বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সারিবদ্ধভাবে চলছে অবৈধ দেহব্যবসা । রাতের আঁধারে রহস্যময় এফডিসি:

সারিবদ্ধভাবে চলছে অবৈধ দেহব্যবসা । রাতের আঁধারে রহস্যময় এফডিসি:

সারা দিন হিরো-হিরোইন আর পরিচালকের আনাগোনায় এফডিসি প্রাণবন্ত থাকলেও আঁধার ঘনিয়ে আসতেই পাল্টে যায় চিত্র। রহস্যে ভরে ওঠে চারপাশ। শুরু হয় রহস্যময় মানুষের আনাগোনা। ভেতরে আসা এবং ১৫ মিনিটের সিডিউল নিয়ে আরো গভীরে চলে যাওয়া। সারা রাতই চলে এমন। অনুসন্ধানে যা বেরিয়ে এলো তা এফডিসির মতো জায়গায় কারোরই প্রত্যাশিত নয়। দিনের ব্যস্ততা শেষে আঁধার নামতেই এফডিসির ফ্লোরগুলো জমে ওঠে আড্ডায়। মুখরিত হয় নানা খুঁনসুটিতে। যেন মুহূর্তেই দূর হয়ে যায় সব অবসাদ। কোথাও চেয়ার নিয়ে কোথাও সবুজ ঘাসে গোল হয়ে বসে চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা। আর এই আড্ডায় বাড়তি আমেজ ছড়াতে থাকে গান-বাজনার আসর।

6735176_orig
রাত ৯টা। এফডিসির গেটটি যেন বুক উদম করে দাঁড়িয়ে আছে কাওরান বাজার এলাকার দিকে। বাইরে রয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। কেউ অপেক্ষা করছেন নায়ক বা নায়িকা দেখতে, কেউ আবার অপেক্ষা করছেন সুযোগের। গেটে দাঁড়ানো ভয়ঙ্কর গোঁফওয়ালা দারোয়ানকে ম্যানেজ করতে পারলেই ভেতরে ১৫ মিনিটের মজা!
রাত ঘন হতেই বিশেষ এক শ্রেণীর লোকের আনাগোনা বেড়ে যায় মূল ফটকের সামনে। এরা যারা গেটে দাঁড়িয়ে আছেন ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় তারা কেউই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাহলে কেন তারা ভেতরে ঢুকতে চাইছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ভিড় ঠেলে গেটের সামনে যেতেই পথ আগলে দাঁড়ালেন সেই গোঁফওয়ালা প্রহরী। হাতে ইয়া মোটা লাঠি, যদিও এর প্রয়োগ খুব একটা হয় না। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি আর ঝামেলা করলেন না।
ভেতরে পা ফেলতেই কেমন একটা থমথমে অনুভূতি। রাস্তার দু’ধারে শ্যুটিং সেটের লোকজন গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আড্ডার পাশাপাশি কেউ ঠিক করছেন লাইট। কেউ আবার কাজ করছেন পরের দিনের শ্যুটিংয়ের সেট তৈরিতে।
একটু এগিয়ে ক্যান্টিনের কাছে যেতেই যেন অন্যরকম পরিবেশের হাওয়া শরীর ছুঁয়ে যায়। সেখানেও গোল হয়ে চলছে নারী-পুরুষের আড্ডা। তবে রহস্যের ব্যাপারটা হচ্ছে ১০ বা ১৫ মিনিট পরপর একজন করে উঠে সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছেন। ফিরছেনও ১০ বা ১৫ মিনিট পরে। কোথায় যাচ্ছেন তারা, কী এমন কাজ করছেন যে নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে সময় লাগছে ফিরতে?
রহস্যের জাল ছেদ করতে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া মানুষগুলোর পিছু নিয়ে দেখা যায়, সবাই ছোট ছোট পা ফেলে যাচ্ছেন মান্না ডিজিটাল হলের দিকে। বিড়ালের মতো নিঃশব্দে মান্না ডিজিটাল হলের কাছে যেতেই দেখা যায় ছোট একটি লোহার গেট দিয়ে সবাই একে একে প্রবেশ করছেন ঝর্ণা স্পটে। সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছেন ঝর্ণা স্পটের ব্রিজের ওপারে। সেখানে আবার রয়েছে বসার জন্য সুন্দর বন্দোবস্ত।
খুব সাবধানে পা ফেলে ঝর্ণা স্পটের পেছনে পৌঁছে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে চলছে নারী-পুরুষের সঙ্গম। পাশেই পড়ে রয়েছে অসংখ্য ব্যবহৃত টিস্যু ও নানা ব্র্যান্ডের প্যাকেট। প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেতেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান তারা। ব্যস্ত হয়ে ছুটতে থাকেন এদিক ওদিক। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই নারীরাই দিনে কাজ করেন ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে এক্সট্রা হিসেবে। আর রাতে কিছু বাড়তি উপার্জনের নেশায় চলে শরীর বিক্রি। পুরুষগুলোও কাজ করেন বিভিন্ন সেটে। রাত হলে তারাও চান নারী শরীরের ঘাম শুষতে। চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের কেন্দ্র বলা হয় এফডিসিকে। এটা ধরতে গেলে দেশের নির্মাতাদের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে যে কেউই হতবাক হবেন। এখানে শুধু অনৈতিক কর্মকাণ্ডই চলছে এসব যারা করছেন তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেসনে ময়লা আবর্জনা ফেলে ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলেছেন।

সতীত্ব না-খুইয়ে নারীরা এখন মা হচ্ছেন।

সতীত্ব না-খুইয়ে নারীরা এখন মা হচ্ছেন।

সতীত্ব না-খুইয়ে নারীরা এখন মা হচ্ছেন। এমনটাই দাবি ডাক্তারদের। শুধু ব্রিটেনেই এমন তরুণীর সংখ্যা ২৫। ডাক্তার বলছেন, বিষমকামী হওয়া সত্ত্বেও তারা কুমারী অবস্থাতেই আইভিএফ-এ মা হচ্ছেন বা ইতিমধ্যেই হয়েছেন। এদের এমনও কেউ কেউ রয়েছেন, যারা এখনও পর্যন্ত সেক্স করেননি। অর্থাৎ‍‌, সতীত্ব না-খুইয়েই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যাকে বলে ভার্জিন বার্থ।

     
কেন এমন সিদ্ধান্ত? ওই কুমারী মায়েদের কেউ কেউ ডাক্তারকে জানিয়েছেন, পছন্দসই পাত্র খুঁজে না-পাওয়ার কারণেই বিয়ে না-করেই তাঁরা মা হয়েছেন। কেউ আবার শারীরিক জটিলতার কারণে বা সেক্স নিয়ে ভীতি কাজ করায়, বিয়ে বা সহবাস না-করেই আইভিএফ-এ মা হয়েছেন।ডাক্তারদের অভিজ্ঞতায়, অন্য মায়েদের তুলনায় এই একাকী মায়েরা কিন্তু অনেক বেশি আবেগপ্রবণ, সেইসঙ্গে আর্থিকভাবে সচ্ছল। National Gamete Donation Trust-এর চিফ এগজিকিউটিভ লরা উইটজেনের কথায়, 'সিঙ্গল ওমেন' বা কুমারী মায়ের কথা শুনলে, এখনও চারপাশের লোকজন বাঁকা চোখেই দেখে। কিন্তু, মহিলাদের কুমারী অবস্থায় মা হওয়ার অধিকার যে রয়েছে, এটা ভুললে চলবে না। আইভিএফ ক্লিনিকগুলোরও দায়িত্ব বর্তায়। 
অনলাইনে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা ।

অনলাইনে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা ।

সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে দেহ বিলিয়ে দেয়ার ব্যবসা বা দেহব্যবসা। এ ব্যবসা যেমন থেমে নেই তেমনি এবার যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে অভিনব কায়দায় দালালদের মধ্যস্ততায় রমরমিয়ে নারীদেহ নিয়ে খেলা করা ব্যবসা। দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই দেহব্যবসার নানা তথ্য।
দেহব্যবসা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বৈধতা থাকলেও আমাদের দেশে এই ব্যবসার কোন বৈধতা নেই। দেশে দেহব্যবসার আইন স্বীকৃত না থাকলেও দেধারছে চলছে এই ব্যবসা, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় অনলাইনে দালালদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়িতে এই অবৈধ ব্যবসা চলছে বেশ রমরমিয়ে।
প্রতিবেদটিতে ওঠে এসেছে রাজধানীর গুলশান, বনানী ছাড়াও মহাখালী, ডিওএইচএস, লালমাটিয়া, ইস্কাটনরোড, সেন্ট্রালরোড, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, শান্তিনগর, উত্তরাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়িতে জমজমাট দেহব্যবসার কথা। যেখানে উচ্চ দামে যৌনকর্মীদের পুরো রাত অথবা ঘন্টা হিসেবে দালালদের মধ্যস্ততায় খরিদ করে দেহভোগ করে থাকে এক শ্রেণির মানুষ।
দুই থেকে তিনজন যৌনকর্মীর সাথে কথা বলে তাদের এ পথে আসার গল্প জানা গেছে প্রতিবেদনটিতে। তারা জানিয়েছে এ পথে জড়িয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কষ্টের কথাও। জানা গেছে, এ পথের দালালদের অনেকটা হদিসও। এছাড়াও কত মানুষ প্রতি রাতে এই দেহব্যবসায়ীদের সাথে অবৈধ কর্মে লিপ্ত হচ্ছে এবং কত দেহব্যবসায়ী তাদের দেহ উজাড় করে দিচ্ছে তাহাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে কত বছর বয়সীরা এ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এখানে এই দালাল চক্রের গডফাদারের দর্শনও দেখানো হয়েছে। এবং এই দেহব্যবসায়ীদের নিয়ে সমাজের উচ্চ শ্রেণিরাও ফূর্তি করছে বলে উল্লেখ রয়েছে । 

জানা অজানা কাহিনী

জানা অজানা কাহিনী

আমরা আমাদের চতুর্দিকে যে অসীম বিস্তৃতি অবলোকন করি অথবা বিজ্ঞানীগণ শক্তিশালী দূরবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে ঊর্ধ্বাকাশে যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টিপাত করতে সক্ষম, সেই দূরত্বটুকুই কি সাত-আসমানের সীমানা, নাকি এর পরেও দৃষ্টিসীমার অন্তরালে আল্লাহতায়ালা আরও ছয়টি আসমানকে সাজিয়ে রেখেছেন ? – এই প্রশ্নটি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই এবং এর সঠিক জবাব বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি। তবে আল-কোরআনে এ বিষয়ে বেশ কিছু ইংগিত রয়েছে। বৈজ্ঞানিক ইংগিতবহ ঐশী-দিকনির্দেশনার আলোকে গবেষণাকর্ম চালিয়ে গেলে সত্যান্বেষী বিজ্ঞানীগণ অচিরেই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাবেন। এর ফলে সকল দ্বিধাদন্দের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ সত্যকে আরও নিবিড়ভাবে জানতে ও বুঝতে পারবে। যদিও আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত, তথাপি এ অবধি অর্জিত যৎসামান্য জ্ঞানের আলোকে আমি এ বিষয়ে কিছু বক্তব্য পেশ করতে চেয়েছি। আসল জ্ঞান তো সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালার নিকটে।
মহান আল্লাহতায়ালা ‘সপ্ত-আকাশমন্ডলীকে’ আল-কোরআনে সৃষ্টি বিষয়ক আয়াতসমূহে স্পষ্টভাবে ‘ছাব`আ ছামাওয়াতি’হিসেবেই উল্লেখ করেছেন-
আল-কোরআন-
সূরা হা-মীম-আস সীজদা-আয়াত নং-১২
(৪১ : ১২) ফাক্বাদ্বা- হুন্না ছাব’আ ছামা-ওয়া-তিন ফী ইয়াওমাইনি ওয়া আওহা-ফী কুল্লি ছামা -য়িন আমারাহা; ওয়া যাইয়্যিনিছ ছামা – আদ দুনইয়া- বিমাছা- বীহা ওয়া হিফজা; জা- লিকা তাক্বদীরুল আযীযিল ‘আলীম।
(৪১ : ১২) অর্থ:- অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তাঁর বিধান ব্যক্ত করলেন; এবং আমরা (আল্লাহ- সম্মান সূচক) দুনিয়ার অর্থাৎ পৃথিবীর (নিকটবর্তী) আকাশকে সজ্জিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং করলাম সুরক্ষিত, এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
সূরা মুমিনূন-আয়াত নং-১৭
(২৩ : ১৭) অ লাক্বাদ খালাক্বনা-ফাওক্বাকুম ছাব’আ ত্বারা -য়িক্বা অমা-কুন্না-‘আনিল খালাক্বি গ্বা-ফিলীন।
[ তারা’য়িকুন =(অর্থ)- পথ, দল, পদ্ধতি -‘কোরআনের অভিধান’-মুনির উদ্দীন আহমদ -২৪০পৃষ্ঠা ] (২৩ : ১৭) অর্থ:- আমি তো তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সাতটি পদ্ধতি (পথ) এবং আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই।
( নিকটবর্তী অর্থাৎ প্রথম আসমানে মূলত সৌরমন্ডলীয় পদ্ধতিতেই সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে এবং অসীম বিস্তৃতি ঘটেছে।তেমনি বাকী আসমানগুলোতেও হয়ত ভিন্ন ভিন্ন এক একটি পদ্ধতি রয়েছে, যা আমরা এখনও জানতে পারিনি )
বিজ্ঞানের সহায়তায় আমরা জেনেছি যে, আমরা শুধুমাত্র একটি কালিক ও তিনটি স্থানিক মাত্রা দেখতে পাই এবং সেক্ষেত্রে স্থান-কাল যথেষ্ট মসৃন ( Fairly flat )। এটা প্রায় একটা কমলালেবুর বাইরের দিকটির মত। যা কাছ থেকে দেখলে সবটাই বঙ্কিম এবং কুঞ্চিত কিন্তু দূর থেকে দেখলে উঁচু নিচু দেখতে পাওয়া যায় না। মনে হয় মসৃণ। স্থান-কালের ব্যাপারটাও সেরকম -অত্যন্ত ক্ষুদ্রমাত্রায় দেখলে দশমাত্রিক এবং অত্যন্ত বঙ্কিম, কিন্তু বৃহত্তম মাত্রায় বক্রতা কিংবা অতিরিক্ত মাত্রা দেখতে পাওয়া যায় না। স্থানের তিনটি এবং কালের একটি মাত্রা ছাড়া অন্য মাত্রাগুলি বক্র হয়ে অত্যন্ত ক্ষুদ্র আয়তনের স্থানে রয়েছে। সেই স্থানের আয়তন প্রায় এক ইঞ্চির এক মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। এগুলো এতই ক্ষুদ্র যে আমাদের নজরেই আসে না। সুতরাং স্পষ্টতই মনে হয়, স্থান-কালের যে সমস্ত অঞ্চলে একটি কালিক ও তিনটি স্থানিক মাত্রা কুঞ্চিত হয়ে ক্ষুদ্র হয়ে যায়নি একমাত্র সেই সমস্ত অঞ্চলেই প্রাণ অর্থাৎ প্রাণ বলতে যা বুঝি সেই রকম প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব। তবে তন্তু-ত্বত্ত্বের অনুমোদন সাপেক্ষে মহাবিশ্বের অন্যান্য এরকম অঞ্চল কিংবা এমন একাধিক মহাবিশ্ব (তার অর্থ যাই হোক না কেন) থাকার যথেষ্টই সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে সমস্ত মাত্রাই কুঞ্চনের ফলে ক্ষুদ্র কিংবা যেখানে চারটি মাত্রাই প্রায় সমতল। কিন্তু সেই সমস্ত অঞ্চলে বিভিন্ন সংখ্যক কার্যকর মাত্রাগুলো পর্যবেক্ষণ করার মত বুদ্ধিমান জীব থাকবে না। দ্বিমাত্রিক জীবের কথা কল্পণা করা যাক, যদি সে এমন কিছু খায় যে তার পুরোটা হজম করতে না পারে, তবে খাদ্যের বাকী অংশটা সে যে মুখে আহার কেরেছে সেই মুখ দিয়ে বের করে দিতে হবে। অন্যদিকে যদি দেহের ভিতরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত পথ থাকে তাহলে জন্তুটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। তিনটির বেশি স্থানিক মাত্রা হলেও সমস্যা দেখা দেবে। এক্ষেত্রে দুটি বস্তুর মধ্যকার দূরত্বের বৃদ্ধির সঙ্গে মহাকর্ষীয় বলের হ্রাসপ্রাপ্তি সাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হবে। ফলে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার স্থিরত্ব হ্রাস পাবে এবং তারা হয় সর্পিল গতিতে সূর্য থেকে দূরে সরে যাবে, নয়তো সূর্যের ভিতরে গিয়ে পরবে। ( বিস্তারিত জানার জন্য ‘কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ স্টিফেন ডব্লু হকিং-১০ অধ্যায় দেখে নিতে পারেন। )

আল-কোরআন-
সূরা যারিয়া-অয়াত নং-৪৭
(৫১ : ৪৭) আছ্ছামা আ বানাইনা-হা-বিআইদিওঁ ওয়া ইন্না -লামূছিউ-ন।
(৫১ : ৪৭) অর্থ:- আমি আকাশ নির্মাণ করেছি ক্ষমতা বা শক্তিবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী।
(৫১:৪৭) নং আয়াতে “আছ্ছামা-আ” অর্থাৎ ‘আকাশ’ নির্মাণের সাথে শক্তি বা ক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ থাকায় এমন ‘একক আকাশের’ প্রতি ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আকাশে সৃষ্টির আদি পর্যায়ে বলবাহী মৌল-কণিকাগুলো ঘনিভূত শক্তিরূপে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে বিরাজমান ছিল। অতঃপর সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় একদা এর মহাসম্প্রসারন শুরু হয়।
“আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি” প্রবন্ধের -‘সৃষ্টিকালীন ১ম – ইওম বা দিন’- পড়ে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে

সূরা আম্বিয়া-আয়াত নং-৩০
(২১ : ৩০) আ অ লাম ইয়ারাল লাজীনা কাফারূ -আন্নাছ ছামা- ওয়াতি অল আরদ্বা কা- নাতা- রাতাক্বান ফাফাতাক্বনা হুমা;অ জ্বায়ালনা মিনাল মা -য়ি কুল্লা শাইয়িন হাইয়্যিন; আফালা – ইউমিনূন।
(২১ : ৩০) অর্থ:- যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু পরিগঠন করলাম পানি হতে; তবুও কি ওরা বিশ্বাস করবে না ?
(২১:৩০) নং আয়াতে ‘আন্নাছ্ ছামা-ওয়াতি’ বলতে সৃষ্টিকালীন প্রাথমিক পর্যায়ের এমন ‘এক আকাশমন্ডলীর’ কথা বোঝান হয়েছে যখন সপ্ত-আকাশের মধ্যকার সকল স্তর ও মহা-স্তরগুলো এবং পৃথিবীও একত্রিত অবস্থায় বিরাজ করছিল।
সূরা-হা-মীম-আস-সিজদা-আয়াত নং-১১
(৪১ : ১১) ছুম্মাছতাওয়া -ইলাছ্ছামা -য়ি ওয়া হিয়া দুখা নুন ফাক্বা-লা লাহা – ওয়ালিল আরদ্বিতিয়া তাওআন আও কারহা; কা- লাতা- আতাইনা- ত্বা -য়িঈন।
{দুখানুন =(অর্থ)- ধুঁয়া -‘কোরআনের অভিধান’-মুনির উদ্দীন আহমদ -১৮৬ পৃষ্ঠা }
(৪১ : ১১) অর্থ:- অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ। অতঃপর তিনি তাকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, “তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।” তারা বলল, ‘আমরা এলাম অনুগত হয়ে।’

(৪১:১১) নং আয়াতে ‘ইন্নাছ্ছামা-য়ি’ শব্দটির সাথে ‘দুখানুন’ অর্থাৎ ‘ধুম্রপুঞ্জের’ বিষয়ে উল্লেখ থাকায় এমন এক আকাশকে বোঝান হয়েছে ‘যা’ ডাইমেনশন বা মাত্রাগত ছকে নানা স্তর ও মহাস্তরে সাজান সপ্ত-আকাশ সৃষ্টির পূর্ববর্তী অবস্থা। এই অবস্থায় ‘আকাশ’, ধুম্রপুঞ্জ দ্বারা অর্থাৎ পৃথিবী সৃষ্টির পরও বিদ্যমান ভরবাহী মৌল-কণিকা ও পৃথিবী থেকে বিকর্ষীত স্বয়ংসম্পূর্ণ মৌলিক পদার্থ কণিকা বা পরমাণুসমূহ দ্বারা ভরপুর ছিল। অতঃপর আল্লাহতায়ালার আদেশে একদিকে যেমন পৃথিবীর স্তরগুলো সৃষ্টি করা হয়, অপরদিকে তেমনি আকাশকে পৃথিবী থেকে পৃথক করে দিয়ে সপ্তাকাশে পরিণত করা হয়।
“আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি” প্রবন্ধের -‘সৃষ্টিকালীন ৫ম – ইওম বা দিন’- পড়ে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে।

সূরা সাফ্ফাত-আয়াত নং-৬
(৩৭ : ০৬) ইন্না- যাইয়্যানাছ- ছামা -আদদুনইয়া-বিযীনাতিনিল কাওয়া-কিব।
(৩৭ : ০৬) অর্থ:- আমরা (আল্লাহ-সম্মান সূচক) দুনিয়া বা পৃথিবীর ( নিকটবর্তী ) আকাশকে গ্রহাদির অলংকারে সজ্জিত করেছি।
সূরা মূল্ক-আয়াত নং-৫
(৬৭ : ০৫) অ লাক্বাদ যাইয়্যান্নাছ ছামা – আদদুনইয়া – বিমাছা -বীহা ওয়া জ্বায়ালনা – হা – রুজুমাল লিশ শাইয়া – ত্বীনি ওয়া আতাদনা – লাহুম আজা- বাছ্ছাঈর।
(৬৭ : ০৫) অর্থ:- আমি দুনিয়া বা পৃথিবীর (নিকটবর্তী) আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা ( নক্ষত্রপুঞ্জ বা গ্যালাক্সি ) দ্বারা এবং ওদের করেছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং ওদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।
সূরা হিযর- সূরা-আয়াত নং-১৬
(১৫ : ১৬) অ লাক্বাদ জ্বাআলনা- ফিছ্ছামা -য়ি বুরূজ্বাউঁ আমাইয়্যান্না-হা-লিন্না-জিরীন।
{বুরুজুন=(অর্থ)-তারকার ঘর- ‘কোরআনের অভিধান’ -৯৬পৃষ্ঠা — মুনির উদ্দীন আহমদ }
(‘বুরুজুনের’ বহুবচন হল ‘বুরুজ’। সাধারনত ‘ঘর’ বলতে যেমন দেয়াল ঘেরা এমন একটি স্থানকে বোঝায় যেখানে কয়েকজন মানুষ একত্রে বসবাস করতে পারে। তেমনি ‘বুরুজুন’ অর্থ ‘তারকার ঘর’ বলতে মহাকাশে সৃষ্ট এমন একটি স্থানকে বুঝানো হয়েছে যেখানে অনেকগুলো তারকা বা নক্ষত্র একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে একত্রিত অবস্থায় থাকে। সুতরাং‘বুরুজুনের’ অর্থ ‘মহাকাশের অসংখ্য নক্ষত্র সমৃদ্ধ স্তর অর্থাৎ গ্যালাক্সি’ হওয়াই স্বাভাবিক। আবার বুরুজ শব্দটি যেহেতু বহুবচন, সুতরাং এর দ্বারা ‘মহাকাশের অসংখ্য গ্যালাক্সি সমৃদ্ধ স্তর অর্থাৎ গ্যালাক্সিগুচ্ছ’ হওয়াই যুক্তিসংগত।)
(১৫ : ১৬) অর্থ:- আকাশে (প্রথম) আমি ‘বুরুজ’ অর্থাৎ ‘তারকার ঘরসমূহ বা গ্যালাক্সিসমূহ’ স্থাপন বা পরিগঠন করেছি এবং তাকে করেছি সুশোভিত দর্শকদের জন্য।
সূরা ফুরকান-আয়াত নং-৬১
(২৫ : ৬১) তাবা- রাকাল্লাজী জ্বাআলা ফিছ্ছামা -য়ি বুরুজাউঁ অ জ্বাআলা ফীহা- ছিরা- জ্বাউঁ অ ক্বামারাম মুনীরা।
(২৫ : ৬১) অর্থ:- কত মহান তিনি যিনি (প্রথম) আকাশে স্থাপন বা পরিগঠন করেছেন ‘বুরুজ’ অর্থাৎ ‘তারকার ঘরসমূহ বা গ্যালাক্সিসমূহ’ এবং তাতে স্থাপন বা পরিগঠন করেছেন প্রদীপ (সূর্য) ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র।
সূরা রাহমান-আয়াত নং- ৭ ও ৮
(৫৫ : ০৭) আছ্ছামা -আ রাফা‘আহা- ওয়া ওয়াদ্বা‘আল মীযা- ন,
(৫৫ : ০৮) আল্লা- তাত্বগ্বাও ফিল মীযা- ন।
(৫৫ : ০৭) অর্থ:- তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন মানদন্ডে (মাত্রা বা ডাইমেনশনে),
(৫৫ : ০৮) অর্থ- যেন তোমরা ভারসাম্য লংঘন না কর।

(৩৭:৬), (৬৭:৫), (৪১:১২) নং আয়াতে ‘ছামা- আদদুনইয়া’ এবং (১৫:১৬), (২৫:৬১) নং আয়াতে ‘ফিছ্ছামা-য়ি’ বলতে‘পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশ অর্থাৎ প্রথম আকাশকেই’ বোঝানো হয়েছে এবং যেখানে চন্দ্র,, সূর্য, গ্রহসমূহ, ‘মাছাবিহা’ অর্থাৎ প্রদীপমালা বা নক্ষত্রপুঞ্জ (গ্যালাক্সি) এবং ‘বুরুজ’ অর্থাৎ তারকার ঘর বা গ্যালাক্সিসমূহ পরিগঠন করে এক একটি স্তর ও মহাস্তরে সজ্জিত করা হয়েছে। সেই সাথে (৪১:১২) নং আয়াতের প্রথম অংশে ‘ছাবআ ছামাওয়াতি’ বলতে সেই সপ্ত-আকাশের কথা বোঝান হয়েছে যেগুলোকে (৫৫:৭) ও (৫৫:৮)নং আয়াতে উল্লেখিত ’মীযা- ন’ অর্থাৎ ডাইমেনশন বা মাত্রাগত মানদন্ডের ছকে বেঁধে দেয়ার কারণে সেই সাতটি আকাশের প্রত্যেকটির স্বাতন্ত্রতার ভারসাম্য কখনই লংঘিত হয় না।
আবার সপ্ত-আকাশমন্ডলীতে যে অসংখ্য স্তর সৃষ্টি করা হয়েছে, এই তথ্যটিও কয়েকটি আয়াতে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে-
সূরা মূলক-আয়াত নং-৩
(৬৭ : ০৩) লাজী খালাক্বা ছাব‘আ ছামা- ওয়া- তিন ত্বিবা- ক্বা ;
(৬৭ : ০৩) অর্থ:- যিনি সপ্ত-আকাশমন্ডলীতে স্তর সমূহ সৃষ্টি করেছেন ;
সূরা নূহ্-আয়াত নং-১
(৭১ : ১৫) আলাম তারাও কাইফা খালাক্বাল্লা-হু ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন ত্বিবা-ক্বাওঁ
(৭১ : ১৫) অর্থ:- তোমরা কি লক্ষ্য করনি আল্লাহ্ কিভাবে সপ্ত-আকাশমন্ডলীতে স্তর-সমূহ সৃষ্টি করেছেন ?

উপরের আয়াতগুলো থেকে সহজেই বুঝে নেয়া যায় যে, আল্লাহতায়ালা প্রথম আকাশ থেকে শুরু করে সপ্ত-আকাশের প্রত্যেকটিতেই অসংখ্য স্তর সৃষ্টি করেছেন। এক্ষেত্রে “ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তি” অর্থাৎ সপ্ত-আকাশমন্ডলীকে কখনই অসংখ্য আকাশ হিসেবে ধরে নেয়া যায় না। উদাহরন স্বরূপ সহজ কথায় যদি বলি আমি সাতটি গ্লাস ও পেয়ালাটি বানিয়েছি। গ্লাসগুলি ও পেয়ালাটির মধ্যকার জিনিসগুলিও আমি বানিয়েছি। গ্লাসগুলি ও পেয়ালাটিতে যা যা আছে সবই আমার। এক্ষেত্রে পূর্বে প্রস্তুতকৃত যে সাতটি গ্লাস (নির্দিষ্টভাবে) এবং পেয়ালাটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা কখনও অসংখ্য গ্লাস বা পেয়ালা হয়ে যাবে না। বরং প্রস্তুতকৃত সাতটি গ্লাসের প্রতিটিতে এবং পেয়ালাটিতেও অসংখ্য জিনিস আছে, এটাই বুঝতে হবে। কারণ সাতটি গ্লাস প্রস্তুতের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বার বার সাতটি গ্লাস না বলে ভাষার সৌন্দর্য রক্ষার্থে শুধু গ্লসগুলো বললেও সাতটি গ্লাসই বুঝতে হবে।
প্রথম আসমান বলতে আমরা কি বুঝবো ? সহজ কথায় পৃথিবী পৃষ্ঠের চতুর্দিকে ঊর্ধ্বে দৃশ্যমান যে অসীম বিস্তার আমরা অবলোকন করি, সেটাকেই প্রথম আসমান হিসেবে চিহ্নীত করা যেতে পারে। আমাদের পা যখন পৃথিবী পৃষ্ঠ ছুঁয়ে থাকে তখন আমাদের মাথা থাকে প্রথম আসমানের সবচেয়ে নিকটতম স্তর অর্থাৎ বায়ুমন্ডলের মধ্যে। তাছাড়া বায়ুমন্ডলের স্তরসমূহ, কক্ষপথ, গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র, নক্ষত্রপুঞ্জসমূহ যেমন আমাদের ছায়াপথ অর্থাৎ Milky Way galaxy এর মত অন্যান্য গ্যালাক্সিগুলো, গ্যালাক্সিগুচ্ছ বা বুরুজ অর্থাৎ ‘তারকার ঘর সমূহ’ ইত্যাদি সবকিছুই প্রথম আসমানের অসংখ্য স্তরসমূহ। প্রথম আসমানের এই দৃশ্যমান সীমানাকে আমরা কখনই অতিক্রম করতে পারব না এবং অন্যান্য আসমানসমূহে কি আছে তা হয়ত স্বচক্ষে দেখতে পারব না। তবে দৃষ্টি-সীমানার মধ্যে আবদ্ধ প্রথম আসমানী জগতের বাহিরে পরবর্তী আসমানসমূহে কি আছে তা সরাসরি দেখতে না পারলেও অদূর ভবিষ্যতে মহাশক্তি বা বিশেষ ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে অনুভবের আলোকে হয়ত কিছুটা বর্ণনা করা যেতেও পারে। যেমন এখন বিজ্ঞানীগণ মোট দশটি ডাইমেনশন বা মাত্রার কথা ব্যক্ত করছেন। তবে এর মধ্যে চারটি ডাইমেনশনের কারণেই যে এই দৃশ্যমান জগতের জড় ও অজড় সবকিছু এবং আমরা আকৃতি লাভ করেছি এবং জন্ম-মৃত্যু, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, সৃষ্টি, ক্ষয়, ধ্বংস, রোগ-ব্যাধি, সুখ-দুঃখ, প্রেম-ভালবাসা ইত্যাদির ছকে বাঁধা পরেছি, তা আজ প্রতিষ্ঠিত একটি বৈজ্ঞানিক তথ্য। স্থানের তিনটি ও কালের একটি মাত্রা অর্থাৎ এই চারটি মাত্রার ছকে সাজান সুরক্ষিত সীমানার মধ্যে যে দৃশ্যমান জগতকে আমরা ও বিজ্ঞানীগণ শক্তিশালী দূরবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে অবলোকন করেন তা কি অতিক্রম করা আদৌ সম্ভব হবে ? বিজ্ঞানীগণ বাকি যে ডাইমেনশনগুলো নিয়ে অনুভব ও চিন্তা ভাবনা করছেন সেগুলো অথবা আরও অধিক ( দশ মাত্রা বা তারও অধিক ) মাত্রার ছকেই হয়ত আল্লাহতায়ালা বাকী ছয়টি আসমানকে সাজিয়ে রেখেছেন। মহাশক্তি অর্জন অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ফলে হয়ত অচিরেই অনুমান ও অনুভবের উপর ভিত্তি করে সেই ছয়টি আসমান সম্পর্কে কিঞ্চিত ব্যাখ্যা প্রদান করা সম্ভব হতেও পারে। তবে সেই ছয়টি আকাশ আমাদের দৃশ্যপটের আড়ালেই বিরাজ করবে। দৃষ্টিসীমার মধ্যে আনা মানুষের সাধ্যের অতীত বৈকি।
সূরা নাবা-আয়াত নং-১২
(৭৮ : ১২) অর্থ:- আমি নির্মান করেছি তোমাদের ঊর্ধ্বদেশে সুস্থিত সপ্ত-স্তর,
সবশেষে বলা দরকার যে, সপ্ত-আকাশমন্ডলীকে অস্বীকার করলে অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার স্বঘোষিত সাত আসমানকে অসংখ্য আসমান হিসেবে ব্যাখ্যা করলে পরোক্ষভাবে সর্বশেষ নবী ও রাসূলাল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক বর্ণীত বিজ্ঞানময় মিরাজের বাস্তব ঘটনাটিকে অস্বীকার করা হয় না কি ? মিরাজের গৌরবময় রজনীতে মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর অসীম ক্ষমতা ও কুদরতের পরশে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ও আনুগত্যশীল বান্দা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে স্থান ও কালের সীমানা অতিক্রম করিয়ে সপ্ত-আকাশমন্ডলীতে স্ব-শরীরে ভ্রমন করিয়েছিলেন এবং অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের জ্ঞানদান করেছিলেন। সুতরাং আল্লাহর বাণী ছাব‘আ ছমাওয়াতি অর্থাৎ সপ্ত-আকাশমন্ডলীকে, অসংখ্য আকাশমন্ডলী হিসেবে ব্যাখ্যা না করে বরং আসুন আমরা নির্দিধায় মেনে নেই যে আল্লাহতায়ালা (৭৮:১২) সুস্থিত সপ্ত-আকাশকে সাতটি আসমানী সীমানার (আমাদের দৃষ্টিতে যা অসীম) অন্তরালে মজবুতভাবে নির্মান করে সাজিয়ে রেখেছেন এবং প্রত্যেকটি আকাশে অসংখ্য স্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন। বর্তমান সময়ে হয়ত এই বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে তেমন জোরালো ও নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের আরও উন্নততর আবিস্কারের আলোকে হয়ত এ বিষয়টিকে গভীরভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে। আল-কোরআনের অকাট্য সত্যবাণী দিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্যসমূহকে যাচাই করার মানসিকতা নিয়েই ধৈর্য্যরে সাথে এই প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা সকল প্রকার বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা পাব। কারণ আল-কোরআনের চরম সত্য তথ্যগুলোর মোকাবেলায় অনুমানের কোনই মূল্য নাই।

বিংশ শতাব্দি বিজ্ঞানের যুগ। প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বেই মহান স্রষ্টা তাঁর বিজ্ঞানময় গ্রন্থে এমন সব অকাট্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবতারনা করেছেন যেগুলোর মর্ম ধীরে ধীরে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি তো সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল এবং তিনি ভালভাবেই জানতেন যে, এমন এক সময় আসবে যখন আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো অন্যান্য ধর্মের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তাদের অজান্তেই সত্য বলে আবিষ্কৃত হতে থাকবে। এরফলে এই সত্য তথা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো একদিকে যেমন তারা সরাসরি অস্বীকার করতে পারবে না, অপরদিকে তেমনি এই তথ্যগুলো কিভাবে আল-কোরআনে স্থান পেল তা অবিশ্বাসীরা ভেবে কুল পাবেনা। কিন্তু এই সত্য তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে। এই ঐশী তথ্যগুলোর অছিলায় অনেক নীরহংকার জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ যে ইমানের আলোয় আলোকিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এপরও যারা অহংকার বশত বে-ইমানের পথে পা বাড়াবে তাদের ফায়সালার জন্য তো মহান আল্লাহই যথেষ্ট।

অদ্ভুত প্রকৃতির এক শিশুর জন্ম

অদ্ভুত প্রকৃতির এক শিশুর জন্ম

টাঙ্গাইলে অদ্ভুত প্রকৃতির এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন মা। শিশুটির আকৃতি পশুর মতো হলেও নড়া-চড়া ও মায়ের দুধ পানসহ শব্দ মানুষের মতো করতে পারে। জম্ম হওয়ায় পর শিশুটির পিতাসহ পরিবারের সকলেই ভীত ও কান্না-কাটি শুরু করেছে। শিশুটির মা নিথর হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। এ শিশু জন্মের মধ্যে দিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব। নানী ছাড়া অন্য কেউ শিশুটিকে দেখতে আসছেন না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা এটা একটি রোগ। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখতে সহস্রাধিক লোক হাসপাতালে ভিড় জমায়।  পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটি ১নং ওয়ার্ডের ওটি রুমে স্বাভাবিক ভাবে জন্ম  হয় শিশুটির। শিশুটির মায়ের নাম  ছালেহা (২০)। পিতার নাম রফিক। বাড়ী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বরুহা এলাকায়। শিশুটির হাত, পা, মুখ চোখ এমনকি শরীরের চামড়াও বাঘের মত দেখতে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখার জন্য মানুষ ভীড় করে এবং মোবাইলে ছবি তুলতে থাকে।  এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের ১ নং ওয়ার্ডের অফিসার ইনচার্জ জানান, বাঘের মত দেখতে এক পুত্র শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা। এই ঘটনাটি এবারই প্রথম ঘটেছে। আমরা কিছুটা অবাকও হয়েছি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শিশুটিকে দেখার জন্য মানুষ ভীড় করছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট নাজমা খলিল জানান, সালেহা বেগমের তল পেটে ব্যাথা হয়েছে এই চিন্তা করে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। সব কিছু চেকাপ করে দেখা যায় তার পেটে ৯ মাসের সন্তান। সালমা এ সন্তানের ব্যাপারে কিছুই জানত না। সোমবার বাচ্চা প্রসবের জন্য তাকে ভর্তি হয়।
বাচ্চাটি জন্মগ্রহন করলে দেখা যায় দেখতে অনেকটাই বাঘের মত, তার মুখে দুটি দাঁতও রয়েছে।  পরে  মা  ও শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ”আমরা শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। শিশুটির ছবি  মানুষের মোবাইলে মোবাইলে  ঘুরছে। আমরা তাদের কাছ থেকে ছবিটি দেখেছি”।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

গুলশানে কূটনীতিক পাড়ায় বিদেশিকে গুলি

গুলশানে কূটনীতিক পাড়ায় বিদেশিকে গুলি


এবার আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন ‘দুজুয়ান’

এবার আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন ‘দুজুয়ান’

তাইওয়ানে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন ‘দুজুয়ান’।  এ খবরে এরই মধ্যে দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দুজুয়ানকে কেন্দ্র করে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা লাখো সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, তাইওয়ানের আবহাওয়া ব্যুরো এটিকে শক্তিশালী টাইফুন বলে বর্ণনা করেছে।  
ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে (জিএমটি ১৫টা) এটি আঘাত হানতে পারে।  সেইসঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত ও তীব্র ঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে।
অবশ্য আগামী বুধবার চীনে পৌঁছানোর আগে শক্তিশালী ঝড়টি দুর্বল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানে আঘাত হানার আগে দুজুয়ান জাপানের ইশিগাকি দ্বীপ অতিবাহিত হবে।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, এতে ১৩ মিটার উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতেপারে।
রোববার তাইওয়ানের গ্রিন ও অর্চিড দ্বীপ থেকে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে; যাদের বেশির ভাগই পর্যটক।  আজ সোমবার আরো ৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় র‌্যাব হেডকোয়ার্টারে অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

এ সময় বেনজির আহমেদ বলেন, যে নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসতে অনীহা প্রকাশ করেছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, বাংলাদেশে সফরকালে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। জবাবে তারা বলেছেন, এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবেন প্রতিনিধিদল। সেই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেবে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসছে কিনা।

এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় উত্তরায় অবস্থিত র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। তার আগে প্রতিনিধিদল রবিবার ঢাকায় এসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এনএসআইয়ের ও ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর সোমবার সকালের দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সহসভাপতি মাহবুব আনাম, ভারপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সোমবার বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। তবে তাদের জন্য বাংলাদেশকে ‘অনিরাপদ’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যবিষয়ক অধিদপ্তর (ডিএফএটি) গত শুক্রবার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তারই ফলে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আপাতত ‘ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মুসলিমদের পবিত্র হজের মধ্যে নারীদের যৌন হয়রানি

মুসলিমদের পবিত্র হজের মধ্যে নারীদের যৌন হয়রানি

মুসলিমদের পবিত্র হজের মধ্যে নারীদের যৌন হয়রানি করায় এক ব্যক্তিকে ধরে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে সৌদি আরবের প্রভাবশালী দৈনিক সৌদি গেজেটে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে।
রোববার সংবাদপত্রটির ইন্টারনেট সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিনার জামারাতে প্রতীকী শয়তানের প্রতি পাথর ছোড়ার সময় হজ পালনরত নারীদের যৌন হয়রানির সময় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
মদিনা নিউজকে উদ্ধৃত করে এই সংবাদটি ছেপেছে সৌদি গেজেট। গ্রেপ্তার ব্যক্তি এশীয় বংশোদ্ভূত বলে জানালেও তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, “গ্রেপ্তার ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করার পর তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে বেত্রাঘাতের শাস্তিও দিয়েছেন।”
দুটি দুর্ঘটনায় হাজার মানুষের প্রাণহানির মধ্যে এবার মক্কায় হজ পালন করছেন সারাবিশ্বের ২০ লাখের বেশি মুসলিম। এদের একটি বড় অংশ নারী।
মিনায় জড়ো হয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন মুসলিমরা। আরাফাতের ময়দানে খুতবা শোনা এবং দিনভর ইবাদতের পর মিনায় ফিরে জামারাতে প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ।
ওই সময়ই ওই ব্যক্তিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক করে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালনরত সৌদি পুলিশের সদস্যরা।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে ঘুরে ফিরে একাধিকবার পাথর ছুড়তে যেতে দেখা যায় এবং যেখানে নারীদের ভিড় ছিল তিনি সেদিকেই যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের সন্দেহ হয়।
তখন তাকে ধরে পাশের পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হয়, সেখানে পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তাদের জেরার মুখে ওই ব্যক্তি দোষ স্বীকার করেন বলে সৌদি সংবাদপত্রটি জানায়।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বোমার টুকরো মাথায় নিয়ে জন্মাল শিশু।

বোমার টুকরো মাথায় নিয়ে জন্মাল শিশু।

বোমার টুকরো মাথায় নিয়ে জন্মাল শিশু। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সম্প্রতি ঠিক এমনটাই ঘটেছে সিরিয়ায়। অ্যালেপ্পোর হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছে মা ও শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তীব্র বিস্ফোরণের মুখে পড়েন অন্তঃস্বত্বা আমিরা বিবি। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন তিনি। একই সঙ্গে আহত হয় তাঁর তিন সন্তান। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্‍সার পর সকলেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরেন। যথা সময়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আমিরা। কিন্তু ভূমিষ্ঠ শিশুকে দেখে চমকে ওঠেন চিকিত্‍সক ও নার্সরা। দেখা যায়, শিশুটির কপালে গেঁথে রয়েছে বোমার টুকরো। আসলে বিস্ফোরণে ক্ষেপণাস্ত্রের খুদে অংশ আমিরার শরীরে প্রবেশ করে সরাসরি ভ্রূণের ভিতরে সেঁটে যায়। সিরিয়ার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোহাম্মদ তাব্বা জানিয়েছেন, 'জন্মের আগেই তাকে নিশানা করা হয়েছিল! পরিস্থিতি দেখে এমনই মনে হওয়া স্বাভাবিক। আশা করি শিশুটির ভবিষ্যত্‍ অন্তত সুন্দর হবে।' চিকিত্‍সকদের চেষ্টা এবং ভাগ্যের জোরে বিপন্মুক্ত হয়েছে শিশুটি। হাসপাতালের কর্মীরা মেয়ের নাম রেখেছেন 'আমেল', সিরীয় ভাষায় যার অর্থ 'আশা'। 

রহস্যময় চলমান পাথর ।

রহস্যময় চলমান পাথর ।

বিচিত্র এ পৃথিবীতে এমন সব রহস্য লুকিয়ে আছে যার ব্যাখ্যা আজও দিতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। তেমনই প্রকৃতির এক বিস্ময় ডেথ ভ্যালি উপত্যকার রেসট্র্যাক প্লায়া জায়গাটির চলমান পাথর। ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়ার ওই অংশটি জনমানবহীন এক বৈচিত্রময় জায়গা। সচরাচর অন্য প্রানীও দেখা যায় না এখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এই উপত্যকার রহস্যময় পাথরগুলি কোন এক অজানা কারণে তার স্থান পরিবর্তন করে বয়ে চলে। আজপর্যন্ত পাথরগুলোকে চলমান অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি। তবে মাটির স্তরে রেখে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশে মাটিতে তাদের কোনো পদচিহ্ন পাওয়া যায় না। সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে ডেথ ভ্যালি-তে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে। কিছু গবেষকদের মতে, মাটি যখন কর্দমাক্ত থাকে এবং বরফ পড়ে পিচ্ছিল হয় তখন বাতাসের ধাক্কায় পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই যুক্তিও গ্রহনযোগ্যতা পাইনি। কারণ পাথরগুলো তখনও স্থান পরিবর্তন করে যখন গ্রীষ্মকালে মাটি একেবারে শুকনো থাকে এবং বরফও পড়ে না। তাছাড়া পাথরগুলো একই রাস্তায় চলে না। প্রতিটি পাথরের চলার পথ সম্পূর্ণ ভিন্ন বা আলাদা। এছাড়াও এটি আরও রহস্যময় হয়ে উঠার প্রধান কারণ হচ্ছে, বিস্তৃত এই এলাকাটি জনমানবহীন। এমনকি এখানে বন্যাও হয় না এবং এখানে এতো গতিবেগে বাতাস প্রবাহিত হয় না যে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তনে সহায়ক হবে। - 

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঢাকা হাজারীবাগে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, দাম নাগালের মধ্যে

ঢাকা হাজারীবাগে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, দাম নাগালের মধ্যে

ঢাকা হাজারীবাগে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, দাম নাগালের মধ্যে গত ছয়-সাত দিন ধরে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে পশু আসতে শুরু করলেও মূলত আজই তা জমে উঠেছে। ঢাকা হাজারীবাগে কোরবানির পশুর হাটে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের অর্থাৎ সকল ধরনের গরু আছে । বৃষ্টিতে কিছুটা অসুবিধা হলেও রাজধানীবাসী ছুটছে হাটগুলোতে। বিক্রেতারা আশা করছেন রাজধানীর পশুর হাটে আশানুরুপ বিক্রি হবে। পানি-কাদা উপেক্ষা করে ক্রেতারা ভিড় করছেন রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে। পছন্দের পশু নিয়ে চলছে দরকষাকষি। ট্রাকে ট্রাকে এখনো প্রচুর সংখ্যক গরু, ছাগল আসছে হাটগুলোতে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, গরুর দাম গত বারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও তা নাগালের বাইরে নয়। বিক্রেতারাও আশা করছেন ক্রেতা সমাগম ক্রমেই বাড়বে এবং প্রত্যাশিত পশু দামে বিক্রি করে বাড়ি ফিরবেন।   
অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত!!

অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত!!


১৯৯৩ সালের পাঁচ এপ্রিল, আজও এই দিনটির কথা মনে হলে আতঁকে উঠেন অনেক দিব্যা ভক্ত। শোকের এ রাতে পাঁচতলা এপার্টমেন্ট থেকে পড়ে মারা যান অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। অনেকে বলেছেন এটা আত্মহত্যা, আবার অনেকে বলেছেন খুন। নান জল্পনা-কল্পনা শেষে রহস্যের কোন কুল কিনারা না পেয়ে ১৯৯৮ সালে এই হত্যামামলার ফাইল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সম্প্রতি উন্মোচিত হয়েছে এর রহস্য বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইবলিউড।
মনে করা হয় দিব্যার খুনের জন্য দায়ি তার স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। অনেকে আবার বলেন, মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যতা থাকার কারণে আত্মহত্যা করেছেন নায়িকা।যেদিন রাতে মারা যান সেদিন একজন মধ্যস্থ কারবারির (দালাল)সঙ্গে বান্দ্রায় নেপচুন এপার্টমেন্ট ঘুরে দেখেন দিব্যা। পছন্দসই এপার্টমেন্ট খুঁজে পেয়ে তা নিয়ে ভাই কুনালের সঙ্গে আলোচনাও করেন।


পরে সন্ধ্যায় তিনি একটা ফোন পান। সেখানে বলা হয়, ভারসভার বাসায় ডিজাইনার নীতা লুল্লা এবং তার স্বামী সুনীল তার সঙ্গে দেখা করবেন। রাত দশটায় নীতা লুল্লা এবং সুনীল তার বাসায় আসেন এবং তারা অ্যালকোহল নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন।
অবশেষে দিব্যার মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত

দিব্যার গৃহকর্মী অমৃতা শোবার ঘরে ছিল। দিব্যা তাকে সেখান থেকে রান্নাঘরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। দিব্যার শোবার ঘরে কোন ব্যালকনি ছিল না বরং বড় একটি জানালা ছিল। বাড়ির সব জানালায় গ্রিল থাকলেও ওই জানালায় কোনো গ্রিল ছিল না। জানালা
বরাবর একটি গাড়ি পার্ক করা থাকে সবসময়। কিন্তু সেদিন কোন গাড়িও পার্ক করা ছিল না।

সবার চোখের আড়ালে জানলার নিচে সানসেটে গিয়ে দাঁড়ান দিব্যা। তবে সেটি এতোই সংকীর্ণ ছিল যে জানালার ফ্রেম না ধরে সেখানে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। মাতাল অবস্থায় ভালমতো দাঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পার্কিংয়ে পড়ে যান। শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে দিব্যার দেহ। মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে নেয়ার সময় জীবিত থাকলেও জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি।
দিব্যার বন্ধুরা জানায়, তিনি সবসময় স্টান্ট করতে পছন্দ করতেন এবং অনেকবার ছবির শুটিংয়ের সময় তিনি নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছেন। 
কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর কাঁচা চামড়ার সংগ্রহের মূল্য ফের কমনো হলো। এবার প্রতি বর্গফুটে দাম গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা করে কমানো হয়েছে।

কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর কাঁচা চামড়ার সংগ্রহের মূল্য ফের কমনো হলো। এবার প্রতি বর্গফুটে দাম গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা করে কমানো হয়েছে।

কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর কাঁচা চামড়ার সংগ্রহের মূল্য ফের কমনো হলো। এবার প্রতি বর্গফুটে দাম গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা করে কমানো হয়েছে। 
চামড়া ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, এবার রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। ঢাকার বাইরে এই দাম হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। 
এছাড়া প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত খাসির চামড়া ২০ থেকে টাকা ২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৪ থেকে ১৫ টাকায় সংগ্রহ করা হবে।
বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) পক্ষ থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএফএলএলএফইএ’র সভাপতি আবু তাহের। এসময় অন্যদের মধ্যে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ, বিএইচএসএমএ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চামড়ার দাম কমানো সম্পর্কে বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ জানান, নতুন শিল্প নগরীতে কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ, কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ, রপ্তানি বাজারে মূলহ্রাস, পরিবেশ বান্ধব নয় অজুহাতে বাংলাদেশি চামড়ায় প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের অনীহা, ইউরো ও আরএনবি’র দরপতনে চামড়ার উদ্যোক্তারা হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া গত বছর সংগ্রহকৃত চামড়ার অর্ধেক এখনো রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি পাউন্ড চামড়ার মূল ছিল ১০৬ দশমিক শূন্য ছয় সেন্ট। বর্তমানে এর দাম ৭১ সেন্ট।
এর আগে গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকেও ব্যবসায়িদের পক্ষ থেকে কাঁচা চামড়া কমানোর কথা বলা হয়েছিল।
গত বছরও চামড়ার দাম এক দফা কমানো হয়েছিল। ওই বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ঢাকার বাইরে এই দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
ওই সময়ে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত মহিষের চামড়ার দাম ধরা হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সারা দেশে খাসির লবণযুক্ত চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় সংগ্রহ করা হয়।
এছাড়া ২০১৩ সালে নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া কেনা হয় ৮৫-৯০ টাকায়। ঢাকার বাইরে তা কেনা হয় ৭৫-৮০ টাকায়।
আর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা। বকরির ৪০-৪৫ টাকা এবং মহিষের চামড়া ৪০-৪৫ টাকায় কেনা হয়।

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পবিত্র হজের ঠিক প্রাক্কালে সৌদি আরবের মক্কার একটি হোটেলে সোমবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা

পবিত্র হজের ঠিক প্রাক্কালে সৌদি আরবের মক্কার একটি হোটেলে সোমবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা

পবিত্র হজের ঠিক প্রাক্কালে সৌদি আরবের মক্কার একটি হোটেলে সোমবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইয়েমেনের ৪ হজযাত্রী আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। ১৫ তলাবিশিষ্ট হোটেলটির ১১ তলায় আগুন লাগার পর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয় ১,৫০০ হজযাত্রীকে। সৌদি আরবের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আবদুল্লাহ আল-ওরাবি আল-হারথি এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শর্ট-সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত। আল-হারথি বলেন, স্থানীয় সময় ভোররাত ২টা ৪৫ মিনিটে ১৫ তলাবিশিষ্ট হোটেলটির ১১ তলায় আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আগুন নেভানোর পর হজযাত্রীদের হোটেলে পাঠানো হয়। এদিকে সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ আরাফাতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে হজযাত্রীদের স্বাস্থসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। হজযাত্রীদের নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বাইরের খোলা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও মক্কা নগরীর আজিজিয়া এলাকার একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছিলেন। 

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিম্ন পর্যায়ে ১১৭১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিম্ন পর্যায়ে ১১৭১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

কোরবানির ঈদের আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিম্ন পর্যায়ে ১১৭১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া রবিবার এ-সংক্রান্ত ফাইলে সই করেছেন। তিনি বলেন, কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে ১১০০ পুলিশ সদস্য এএসআই হয়েছেন। এ ছাড়া সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) পদে থাকা ২৮ জনকে পদোন্নতি দিয়ে টাউন উপপরিদর্শক (টিএসআই) করা হয়েছে। আর সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) হয়েছেন ৪৩ জন। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লোকবল বাড়াতে গত ৬ সেপ্টেম্বর সাত হাজার ১৩৯টি নতুন পদ সৃষ্টি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি উদ্ধার ।

২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি উদ্ধার ।

দুবাই থেকে আসা কনটেইনারভর্তি ভারতীয় মুদ্রা জব্দের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক চোরাচালন চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক ড. মঈনুল ইসলাম খান। তবে গোয়েন্দাদের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মূলত দুবাই হয়ে শ্রীলংকার কলম্বো সমুদ্র বন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আসা এই চালানটির গন্তব্য বাংলাদেশ নয়, ভারতই হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা। 
জব্দ করা কনটেইনার থেকে উদ্ধারকৃত রুপি গণনা করে দেখা গেছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি। তবে এসব রুপি জাল না আসল তা সনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মেশিন আনা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় আসল রুপির যে ২৯ টি চিহ্ন থাকে তার মধ্যে সব কটি নোটে ২৭টি চিহ্ন সঠিক থাকলেও ২টি মিলছে না। 
সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান এ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, দুবাইয়ের জাবেল আলী পোর্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর চালানটি শিপমেন্ট হয়ে ট্রানজিটের জন্য কলম্বো বন্দর পৌঁছে। সেখান থেকে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ১৬ সেপ্টেম্বর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানের একটি কন্টেইনার আটক করা হয়েছে। কন্টেইনারের ৪টি কার্টনে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া গেছে। কন্টেইনার করে ভারতীয় মুদ্রা আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত আছে বলে মনে করছি। চালানটি দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এটা বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যেত। সুতরাং এর সঙ্গে একাধিক চক্র জড়িত আছে। জড়িত চক্রগুলোকে তদন্তের মাধ্যমে তুলে আনার চেষ্টা করা হবে।
গোয়েন্দা একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় রুপিগুলো দুবাই থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ভারতেই চলে যেতো।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, এ ঘটনায় চালানটি খালাসে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফ্লাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মো. শামীমুর রহমানসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসা শেষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ড.মঈনুল ইসলাম খান আরো বলেন,  মুদ্রাগুলো বৈধ কাজে ব্যবহারের জন্য আসেনি। এমনিতে জাল নোট নিষিদ্ধ। আর এভাবে মুদ্রা আনারও নিয়ম নেই। জড়িত চক্রটি এভাবে মুদ্রা আনা-নেয়ার পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। কন্টেইনারগুলোতে মুদ্রা ছাড়াও আরও কিছু থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বন্দরের ৮ নম্বর ইয়ার্ডে দুবাই থেকে আসা একই মালিকের চারটি কনটেইনারের মধ্যে একটি কনটেইনার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর রাতে কনটেইনার থাকা ১৬৫টি কার্টনের মধ্যে একটি কার্টন খোলা হয়। সেটিতে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যায়। পরে দুপুরে সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে কনটেইনারে থাকা চারটি কার্টন খুললে সেখানে ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সবগুলো কার্টন ও অন্য তিনটি কনটেইনারেই ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যাবে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুবাই থেকে কলম্বো বন্দর হয়ে একটি চালানে চারটি কন্টেইনার আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। মনরুভিয়ার পতাকাবাহী ‘প্রোসপা’ নামের একটি জাহাজে করে এই চালানটি আসে। দুবাই থেকে হাটহাজারীর বাসিন্দা শাহেদুজ্জামান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফ্লাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে চালনটি চট্টগ্রামে পাঠান। 

মোবাইল অ্যাপ্‌সে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস

মোবাইল অ্যাপ্‌সে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস

আধুনিক বিজ্ঞানও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারে না।
ফলে মাটি হঠাৎই থরথর করে কেঁপে উঠে, হুড়মুড়িয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে, চাপা পড়েন লক্ষ-লক্ষ মানুষ। আগেভাগে আঁচ পেয়ে তারা পালাতে পারেন না বলে। তাই ভূমিকম্পের অনিবার্য পরিণতি হয়ে দাঁড়ায় মৃত্যুর মিছিল।
এবার কি সেই অনিবার্য পরিণতি থেকে কিছুটা রেহাই মেলার হাতিয়ার মানুষের হাতে আসে গেল? অন্তত মিনিটখানেক আগে কি এবার আমরা জানতে পারব, ভূমিকম্পে কখন আমাদের ঘর-বাড়ি থরথর করে কেঁপে উঠতে চলেছে?
হয়তো পারব। এই আশা জুগিয়েছে মেক্সিকোয় সদ্য-আবিস্কৃত দুটি মোবাইল-অ্যাপ্‌স-‘স্কাইঅ্যালার্ট’ ও ‘অ্যালার্টা সিসমিকা ডিএফ’। এই দুটি অ্যাপ্‌স দেড়-দু’হাজার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সব স্মার্টফোনেই ‘সিগন্যাল’ পাঠিয়ে দেবে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে।
ভূকম্পণ যদি প্রথম অনুভূত হয় এমনকি হাজার দুই কিলোমিটার দূরের কোনো জায়গাতেও, তাহলেও বড়জোর দুই সেকেন্ড সময় লাগবে ওই অ্যাপের। ওই দুই সেকেন্ডের মধ্যেই দুই হাজার কিলোমিটার দূরে বসেও জানা যাবে আর মিনিটখানেকের মধ্যে আমার-আপনার ঘর-বাড়ি ভূকম্পণে দুলে উঠবে কি না।
সেই ‘সিগন্যাল’টা কেমন হবে?
আমার-আপনার মোবাইলে আসবে একটি ‘অ্যালার্ট-কল’। যাতে শুনবেন ‘শিগগিরই ভূমিকম্প হতে পারে’। তার পর মোবাইলে আসবে একটি ‘টেক্সট মেসেজ’। তাতে জানিয়ে দেওয়া হবে আসন্ন ভূকম্পণের মাত্রা কতটা। তা দুর্বল না শক্তিশালী। সম্প্রতি এই দুটি মোবাইল-অ্যাপ্‌স চালু হয়েছে মেক্সিকোয়। কিন্তু এরই মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওই দুটি অ্যাপ্‌স। ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ওই দুটি অ্যাপ্‌স এখন ব্যবহার করছেন। 

ফোনের চার্জ অন্তত ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।

ফোনের চার্জ অন্তত ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।

যখন ফোনের স্ক্রিন লক করা থাকে। আপনি জানতেও পারেন না, আপনার স্মার্টফোনের চার্জ কখন নিঃশব্দে শেষ হতে থাকে। তাই বৈজ্ঞানিকরা এবার এমন এক অ্যাপ বানিয়েছেন, যা আপনার ফোনের চার্জ অন্তত ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।
অ্যাপটির নাম দিয়েছেন হাশ (Hush)। এই প্রথম এত বড় পরিসরে ব্যাটারি খরচ করে কোন কোন অ্যাপ তা নিয়ে সমীক্ষা হল। ইনটেল কর্পোরেশনের অধীনস্ত সংস্থা অন্তত ২০০০ টি স্যামসং গ্যালাক্সি এস ৩, এস ৪ হ্যান্ডসেটের উপর সমীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছে, অ্যাপটি কার্যকরী। ৬১টি দেশের ১৯১ মোবাইল অপারেটরের কানেকশন সমৃদ্ধ হ্যান্ডসেটে অ্যাপটি সত্যি সত্যি ব্যাটারি বাঁচিয়েছে।
হাশ আপনার ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যে যে অ্যাপগুলো অজান্তেই চলছে সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়। ফোনটি লক করে দিলেই ‘হাশ’ ফোনকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেবে।গুগল প্লে স্টোরে আর কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে অ্যাপটি।

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বিশ্বের ১০ মুসলিম নেত্রী

বিশ্বের ১০ মুসলিম নেত্রী

বিশ্বের ‘আপসহীন’ ১০ মুসলিম নেত্রীর একটি তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রাউন গার্ল ম্যাগাজিন। ওই তালিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট। প্রতিবেদনে জানা যায়, তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। প্রতিবেদনের শুরুতে হাফিংটন পোস্ট লিখেছে, দ্বন্দ্ব-সন্ত্রাস, হানাহানি আর ভুল বোঝাবুঝিতে মেতে আছে গোটা মুসলিম বিশ্ব। সমগ্র বিশ্বে মুসলিম নারীকে ‘নির্যাতিত’ বা ‘বেশি নির্যাতিত’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ এর মধ্যে কিছু মুসলিম নেত্রী আছেন যাঁরা নিজ গুণে হয়েছেন সারা বিশ্বের আলোকবর্তিকা। নিজের যোগ্যতায় শত প্রতিকূলতা সামলে রাষ্ট্র পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এরপর ব্রাউন গার্ল ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ দশ অদম্য মুসলিম নারীর বর্ণনা উপস্থাপন করা হয়। তালিকাটি এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো। বেনজির ভুট্টো বিশ্বের আপসহীন মুসলিম নেত্রীর তালিকায় শীর্ষস্থানটি পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর। ‘ডটার অব ইস্ট’-খ্যাত এই নেত্রী ১৯৫৩ সালের ২১ জুন করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রথম ও পাকিস্তানের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী তিনি। তিনি দুবার (১৯৮৮-৯০ ও ১৯৯৩-৯৬) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুর পর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) হাল ধরেন তিনি। ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বরে রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভায় ভাষণদানকালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তিনি হার্ভার্ড ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতির ওপর পড়াশোনা করেন। মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী ইন্দোনেশিয়ার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী। ১৯৪৭ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২০০১ থেকে ২০ অক্টোবর ২০০৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রজাতান্ত্রিক দলের (পিডিআই) চেয়ারম্যান তিনি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান দশম জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে তিনি। তিন-তিনবার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বর্তমানে দেশ শাসন করে চলেছেন শক্ত হাতে। ‘শান্তির দূত’ হিসেবে খ্যাতিও মিলেছে তাঁর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৫ সালে। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ও মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দলের হাল ধরেন তিনি। আতিফেতে জাহজাগা কসোভোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট আতিফিতে জাহজাগা। তিনি ১৯৭৫ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ৭ এপ্রিল ২০১১ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ শপথ গ্রহণ করেন তিনি। কসোভোর প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট তিনি। বলকান অঞ্চলেরও প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট তিনি। একই সঙ্গে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের তালিকায় নিজের নাম লেখান তিনি। কসোভোর প্রিস্টিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক পাস করেন তিনি। এরপর যুক্তরাজ্য ও জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ সায়েন্স ও অপরাধবিজ্ঞানের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নেন। তানসু সিলার তুরস্কের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী তানসু সিলার। ১৯৪৬ সালের ২৪ মে রাজধানী ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ এই নারী ১৯৯৩ সালে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ’৯৬ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে এমএস ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এ ছাড়া কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। মামে মাদিওর বোয়ে সেনেগালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মামে মাদিওর বোয়ে। ২০০১ মার্চ থেকে ২০০২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দেশটির প্রখ্যাত আইনজীবী হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। আইন নিয়ে তিনি সেনেগালের রাজধানী ডাকার ও ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পড়াশোনা করেন। ১৯৪০ সালে আফ্রিকার দেশ সেনেগালের সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আমিনাতা তৌরে সেনেগালের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী আমিনাতা তৌরে। ২০১২ সালে তিনি সেনেগালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে নারী অধিকার রক্ষায় কাজের জন্য ভূয়সী প্রশংসিত হন। ২০১৩ সালে আবদুল মাবায়িকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অ্যালায়েন্স ফর দ্য রিপাবলিকের (এপিআর) প্রধান ৫১ বছর বয়সী তৌরেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেনেগাল, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তৌরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের হয়ে কাজও করেছিলেন তিনি। সিসে মরিয়ম কাইদামা সিদিবি আফ্রিকার দেশ মালির মুসলিম নারী শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিদিবি নামে পরিচিত। শিক্ষাবিদ থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া এ অধ্যাপক মালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ২০১১ সালে। তিনি ২০১২ সালে মালির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দুর্নীতিপরায়ণ দেশ মালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রেখেছেন সিদিবি। আমিনা গারিব ফাকিম ভারত মহাসাগরের দ্বীপ মরিশাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট খ্যাতিমান জীববিজ্ঞানী আমিনা গারিব ফাকিম। চলতি জুনে মরিসাসের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৫৬ বছর বয়সী আমিনা। আমিনা বর্তমানে মরিশাসের ফিজিওথেরাপি গবেষণা সেন্টারের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারে ও ইউনিভার্সিটি অব এক্সটার থেকে পড়শোনা করা আমিনা মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগেরও চেয়ারপারসন। এ ছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বিশ্বব্যাংকের উচ্চপদে কাজ করেছেন তিনি। 
পুলিশের গুলিতে পাবলিক মরার জন্য দেশ স্বাধীন করি নাই: কালিহাতীর জনসভায় কাদের সিদ্দিকী

পুলিশের গুলিতে পাবলিক মরার জন্য দেশ স্বাধীন করি নাই: কালিহাতীর জনসভায় কাদের সিদ্দিকী

পাবলিকের রক্ত ঘাম করা পয়সায় বেতন নেয়, সেই পুলিশই পাবলিকের বুকে গুলি করে আবার মামলাও দেয়, এটা হতে পারে না। নারী নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের গুলি খেয়ে পাবলিক মরার জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করি নাই’ বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। ঘাটাইলের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুর রশিদের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগদান উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে কালিহাতী উপজেলা সংলগ্ন হামিদপুরে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। গত শুক্রবার নারী নির্যাতনের বিচারের দাবিতে সমবেত জনতার ওপর কালিহাতী পুলিশের গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বঙ্গবীর সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং আজকের মধ্যে দায়ী পুলিশদের কালিহাতী থেকে সরিয়ে নেয়া না হলে এবং এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের ঈদের আগেই মুক্তি না দিলে পরিণাম ভালো হবে না।” বক্তব্যের শুরুতেই তিনি শুক্রবার নিহত তিনজনের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ না করলে এই আওয়ামী লীগ কবরে থাকতো, আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। তাই নারী নির্যাতনকারীদের এবং মানুষকে খুন করার বিচার করুন।” এডভোকেট মিয়া মোহাম্মদ হাসান আলী রেজার সভাপতিত্বে এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, যুগ্ম সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, আব্দুর রশিদ, শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, আবদুল হালিম সরকার লাল, অধ্যাপক জুলফিকার শামীম, হাবিবুননবী সোহেল প্রমুখ।

২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম সজিব ভাই এলাকার যুবসমাজকে মাদকাসক্ত রোধকল্পে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম সজিব ভাই এলাকার যুবসমাজকে মাদকাসক্ত রোধকল্পে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

ঢাকা দক্ষিনের সাবেক ৫৮ এর সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মরহুম হাজী হেদায়েত উল্লাহ সাহেবের সুযোগ্য কৃতি সন্তান বর্তমান ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর নয়ন মনি জনাব তারিকুল ইসলাম সজিব ভাই এলাকার যুবসমাজ মাদকাসক্ত রোধকল্পে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তাহার এই ধরনের সমাজ সেবা মূলক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে এলাকা বাসী সাদুবাদ জানায় । তিনি ইতিমধ্যেই দেশের অন্যতম সম্পদ যুবসমাজকে মাদকাসক্তের মত ধংসের পথ হতে ফিরিয়ে আনার যে আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন সেটি সত্যই প্রশংসনীয় । আপামর জনসাধারন তার নিকট আশাবাদী । বৃদ্ধ বনিতা ছোট বড় তথা এলাকাবাসী তার এই ধরনের অন্যতম সমাজসেবা মূলক কর্ম কান্ডকে সম্মানের সাথে সমার্থন সহ উৎসাহ উদ্দীপনা দিচ্ছে । বলার অবকাশ রাখে না যে তার পিতা সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মরহুম হাজী হেদায়েত উল্লাহ সাহেবও এলাকাবাসীর নয়নের মনি ছিলেন । সুখে দুখে এলাকাবাসীর পাশে দাড়াতেন । তার রাজনীতিতে যেমন ছিল বিছক্ষ্ণতা তেমনই ছিল সমাজ সেবা । তারই উত্তরসূরী হিসাবে সুযোগ্য কৃতি সন্তান বর্তমান ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর নয়ন মনি জনাব তারিকুল ইসলাম সজিব ভাই এলাকাবাসীর সুখে দুখে পাশে দাঁড়ানোই তার অন্যতম লক্ষ্য ।

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এবার ইসলাম গ্রহন করেছেন জ্যানেট জ্যাকসন ।

এবার ইসলাম গ্রহন করেছেন জ্যানেট জ্যাকসন ।

শোনা যাচ্ছে মার্কিন গায়িকা জ্যানেট জ্যাকসন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়েছেন। ২০১২ সালে কাতারের মুসলমান শিল্পপতি ওয়াসাম আল মানাকে বিয়ে করেন তিনি। গুঞ্জন উঠেছে, ৪০ বছর বয়সী মানাকে বিয়ের পরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন জ্যানেট। আর এরপর থেকেই কনসার্টে খোলামেলা পোশাক পরিধান এবং যৌন আবেদনময় ভঙ্গিতে নাচাও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক সূত্র বলছে, "নতুন ধর্মের মধ্যে জ্যানেট যেন আপন ঘর খুঁজে পেয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে তার পরিবার ও বন্ধুদের জানিয়েছেন, তারা সবাই জ্যানেটের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছেন।" সূত্রটি আরও বলছে, "জ্যানেট অনেকটা সময় ধরে ইসলাম এবং অনুসারীদের নিয়ে পড়াশোনায় ব্যয় করেছেন। অশালীন ভঙ্গীতে নাচ ও যৌনাবেদনময় গানের কথা এখন তার জন্য অতীতের বিষয়।"
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান বলছে, জ্যানেট তার সর্বশেষ ট্যুরের ইতি টানার সময় বলেন ‘ইনশাআল্লাহ্’। ২০০৮ সালে জ্যানেটের ভাই মাইকেল জ্যাকসন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে দাবী করেছিল ট্যাবলয়েডটি।
রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে।

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে।

হঠাৎ করে রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জন ভর্তি হয়েছে। এই মাসেই গড়ে প্রতিদিন ২৬ জন করে রোগী ভর্তি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৮৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। জুন, জুলাই ও সেপ্টেম্বরে মাসে মারা গেছে চারজন। গত সাড়ে তিন মাসেই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩৩৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায়  প্রায় চার গুণ বেশি। এ বছরে গড়ে প্রতিদিন ১২ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোয়। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে ১২৩৭ জন বাসায় ফিরেছে। বাকি ৯৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এদিকে সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছেলে আমান মওদুদ মারা যান। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমানের অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুন-জুলাই-আগস্ট মাসে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু এবার যেহেতু সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি হচ্ছে তাই মশার উপদ্রব আছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। জমে থাকা বৃষ্টির পানি থাকলে মশার প্রজনন বাড়ে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ সময়টাতে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তাই বাড়ি বা বাড়ির আঙিনার কোথাও যেন পরিষ্কার পানি জমে না থাকে সে ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশা করছেন আগামী মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে। 
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত রমনা ও ইস্কাটন, ধানমন্ডি, কলাবাগান, গুলশান, বনানী এলাকার বাসিন্দারাই ডেঙ্গু জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গত দু-তিন মাস থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ করেই মশার প্রকোপ মারাত্মক আকারে বেড়ে গেছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। মশার কামড়ে অনেকের রাতের ঘুম হারাম হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, মশার উপদ্রব বাড়লেও উত্তর বা দক্ষিণ কোন সিটি করপোরেশনে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তেমন চোখে পড়ছে না। 
এ বিষয়ে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, এবছর বৃষ্টি আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। কখনও হয় বা কখনও বন্ধ থাকে। এতে বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার পানি জমে। ফলে মশা ডিম পাড়ে। এই সময়ে এটা বেশি হয়। গত বছরের তুলনায় একটু বেশি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে, এই মুহূর্তে এখনও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আগামী মাস থেকে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অতীতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর চেয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। আস্তে আস্তে কমে এসেছে। তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশেই নয় ভারত ও পাকিস্তানেও ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, ১লা জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুর উপস্থিতি তেমন থাকে না। এতে দেখা যায়, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে শূন্য, মার্চে ২ জন, এপ্রিলে ২ জন এবং মে মাসে একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু মশার উপদ্রব বাড়ে জুন থেকে। সেই হিসাবে চলতি বছরের গত ১লা জুন থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ে রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১৩৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে জুন মাসে ১৫ জন, জুলাই মাসে ১৫৬ জন, আগস্ট মাসে ৭২৭ জন এবং চলতি মাসে ৪৪৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ১২৩৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। চারজন মারা গেছে। সেন্ট্রাল হাসপাতালে জুন মাসে একজন, এ্যাপোলো হাসপাতালে জুলাই মাসে একজন এবং ইউনাইটেডে হাসপাতালে জুলাই একজন ও ১২ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে একজন রোগী মারা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি আছে ৯৯ জন। এর মধ্যে বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে ৬৫ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে দুজন, ইউনাইটেডে হাসপাতালে সাতজন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চারজন, বারডেম হাসপাতালে একজন, হলি ফ্যামিলিতে নয়জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে একজন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে একজন, কর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চারজন, স্কয়ার হাসপাতালে ১১ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে সাতজন এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল হাসপাতালে নয়জন রোগী ভর্তি আছেন। অন্যদিকে আইইডিসিআর’র পরিসংখ্যান মতে, চলতি বছরের গত ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩৪০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে আগস্ট মাসে ভর্তি হয়েছেন ৭২৭ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৪৩৭ জন। 
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. আয়েশা আক্তার গতকাল মানবজমিনকে বলেন, সাধারণত জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তবে, জুলাই ও আগস্ট মাসে বেশি থাকে। কারণ এই সময়ে বর্ষার পানি জমে। কিন্তু এবার সেপ্টেম্বরেও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। পানি ৩ থেকে ৫ দিন একই স্থানে স্থির থাকলে সেখানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় মশার উপদ্রব বেশি বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজন রোগী মারা গেছে।  ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছেলের মারা যাওয়া প্রসঙ্গে ডা. আয়েশা আক্তার ‘নিউজে এসেছে’ উল্লেখ করে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা গেলে তারা সেটি হিসাবে রাখেন।
স্থাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ভর্তি হয়েছে ৩৭৩ জন, কেউ মারে যায়নি। ২০১৩ সালে ১৪৭৮ জন, ২০১২ সালে ১২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। ২০১১ সালে  ১৩৬২ জন, ২০১০ সালে ৪০৯ জন- এই সালে ছয়জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২০০৯ সালে ৪৭৪ জন, ২০০৮ সালে ১১৫৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসে।
ডেঙ্গু জ্বরের উৎস ও কারণ: চিকিৎসকরা জানান, ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহী রোগ। এই রোগের উৎস এডিস মশা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রধানত বর্ষার শুরুতে কিংবা শেষের দিকে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি ঘটে। এডিস ইজিপটাই ও এলবোপিকটাস নামক দুই প্রজাতির স্ত্রী মশা ডেঙ্গু জ্বরের বাহক। ডেঙ্গ ভাইরাসবাহী মশাটি যে সুস্থ মানুষকে কামড়াবে তার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হবে এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবে।
চিকিৎসকরা জানান, বাংলাদেশ ১৯৬৪ সালে সর্ব প্রথম ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়লেও ২০০০ সাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আবদ্ধ পানি থেকে এই রোগের বাহক মশার উৎপত্তি। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা দিন দিন সচেতন হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি হওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও কমে আসছে।

ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

টাঙ্গাইলে কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো ৬ জন। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতরা হলো কালিহাতী উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের ছানু শেখের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) ও কালিহাতী উপজেলার কালিয়া গ্রামের মুত ওসমান এর ছেলে  শামিম (৩২)। এ ঘটনায় তিন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার আঠারদানা ও হামিদপুর এলাকার ৪-৫শ’ লোক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কালিহাতী থানা ঘেরাওয়ের উদ্দেশে কলেজগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের বাকবিত-া হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে কালিহাতী থানার এসআই ফারুক, কনস্টেবল  লিয়াকত ও কনস্টেবল হারুন আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে পুলিশের হামলা চালায় ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারিরা দিকবিদ্গিক দৌঁড়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০-২৫ জন আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, ঘাটাইল উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে ২-৩ হাজার লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে থানার দিকে আসতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে একজন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল মারাত্মকভাবে আহত হন। বাধ্য হয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি। তিনি আরো জানান, মা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা হাফিজ উদ্দিন ও রোমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেমাকে তার ছেলের সামনে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে রোমার ভগ্নিপতি হাফিজ উদ্দিনের অপতৎপরতায় ওই মা-ছেলেকে ঘরে আবদ্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয়। 
সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

মুসলমানদের পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনার দুই প্রধান মসজিদের সংরক্ষক সৌদি বাদশা সালমান আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের উপর ন্যাক্কারনজক ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। মসজিদুল আল-আকসাও মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।
বাদশা সালমান এই ঘটনার পরে টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওঁলাদ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সাথে কথা বলেছেন। বাদশা তাদের সাথে কথা বলে ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে তার উদ্বেগের কথা জানান। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সীর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাদশা সালমান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছেন আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলা বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার জন। তিনি প্যালেস্টাইনি জনগণ, পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে রক্ষা এবং প্যালেস্টাইনী জনগণের স্বাধীনতা মেনে নেওয়ার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।
বাদশা সালমান বলেন, ইসরাইলি এই হামলার জন্য ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্টের পাশাপাশি ধর্মীয় উগ্রবাদীদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে যা বর্তমান বিশ্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সৌদি সরকার এই জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে হামলার জন্য ইসরাইলি আগ্রাসনকে দায়ী করে বলেন, এর জন্য ইসরাইলকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে।

তারা ইসরাইলকে সর্তক করে বলে ইসরাইলি আগ্রাসনের কারনে মুসলমানদের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। এই ধরনের হামলা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। সৌদি এক কর্মকর্তা সর্তক করে দিয়ে বলেন জায়ানবাদী রাষ্ট্রের এ ধরনের নিপীড়নমূলক কাজের জন্য এই পুরো অঞ্চলেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সেই কর্মকর্তা আল-আকসা মসজিদকে প্যালেস্টাইন থেকে আলাদা করার জন্য ইসরাইল চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সৌদি বাদশাকে এই সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি হামলার বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি এও জানান যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে তিনি পবিত্র মসজিদ রক্ষার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন।
এই সপ্তাহে ইসরাইলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে হামলা চালায়। হামলার পরে পুরো আরব বিশ্বে ঐ হামলায় ইসরাইলের প্রতি নিন্দার ঝড় উঠে। মসজিদে হামলার পরে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসে।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

Muslim boy arrested over clock invited to White House

Muslim boy arrested over clock invited to White House

Muslim boy arrested over clock invited to White House Obama invite comes after Texas boy was arrested after his homemade clock was mistaken for a bomb by teachers and police. The arrest prompted outrage with thousands expressing their anger at authorities for arresting the boy over his school project [AP] US President Barack Obama has issued a White House invitation to a Muslim schoolboy who was arrested for bringing a homemade clock to school.Ninth-grade high school student Ahmed Mohamed from Irving, Texas, was arrested on Monday after his teachers reported him to the police for making a clock, which they said resembled a bomb. The arrest prompted outrage with thousands expressing their anger at authorities for arresting a 14-year-old boy over his school project. Social media users rallied behind the teen using the hashtag #IStandWithAhmed, which has picked up more than 500,000 mentions on Twitter so far, according to analytics site Topsy, and continues to rise rapidly. The story also ranked highest on the user-generated curation website, Reddit. Police have said they will not charge Mohamed but he told reporters on Wednesday that he remains suspended from school until Thursday. Many of the comments cited Mohamed's religious and ethnic background as the probable cause of his arrest, a viewpoint shared by the largest Muslim civil advocacy group in the US. Ibrahim Hooper, the spokesman for the Council on American-Islamic Relations (CAIR), told Al Jazeera that it was "obvious" the school boy's religion had played a role in his arrest. "We believe the arrest would not have occurred if the student had not been Muslim ... the school's reaction and that of the police stems from the fact that he is a Muslim," Hooper said. "It is a symptom of growing Islamophobia that a 14-year-old was handcuffed and dragged away for doing a science project." Widespread support Mohamed, who is of Sudanese background, drew support from a number of high profile African-American personalities including talk-show host Montel Williams and rapper Talib Kweli Greene. In a Facebook post, Williams suggested previous anti-Islamic statements made by Irving's mayor, Beth Van Duyne, had played a role in stirring up anti-Muslim sentiment in the area. "She [Van Duyne] bought into a conspiracy theory that what is actually a faith-based voluntary mediation panel ... was some sort of attempt to impose Sharia law. She's now become a hero of the paranoid far right," Williams wrote. As the hashtag spread on Twitter a number of NASA scientists gave their backing to Mohamed, including astronaut Chris Hadfield, and systems engineer Bobak Ferdowsi. Ferdowsi said a similar incident could have put him off working for NASA.
আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে ইসরো।

আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে ইসরো।

আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে ইসরো। শুধু তাই নয়, আগামী দশকে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় ভারতই হবে প্রধান বাদশা, এমনই দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। প্রতি বছর ভারতের জিডিপি যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইসরোর জন্য বরাদ্দ। ২০১৫-১৬ সালে ইসরোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩.৯ বিলিয়ন টাকা(১.২ বিলিয়ন ডলার)। যেখানে অর্থনৈতিক দিক থেকে সহস্র যোজন এগিয়ে থাকা আমেরিকা নাসার জন্য বরাদ্দ করেছে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার। যদিও গোটা বিশ্বই আজ এক কথায় স্বীকার করে, ইসরোর চেয়ে কম খরচে এতবার সাফল্যমণ্ডিত মহাকাশ অভিযান কেউ করতে পারেনি। জেনে রাখা ভাল, ইসরো আজ পর্যন্ত তাদের বরাদ্দ পুরো টাকা খরচ করে ওঠার আগেই সাফল্যের সঙ্গে ‘মিশন সাকসেসফুল’ করেছে। কিন্তু এ জন্য মোটেও ইসরোকে নাসার চেয়েও এগিয়ে রাখা হচ্ছে না। যে কারণে মনে করা হচ্ছে, নাসাকে ছাপিয়ে যেতে পারে ইসরো, সে কারণগুলোকে তুলে ধরেছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। সে কারণগুলো হলো: ১. শুক্রগ্রহ অভিযান:মঙ্গলের পর ইসরোর বিজ্ঞানীদের পরবর্তী গন্তব্য শুক্র। আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৯ সালেই শুক্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারে ইসরোর মহাকাশযান। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের অ্যাডভান্সড মডেলটি রকেটটি ভারতীয় উপগ্রহকে কাঁধে চাপিয়ে শুক্রে নিয়ে যেতে পারে। আর যে উপগ্রহটি শুক্রে পাঠানো হবে তা অনেকটা পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটছে যে RISAT-1, তার মত হতে পারে। ২. পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল তৈরি: কম খরচে মহাকাশ গবেষণায় দিশারী হতে চলেছে ইসরো। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ‘টু স্টেট টু অরবিট’ বা Two-State-To-Orbit (TSTO) তৈরির কাজ সেরে ফেলবে ইসরো। এটি এক ধরনের রি-ইউজেবল লঞ্চ ভেহিকেল। অর্থাৎ একবার উৎক্ষেপণ করেই এর কাজ ফুরোবে না। ফের এর মাধ্যমে মহাকাশে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা যাবে। এর সাহায্যে ছোঁড়া যাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ৩. মহাকাশে মনুষ্যবাহিত জিএসএলভি ৩ রকেট উৎক্ষেপণ: ইতিমধ্যেই ইসরো তৈরি করে ফেলেছে নেক্সট জেনারেশন জিএসএলভি, নাম GSLV Mark III, অন্তত ৫০০০ কিলো ওজন মহাকাশে বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম এই রকেট। গত বছরের ডিসেম্বরের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল রকেটটি। ৪. আদিত্য, সান-স্পেস মিশন: ২০১৭ সালের মধ্যে ইসরো শুরু করতে চলেছে তাদের প্রথম সূর্যাভিযান। নাম আদিত্য। মাত্র ৪৯ কোটি টাকা বাজেটের এই আদিত্য ১ হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক সূর্যাভিযান। সূর্যের করোনা নিয়ে গবেষণা চালাবে এই যান। ৫. চন্দ্রায়ণ ২, মুন মিশন: ভারতীয় সূত্র ও ডিফেন্স নিউজের প্রতিবেদন মোতাবেক, ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান ‘চন্দ্রায়ন ১’ -এর মাধ্যমেই গোটা দুনিয়া প্রথম জানতে পেরেছিল চাঁদে জল রয়েছে। চন্দ্রায়নের সাফল্যের পর ফের চাঁদে বড়সড় এক মিশন শুরু করছে ইসরো। এই মিশনে চাঁদের মাটিতে নাসার ‘রোভার’-এর থেকেও বেশদিন কাটাবে ও ছবি তুলবে, নমুনা পরীক্ষা করবে।