বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

ফের সাংবাদিকদের একহাত দেখালেন মহসীন

ফের সাংবাদিকদের একহাত দেখালেন মহসীন

আবারো সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। খুব সতর্কতার সঙ্গে লেখালেখি করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, একজন রিপোর্টার দিয়ে মিথ্যা করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লিখে যাবেন, আর আপনাদের ছেড়ে দেবে মন্ত্রী সে কথা ভাববেন না।’
বুধবার বিকেলে নরসিংদী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এভাবে হুমকি দেন।
ফেসবুক আর অনলাইন নিউজপোর্টাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইদা
নিংকালে আর একটা হইছে, কী বলে অনলাইন আর ফেসবুক। যার যা ইচ্ছে তাই আপনারা...এমনকি চরম ইতরামিও করা হচ্ছে। এর জন্যই তথ্য প্রযুক্তি আইন আসছে। শুধু আসছে না অনেকের জীবন বিপন্ন হবে। সায়সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে।’
সাংবাদিকদের হুঁশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব সতর্কতা নিয়ে লেখালেখি করবেন। এ ব্যাপারে নিজেরা সচেতন হবেন এবং হুঁশিয়ার থাকবেন।’
রানা প্লাজার ঘটনা প্রকাশের মাধ্যমে মিডিয়াকে একতরফা দোষ দিয়ে বলেন, তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। বার বার টেলিভিশনে খবর প্রকাশের জন্য অ্যামেরিকা কোটা সিস্টেম তুলে নিয়েছে।’ সাংবাদিকদের দেশাত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে দেশাত্ববোধ থাকলে এমনটি করা সম্ভব হতো না।’
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়া কর্মীরা।

বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণ

বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণ

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভোট গ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি ভবনের কেন্দ্রসহ সারাদেশের ৭৭টি কেন্দ্রের ১৪৭টি বুথে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয় ভোট গ্রহণ। সব কেন্দ্রের ফল বার কাউন্সিলে পৌঁছার পর কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম একটি সময় নির্ধারণ করে ফল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
 
বুধবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬১২ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৭২৮ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে সারাদেশে ভোটারের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩০২। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল), বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল), আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্ট (গোলাপি প্যানেল) ও আইনজীবী ঐক্য নামের ৪টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
 
সিনিয়র আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের নেতৃত্বে সাদা প্যানেলে সাধারণ আসনে রয়েছেন- ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল মতিন খসরু, পরিমল চন্দ্র গুহ, জেড আই খান পান্না এবং শ.ম. রেজাউল করিম।
 
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে নীল প্যানেলে রয়েছেন ব্যারিস্টার এ. জে মোহাম্মদ আলী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মো. বোরহান উদ্দিন ও মহসিন মিয়া।
 
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে গোলাপি প্যানেলে রয়েছেন শাহ মো. খসরুজ্জামান, একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, আবদুল মোমেন চৌধুরী, সারওয়ার-ই দীন, মো. হেলালউদ্দিন ও শামসুল হক।
 
ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দের নেতৃত্বে আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে রয়েছেন- মো. মাহবুব আলী ভূঁইয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আবুল হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন মল্লিক, মো. শওকত হায়াত ও সুলতান এ সবুর চৌধুরী।
 
আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ভারতীয় রুপির বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে টাকা

ভারতীয় রুপির বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে টাকা

বাংলাদেশী টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির এ সপ্তাহে রেকর্ড মূল্যপতন হয়েছে। সোমবার একটা পর্যায়ে ১০০ রুপির দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১১৫ টাকার সামান্য বেশি।
দুনিয়াময় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে যে উথালপাথাল চলছে তাতে বাংলাদেশী টাকা ডলারের বিপরীতে বেশি ‘রেজিলিয়েন্স’ বা দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছে বলেই রুপির তুলনায় তার দর বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা বজায় থাকলে বাংলাদেশে ভারতের রফতানি আরও বাড়বে – অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে যারা পর্যটন বা চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন সুবিধা হবে তাদের।
এ সপ্তাহে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দাম একটা সময় পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গিয়েছিল, অথচ সেই একই সময়ে বাংলাদেশী রুপির পতন হয়েছে যৎসামান্য।
এর ফলে রুপির বিপরীতে টাকার দাম এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে – আর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও তার সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে দিল্লি-ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ইকরিয়ের, তার গবেষক ড: অর্পিতা মুখার্জী অবশ্য বলছিলেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যটা ডলারে হয় বলেই রুপির পতনের প্রভাবটা সীমিত হবে।
তবে সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করছেন, রুপির দাম কমায় রফতানিকারী হিসেবে ভারতের ‘কমপিটিটিভনেস’ কিছুটা বাড়তে পারে।
কিন্তু চট করে সেটার সুফল হয়তো বোঝা যাবে না – কারণ এই ধরনের আমদানি বা রফতানির পরিকল্পনাটা হয় অনেক আগে থেকে – অর্ডার ডেলিভারির ছমাস আগেই হয়তো দুপক্ষের মধ্যে সইসাবুদ সারা হয়ে যায়।
তবে বাংলাদেশে বহু বছর ধরে নানা কৃষিপণ্য ও ভোজ্য তেল রফতানি করে আসছেন কলকাতার ব্যবসায়ী দেবাশিস সাহা, তিনি বলছিলেন রুপির দাম কমায় তিনি রফতানিকারী হিসেবে এখন অনেক কম দাম কোট করতে পারবেন।
কিন্তু ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি বাড়বেই – এ কথাটা জোর দিয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না, কারণ শুধু ডলারের দাম ছাড়াও আরও বহু ফ্যাক্টর এই ব্যবসাকে প্রভাবিত করে।
পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কাস্টমস এজেন্ট পঙ্কজ রায় যেমন মনে করেন রুপির দাম কমায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাময়িক লাভ হতে পারে, তবে তাদের আসল সমস্যা অন্য জায়গায় রয়েই যাচ্ছে।
তিনি বলছিলেন, ‘পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরে একটা মালবাহী ট্রাক যখন পণ্য খালাস করতে না-পেরে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে আর রফতানিকারীকে রোজ দেড়-দুহাজার টাকা করে গচ্চা দিতে হয় তার সেই ক্ষতির তুলনায় এই ডলারের বিপরীতে লাভটা আসলে অতি সামান্য!’
তবে বাংলাদেশ থেকে যারা ডাক্তার দেখাতে, অস্ত্রোপচার করতে, নেহাত তাজমহল দেখতে বা আজমির শরিফে তীর্থ করতে ভারতে আসবেন তাদের জন্য এটা বড় সুখবর – কারণ টাকা বদলানোর পর তাদের হাতে নগদ রুপি এখন অনেক বেশি আসবে।
ঠিক দুবছর আগে ২০১৩-র আগস্টেও অনেকটা একই রকমভাবে রুপির বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার দাম বেড়ে গিয়েছিল হু হু করে।
কিন্তু সেই প্রক্রিয়া বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, এখন ২০১৫তে এসে রুপি-টাকার বিনিময়হার কোথায় এসে স্টেবল বা স্থিতিশীল হয় তার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে দুদেশের বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি। বিবিসি 
'নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হবে'

'নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধ পাওয়া গেলে ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হবে'

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫১টি ওষুধ কোনো ফার্মেসাইট পাওয়া গেলে সেই ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হবে। নিজ কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ওষুধ বাজারে পাওয়া গেলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওইসব ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনও বাতিল করে দেওয়া হবে।
এইস সফট, নাপা সফটসহ বিভিন্ন কম্পানির উৎপাদিত প্যারাসিটামল জাতীয় ১৬টি ওষুধ ছাড়া আরও ৩৫ ধরনের ওষুধের নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব ওষুধের উৎপাদন, বিপণন, মজুদ, বিক্রয়, ক্রয় ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপশি জনসাধারণকে এসব ওষুধ ব্যবহার না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় সুপারিশ অনুযায়ী এসব ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কম্পানিকে এসব ওষুধ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে তার পরিমাণসহ অধিদপ্তরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৩ আগস্ট মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫১টি ওষুধ নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধগুলো হলো- বেক্সিমকো ফার্মার নাপা সফট ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এইস সফট ট্যাবলেট, টস-৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, সেনসুলিন ২ ও ৪ ট্যাবলেট, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডায়াটাস ৩০ ট্যাবলেট, আদ দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালসের পিজোবেট ৩০ ট্যবলেট, দি ইবনে সিনা ফার্মার সফটপ্যারা ট্যাবলেট।
রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারাডট ও পায়োগির ৩০ ট্যাবলেট, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পায়োডার ৩০ ট্যাবলেট, এসিআই লিমিটিডের ডায়াট্যাগ ৩০ ও ৪৫ ট্যাবলেট, অপসোনিন ফার্মার রেনোমেট ট্যাবলেট, পাইলো ৩০ ট্যাবলেট, অপসো স্যালাইনের জিসেট ট্যাবলেট, এসকেএফের টেমিপ্রো ট্যাবলেট, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের রসিগ্লিট ২ ও রসিগ্লিট ৪ ট্যাবলেট।
বায়োফার্মার প্রিগলেট ৩০ ট্যাবলেট, এরিস্টোফার্মার গ্লুকোরস ২ ও ৪ ট্যাবলেট, গ্লুকোজন ৩০ ট্যাবলেট, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের ফিভিমেট ট্যাবলেট, পায়োজেনা ৩০ ট্যাবলেট, রোমেরল ২ ও ৪ ট্যাবলেট, দ্য একমি ল্যাবরেটরিজের ফাস্ট-এম ট্যাবলেট, বায়োফার্মার এসিটা সফট ট্যাবলেট, ইউনিমেড অ্যান্ড ইউনিহেলথের একটোস ৩০ ট্যাবলেট, ডেল্টা ফার্মার রসিট ২ ও ৪ ট্যাবলেট, মিল্লাত ফার্মার পায়োট্যাব ৩০ ট্যাবলেট, কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওগলি ৩০ ট্যাবলেট ও ট্যাজন ৪ ট্যাবলেট, নোভেল্টা বেস্টওয়ে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নরসফট ট্যাবলেট।
জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের পামিক্স-এম ট্যাবলেট, লিওন ফার্মাসিউটিক্যালসের মেটেস ট্যাবলেট, সোমাটেক ফার্মাসিউটিক্যালসের একটল-এম ট্যাবলেট, শরিফ ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারামিন ও পিগজন-৩০ ট্যাবলেট, প্যাসিফিক ফার্মার পিগিট ৩০ ট্যাবলেট, ডক্টরস কেমিক্যালের পায়োজন ৩০ ট্যাবলেট, অ্যালকো ফার্মার পায়োলিট ৩০ ট্যাবলেট ও দি হোয়াইট হর্স ফার্মার লিট-৩০ ট্যবলেট। 
Waterfalls  Lakes Plitvice, Croatia (National Park)

Waterfalls Lakes Plitvice, Croatia (National Park)

Is among the 20 most beautiful lakes in the world to 17th place. The park covers an area of 33,000 hectares and includes 16 lakes in succession, connected by waterfalls.Plitvice is the oldest national park in Southeast Europa.All'interno the park there are also many caves of which only a small part is agibile.I lakes are formed by two rivers: the White River and the Black River, which flow in the river Korana. The waters of these rivers are rich in calcareous salts (mostly calcium carbonate and magnesium carbonate), from the dissolution of carbonate rocks forming the geological structure of sito.Questi salts are precipitated by vegetation, forming layers of travertine , a sedimentary rock recently. Over time, these deposits forming real natural dams that act as barriers to water, growing by about a centimeter per year. At one point the water pressure breaks these natural levees, opening new paths in the ground.

This mechanism, in fact common to all the calcareous water, in Plitvice has assumed a particular importance.
The beauty of the National Park Plitvice, Croatia, is increased in the second round of the New Seven Wonders of Nature.  


বান্দরবানে বিজিবি ক্যাম্পে হামলা, গোলাগুলি চলছে

বান্দরবানে বিজিবি ক্যাম্পে হামলা, গোলাগুলি চলছে

বান্দরবানে বড় মদক বিজিবি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। বুধবার সকাল সাড়ে নটার দিকে এ ঘটনার পর থেকে বিজিবি ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। যা এখনো থেমে থেমে চলছে।
এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক জাকিরের হাতে গুলি লাগে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার চেষ্টা করছে বিজিবি সদস্যরা। সেখানে বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি সেনা সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে।
তবে এলাকাটিতে জনবসতি না থাকায় সেখানে সাধারণ মানুষের হতাহতের সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।

বাঘের চামড়াসহ আটক ২

বাঘের চামড়াসহ আটক ২

বরিশাল র‌্যাব-৮ সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাঘের চামড়াসহ দুই চেরাকারবারিকে আটক করেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় র‌্যাব-৮ বরিশাল কর্যালয়ে সহঅধিনায়ক মেজর আদনান সংবাদ সম্মেলন করেন।
আটকরা হলেন-পাইকগাছা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের গোলাপ গাজীর ছেলে আব্দুল জলিল গাজী (৫০) এবং রাজধানীর উত্তরার হারেজ ফকিরের ছেলে আশরাফ ফকির (৫৫)।
মেজর আদনান জানান, বাঘের চামড়া বিদেশে পাচার করার জন্য মওজুদ করেছে এমন সংবাদ পেয়ে তারা মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালান খুলনার কাস্টমস রোডে আব্দুল আলীমের বাড়িতে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় জলিল ও আশরাফকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ১টি বাঘের চামড় ২টি মোবাইল এবং ৩টি সিম।
মেজর অদনান আরো জানান, জিজ্ঞাসবাদে আটককৃতরা স্বীকার করেন দেশের বাইরে বাঘ ও অনান্য পশুর চামড়া পাচারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত তারা।

কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা এবার ঘটিয়েছেন ভিন্ন ঘটনা।

কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা এবার ঘটিয়েছেন ভিন্ন ঘটনা।

নারায়ণগঞ্জে বহুল আলোচিত সেভেন মার্ডার ঘটনার মূল আসামী নূর হোসেনের কথিত পরকীয়া প্রেমিকা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা এবার ঘটিয়েছেন ভিন্ন ঘটনা। পুলিশসহ হানা দিয়েছেন ডিভোর্স দেয়া স্বামী আবু সায়েমের বাড়িতে। ফেরত নিয়ে এসেছেন বাড়ির আসবাবপত্র আর সব মালামাল। ফিরে আসার সময় আবু সায়েম ও তার ভাগ্নেকে মারধর করেছে নীলার সঙ্গে থাকা লোকজন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড এলাকায় আবু সায়েমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাসছুল আলম দাবি করেছেন নীলার দাবি করা সব মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
original 2
তবে আবু সায়েমের অভিযোগ, মালামাল বুঝে নেয়ার সময় তার ওপর হামলা করা হয়।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নির্বাচনের পরেই পরকীয় প্রেমে জড়িয়ে পড়েন কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনের সঙ্গে। এ নিয়ে স্বামী বিরোধ দেখা দেয় স্বামী আবু সায়েমের সঙ্গে।
এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৫ জুন স্বামী সায়েমের সঙ্গে ডিভোর্স হয় নীলার। এরপর সাত খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মূল নায়ক নূর হোসেনের প্রেমিকা হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন কাউন্সিলর নীলা। এসময় একটি মাদক মামলায় নীলা গ্রেপ্তার হলে ডিভোর্স দেয়া স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বছরের কোরবানি ঈদের ছুটিতে সায়েম আর নীলা অবকাস কাটাতে চলে যান কক্সবাজারে সাগর সৈকতে।
এদিকে, কিছুদিন ধরে নীলা আবারো বিভিন্নজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুললে বিরোধ দেখা দেয় সায়েমের সঙ্গে। সেই বিরোধের জের ধরেই সায়েমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নীলা।
অভিযোগের সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে সায়েমের বাড়ির সব মালামাল ফেরত আনতে যান। এসময় সায়েম, ভাগ্নে ফরিদকে পিটিয়ে আহত করে নীলার লোকজন।

 দাফনের একদিন পর লাশের আর্তনাদ । দেশে তোলপাড় । ভিডিও

দাফনের একদিন পর লাশের আর্তনাদ । দেশে তোলপাড় । ভিডিও

হন্ডুরাসের এক অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী নেইসি পেরেজে তিন মাসের সন্তানসহ গত সোমবার রাতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে ‘মৃত্যু’ হয়েছিল। অন্তত নেইসির পরিবারকে চিকিৎসক তাই জানিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকেও যথারীতি দেওয়া হয়েছিল ‘মৃত্যুসনদ’।


কিন্তু দাফনের ২১ ঘণ্টা পর কংক্রিটের তৈরি কবরের ভেতর থেকে শোনা যেতে লাগল আর্তনাদ। নেইসির স্বামী রুডি গঞ্জালেস সংবাদমাধ্যমকে জানান, দাফনের সময় তাঁর স্ত্রীকে বিয়ের পোশাকেই কবর দেওয়া হয়েছিল। স্ত্রীকে অকালে হারানোর শোকে কাতর রুডি দাফনের একদিন পর কবরের কাছে যান। আর তখনই তিনি কবরের ভেতর থেকে স্ত্রীর আর্তনাদ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আত্মীয়দের ডেকে পাঠান।

রুডি গঞ্জালেস বলেন, ‘কবরস্থানের নিরাপত্তারক্ষী জেসাস ভিলেনোভা আমাকে জানান, তিনি রাতে আর্তনাদ শুনতে পেয়েছেন। কিন্তু জেসাস কল্পনাও করতে পারেননি যে কবরের ভেতর থেকে কেউ আর্তনাদ করছিল।’

নেইসির মা এলা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানান, তীক্ষ্ণ শব্দে কবরের ভেতর থেকে কাঁদছিল নেইসি। সাহায্যের জন্য আর্তনাদও করেছিল। প্রথমে সবাই একে ‘প্রেতাত্মার কারসাজি’ বলে উড়িয়ে দিলেও শেষে কিশোরীর আর্তনাদে আত্মীয়রা কংক্রিটের তৈরি কবরটি ভাঙতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কফিন ভেঙে দেখা গেল, নেইসির কফিনের কাচ ভাঙা আর তাঁর হাতের আঙুল থেকে রক্ত ঝরছে, অর্থাৎ বাঁচার তাগিদে খালি হাতেই কফিন ভেঙে ফেলেছিল কিশোরীটি । কিন্তু এত কিছু করেও বাঁচতে পারলেন না নেইসি। মরেই তাঁকে প্রমাণ করতে হলো, তিনি বেঁচে ছিলেন। কফিন থেকে বের করে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে হন্ডুরাসের ১৬ বছর বয়সী কিশোরী।

এদিকে, সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে হন্ডুরাসের এ ঘটনা। দেশটির একটি টেলিভিশনে ঘটনাটি দেখানোর পর অবাক করা ঘটনাটির ব্যাপারে জানতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে টেলিভিশনে দেখানো ওই ভিডিওটি ইউটিউবে দেখেছেন নয় কোটি আটাত্তর লাখের বেশি মানুষ।
ভিডিওতে দেখা যায়, কংক্রিটের কফিন ভেঙে নেইসিকে বের করে আনছেন স্বজনরা। ভিডিওতে নেইসির কোনো নড়াচড়া বোঝা যায়নি। তবে কিশোরীকে কফিন থেকে বের করে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এর পর আবার তাঁকে একই কবরে দাফন করা হয়।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে জ্ঞান হারানোর
ফলে হয়তো নেইসি পেরেজের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এতেই হয়তো চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। অথবা এমনও হতে পারে, তাঁর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়নি। কিন্তু আতঙ্কের ফলে পুরো দেহের মাংসপেশি অবশ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে হয়তো তার পূর্ণ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মাংসপেশি অবশ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকরা তাঁর হৃদস্পন্দন ধরতে পারেননি। দাফনের একদিন পর কবরের ভেতরে জ্ঞান পুরোপুরি ফিরে আসার পর অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু হয় তাঁর।


মৃত কিশোরী নেইসির মা অভিযোগ করেন, প্রথমবার চিকিৎসকরা বেশি তাড়াহুড়ো করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন।