মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কুকুরের মুখ থেকে নবজাতক উদ্ধার

কুকুরের মুখ থেকে নবজাতক উদ্ধার

ঘটনাটি রাজধানী ঢাকার পূর্ব শেওড়াপাড়ার। চার থেকে পাঁচটি কুকুর নবজাতককে নিয়ে খেলছে। বাকি মানুষ নামধারীরা তা দেখছেন। এরই মধ্যে এক নারী কুকুরের মুখ থেকে কোলে তুলে নিলেন নবজাতককে, যেটি তারই মত আরেক মা ফেলে গেছেন ডাস্টবিনে। ঘটনাটি রাজধানী ঢাকার পূর্ব শেওড়াপাড়ার। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় এক নারী নবজাতকটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে পুরাতন বিমানবন্দর মাঠে স্থানীয় শিশুরা খেলা করছিল। এ সময় তারা দেখে ডাস্টবিন থেকে চার-পাঁচটি কুকুর কাপড়ে মোড়ানো একটি বস্তু নিয়ে খেলা করছে। কৌতুহলবশত শিশুরা এগিয়ে গিয়ে তাতে এক নবজাতককে দেখতে পায়। এরপর তারা আশেপাশের লোকদের বিষয়টি জানায়। স্থানীয়রাও ছুটে আসেন। কিন্তু সবাই দাঁড়িয়ে নবজাতক নিয়ে কুকুরের খেলা দেখছিল। এরই মধ্যে জাহানারা নামের এক নারী এগিয়ে গিয়ে নবজাতককে নিজের কোলে তুলে নেন। নবজাতকটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপর আর দেরি না করে ওই নারী প্রথমে স্থানীয় আরএস হাসপাতালে, পরে আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল ঘুরে সবশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সেখানকার নবজাতক ওয়ার্ডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন। ঢামেক নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অবেদ হোসেন মোল্লা জানান, কন্যা শিশুটির বয়স এক বা দেড় দিন হবে, ওজন আড়াই কেজি। তার নাক ও ঠোঁটের ওপরের কিছু অংশ নেই। কুকুরের আঘাতে সেখানে ক্ষত হয়েছে। তিনি জানান, শিশুটির বাম হাতের দুই আঙ্গুলও ঝুলে আছে। এছাড়া শরীরেও ক্ষত হয়েছে। চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তুলতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। 
মক্কার মসজিদ আল হারামে ভয়াবহ ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ

মক্কার মসজিদ আল হারামে ভয়াবহ ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ

মক্কার মসজিদ আল হারামে ভয়াবহ ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিমা কোম্পানি। মঙ্গলবার বিমা বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করেছে দেশটির আরবি দৈনিক আল হায়াত। বিমা কোম্পানি দুর্ঘটনায় নিহত ১০৭ ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ৩৩ মিলিয়ন রিয়াল বা ৬৭ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে বিমা কোম্পানি। এই টাকার পুরোটাই হারাম শরীফ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ব্লাড মানি হিসাবে প্রদান করবে। এ বিষয়ে ইন্স্যুরেন্স বিশেষজ্ঞ আদহাম জাদ বলেন, সৌদি আরবে ভ্রমণকারীদের জন্য ন্যূনতম ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত বিমা ঝুঁকি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য বড় ধরনের আপদকালীন সময়ে তা বাড়ানো হয়। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় মক্কার পবিত্র মসজিদ আল-হারামের উপর ভেঙে পড়ে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত একটি বিশালাকৃতির ক্রেন। এ ঘটনায় ১০৭ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয় ২ শতাধিক হাজী।