বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

সমুদ্র গর্ভেই হারিয়ে যাবে বিশ্ব!

অবশেষে কি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এবার এমনটাই সতর্কবার্তা দিচ্ছে নাসা। নাসার এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে তাতে নিশ্চিত বিশ্বে সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বাড়ছে৷ আর আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর অন্তত ১ মিটার বাড়বেই। আশঙ্কার কথা এই যে, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে যে হারে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক দ্রূত হারে বাড়ছে জলস্তর৷এটা কোনওভাবেই আটকানো কিংবা বাধা দেওয়া সম্ভব নয়।
সমুদ্রের জলস্তর ১ মিটার বাড়লে কী হবে?
বিজ্ঞানীদের মতে, ডুবে যাবে প্রশান্ত, ভারত মহাসাগরের অসংখ্যা দ্বীপ৷ সমুদ্র উপকূলবর্তী হাজারও শহর৷ হয়তো অস্তিত্বই থাকবে না ফ্লোরিডার মতো অনেক জনপদের৷ অচিরেই যার ফল ভুগতে হবে ১৫ কোটি মানুষকে৷ নাসার সমুদ্র জলস্তর নিয়ে গবেষণাকারী দলের প্রধান স্টিভ নেরেম জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক গবেষণায় যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে, তাতে আমরা নিশ্চিত ১০০ বছরের মধ্যে জলস্তর এক মিটার বাড়বেই৷ যার ফল ভুগতে হবে গোটা বিশ্ববাসীকে৷’
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের জলস্তর মাপা হয়েছে৷ তাতে দেখা গিয়েছে, জল যেমন বেড়েছে সমুদ্রে তেমনই জলে ভাসমান বরফের পাহাড়ের উচ্চতাও বেড়েছে৷ নাসার এই নতুন ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষার ফল নির্দিষ্ট শুধু নয়, একেবারেই নির্ভুল বলে দাবি করছেন গবেষকরা৷ তাঁরাই জানাচ্ছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রাও দ্রূত বাড়ছে৷ যার জেরে আণ্টার্কটিকা, গ্রিণল্যান্ডের বরফের স্তর শুধু উপরিভাগ থেকেই নয়, জলের নীচ থেকেও গলছে৷ বরফ গলায় ওজন কমার ফলে বরফের পাহাড় ভেসে উঠছে৷ বাড়ছে উচ্চতা৷
গবেষকরা বেশি চিন্তিত গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর নিয়ে৷ কারণ, তথ্য বলছে গত এক দশকে প্রতিবছর গ্রিনল্যান্ডে ৩০৩ ‌গিগাটন বরফ গলেছে৷ আণ্টার্কটিকায় গলেছে ১১০ গিগাটন৷
সমুদ্র বিশেষজ্ঞ জশ উইলস বলছেন, “আমরা যতটা ভেবেছিলাম গত কয়েক বছরে তার চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি বরফ গলেছে৷ আমাদের ধারণা, আগামী ২০ বছরে আরও দ্রূত হারে বরফের স্তর গলবে৷”
কিন্ত্ত কেন এত দ্রূত হারে গলছে বরফ, বাড়ছে জলস্তর তার কিছুটা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে গবেষকদের একাংশ৷


SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: