মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মিদের ১০টি ঘোড়া আটকের কারণে বান্দরবানের থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সীমান্তচৌকি (বিওপি) ও টহল দলের ওপর বুধবার হামলাটি চালানো হতে পারে বলে ধারণা করছেন মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহেমদ।
বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মঙ্গলবার আরকান আর্মিদের ১০টি ঘোড়া আটক করে বিজিবি। এটা হামলার একটা কারণ হতে পারে। অথবা আরাকানরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীদের তাড়া খেয়ে বিজিবির সামনে পড়ে হামলা করে।
বুধবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহাপরিচালক জানান, হামলার সময় আরাকান আর্মির দলে ৫০ থেকে ৬০ জন সদস্য ছিল। তারা ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা আক্রমণ করে। এ ঘটনায় একজন আরকান আর্মিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার হাতে কাটা ও শরীরের বিভিন্নস্থনে স্প্লিন্টারের ক্ষত রয়েছে।
গোলাগুলির ঘটনার পর ওই জায়গা থেকে রক্তাক্ত জামা-কাপড় ও বেল্ট পাওয়া যায়। এতে আরকান আর্মিদের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিহত হতে পারে বলেও জানান বিজিবি প্রধান।
সংবাদ সম্মেলনে আজিজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত বিজিবি ও সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরাকান লিবারেশন পার্টি’ ও ‘আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও অভিযান চালাচ্ছে।
ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তের যোগাযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ নেই, যাতে আমরা এ ধরনের হামলা প্রত্যাশিত মনে করতে পারি। দুই দেশের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ হয়ে থাকে। ঘটনার পরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে তারা আমাদের সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
0 comments: