বোমার টুকরো মাথায় নিয়ে জন্মাল শিশু। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সম্প্রতি ঠিক এমনটাই ঘটেছে সিরিয়ায়। অ্যালেপ্পোর হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছে মা ও শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তীব্র বিস্ফোরণের মুখে পড়েন অন্তঃস্বত্বা আমিরা বিবি। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন তিনি। একই সঙ্গে আহত হয় তাঁর তিন সন্তান। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সার পর সকলেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরেন। যথা সময়ে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আমিরা। কিন্তু ভূমিষ্ঠ শিশুকে দেখে চমকে ওঠেন চিকিত্সক ও নার্সরা। দেখা যায়, শিশুটির কপালে গেঁথে রয়েছে বোমার টুকরো। আসলে বিস্ফোরণে ক্ষেপণাস্ত্রের খুদে অংশ আমিরার শরীরে প্রবেশ করে সরাসরি ভ্রূণের ভিতরে সেঁটে যায়। সিরিয়ার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোহাম্মদ তাব্বা জানিয়েছেন, 'জন্মের আগেই তাকে নিশানা করা হয়েছিল! পরিস্থিতি দেখে এমনই মনে হওয়া স্বাভাবিক। আশা করি শিশুটির ভবিষ্যত্ অন্তত সুন্দর হবে।' চিকিত্সকদের চেষ্টা এবং ভাগ্যের জোরে বিপন্মুক্ত হয়েছে শিশুটি। হাসপাতালের কর্মীরা মেয়ের নাম রেখেছেন 'আমেল', সিরীয় ভাষায় যার অর্থ 'আশা'।
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
রহস্যময় চলমান পাথর ।
বিচিত্র এ পৃথিবীতে এমন সব রহস্য লুকিয়ে আছে যার ব্যাখ্যা আজও দিতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। তেমনই প্রকৃতির এক বিস্ময় ডেথ ভ্যালি উপত্যকার রেসট্র্যাক প্লায়া জায়গাটির চলমান পাথর। ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়ার ওই অংশটি জনমানবহীন এক বৈচিত্রময় জায়গা। সচরাচর অন্য প্রানীও দেখা যায় না এখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এই উপত্যকার রহস্যময় পাথরগুলি কোন এক অজানা কারণে তার স্থান পরিবর্তন করে বয়ে চলে। আজপর্যন্ত পাথরগুলোকে চলমান অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি। তবে মাটির স্তরে রেখে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশে মাটিতে তাদের কোনো পদচিহ্ন পাওয়া যায় না। সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে ডেথ ভ্যালি-তে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে। কিছু গবেষকদের মতে, মাটি যখন কর্দমাক্ত থাকে এবং বরফ পড়ে পিচ্ছিল হয় তখন বাতাসের ধাক্কায় পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই যুক্তিও গ্রহনযোগ্যতা পাইনি। কারণ পাথরগুলো তখনও স্থান পরিবর্তন করে যখন গ্রীষ্মকালে মাটি একেবারে শুকনো থাকে এবং বরফও পড়ে না। তাছাড়া পাথরগুলো একই রাস্তায় চলে না। প্রতিটি পাথরের চলার পথ সম্পূর্ণ ভিন্ন বা আলাদা। এছাড়াও এটি আরও রহস্যময় হয়ে উঠার প্রধান কারণ হচ্ছে, বিস্তৃত এই এলাকাটি জনমানবহীন। এমনকি এখানে বন্যাও হয় না এবং এখানে এতো গতিবেগে বাতাস প্রবাহিত হয় না যে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তনে সহায়ক হবে। -