর তারা যখন 4D স্ক্যান করিয়েছিলেন গর্ভস্থ সন্তানের, ফুটেজগুলো তখন চরম ভাবে বিস্মিত করে তাদের। প্রথমে দেখা যায় শিশু টি গভীর ঘুমে মগ্ন। তারপরই মা যখন একটু নড়েচড়ে বসেন, ভেঙে যায় শিশু র ঘুম। তাঁকে দেখা যায় নিজের চোখ ডলতে ও দুঃখী চেহারা করতে, যেন ঘুম থেকে উঠতে মোটেও ভালো লাগছে না। অন্তত ছেলের বাবার কাছে সেটাই মনে হয়েছিল। বাচ্চাটিকে গর্ভাবস্থাতেই নানান রকম ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন দিতে দেখা যায়, পিতা-মাতার মতে শিশুটি যা এখনো করে থাকেন। আর ভিডিওর সবচাইতে দারুণ অংশটি শুরু হয়, যখন খিদে পায় শিশু টির আর সে খেতে শুরু করে। চলুন, দেরি না করে দেখে নিই মিষ্টি সেই ভিডিওটি।
ভয়াবহ ২১শে আগষ্ট

ভয়াবহ ২১শে আগষ্ট

সময় তখন বিকেল ৫টা ২২ মিনিট।। ২১ আগস্ট, ২০০৪ শনিবার ।বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল হওয়ার কথা। ছিলাম মন্চের পাশেই যেখানে আদা চাচা দাড়িয়ে ছিলেন ।মিছিল start করার জন্য কিছু দলীয় মহিলা যারা ব্যানার হাতে মিছিলের সামনে থাকবেন তাদেরকে ডেকে just একটু এগিয়ে --তখনই কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। রক্তগঙ্গা বয়ে যায় এলাকাজুড়ে।, নারকীয় উল্লাসে মানুষ মারার উৎসব হয়েছিল সেদিন । বেচেও গেলাম সেদিন কিছু বুঝে ওঠার আগেই । লোকজনের কি ভয়ংকর ছুটাছটি, চিৎকার, হাহাকার আজও যেন চোখে ভাসে । কারও যেন এমন দৃশ্য দেখতে না হয় । 

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তত্কালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে দেশের ইতিহাসের নৃশংসতম গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার এগারো বছরেও শেষ হয়নি। তবে মামলার প্রধান কৌঁসুলী সৈয়দ রেজাউর রহমান শুনিয়েছেন আশার কথা। তিনি বলেছেন, চলতি বছরেই মামলার বিচার কাজ শেষ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।


পুরনো ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন এজলাসে ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছে মামলার বিচার কাজ। মামলার ৪৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ১৯ আগষ্ট।  পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে ২৪ আগষ্ট। সব সাক্ষীরই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে কী না -এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্যই আগে নেয়া হচ্ছে। তবে কত জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে তা আগাম বলা সম্ভব না।

সূত্র মতে, মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫২ জন। এদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ২৬ জন, জামিনে ৮ জন আর পলাতক রয়েছেন তারেক রহমানসহ ১৮ জন। পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি করা হলেও কাউকে ফেরানো যায়নি। এদের মধ্যে দু’একজনের অবস্থান জানা গেলেও বাকিদের অবস্থানও চিহ্নিত করা যায়নি।

চার বছর পর চার্জশিট:দেশব্যাপী সন্ত্রাস বিরোধী ও বোমা হামলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ওই সমাবেশের আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। আর সমাবেশ শেষ হবার মুহূর্তে চালানো হয় পৈশাচিক এই গ্রেনেড হামলা। এ হামলায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্ল­ুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আহত হন প্রায় ৪শ’ নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এদের অনেকেই এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লি­ন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। ঘটনার রাতে (২১ আগষ্ট) বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের নির্দেশে তড়িঘড়ি করে মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করে। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ থানায় মামলা করতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে চারদলীয় জোট সরকার। হামলার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয় আওয়ামী লীগের উপর। সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক।  বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ায় মামলার কার্যক্রম থেকে যায়। পরবর্তীতে ওয়ান ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালে মামলার কার্যক্রম নতুন করে শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবির। কিন্তু মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তাকে বার বার হোঁচট খেতে হয়। কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার (যারা বর্তমানে মামলার পলাতক আসামি) রোষানলে পড়তে হয় তাকে। মামলার অন্যতম আসামি হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারীর ভাই বিএনপি নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুকে গ্রেফতার করার সময় সরাসরি তাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন অনড়। তিনি কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে ২০০৮ সালের ১১ জুন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। শুরু হয় বিচার কাজ। ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

কিন্তু প্রথম অভিযোগপত্রে গ্রেনেড সংগ্রহ, সরবরাহকারী, আক্রমণের পরিকল্পনাকারী আসামিদের শনাক্ত এবং অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ২০০৯ সালের ৩ আগষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনক্রমে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এবার মামলাটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রথম অভিযোগপত্রের ২২ জন ছাড়াও তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক চার্জশিটের ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ফের বিচার শুরু হয়।

পলাতক যারা: তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল বাবু, ডিএমপি’র সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, ডিএমপির সাবেক ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, মাওলানা তাজউদ্দিন (গ্রেনেড সরবরাহকারী, বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী),  ঝিনাইদহের ইকবাল, মাগুরার খলিলুর রহমান, ঢাকার দোহারের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর ও গোপালগঞ্জের মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার। তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে। আর ভারতের তিহার কারাগারে আটক রয়েছেন হুজির সদস্য আনিসুল মোরসালিন ও মহিবুল মোত্তাকিন।

জামিনে রয়েছেন ৮ জন:পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শক (আইজি) আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক, খোদা বকস চৌধুরী, সিআইডির সাবেক তিন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সী আতিকুর রহমান, আবদুর রশিদ, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক এবং ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি নেতা কাউন্সিলর আরিফুর রহমান।

কারাগারে ২৬ জন : সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, সামরিক গোয়েন্দা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক রেজ্জাকুল হায়দার, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক আব্দুর রহিম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা ফরিদ, মুফতি আব্দুল হান্নান ওরফে সাব্বির, হুজির সাবেক আমির মাওলানা আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ বাট, জঙ্গি আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সী ওরফে আবুল কালাম ওরফে আবদুল মান্নান, মহিবুল্ল­াহ মফিজুর রহমান ওরফে অভি, শরিফ শাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, শাহাদাত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হোসাইন আহম্মেদ তামিম,  আবদুস সালাম পিন্টু, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্ল­াহ, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, উজ্জ্বল ওরফে রতন,  আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক ও বরিশালের মাওলানা আবু বকর।

ভারতের সমুদ্রতটে ভেসে আসলো তিমির দেহ।

ভারতের সমুদ্রতটে ভেসে আসলো তিমির দেহ।


আবারও ভারতের সমুদ্রতটে ভেসে আসলো তিমির দেহ। তামিলনাড়ুর সমুদ্রতটে ভেসে এসেছে ৩৩ ফুট লম্বা তিমির দেহ। ৫ টন ওজনের তিমিটিকে প্রথম চিন্নাগুড়ি গ্রামের জেলেরা প্রথম দেখতে পান বলে জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর বন আধিকারিক গোপীনাথ। তিনি জানান, নাগাপট্টিম জেলার তরঙ্গমবাড়ি গ্রামের তটে পাওয়া গিয়েছে দেহ। 

 
তিমিটির দেহে পচন ধরতে শুরু করায় সমুদ্রতটেই অটোপ্সি করে বন বিভাগ। যদিও, মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। গত জুন মাসের শেষের দিকে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের সমুদ্রতটে বেসে এসেছিল ৪০ ফুট লম্বা এক নীল তিমি। বহু চেষ্টার পরও ২০ টনের জীবটিকে ঠেলে সমুদ্রে পাঠাতে পারেনি জেলেরা। অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় নীল তিমিটির।