বেশিরভাগ ছবিতেই দেখা যায় জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় তীব্র যানজট, গাড়ি নিশ্চল অবস্থায় পড়ে আছে। বাস গাড়ি রিকশা অর্ধেক ডুবে আছে পানিতে। রিকশা আরোহীরা পা উপরে তুলে রেখেছেন।
কোনো কোনো সড়কে পানির ওপর দিয়েই নৌকার মতো গাড়ি চলছে। সিটি কর্পোরেশন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন না করতে পারলে অন্তত একটা সাঁতারের কোর্সতো চালু করতে পারে নগরবাসীদের জন্য
কেউ লিখেছেন, পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই রাস্তা না নদী।
দুপুরের কিছু আগ থেকে মুষুলধারে বৃষ্টি হলে শহরের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট অলিগলি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
কেউ কেউ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, জলাবদ্ধতার কারণে তারা শহরের একই জায়গা গাড়িতে কয়েক ঘণ্টা আটকা পড়ে আছেন।
জল ও যানজটে নাকাল বাসিন্দাদের অনেকে এই পরিস্থিতির জন্যে নগর কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন।শেখ খলিল সোহেল ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের একটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাজধানীর চিত্র বদলাবে না। জল আর জটে আমরা এভাবেই অচল হয়ে থাকবো, আর শুনে যাব দিন বদলানোর কথা। এভাবে আর কতদিন..
তিনি লিখেছেন, “আজ সংসদ বসবে। এমপি-মন্ত্রীরা কি নৌকায় করে আসবেন?”
সাখাওয়াত আল আমিন তার স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, “সিটি কর্পোরেশন রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন না করতে পারলে অন্তত একটা সাঁতারের কোর্সতো চালু করতে পারে নগরবাসীদের জন্য! রাজপথ নামক অথৈ সাগরে ডুবে মরলে তার দায় নিশ্চয়ই নৌমন্ত্রনালয় বা বিআইডব্লিউটিএ নেবে না!”
রাস্তায় আটকে পড়া একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে পানি উঠে যাওয়ার ছবি দিয়েছেন মেহরীন মাহমুদ নামে একজন।শিশুরা পানিতে টইটুম্বুর রাস্তার ওপর ভেলার মতো বানিয়ে খেলা করছে।
অর্চি অতন্দ্রিলা ডুবে যাওয়ার শহরের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, প্রায় সাতার কাটার মতো অবস্থা এই ঢাকা শহরে।
রোজিনা ইসলাম তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এভাবে: “মেয়র যাবেন, প্রশাসক আসবেন! প্রশাসক যাবেন মেয়র আসবেন... এখনো ঢাকায় দুজন শক্তিশালী মেয়র আছেন...যে যখন দায়িত্ব নেবেন তার আগের আগের জনের দোষ খোজা হবে।... কিন্তু রাজধানীর চিত্র বদলাবে না। জল আর জটে আমরা এভাবেই অচল হয়ে থাকবো, আর শুনে যাব দিন বদলানোর কথা। এভাবে আর কতদিন!এক জায়গায় তিন ঘণ্টা বসে আছি! আমাদের সময়ের দাম নেই, আমাদের জীবনেরও নয়।”
0 comments: