বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এবার পুরুষদের দাঁড়ি নিয়ে গবেষনা বিজ্ঞানীদের ।

পুরুষদের দাড়ি রাখা নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় বিধিবিধান থাকলেও বৈজ্ঞানিকভাবে এটি নিয়ে এখনো তেমন বিচার বিশ্লেষন লক্ষ করা যায়নি। সম্প্রতি এই দাড়ি নিয়ে গবেষণায় নামতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ্যালান ওয়াইদি।
 অধ্যাপক এ্যালান ওয়াইদি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'বিশ্বব্যাপী পুরুষদের ক্ষেত্রে দাড়ি রাখার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আবার কমেও যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। দাড়ি নিয়ে মানব সমাজে নানা সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে। তাই আমার আগামী গবেষণার বিষয়বস্তু হবে দাড়ি। পাশাপাশি দাড়ির সাথে পুরুষত্ব এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক এবং দাড়ি কামানোর প্রযুক্তিগত বিবর্তন সবই উঠে আসবে এ গবেষণায়।'
এর আগে দাড়ি নিয়ে সিডনির একদল গবেষক জরিপ চালান। জরিপে গবেষকরা দেখেন যে পুরুষদের মধ্যে দাড়ি রাখার প্রবণতা যখন তুমূলভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে, ঠিক তার পরপরই আবার কমতে থাকে এর জনপ্রিয়তা। দাড়ি কম রাখার কারণ হিসবে গবেষকরা দেখিয়েছিলেন, অদেখা বিষয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি লক্ষ করা যায়। যখন সমাজের বেশি সংখ্যক মানুষ দাড়ি রাখার প্রতি আগ্রহী হয় তখন মেয়েদের চোখে দাড়ি- না-রাখা লোকদেরকেই বেশি আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে।
আবার ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের চালানো এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়, দাড়িওয়ালা বা দাড়ি কামানো মুখ যখন যেটা সবচেয়ে কম দেখা যাবে সেটি তখন ততটাই জনপ্রিয় হবে। সুতরাং ২০১৪ সাল পর্যন্ত দাড়িওয়ালা মুখ জনপ্রিয় থাকলেও এখন আবার সেটিতে ভাটা পরতে শুরু করেছে।
দাড়ি নিয়ে এই সব মন্তব্যই ড. উয়াইদিকে দাড়ি নিয়ে গবেষণার প্রতি উৎসাহী করেছে। এটি নিয়ে উৎসাহের কারণ হিসবে তিনি আরো একটি বিষয়কে উল্লেখ করেন। সেটি হলো, অনেক আগে থেকেই কিছু মানুষের ধারণায় ছিল নোংড়া লোকেরাই দাড়ি রাখে এবং এটি একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ড. ওয়াইদির প্রশ্ন হলো, দাড়ি যদি এমনটিই হতো তাহলে যুগ যুগ ধরে দাড়ির প্রতি মানুষের এতো আগ্রহ চলে আসছে কেন। 

SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: