১৯৮০ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরে এসে পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটিগুলির ওপর সামরিক আঘাত হানতে চেয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। যাতে, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র না তৈরি করতে সমর্থ হতে পারে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৈরি হওয়া “ইন্ডিয়াজ রিঅ্যাকশন টু নিউক্লিয়ার ডেভেলপমেন্টস ইন পাকিস্তান”— শীর্ষক সিআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বেচার জন্য অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এবছরের জুন মাসে সিআইএ-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়া ১২-পাতার ওই ‘ডিক্লাসিফায়েড’ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি জানতে পেরেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে ইসলামাবাদ আর বেশি দূরে নেই। কারণ, সেই সময়ে পাক প্রশাসন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্লুটোনিয়াম এবং এনরিচড (সমৃদ্ধ) ইউরেনিয়াম জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৈরি হওয়া “ইন্ডিয়াজ রিঅ্যাকশন টু নিউক্লিয়ার ডেভেলপমেন্টস ইন পাকিস্তান”— শীর্ষক সিআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বেচার জন্য অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এবছরের জুন মাসে সিআইএ-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়া ১২-পাতার ওই ‘ডিক্লাসিফায়েড’ রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি জানতে পেরেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে ইসলামাবাদ আর বেশি দূরে নেই। কারণ, সেই সময়ে পাক প্রশাসন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্লুটোনিয়াম এবং এনরিচড (সমৃদ্ধ) ইউরেনিয়াম জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
তাই দেশের আগাম সুরক্ষা হিসেবে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান করার কথা ভাবছিলেন ইন্দিরা। সিআইএ নিজেদের রিপোর্টে লিখেছিল, আগামী দু-তিন মাসে যদি পরিস্থিতি না পাল্টায় তাহলে ইন্দিরা হয়ত পাকিস্তানে আঘাত হানবেন। যদিও, পাকিস্তানে হামলা করা থেকে নিজেকে পরে বিরত রাখেন ইন্দিরা গাঁধী।
তার পরিবর্তে ইন্দিরা গান্ধী নিজের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি লক্ষ্যের সিদ্ধান্ত নেন। যার প্রেক্ষিতে, ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থানে থর মরুভূমিতে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ৪০-কিলোটন শক্তির পরমাণু পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে যায় ভারত। সিআইএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান পরমাণু পরীক্ষা করার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতও পরীক্ষা করবে।
তবে, পাকিস্তানও তখন পরীক্ষা না করায়, ভারতও করেনি।
0 comments: