মার্চ মাসে ভাঙা, নষ্ট, ব্যবহার অযোগ্য আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাক কম্পিউটার থেকে দুই হাজার ২০৪ পাউন্ড স্বর্ণ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যার বর্তমান বাজারমূল্য চার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
অনেকেই হয়তো জানেন না, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মানে স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়। কারণ স্বর্ণ উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ সুপরিবাহী এবং এর ক্ষয় কম হয়। স্বর্ণের তুলনায় রুপা বেশি বিদ্যুৎ পরিবহী তবে রুপার ক্ষয় দ্রুত হয়। আর সে কারণেই সামান্য পরিমাণ হলেও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়।
অ্যাপল যখন তাদের পুরোনো পণ্যের ভান্ডারকে আবারো নতুন পণ্য নির্মাণের জন্য উপযোগী বা রিসাইকেল করছিল তখনই এ বিপুল স্বর্ণ পায় তারা। প্রায় নয় কোটি পাউন্ড আবর্জনা থেকে থেকে দুই হাজার ২০৪ পাউন্ড স্বর্ণ পেয়েছে অ্যাপল।
বিশ্ববাজারে প্রতি ট্রয় আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ২০০ মার্কিন ডলার হওয়ায় বেশ ভালোই লাভবান হবে অ্যাপল।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নয় কোটি পাউন্ড বর্জ্যের মধ্যে থেকে ছয় কোটি পাউন্ড পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পদার্থ তারা আলাদা করেছে।
তবে শুধু স্বর্ণই নয়, আবর্জনার স্তূপ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড ইস্পাত, এক কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড প্লাস্টিক, এক কোটি ২০ লাখ পাউন্ড কাঁচ, সাড়ে চার কোটি পাউন্ড অ্যালুমিনিয়াম, তিন কোটি পাউন্ড কপার ও ছয় হাজার ৬০০ পাউন্ড রুপা পেয়েছে অ্যাপল।
কয়েক বছর ধরেই রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া বেশ ভালোভাবেই চালু করেছে অ্যাপল। বিভিন্ন অ্যাপল স্টোরে পুরোনো অ্যাপল সামগ্রী জমা দেওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
আর অ্যাপল স্টোর থেকে সংগৃহীত এসব পুরোনো আইফোন, আইপ্যাড, আইপড ও ম্যাক কম্পিউটার থেকেই নতুন পণ্য তৈরির উপাদান বের করে নেয় অ্যাপল।
মাঝে মাঝে আবর্জনা থেকেও যে মূল্যবান জিনিস পাওয়া যায় সেটা প্রমাণ করল অ্যাপল।
0 comments: