আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে ইসরো। শুধু তাই নয়, আগামী দশকে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় ভারতই হবে প্রধান বাদশা, এমনই দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। প্রতি বছর ভারতের জিডিপি যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইসরোর জন্য বরাদ্দ। ২০১৫-১৬ সালে ইসরোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩.৯ বিলিয়ন টাকা(১.২ বিলিয়ন ডলার)। যেখানে অর্থনৈতিক দিক থেকে সহস্র যোজন এগিয়ে থাকা আমেরিকা নাসার জন্য বরাদ্দ করেছে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার। যদিও গোটা বিশ্বই আজ এক কথায় স্বীকার করে, ইসরোর চেয়ে কম খরচে এতবার সাফল্যমণ্ডিত মহাকাশ অভিযান কেউ করতে পারেনি। জেনে রাখা ভাল, ইসরো আজ পর্যন্ত তাদের বরাদ্দ পুরো টাকা খরচ করে ওঠার আগেই সাফল্যের সঙ্গে ‘মিশন সাকসেসফুল’ করেছে। কিন্তু এ জন্য মোটেও ইসরোকে নাসার চেয়েও এগিয়ে রাখা হচ্ছে না। যে কারণে মনে করা হচ্ছে, নাসাকে ছাপিয়ে যেতে পারে ইসরো, সে কারণগুলোকে তুলে ধরেছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। সে কারণগুলো হলো: ১. শুক্রগ্রহ অভিযান:মঙ্গলের পর ইসরোর বিজ্ঞানীদের পরবর্তী গন্তব্য শুক্র। আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৯ সালেই শুক্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারে ইসরোর মহাকাশযান। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের অ্যাডভান্সড মডেলটি রকেটটি ভারতীয় উপগ্রহকে কাঁধে চাপিয়ে শুক্রে নিয়ে যেতে পারে। আর যে উপগ্রহটি শুক্রে পাঠানো হবে তা অনেকটা পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটছে যে RISAT-1, তার মত হতে পারে। ২. পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল তৈরি: কম খরচে মহাকাশ গবেষণায় দিশারী হতে চলেছে ইসরো। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ‘টু স্টেট টু অরবিট’ বা Two-State-To-Orbit (TSTO) তৈরির কাজ সেরে ফেলবে ইসরো। এটি এক ধরনের রি-ইউজেবল লঞ্চ ভেহিকেল। অর্থাৎ একবার উৎক্ষেপণ করেই এর কাজ ফুরোবে না। ফের এর মাধ্যমে মহাকাশে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা যাবে। এর সাহায্যে ছোঁড়া যাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ৩. মহাকাশে মনুষ্যবাহিত জিএসএলভি ৩ রকেট উৎক্ষেপণ: ইতিমধ্যেই ইসরো তৈরি করে ফেলেছে নেক্সট জেনারেশন জিএসএলভি, নাম GSLV Mark III, অন্তত ৫০০০ কিলো ওজন মহাকাশে বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম এই রকেট। গত বছরের ডিসেম্বরের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল রকেটটি। ৪. আদিত্য, সান-স্পেস মিশন: ২০১৭ সালের মধ্যে ইসরো শুরু করতে চলেছে তাদের প্রথম সূর্যাভিযান। নাম আদিত্য। মাত্র ৪৯ কোটি টাকা বাজেটের এই আদিত্য ১ হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক সূর্যাভিযান। সূর্যের করোনা নিয়ে গবেষণা চালাবে এই যান। ৫. চন্দ্রায়ণ ২, মুন মিশন: ভারতীয় সূত্র ও ডিফেন্স নিউজের প্রতিবেদন মোতাবেক, ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান ‘চন্দ্রায়ন ১’ -এর মাধ্যমেই গোটা দুনিয়া প্রথম জানতে পেরেছিল চাঁদে জল রয়েছে। চন্দ্রায়নের সাফল্যের পর ফের চাঁদে বড়সড় এক মিশন শুরু করছে ইসরো। এই মিশনে চাঁদের মাটিতে নাসার ‘রোভার’-এর থেকেও বেশদিন কাটাবে ও ছবি তুলবে, নমুনা পরীক্ষা করবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে ইসরো।
আগামী ১০ বছরের মধ্যেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ছাপিয়ে যাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা সংক্ষেপে ইসরো। শুধু তাই নয়, আগামী দশকে বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় ভারতই হবে প্রধান বাদশা, এমনই দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। প্রতি বছর ভারতের জিডিপি যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইসরোর জন্য বরাদ্দ। ২০১৫-১৬ সালে ইসরোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩.৯ বিলিয়ন টাকা(১.২ বিলিয়ন ডলার)। যেখানে অর্থনৈতিক দিক থেকে সহস্র যোজন এগিয়ে থাকা আমেরিকা নাসার জন্য বরাদ্দ করেছে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার। যদিও গোটা বিশ্বই আজ এক কথায় স্বীকার করে, ইসরোর চেয়ে কম খরচে এতবার সাফল্যমণ্ডিত মহাকাশ অভিযান কেউ করতে পারেনি। জেনে রাখা ভাল, ইসরো আজ পর্যন্ত তাদের বরাদ্দ পুরো টাকা খরচ করে ওঠার আগেই সাফল্যের সঙ্গে ‘মিশন সাকসেসফুল’ করেছে। কিন্তু এ জন্য মোটেও ইসরোকে নাসার চেয়েও এগিয়ে রাখা হচ্ছে না। যে কারণে মনে করা হচ্ছে, নাসাকে ছাপিয়ে যেতে পারে ইসরো, সে কারণগুলোকে তুলে ধরেছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। সে কারণগুলো হলো: ১. শুক্রগ্রহ অভিযান:মঙ্গলের পর ইসরোর বিজ্ঞানীদের পরবর্তী গন্তব্য শুক্র। আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৯ সালেই শুক্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারে ইসরোর মহাকাশযান। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের অ্যাডভান্সড মডেলটি রকেটটি ভারতীয় উপগ্রহকে কাঁধে চাপিয়ে শুক্রে নিয়ে যেতে পারে। আর যে উপগ্রহটি শুক্রে পাঠানো হবে তা অনেকটা পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটছে যে RISAT-1, তার মত হতে পারে। ২. পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল তৈরি: কম খরচে মহাকাশ গবেষণায় দিশারী হতে চলেছে ইসরো। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ‘টু স্টেট টু অরবিট’ বা Two-State-To-Orbit (TSTO) তৈরির কাজ সেরে ফেলবে ইসরো। এটি এক ধরনের রি-ইউজেবল লঞ্চ ভেহিকেল। অর্থাৎ একবার উৎক্ষেপণ করেই এর কাজ ফুরোবে না। ফের এর মাধ্যমে মহাকাশে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা যাবে। এর সাহায্যে ছোঁড়া যাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। ৩. মহাকাশে মনুষ্যবাহিত জিএসএলভি ৩ রকেট উৎক্ষেপণ: ইতিমধ্যেই ইসরো তৈরি করে ফেলেছে নেক্সট জেনারেশন জিএসএলভি, নাম GSLV Mark III, অন্তত ৫০০০ কিলো ওজন মহাকাশে বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম এই রকেট। গত বছরের ডিসেম্বরের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল রকেটটি। ৪. আদিত্য, সান-স্পেস মিশন: ২০১৭ সালের মধ্যে ইসরো শুরু করতে চলেছে তাদের প্রথম সূর্যাভিযান। নাম আদিত্য। মাত্র ৪৯ কোটি টাকা বাজেটের এই আদিত্য ১ হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক সূর্যাভিযান। সূর্যের করোনা নিয়ে গবেষণা চালাবে এই যান। ৫. চন্দ্রায়ণ ২, মুন মিশন: ভারতীয় সূত্র ও ডিফেন্স নিউজের প্রতিবেদন মোতাবেক, ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান ‘চন্দ্রায়ন ১’ -এর মাধ্যমেই গোটা দুনিয়া প্রথম জানতে পেরেছিল চাঁদে জল রয়েছে। চন্দ্রায়নের সাফল্যের পর ফের চাঁদে বড়সড় এক মিশন শুরু করছে ইসরো। এই মিশনে চাঁদের মাটিতে নাসার ‘রোভার’-এর থেকেও বেশদিন কাটাবে ও ছবি তুলবে, নমুনা পরীক্ষা করবে।
0 comments: