বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৫

দুই কোরিয়ার সীমান্তে গোলা বিনিময়

দুই কোরিয়ার সীমান্তে গোলা বিনিময়


দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও বেশ কয়েকটি পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করেছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।  

বৃহস্পতিবার দেশ দুটির পশ্চিম সীমান্তের কাছে এ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তর কোরিয়া সেনা সদস্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওনের সেনা স্থাপনা লক্ষ করে রকেট হামলা চালিয়েছে। 

জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও বেশ কয়েকটি গোলা উত্তর কোরিয়ার সেনা সদস্যদের স্থাপনা লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনার পর দেশ দুটির সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া পশ্চিম সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন।

এদিকে গোলা বিনিময়ের এ ঘটনার পর সিউলে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে।

চলতি বছর দুই কোরিয়ার মধ্যে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গোলা বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। 
ইয়াবা তৈরির যন্ত্র সহ ধরা পড়া গাড়িটি কাজী ফিরোজ রশীদের ছেলের

ইয়াবা তৈরির যন্ত্র সহ ধরা পড়া গাড়িটি কাজী ফিরোজ রশীদের ছেলের

 

 

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ইয়াবা ও ইয়াবা তৈরির সরঞ্জমাদিসহ আটক বিলাসবহুল গাড়িটি জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের ছেলে সায়েম রশীদ এবং তার পরিবার ব্যবহার করতেন। কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই তারা দীর্ঘ ছয় মাস গাড়িটি ব্যবহার করে রাজধানীর একটি গ্যারেজে বিক্রি করে দেন। এরপর সেখান থেকে মাদক চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত জুবায়ের আহমেদ কিনে নিয়েছেন বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্য পেয়েছে। 
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর একটি শোরুম থেকে আট মাস আগে গাড়িটি কিনেছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা ও এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের ছেলে সায়েম রশীদ। এ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে গোয়েন্দারা। যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কোনো পুলিশ কর্মকর্তা। 
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঢাকায় আসলে আটক জিপ গাড়িটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিবি। কমিশনার দেশে না আসা পর্যন্ত গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাইছেন না কোনো পুলিশ কর্মকর্তা।’

এ বিষয়ে এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, ‘আমার ছেলে সায়েম সাদা রংয়ের পাজেরো জিপ গাড়িটি গুলশানের একটি শোরুম থেকে আট মাস আগে কিনেছিলো। গাড়িটি তিন মাসের বেশি চালানোর পর পছন্দ না হওয়ায় তা ওই শোরুমেই ফেরত  দেওয়া হয়। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ম-৫০১।’ 
গাড়িটির কোনো কাগজপত্র করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গাড়িটি সায়েম কিনলেও সে গাড়ির কোনো কাগজ করেনি। পছন্দ না হওয়ায় তা ফেরত দিয়েছিল। যে দামে কিনেছিল তার চেয়ে চারলাখ টাকা কম দিয়েছিল শোরুম মালিক খালেক।’

গাড়িটি আটকের পর গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কিনা এ প্রসঙ্গে কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, ‘আমাকে গোয়েন্দা পুলিশ গাড়িটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছে। তাদেরকেও আমি এসব কথা বলেছি। কিছুই গোপন করিনি।’

এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ‘মিয়ানমারের নাগরিক ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমেদ তাদের কাছে দাবি করেছিলো আটক পাজেরো গাড়িটি তার। নিকেতনে সে দুটি ফ্লাটের মালিক। তার কেনা একটি ফ্লাটের আগের মালিকের বড় ভাই রতন। তার থেকে ৬৫ লাখ টাকায় গাড়িটি অন্তত ছয় মাস আগে কিনেছিল জুবায়ের। তবে তার কাছে নিজের নামে গাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত কোনো কাগজ ছিল না। তাই গাড়িটির বৈধ কাগজপত্র কার নামে তা জানতে চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।’

রতন পলাতক রয়েছে জানিয়ে গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, ‘জুবায়ের দাবি করেছে রতন এক এমপির কাছ থেকে গাড়িটি কিনে তার কাছে বিক্রি করেছিল। তবে সেই এমপির পরিচয় জানাননি জুবায়ের। রতন পলাতক থাকায় এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।’

অপরদিকে গাড়ির ডানপাশের ডোরে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে সেটি গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে হয়নি বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

গত ২৪ আগস্ট (রোববার) সন্ধ্যায় খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হাসপাতালের সামনে একটি পাজেরো জিপে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা তৈরির যন্ত্রের সঙ্গে ৫৫ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ওই গাড়িটি আটক করে ডিবি পুলিশ। এসময় গ্রেফতার হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ জুবায়ের (২৮), আইয়ুব আলী (৪৫), শামসুল আলম (২৪) ও মোস্তাকিন হোসেন ওরফে সানি।

গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা রাজধানীতে প্রবেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঝুঁকি থাকায় ঢাকাতেই তারা ইয়াবা তৈরির পরিকল্পনা করেছিল।

পরদিন ২৫ আগস্ট (সোমবার) এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘টেকনাফ থেকে সাদা রংয়ের পাজেরো জিপে ইয়াবা, ইয়াবা তৈরির মেশিন নিয়ে তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সায়েদাবাদ হয়ে খিলগাঁওয়ে পৌঁছার পর ধরা পড়ে।’

আবদুল্লাহ জুবায়েরকে ইয়াবামাদক চক্রটির হোতা বলে মনে করছে পুলিশ।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পাজেরো জিপটিও তার। ইয়াবা বহনের জন্য এটি ব্যবহার হতো। জুবায়েরের নিকেতনে রয়েছে বিলাসবহুল দুটি ফ্ল্যাট। ভারতের দার্জিলিংয়ে এইচএসসি পর্যন্ত পড়েছেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়।’ 
ইতিহাস রচনা করেই হাসপাতাল ছাড়লো সুরাইয়া

ইতিহাস রচনা করেই হাসপাতাল ছাড়লো সুরাইয়া

 

পৃথিবীর আলো দেখার আগেই মাতৃগর্ভেই গুলিতে ক্ষতবিক্ষত। তারপর কঠিন ইতিহাসের সাক্ষী।অবশ্য সে নিজেও এক ইতিহাস।কারণ পৃথিবীর প্রথম মায়ের পেটে গুলি খেয়ে বেঁচে উঠা শিশু সেই প্রথম। অবশেষে মাগুরায় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়াকে সুস্থ অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে তার মায়ের কোলে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।


বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে এক আনন্দঘন পরিবেশে শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে তাদের বিদায়ও জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিশুটির চিকিৎসার জন্য গঠিত বোর্ডের প্রধান ও নবজাতক (এনআইসিইউ) বিভাগের প্রধান ডা. আজিজ হোসেন মোল্লা, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ টাবলু, অধ্যাপক আশরাফুল হক কাজল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলীসহ বোর্ডের ১০ চিকিৎসক এবং হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিশুটির বর্তমান অবস্থা তুল ধরে বোর্ডপ্রধান অধ্যাপক আজিজ হোসেন মোল্লা বলেন, ‘গত ৩০ বছর এ পেশায় থাকলেও এই প্রথম গর্ভে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিশুর চিকিৎসা করেছি। আমি প্রথম শিশুটির মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখি। প্রথমাবস্থায় শিশুটি ছিল ক্ষতবিক্ষত। ওজন কম থাকার পাশাপাশি তার চোখেও সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন তার ওজন সাড়ে ২১শ গ্রাম। শিশুটি এখন নিজেই মায়ের দুধ পান করছে।’
তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘শিশুটি ও তার মায়ের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছে সর্বস্তরের মানুষ। আমাদের ওয়ার্ড বয়ও তাকে ২ ব্যাগ রক্ত দিয়েছে।’

অধ্যাপক আজিজ হোসেন মোল্লা আরো বলেন, ‘আমি পৃথিবীর অনেক দেশে সার্চ করে দেখেছি, মায়ের পেটে গুলি খেয়ে বেঁচে উঠার ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে ব্রাজিলে এমন দুইটি ঘটনা ঘটলেও শিশু দুটি বাঁচেনি।’
শিশুটির সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন ডা. কানিজ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার অসীম করুনায় এবং সবার সহযোগিতায় শিশুটি এখন সুস্থ্য ও স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আমি সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলাম বলে তার সুস্থ্যতায় আমার খুব ভালো লাগছে।’

এদিকে নবজাতকের মা নাজমা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পরিবারের নিরাপত্তার কথা বললে মন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘শুধু নিরাপত্তাই দেয়া হবে না, পাশাপাশি শিশুটির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই সরকার করবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুটির সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন বলেও মন্ত্রী জানান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ ড. ইসমাইল খান, পরিচালক ব্রি. জে. মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য সচিব।
দেখুন কিভাবে বানানো হচ্ছে কৃত্রিম ডিম ।

দেখুন কিভাবে বানানো হচ্ছে কৃত্রিম ডিম ।

http://dcrimes.blogspot.com/

          আপনি শুনে অবাক হবেন যে, আপনি যে ডিম ভেজে/সিদ্ধ করে খাচ্ছেন তা কৃত্রিম ডিম ও হতে পারেন যা কিনা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বাজারে নকল/ কৃত্রিম ডিমে সয়লাব হয়ে গেছে, কিন্তু, আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার কেনা ডিমটি আসল ডিম-নকল ডিম নয়? আসুন আমরা জানি এবং সচেতন হই এ থেকে। এই কৃত্রিম ডিমটিকে অনেকে বলেন – ফেক ডিম, প্লাস্টিক ডিম, কেমিক্যাল ডিম, চায়না ডিম ইত্যাদি।
আসুন, প্রথমে আমরা জানি যে, একটা ডিমের কয়টা অংশ থাকে। একটা ডিমের তিন অংশ-ডিমের খোসা, ডিমের সাদা অংশ, ডিমের কুসুম। এই তিনটি অংশ হুবুহু তৈরি করা যাচ্ছে কেমিক্যাল দিয়ে।
সাধারণতঃ কৃত্রিম ডিমের খোসাটি তৈরি করা হয় ক্যালসিয়াম কারবনেট দিয়ে, ডিমের হলুদ ও সাদা অংশের মুল উপাদান সোডিয়াম এলজিনেট, এলাম, গিলেটিন এবং খাদ্য লবন এবং ডিমের কুসুমের কালারের জন্য কমলা হলুদ ফুড কালার।

  • প্রথমে গরম পানির সাথে সোডিয়াম এলজিনেট কে মিশ্রিত করে তার সাথে গিলেটিন, এলাম ও অন্যান্য উপাদান ভাল ভাবে মিশ্রিত করা হয় যাতে ডিমের সাদা অংশের মত দেখায়।
  • অতঃপর, ডিমের কুসুম তৈরির জন্য অন্য পাত্রে কিছু মিশ্রন নিয়ে তাতে কমলা হলুদ রঙ মেশানো হয়।

  • তারপরে, এই মিশ্রণকে ছাঁচে ঢালা হয় যাতে কুসুম সদৃশ কোন কিছু তৈরি হয়, এবং এই কুসুমকে অন্য পাত্রে রাখা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবনে ডুবানো হয়।
    এর ফলে, ডিমের চার পাশে একটি পাতলা পর্দা তৈরি হয়।
    অতঃপর, এটাকে প্যারাফিন ওয়াক্স, জিপসাম পাওডার, ও ক্যালসিয়াম কারবনেটের মিশ্রণে ডুবানো হয় যাতে ডিমের খোসা তৈরি হয় ।
    ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল কৃত্রিম ডিম।

    কিভাবে চেক করবেন যে আপনার কেনা ডিমটি কৃত্রিম কিনা?

    আপনি যখন একটি কৃত্রিম ডিমকে ভাঙবেন তখন দেখবেন যে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম খুব দ্রুত এক সাথে মিশে যাচ্ছে, কারন, দুটো একি উপাদানে তৈরি,শুধু রংটা ভিন্ন।
    • কৃত্রিম ডিমের খোসাটা আসল ডিমের চাইতে কিছুটা আকর্ষণীয়। সাধারনভাবে ধরাটা কিছুটা কঠিন।
    • কৃত্রিম ডিমটা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে কিছুটা অমসৃণ মনে হবে।
    • কৃত্রিম ডিমটাকে ঝাকালে হালকা একটা শব্দ পাওয়া যাবে।
    • আসল ডিমের গা থেকে কিছুটা কাচা মাংসের গন্ধ পাওয়া গেলেও কৃত্রিম ডিমে তা পাওয়া যায় না।
    • কৃত্রিম ডিম ভাঁজলে কুসুমটা সাদা অংশের সাথে সহজে মিশে যেতে চায়।
    ভাঁজা ডিম (কৃত্রিম) ঃ

    সিদ্ধ ডিম (কৃত্রিম) ঃ
    কৃত্রিম ডিম তৈরিতে কেমিক্যালগুলোর নামঃ
     CompositionSide effects and harmsUsage
    GlucolactoneMetabolism disorderSolidifier
    Benzoic acidHarmful to brain, nerve cell. May cause liver dieses, senile dementia.Preservative
    Calcium ChlorideMay cause nerve, liver dieses. May affect ability to produce blood.Egg Shell
    CelluloseMetabolism disorderAdditive
    AlumMay cause nerve, liver dieses. May affect ability to produce blood.Softener
    Amino AcidMetabolism disorderAdditive
    Food coloring
    “Egg yolk” color
    Sodium alginate
    “Egg white” and “egg yolk”
    Gelatin
    “Egg white” and “egg yolk”

    ‘পচা গম নিতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না’-আপিল বিভাগেও বহাল

    ‘পচা গম নিতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না’-আপিল বিভাগেও বহাল

    ব্রাজিল থেকে আনা পচা গম নিতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না, হাইকোর্টের দেয়া এ আদেশকে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সেই সাথে গম নিতে কেউ ফেরত দিতে চাইলে সরকার তা নিতে বাধ্য থাকবে।
    বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল উত্থাপিত হয়নি মর্মে তা খারিজ করেছেন।


    এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুলাই ‘ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম কাউকে জোর করে দেয়া যাবে না এবং কেউ ওই গম ফেরত দিতে চাইলে কর্তৃপক্ষকে তা ফেরত নিতে হবে’ এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে এ বিষয়ে দায়ের করা রিট নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট।
    পরে ৯ জুলাই হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

    উল্লেখ্য, ব্রাজিলের গম নিয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ৪০০ কোটি টাকার দুই লাখ টন ‘নষ্ট ও পচা গম’ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়

    ও খাদ্য অধিদফতর ‘লুকোচুরি করছে’। পচা ও নষ্ট গম আমদানির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দেয়ার পরও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। বরং সেগুলো বিভিন্ন কর্মসূচিতে এবং সরকারি সংস্থায় বিতরণ করা হচ্ছে।
    ২১ বছরেও খোঁজ মেলেনি স্বজনরা পথ চেয়ে আছে ।

    ২১ বছরেও খোঁজ মেলেনি স্বজনরা পথ চেয়ে আছে ।

    আজ ভয়াল ২০ আগস্ট। চাঁদপুরের ইতিহাসে শোকাবহ একটি দিন। ১৯৯৪ সালের এই দিনে মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়ে নিমজ্জিত হয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি দিনার-২। এতে কমপক্ষে দেড়শ যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে।
    দুর্ঘটনার ২১ বছর অতিবাহিত হলেও আজো নিমজ্জিত লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের অধিকাংশই চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার অধিবাসী। স্বজনহারা শরীয়তপুরবাসী এখনো সেই শোকাবহ স্মৃতি ভুলতে পারেন নি। সেই ভয়াল স্মৃতি আজো স্বজনহারাদের কাঁদায়। এর মধ্যে চাঁদপুরের বেশ কয়েকজন যাত্রীও মারা যায়।
    উদ্ধার করা পরিচয়হীন লাশগুলোকে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর শহরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই সময় নিহতদের তালিকা করা হলেও তারা সরকারি সাহায্য সহযোগিতা বা ক্ষতিপূরণ কিছুই পায়নি।
    লঞ্চডুবিতে নিহতদের স্মরণে নিরাপদ নৌ-পথ বাস্তবায়ন পরিষদ, ডাকাতিয়ার তীরে লঞ্চঘাট বাস্তবায়ন পরিষদ ও সম্মিলিত ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে ২০ আগস্ট সকাল ১১টায় চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর কোনো দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রী যেন প্রাণ না হারায় সেজন্য সবাইকে সচেতন করে দেয়া নিহতদের স্মরণে শোকসভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
    এদিকে ২০০৩ সালের ৮ জুলাই রাত পৌনে ১১টায় একই স্থানে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি নাসরিন-১ ডুবে যায়। এতে ৩ শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতদের অধিকাংশই ভোলা জেলার অধিবাসী। নিমজ্জিত নাসরিন-১ লঞ্চটিও উদ্ধার করা যায়নি। ভোলাবাসীর জন্য এ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখের।
    উল্লেখ্য, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনাস্থলে তীব্র স্রোত বয়। নদীশাসন না করায় প্রতিবছর বর্ষায় এ স্থানটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়। ২০০৮ সালেও একই স্থানে
    নৌকাডুবিতে ২ জেলের মৃত্যু হয়।
    সিঙ্গল মাদার হতেও পারি: সায়নী ঘোষ

    সিঙ্গল মাদার হতেও পারি: সায়নী ঘোষ

    তাঁর একলা চলো ছবিতে উঠে এসেছিল অবিবাহিত নারীর মাতৃত্ব ও সন্তানের অভিভাবকত্বের কথা। ছবিমুক্তির কিছুদিন পরেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে নারীরা পেয়েছে সে অধিকার। এ স্বীকৃতিতে আপ্লুত সে ছবির অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। রায়কে স্বাগত তো জানালেনই, পাশাপাশি মজা করে জানিয়ে দিলেন, আমিও সিঙ্গল মাদার হতে পারি। সম্প্রতি তাঁর চৌকাঠ ছবির ট্রেলর লঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি জানালেন সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে তাঁর খুশির কথা। এই রায়ে খুব খুশি আমি। ভাবছি বছর তিনেকের মধ্যে সিঙ্গল মাদার হয়েই যাব। আর ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যখন স্বীকৃতি দিয়েছে তখন তো কোনও সমস্যাই নেই। উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের ক্ষেত্রে এটা খুবই ভালো খবর। এবং আমাদের দেশে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তো খুবই ম্যাটার করে, বললেন সায়নী।

    নারীদের অধিকার নিয়ে চর্চারও সময় এসেছে বলে মনে করেন সায়নি। জানালেন, দেখ, ইউএসএ-তে গে ম্যারেজ চালু হয়ে  গিয়েছে। কলকাতা এখনও ৩৭৭ ধারা নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। এই নিরিখে সুপ্রিম কোর্টকে আমি খানিকটা কুলই বলব। আমার মনে হয়, আমাদের ভারতকে আর একটু বেশি লিব্যারাল হতে হবে। আমাদের ভারতে এতরকমের জাতি, সংস্কৃতি, ভাষাভাষি মানুষ আছেন, নানা ধর্মের মানুষ আছেন, তো আমার মনে হয় আর একটু বড় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সবকিছু গ্রহণ করা উচিত। নারীদের বিষয় নিয়ে আরও সিনেমাও হওয়া উচিত বলে মনে করেন সায়নি। সেরকম সিনেমা টলিউডে এই মুহূর্তে হচ্ছেও। তাই সব মিলিয়ে আশাবাদী তরুণ এই অভিনেত্রী। 
    সাগরতল থেকে ‘ইসরাইলের গুপ্তচর ডলফিন আটক’

    সাগরতল থেকে ‘ইসরাইলের গুপ্তচর ডলফিন আটক’

    ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে যে তাদের সাগরতলের নিয়োজিত কমান্ডোরা গাজা উপকূল থেকে একটি ডলফিন আটক করেছে যেটি ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত ছিল।হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, ডলফিনটি নজরদারির ডিভাইসে সুসজ্জিত ছিল।কয়েক সপ্তাহ আগে হামাসের নৌ কমান্ডোরা ডলফিনটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয় বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, প্রাণীকুলের মধ্যে ডলফিনই সবচেয়ে চালাক। ডলফিন এতোটাই অগ্রগামী যে কয়েকটি দেশে সামরিক কাজে একে ব্যবহার করছে।  ইসরাইলি নৌবাহিনীর ডলফিন শ্রেণির একটি সাবমেরিন বহর রয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন প্রাণীর সাহায্যে গুরপ্তরবৃত্তির অভিযোগ ইসরাইলের 
    নতুন নয়।এর আগে তুরস্ক অভিযোগ করেছে যে পাখি দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে ইহুদিবাদী দেশটি।২০১২ সালে সুদান একটি ঈগল আটক করে এবং দাবি করে যে এটি মোসাদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিল।দুই বছর আগে একজন মিশরীয় কর্মকর্তা মন্তব্য করেছিলেন যে লোহিত সাগরের পর্যটন এলাকায় একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত হাঙ্গর।তবে ডলফিন দ্বারা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এবারই প্রথম। সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট, টাইমস অব ইসরাইল

    http://withnews24.blogspot.com/ 
    আগামী বছরের জুলাই মাসে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর হচ্ছে।

    আগামী বছরের জুলাই মাসে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর হচ্ছে।

     ডিসেম্বর মাসে নয়, আগামী বছরের জুলাই মাসে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর হচ্ছে। এই নিয়ে চলতি বছরেই তিন দফা সময় বাড়ানো হলো। এর আগে চলতি বছরের জুনের মধ্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরের নির্দেশনা ছিলো। তখন না হওয়ায় আবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর আবার ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ট্যানারি শিল্প সাভারে সরিয়ে নিতে আগামী ডিসেম্বর নয়, ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল বুধবার  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নদী বন্দর রক্ষা সম্পর্কিত টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমরা ঠিক করেছিলাম ডিসেম্বরের মধ্যে ইটিপির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখন পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তাই জুলাইয়ে আমরা ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নেওয়ার সময় ঠিক করতে যাচ্ছি। শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, হাজারীবাগে ট্যানারি মালিকদের জায়গা থাকলেও তারা এখানে ব্যবসা করতে পারবে না। ট্যানারির ব্যবসা করতে হলে তাদের সাভারে যেতেই হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রী জানান, টাস্কফোর্স এ পর্যন্ত ঢাকার চারপাশের নদীর ১৮০ একর জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করেছে। এ পর্যন্ত ৮২৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া ২১৮ জন অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে শিগগিরই কাউকে না জানিয়ে অভিযানে যাবে টাস্কফোর্সের সদস্যরা। তাৎক্ষণিক অভিযানে যাকে পাওয়া যাবে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে তাকেই শাস্তির আওতায় আনা হবে।  এদিকে ঢাকার চারপাশের চারটি নদী রক্ষায় টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ২০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সাথে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকার চারপাশের নদীতে ১৪০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এই সীমানায় ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে পারলে নদী রক্ষায় তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।মন্ত্রী জানান, র‌্যাব ও নৌ পুলিশের জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিনের সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটছে এবার। নদীর ওই পারে কেরানীগঞ্জে ১৫ একর জায়গার ওপর র‌্যাব ও নৌ-পুলিশের অফিস হবে বলে জানান নৌপরিবহন মন্ত্রী। এজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ আরো কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের জন্য ১০ একর এবং নৌ-পুলিশের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৫ একর জায়গা। ম্যাটাডর বলপেন গ্রুপের বিরুদ্ধে নদীর জায়গা দখলের অভিযোগ এনে নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, ম্যাটাডর বলপেন গ্রুপ অত্যন্ত সুকৌশলে নদীর জায়গা দখল করে সুসজ্জিত মসজিদ নির্মাণ করেছে। তারা একটি ব্রিজের এক চতুর্থাংশ দখল করে ভবন করেছে। এর পাশেই মসজিদ। এই মসজিদকে জায়গা দখলের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এজন্য এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।