বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৫

আগামী বছরের জুলাই মাসে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর হচ্ছে।

 ডিসেম্বর মাসে নয়, আগামী বছরের জুলাই মাসে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর হচ্ছে। এই নিয়ে চলতি বছরেই তিন দফা সময় বাড়ানো হলো। এর আগে চলতি বছরের জুনের মধ্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরের নির্দেশনা ছিলো। তখন না হওয়ায় আবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর আবার ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ট্যানারি শিল্প সাভারে সরিয়ে নিতে আগামী ডিসেম্বর নয়, ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল বুধবার  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নদী বন্দর রক্ষা সম্পর্কিত টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমরা ঠিক করেছিলাম ডিসেম্বরের মধ্যে ইটিপির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখন পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তাই জুলাইয়ে আমরা ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নেওয়ার সময় ঠিক করতে যাচ্ছি। শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, হাজারীবাগে ট্যানারি মালিকদের জায়গা থাকলেও তারা এখানে ব্যবসা করতে পারবে না। ট্যানারির ব্যবসা করতে হলে তাদের সাভারে যেতেই হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রী জানান, টাস্কফোর্স এ পর্যন্ত ঢাকার চারপাশের নদীর ১৮০ একর জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করেছে। এ পর্যন্ত ৮২৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া ২১৮ জন অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে শিগগিরই কাউকে না জানিয়ে অভিযানে যাবে টাস্কফোর্সের সদস্যরা। তাৎক্ষণিক অভিযানে যাকে পাওয়া যাবে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে তাকেই শাস্তির আওতায় আনা হবে।  এদিকে ঢাকার চারপাশের চারটি নদী রক্ষায় টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ২০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সাথে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকার চারপাশের নদীতে ১৪০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এই সীমানায় ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে পারলে নদী রক্ষায় তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।মন্ত্রী জানান, র‌্যাব ও নৌ পুলিশের জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিনের সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটছে এবার। নদীর ওই পারে কেরানীগঞ্জে ১৫ একর জায়গার ওপর র‌্যাব ও নৌ-পুলিশের অফিস হবে বলে জানান নৌপরিবহন মন্ত্রী। এজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ আরো কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের জন্য ১০ একর এবং নৌ-পুলিশের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৫ একর জায়গা। ম্যাটাডর বলপেন গ্রুপের বিরুদ্ধে নদীর জায়গা দখলের অভিযোগ এনে নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, ম্যাটাডর বলপেন গ্রুপ অত্যন্ত সুকৌশলে নদীর জায়গা দখল করে সুসজ্জিত মসজিদ নির্মাণ করেছে। তারা একটি ব্রিজের এক চতুর্থাংশ দখল করে ভবন করেছে। এর পাশেই মসজিদ। এই মসজিদকে জায়গা দখলের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এজন্য এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। 

SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: