টাঙ্গাইলে কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী-পুলিশ সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো ৬ জন। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতরা হলো কালিহাতী উপজেলার কুষ্টিয়া গ্রামের ছানু শেখের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) ও কালিহাতী উপজেলার কালিয়া গ্রামের মুত ওসমান এর ছেলে শামিম (৩২)। এ ঘটনায় তিন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার আঠারদানা ও হামিদপুর এলাকার ৪-৫শ’ লোক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কালিহাতী থানা ঘেরাওয়ের উদ্দেশে কলেজগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের বাকবিত-া হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে কালিহাতী থানার এসআই ফারুক, কনস্টেবল লিয়াকত ও কনস্টেবল হারুন আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে পুলিশের হামলা চালায় ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারিরা দিকবিদ্গিক দৌঁড়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০-২৫ জন আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, ঘাটাইল উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে ২-৩ হাজার লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে থানার দিকে আসতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে একজন এসআই ও দু’জন কনস্টেবল মারাত্মকভাবে আহত হন। বাধ্য হয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি। তিনি আরো জানান, মা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় মূলহোতা হাফিজ উদ্দিন ও রোমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেমাকে তার ছেলের সামনে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে রোমার ভগ্নিপতি হাফিজ উদ্দিনের অপতৎপরতায় ওই মা-ছেলেকে ঘরে আবদ্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয়।
শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
Author: সময়ের তাজা কাহিনী
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 comments: