টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে একদিনে চার শতাধিক গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে ট্রলারযোগে এসব গবাদি পশু আমদানি করা হয়। এ আমদানির ফলে কোরবানি ঈদে জেলায় পশুর চাহিদা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মিয়ানমার থেকে কয়েকটি ট্রলারে প্রায় চার শতাধিক গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা গবাদি পশু থেকে গত বুধবার অর্ধেক রাজস্ব প্রদান করা হয়। এতে সরকার এক লাখ টাকার মতো রাজস্ব পেয়েছে। তাছাড়া বৃহস্পতিবার অন্য গবাদি পশুর রাজস্ব আদায় করা হবে বলে জানা গেছে। আমদানিকৃত প্রতি গরু-মহিষ থেকে ৫শ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়।
বুধবার গবাদি পশু ব্যবসায়ী সাবরাং নয়াপাড়ার মো. শরীফ ৯৮টি গরু, টেকনাফ পৌরসভার মো. শফিক ১৮০টি, সদরের চান মিয়া ৪৯টি, শাহপরীরদ্বীপের ইসমাইল ৩০টি, আব্দু শুক্কুর ১৬টি, মো. আলম ১৮টি গরু মহিষ আমদানি করেছে বলে জানা গেছে।
করিডোর ব্যবসায়ী মো. শরীফ জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি করা হচ্ছে। তবে তা গত বছরের তুলনায় কম। তাদের অভিযোগ মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা হলেও করিডোরে নেই কোনো ব্যাংক ও কাস্টম ব্যবস্থা। তাছাড়া পশু রাখার কোনো সুব্যবস্থাও নেই। গবাদি পশু আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এত কিছুর পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পশু ব্যবসা চালাচ্ছেন তারা।
তিনি আরো জানান, গত তিন বছর ধরে বাঁধ ভেঙে সাগরের পানি প্রবেশ করে শাহপরীরদ্বীপ সড়ক বিছিন্ন রয়েছে। ফলে আমাদের যাতায়াত ও পশু পারাপারে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আপাতত কোরবানির ঈদ পর্যন্ত শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে অস্থায়ী ব্যাংক ও কাস্টমের শাখা ব্যবস্থা করা গেলে ব্যবসায়ীদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের কাস্টম সুপার হুমায়ুন কবির জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে করিডোরে ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু আমদানি শুরু করেছে। এ আমদানি প্রতিবছর সরকারি রাজস্ব প্রাপ্তিতে বড় ভূমিকা রাখছে। তাই গবাদি পশু আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আরো বেশি এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।
0 comments: