মুখপাত্র মারিয়া তুকারাস্কা এবিষয়ে বলেন, ‘বন্দুক বোঝাই একটি ট্রেনের কথা আমরা জানি। আমরা নিশ্চিত না হলেও জানি যে ট্রেনের ভেতর বন্দুক ছাড়াও অন্যান্য অনেক মূল্যবান পদার্থ আছে। এমনকি ওই টানেলের মাঝে মিথেন গ্যাসও জমে আছে। পুরো এলাকার মানুষের নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ব্যাপারটিকে আমরা অবহেলা করতে পারি না মোটেও।’
ধারণা করা হয় ১৯৪০ সালের দিকে নাৎসীরা তাদের লুটকৃত মালামালের বৃহদাংশ বেশ কয়েটি ট্রেনে করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করেছিল। এই পাচারের কাজে ব্যবহৃত ট্রেনগুলোর অনেকগুলোই রাজধানী বার্লিনে ফিরে আসতে পেরেছিল। কিন্তু কিছু ট্রেন ফিরে আসেনি এবং এই ফিরে না আসা ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পোল্যান্ডে প্রাপ্ত এই ট্রেনটি। তবে তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ এবং মার্কিন বাহিনী দাবি করেছিল যে, স্বর্ণবোঝাই ট্রেনটি মূলত রাশান সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছিল। যদিও যুদ্ধের এতগুলো বছর পর সত্যি ঘটনা উদঘাটিত হলো।
যে দুই ব্যক্তি এই ট্রেনের খবর জানেন বলে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন পোলিশ এবং অন্যজন জার্মান। তারা মোট সম্পদের দশ শতাংশ দাবি করলেও, নিজেদের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা। তাদের ভাষ্যমতে, ট্রেনটি ছিল প্রায় দেড়শ মিটার লম্বা। তবে ওই দুই ব্যক্তিকে তাদের দেয়া তথ্যের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র মারিয়া। বর্তমানে পোলিশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে ট্রেনটি উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ট্রেনটির ভেতরই রয়েছে ৩০০ টন স্বর্ণ, মূল্যবান পাথর ও বিপুল পরিমান অস্ত্র।
0 comments: