৩১ আগষ্ট- ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। রোববার দেশটির হাজ্জাহ প্রদেশে বোমা তৈরির কারখানা লক্ষ্য করে ও রাজধানী সানায় একটি বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া রাজধানী সানায় একটি বাড়িতে চালানো অপর এক বিমান হামলায় অন্তত চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত মার্চ থেকে হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। হাজ্জাহ প্রদেশের বাসিন্দা ইসসা আহমেদ বার্তা সংস্থা জানান, বোতল কারখানায় ওই বিমান হামলায় নিহত ৩৬ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালের ওই হামলায় শ্রমিকদের অনেকের লাশ পুড়ে গেছে। এছাড়া অনেকের দেহ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আসেরি। তিনি বলেন, বোমা তৈরির কারখানা লক্ষ্য করেই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হুথি বিদ্রোহীরা ওই স্থাপনা বোমা তৈরির জন্য ব্যবহার করতো। এছাড়া আফ্রিকান অভিবাসীদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতো বলে তিনি দাবি করেন।
সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫
খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে নির্দিধায় প্রতারণা করতো আব্দুল মতিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো এ ব্যাপারটা শুনলে আশ্চর্য না হয়ে পারবেন না। কেননা খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে নির্দিধায় প্রতারণা করতো আব্দুল মতিন। আর এ অভিযোগে তাকে আটক করেছে র্যাব।
আটক আব্দুল মতিন উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।
র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, মতিন দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি এমকে শামীম চৌধুরী পিএস সাজ্জাদুল ইসলামের পরিচয় ব্যবহার করে রামগতি, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। পরে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও র্যাব জানায়, মতিন প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স ব্যবহার করে গরীব ও অসুস্থ ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়ে বিপুল অংকের টাকা ইতোমধ্যেই আত্মসাৎ করেছে।
প্রথমে তিনি ০১৭১৬৫০২২৩৯ নম্বর ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন করে, মোবাইল ম্যাসেজ এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো এক কাল্পনিক ছাত্রের নামে বানানো ভুয়া ডাক্তারি কাগজপত্র পাঠিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এমনকি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করে নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে অর্থ পাঠানোর জন্য তাগিদ দিয়ে প্রতারণা করতো।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার গৌরগবিন্দকে প্রকৃত সাজ্জাদুল হাসান, পিএস-১, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মনে করে ১ লাখ টাকা টিটি করে পাঠিয়েছেন। সে এই কাজে আরও ০১৮১১১৬৮০৯১, ০১৮৫০৩৫৪০৪২, ০১৮১৯০০২২৩৮ নম্বরগুলো এবং হিসাব নম্বর ৪৫২৩, মিজানুর রহমান, কমলাপুটি শাখা, ফেনী, হিসাব নাম্বার ৩৪০৭২০৫৫, রুমা আক্তার, অগ্রণী ব্যাংক, ফেনী এবং বিকাশ নাম্বার ০১৮১১৯২৯৩৯৬ ব্যবহার করতো। তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে ছবি এডিটিংয়ে পারদর্শী। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজের ছবি এডিট করে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক প্রদর্শনের মাধ্যমেও প্রতারণা করতো।
র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে তার গতিবিধি ও কার্যক্রম গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখে অবশেষে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার এ প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সব দোষ স্বীকার করেছে বলে র্যব জানায়।
রামগতি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক মতিনকে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর মেয়ে কাঁপাচ্ছে রাশিয়া (ভিডিও)
বিশ্বগণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্টিক কন্যার কথা। প্রতিবেদনে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বাংলার বাঘিনী’নামে। আর এই খেতাব তাঁকে দিয়েছেন রুশ কোচ ইরিনা ভিনের। রাশিয়ার গণমাধ্যমেও রিতাকে ‘বাংলার বাঘিনী’ নামেই উল্লেখ করেছে। রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে! যা কিনা সত্যি গর্বের ও আনন্দের…
কে এই রিতা?
২০১৩ সালে রিতার এমন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের কারণে তাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে। রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্ট এর প্রচ্ছদে উঠে আসে রিতার সাফল্যের গল্প। তার বাবা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর ছেলে। ১৯৮৩ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তিনি রাশিয়া যান। পরে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যান। সবচেয়ে মজার তথ্য হল পাঠক, বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই রিতাকে বিশ্ব গণমাধ্যম অন্য এক নামে চেনে, সেখানে তার নাম‘মার্গারিতা মামুন’। ঠিক এই নামেই এই রিদমিক জিমন্যাস্টিকে চেনেন বিশ্ববাসী। রিতার রক্তে বইছে জিমন্যাস্টিকস, ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কোতে জন্ম নেয়া রিতার বাবা বাংলাদেশী বংশদ্ভুত আবদুল্লাহ আল মামুন প্রকৌশলী হলেও তার মা রাশিয়ান বংশদ্ভুত এ্যানা একজন পেশাদার রিদমিক জিমন্যাস্টিক ছিলেন। তাই ছোট বেলা থেকেই জিমন্যাস্টিকস চর্চা চালিয়ে গেছেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে এখনও বিয়ে করেননি মার্গারিতা মামুন রিতা। তার একটি ছোট ভাই আছে, নাম ফিলিপস। বর্তমানে তারা সপরিবারে রাশিয়ার মস্কোতে বসবাস করছেন।
২০১১ সাল থেকে রিতার খেলোয়াড়ী জীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে শুরু করে। ২০১১ সালে মন্ট্রিল ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নিয়ে ১০৬.৯২৫ পয়েন্ট অর্জন করে অল-অ্যারাউন্ডে ব্রোঞ্জ পান রিতা। আর বল ফাইনালে ২৭.০২৫ পয়েন্ট নিয়ে স্বর্ণ জিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ওই বছর রাশিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে হুপ ও বলে অল-অ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে ডাক পড়ে যায় তার। উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী রিতা রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে সবমিলিয়ে সিলভার মেডেলিস্ট এবং ২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ‘অল অ্যারাউন্ড’ চ্যাম্পিয়ন।
এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি তার শুরু হয়ে যায় তার জয়যাত্রা। ২০১১ সালে তার ওয়াল্ড ৠাংকিং ছিল ২২, যা কিনা ২০১২ সালে হয়ে যায় ১৭। কিন্তু ২০১৩ সালে একলাফে ওয়াল্ড র্যা ঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে চলে আসেন তিনি। মস্কো গ্রান্ড প্রিক্সে স্বর্ন জেতার মধ্য দিয়ে মৌসুম শুরু করেন। এরপর কাজান ইউনিভার্সিয়াড, সেন্ট পিটার্নবার্গ ওয়াল্ড কাপ ফাইনাল, ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের মতো বড় ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতে রিতার তার যোগ্যতার পরিচয় দেয়। আর বর্তমানে তিনি আছেন ওয়াল্ড ৠংকিংয়ের ২ নম্বরে। রিতার এগিয়ে চলা শানিত ফলা ঠিক একই রকম আছে। চলতি বছর জার্মানির স্টুটগার্টে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় রিতা তিনটি স্বর্ণ পদক, একটি সিলভার এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন । রিতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলু জানালের, ‘রিতাকে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সকল দিক বিবেচনা করে তিনি রাশিয়ার হয়েই খেলছেন। আর এ ধরণের একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেয়া দরকার তা আমাদের পক্ষে আসলেই সম্ভব নয়। তবে খুব সম্প্রতি তার সাথে আমরা আর যোগাযোগ করেনি।’ প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে কোন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত নাগরিকের এটাই বড় সাফল্য। তাই রিতার এই অর্জনে বাংলাদেশ কমিউনিটির মানুষ খুবই খুশী। এমনকি ফেইসবুকে ও ইন্সটাগ্রামে তারা রিতার প্রতিযোগিতার ছবি প্রকাশ করেছে।
যুদ্ধ হলে ভারতের ভয়াবহ ক্ষতি হবে : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে নামলে এমন বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, যা কয়েক দশক মনে রাখবে ভারত, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মুহম্মদ আসিফ। ভারত-পাক সীমান্তের কাছে শিয়ালকোটে কুন্দুনপুর গ্রামে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, পাক-সেনাবাহিনী যেকোনো মূল্যে তাদের মাতৃভূমি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।আসিফের অভিযোগ, ভারত তাদের দেশে ‘সন্ত্রাসবাদ’কে মদত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়ে গেছে। তারা চায়, সীমান্তে সবসময়ই অব্যাহত থাকুক উত্তেজনা। ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলি চালানোর অভিযোগও তুলেছেন তিনি।তিনি আরো বলেন, ভারতের এই ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ পাকিস্তানবাসীদের মাতৃভূমির প্রতি টান আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মুহম্মদ আসিফতার অভিযোগ, নিজেদের আভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকতে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে জেনারেল অ্যাসেম্বলি-র মিটিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাদের দেশের ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন। আসিফের দাবি, সেই অভিযোগ প্রমাণ করার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে রয়েছে পাকিস্তানের।উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট পাকিস্তান-ভারত জাতীয় নিরাপত্তা (এনএসএ) পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
'ভিডিও সেলফি'র ক্রেজ ছড়িয়ে দিয়েছে 'ডাবস্ম্যাশ'
এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ বলে পরিচিতি পেতে পারে ডাবস্ম্যাশ। একে এক কথায় ভিডিও সেলফি বলা যায়। তারকা থেকে শুরু করে যেকোনো মানুষ ডাবস্ম্যাশে ভিডিও সেলফি দিচ্ছেন। সেলফি এমতিনেই দারুণ জনপ্রিয় ট্রেন্ড। কিন্তু স্থির চিত্রের পরিবর্তে যখন ভিডিও চিত্রের সেলফি পেয়ে গেছেন মানুষ, তখন কি অবস্থাটা হতে পারে? জনপ্রিয় তারকা থেকে শুরু করে যেকোনো মানুষ এখন ভিডিও সেলফি দিতে ব্যস্ত।
আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে পাবেন ডাবস্ম্যাশ। ভিডিও মেসেজিং অ্যাপটি এটি। কিন্তু মানুষের কাছে ভিডিও সেলফি বলেই মনে হয়েছে। এখানে অসংখ্য গান, সিনেমা এবং বিখ্যাত ও জনপ্রিয় উক্তির সঙ্গে মুখ মিলিয়ে নিজের ভিডিও প্রকাশ করত পারেন ব্যবহারকারীরা। এসব ভিডিও আপলোড করতে পারবেন এবং নিজের পছন্দমতো নিজের অডিও ছাড়াও কালার ফিল্টার এবং টেক্সট অ্যানিমেশন রেকর্ডিংয়ে জুড়ে দিতে পারবেন। এসব ক্লিপ নিজের ডিভাইসে সেভ করতে হবে এবং তা অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে বন্ধুদের পাঠিতে দিতে পারবেন।
জোনাস ড্রুপেল, রোল্যান্ড গ্রিনকি এবং ড্যানিয়েল টাচিক এটি বানিয়েছেন। মোবাইল মোশন ডেভেলপারস-এর অ্যাপটির সাইজ ৩৪.২ মেগাবাইট।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর অ্যাপটি বাজারে আসে। খুব দ্রুত জার্মানিতে এক নম্বর অ্যাপ বলে বিবেচিত হয়। দেখতে দেখতে ২৯টি দেশের তালিকায় এক নম্বরে চলে আসে। এ বছরের জুন নাগাদ ১৯২টি দেশে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটি।
এটি গুগল স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। অ্যাপের সাইটে দেখুন http://www.dubsmash.com/ সূত্র : ইন্টারনেট
Zafar Iqbal won’t press for BCL men’s punishment
Professor Zafar Iqbal has said he will not press for punishment of the Bangladesh Chhatra League (BCL) activists over yesterday’s attack on teachers of Shahjalal University of Science and Technology (SUST).
“Whose punishment shall I demand? They are the students of this university,” the eminent educationist told journalists today, a day after the event at the university in the northeastern district.
- Teachers continue demo for VC’s resignation
- Students condemn attack
An acclaimed writer, Zafar Iqbal alleged that it was the university authorities who were using the BCL. “Otherwise, they (BCL activists) couldn’t have done it.”
Activists of the ruling Awami League’s student front swooped on teachers’ demonstration in front of the Vice-Chancellor Aminul Haque Bhuiyan’s office yesterday. About 10 teachers, including Zafar Iqbal’s wife Yasmeen Haque, were assaulted.
“We never gave such education,” said Zafar Iqbal, who was seen sitting dejected in the rain and appeared shell-shocked after the attack yesterday.
“It’s hard for me to accept it.”
MOVEMENT FOR VC’S RESIGNATION TO CONTINUE
Meanwhile, Shahjalal university teachers followed up yesterday’s demo with work abstention today.
All examinations however have been kept out of its purview.
Agitating under the banner of Mahan Muktijuddher Chetonay Udbuddho Shikkhak Parishad, the teachers brought out a procession this morning. They condemned yesterday’s attack and said their movement for resignation of the VC will continue.
Former university proctor, Emdadul Haque, requested Prime Minister Sheikh Hasina’s intervention in removal of Shahjalal university VC within 24 hours.
Also, general students today staged demonstrations under various banners condemning the attack on teachers.
ভালো পরিবারের ছেলে-মেয়ের জন্য সিনেমা নয়!
মডেল অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা। সম্প্রতি বোমা ফাঁটিয়েছেন ঢাকাই কিং শাকিব খানের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে আরো বেশি আলোচনায় আছেন তিনি। এমন কি তার সাহসেরও তারিফ করছেন অনেকে।
এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের না হলেও, অল্প সময়েই তিনি পেয়েছেন দর্শক প্রিয়তা। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, তার ধ্যান জ্ঞান চলচ্চিত্রে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির মতো, এখানেও রয়েছে রাজনীতির মারপ্যাঁচ। আর এই রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়েছেন তিনি। এ নিয়ে বেশ হতাশা এ অভিনেত্রী।
২০১২ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগীতায় সেরা দশে ছিলেন তিনি। সে হিসেবে মিডিয়ায় অভিষেক তার তখনই। তারপর থেকেই নিয়মিত বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন এ তারকা। এর কিছুদিন পর তিনি নাটকও কাজ করেন।
পিয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার কথা ছিলো রয়েল-অনিক পরিচালিত ‘গেম’ ছবির মধ্য দিয়ে। কিন্তু ছবিটা শেষ পর্যন্ত তার করা হয়নি। এরপর সৈয়দ জাফর ইমামির ‘রুদ্র-দ্য গ্যাংস্টার’ ছবিটির কাজ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ছবিটি আসি আসি করছে, এ নিয়ে পিয়াও কিছুটা বিরক্ত।
এদিকে ঘটা করেই খবর বেরিয়ে ছিলো পিয়া বিপাশা ঢাকাই কিং শাকিব খান এবং আরেক খান জায়েদ খানের সঙ্গে রাজনীতি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে সম্প্রতি বোমা ফাঁটিয়েছেন এ অভিনেত্রী। অনেকটা হাঁটে হাড়ি ভাঙার মতো তীর ছুড়েছেন তিনি।
রাজনীতি ছবি ছাড়া প্রসঙ্গে পিয়া বলছেন, আমার মতো অনেকেই স্বপ্ন নিয়ে চলচ্চিত্রে আসছে। কিন্তু দুই একটি কাজ করার পর তাদের আর খোঁজ মিলছে না। এর পেছনে একটা পলিটিক্স রয়েছে। তাই শুরু থেকেই সাবধাণতা অবলম্বন করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, গত মে মাসে আমার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ছবি হিসেবে ‘রাজনীতি’তে চুক্তিবদ্ধ হই। তার কয়েকদিন পর থেকেই আমার থাকা, না থাকা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়।
পিয়া বলেন, ছবির পরিচালক ও প্রযোজককে জিম্মি করে আমার চরিত্রটি অন্য একজনকে দেয়ার জন্যই এত কিছু করা। আর এ সব কিছুই হয়েছে একজন নায়কের কারণে। তাই শেষ পর্যন্ত নিজ থেকেই ছবিটি না করার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ ‘রাজনীতি’ না ছাড়লে, আমাকে বাদ দেয়া হত।
তিনি বলেন, আসলে চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিবেশ কাজ করার উপযোগী নয়। ভাল পরিবারের ছেলে মেয়েরা এখানে কাজ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিয়া অভিযোগ করে বলেছিলেন ‘রাজনীতি’ ছবিতে নায়ক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান খ্যাত একজন নায়ক তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করাসহ ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই ‘রাজনীতি’তে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা চুক্তিভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে ‘রাজনীতি’ ছবি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে এতোদিন খবর পাওয়া গেলেও তা ভিত্তিহীণ বলছেন পিয়া। শুধু তাই নয়, তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার কিং খানের বিরুদ্ধে।
পিয়া অভিযোগ করেন, ছবিতে নায়ক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান খ্যাত একজন নায়ক তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করাসহ ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই রাজনীতিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে আমি নতুন। ভালো কাজ করতে এসেছি। এখানে এসে কোনো ধরনের পলিটিক্সের মধ্যে পড়তে রাজি নই। আমাকে নিয়ে পলিটিক্স হচ্ছে। কোনো নায়কের অশোভন আচরণ মেনে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আমার নেই। তিনি যেই হোন না কেন। প্রথম সারির একজন নায়ক এমন অশোভন প্রস্তাব দিতে পারেন সেটা আমার জানা ছিল না। তাছাড়া সবকিছু মেনে নিয়ে আমি যদি ছবিটি করতামও তবুও এর কাজ কোনোদিন শেষ হতো বলে আমার মনে হয় না। কারণ এ ছবি নিয়ে বেশ পলিটিক্স হচ্ছে।
কিছুদিন আগে ঘটা করে শাকিব খান ও জায়েদ খানকে নিয়ে ‘রাজনীতি’ নামের নতুন একটি ছবির ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস। ছবিতে নায়িকা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন পিয়া বিপাশা।
এ ব্যাপরে ঢালিউড কিং শাকিবের খানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি দেশের বাইরে থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাতের আঁধারে রহস্যময় এফডিসি: সারিবদ্ধভাবে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা (নগ্ন ভিডিওসহ)
নায়িকা হতে গিয়ে হারাতে হয় সর্বস্ব দেখুন ভিডিওতে
সারা দিন হিরো-হিরোইন আর পরিচালকের আনাগোনায় এফডিসি প্রাণবন্ত থাকলেও আঁধার ঘনিয়ে আসতেই পাল্টে যায় চিত্র। রহস্যে ভরে ওঠে চারপাশ। শুরু হয় রহস্যময় মানুষের আনাগোনা। ভেতরে আসা এবং ১৫ মিনিটের সিডিউল নিয়ে আরো গভীরে চলে যাওয়া। সারা রাতই চলে এমন। অনুসন্ধানে যা বেরিয়ে এলো তা এফডিসির মতো জায়গায় কারোরই প্রত্যাশিত নয়।
দিনের ব্যস্ততা শেষে আঁধার নামতেই এফডিসির ফ্লোরগুলো জমে ওঠে আড্ডায়। মুখরিত হয় নানা খুঁনসুটিতে। যেন মুহূর্তেই দূর হয়ে যায় সব অবসাদ। কোথাও চেয়ার নিয়ে কোথাও সবুজ ঘাসে গোল হয়ে বসে চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা। আর এই আড্ডায় বাড়তি আমেজ ছড়াতে থাকে গান-বাজনার আসর।রাত ৯টা। এফডিসির গেটটি যেন বুক উদম করে দাঁড়িয়ে আছে কাওরান বাজার এলাকার দিকে। বাইরে রয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। কেউ অপেক্ষা করছেন নায়ক বা নায়িকা দেখতে, কেউ আবার অপেক্ষা করছেন সুযোগের। গেটে দাঁড়ানো ভয়ঙ্কর গোঁফওয়ালা দারোয়ানকে ম্যানেজ করতে পারলেই ভেতরে ১৫ মিনিটের মজা!
রাত ঘন হতেই বিশেষ এক শ্রেণীর লোকের আনাগোনা বেড়ে যায় মূল ফটকের সামনে। এরা যারা গেটে দাঁড়িয়ে আছেন ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় তারা কেউই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাহলে কেন তারা ভেতরে ঢুকতে চাইছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ভিড় ঠেলে গেটের সামনে যেতেই পথ আগলে দাঁড়ালেন সেই গোঁফওয়ালা প্রহরী। হাতে ইয়া মোটা লাঠি, যদিও এর প্রয়োগ খুব একটা হয় না। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি আর ঝামেলা করলেন না।
ভেতরে পা ফেলতেই কেমন একটা থমথমে অনুভূতি। রাস্তার দু’ধারে শ্যুটিং সেটের লোকজন গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আড্ডার পাশাপাশি কেউ ঠিক করছেন লাইট। কেউ আবার কাজ করছেন পরের দিনের শ্যুটিংয়ের সেট তৈরিতে।
একটু এগিয়ে ক্যান্টিনের কাছে যেতেই যেন অন্যরকম পরিবেশের হাওয়া শরীর ছুঁয়ে যায়। সেখানেও গোল হয়ে চলছে নারী-পুরুষের আড্ডা। তবে রহস্যের ব্যাপারটা হচ্ছে ১০ বা ১৫ মিনিট পরপর একজন করে উঠে সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছেন। ফিরছেনও ১০ বা ১৫ মিনিট পরে। কোথায় যাচ্ছেন তারা, কী এমন কাজ করছেন যে নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে সময় লাগছে ফিরতে? রহস্যের জাল ছেদ করতে ধীরে ধীরে উঠে যাওয়া মানুষগুলোর পিছু নিয়ে দেখা যায়, সবাই ছোট ছোট পা ফেলে যাচ্ছেন মান্না ডিজিটাল হলের দিকে। বিড়ালের মতো নিঃশব্দে মান্না ডিজিটাল হলের কাছে যেতেই দেখা যায় ছোট একটি লোহার গেট দিয়ে সবাই একে একে প্রবেশ করছেন ঝর্ণা স্পটে। সোজা হেঁটে চলে যাচ্ছেন ঝর্ণা স্পটের ব্রিজের ওপারে। সেখানে আবার রয়েছে বসার জন্য সুন্দর বন্দোবস্ত।
খুব সাবধানে পা ফেলে ঝর্ণা স্পটের পেছনে পৌঁছে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে চলছে নারী-পুরুষের সঙ্গম। পাশেই পড়ে রয়েছে অসংখ্য ব্যবহৃত টিস্যু ও নানা ব্র্যান্ডের প্যাকেট। প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেতেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান তারা। ব্যস্ত হয়ে ছুটতে থাকেন এদিক ওদিক। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই নারীরাই দিনে কাজ করেন ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে এক্সট্রা হিসেবে। আর রাতে কিছু বাড়তি উপার্জনের নেশায় চলে শরীর বিক্রি। পুরুষগুলোও কাজ করেন বিভিন্ন সেটে। রাত হলে তারাও চান নারী শরীরের ঘাম শুষতে। চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের কেন্দ্র বলা হয় এফডিসিকে। এটা ধরতে গেলে দেশের নির্মাতাদের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে যে কেউই হতবাক হবেন। এখানে শুধু অনৈতিক কর্মকাণ্ডই চলছে এসব যারা করছেন তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেসনে ময়লা আবর্জনা ফেলে ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলেছেন ।