টাঙ্গাইলে অদ্ভুত প্রকৃতির এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন মা। শিশুটির আকৃতি পশুর মতো হলেও নড়া-চড়া ও মায়ের দুধ পানসহ শব্দ মানুষের মতো করতে পারে। জম্ম হওয়ায় পর শিশুটির পিতাসহ পরিবারের সকলেই ভীত ও কান্না-কাটি শুরু করেছে। শিশুটির মা নিথর হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। এ শিশু জন্মের মধ্যে দিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব। নানী ছাড়া অন্য কেউ শিশুটিকে দেখতে আসছেন না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা এটা একটি রোগ। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিশুটিকে দেখতে সহস্রাধিক লোক হাসপাতালে ভিড় জমায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটি ১নং ওয়ার্ডের ওটি রুমে স্বাভাবিক ভাবে জন্ম হয় শিশুটির। শিশুটির মায়ের নাম ছালেহা (২০)। পিতার নাম রফিক। বাড়ী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বরুহা এলাকায়। শিশুটির হাত, পা, মুখ চোখ এমনকি শরীরের চামড়াও বাঘের মত দেখতে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখার জন্য মানুষ ভীড় করে এবং মোবাইলে ছবি তুলতে থাকে। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের ১ নং ওয়ার্ডের অফিসার ইনচার্জ জানান, বাঘের মত দেখতে এক পুত্র শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা। এই ঘটনাটি এবারই প্রথম ঘটেছে। আমরা কিছুটা অবাকও হয়েছি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শিশুটিকে দেখার জন্য মানুষ ভীড় করছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট নাজমা খলিল জানান, সালেহা বেগমের তল পেটে ব্যাথা হয়েছে এই চিন্তা করে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। সব কিছু চেকাপ করে দেখা যায় তার পেটে ৯ মাসের সন্তান। সালমা এ সন্তানের ব্যাপারে কিছুই জানত না। সোমবার বাচ্চা প্রসবের জন্য তাকে ভর্তি হয়।
বাচ্চাটি জন্মগ্রহন করলে দেখা যায় দেখতে অনেকটাই বাঘের মত, তার মুখে দুটি দাঁতও রয়েছে। পরে মা ও শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ”আমরা শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে এসেছি। শিশুটির ছবি মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। আমরা তাদের কাছ থেকে ছবিটি দেখেছি”।
0 comments: