বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

অবশেষে বিপিএল এর শিরোপা জিতে নিল কুমিল্লা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দুই আসরের শিরোপা মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে উঠছিল। তৃতীয় শিরোপা জয় করে হ্যাটট্রিক করতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। মঙ্গলবার বরিশাল বুলসকে তিন উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয় করে মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই সুবাদে তিনি হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করলেন।
আগে ব্যাটিং করে বরিশাল বুলস সাত উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে শেষ বলে নাটকীয় জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ২৮ বলে ৩৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে দলের জয় শেষ বলে নিশ্চিত করেন অলোক কাপালি। অবশ্য শুরুতে ৩৭ বলে ৫৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ইমরুল।
২০১২ সালের ফাইনাল
প্রথম বিপিএলের ফাইনালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটসর প্রতিপক্ষ বরিশাল বার্নাসকে আট উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। আগে ব্যাটিং করে বরিশাল সাত উইকেটে ১৪০ রান জমা করে। জবাবে ২৬ বল ও আট উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে মাশরাফির ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। সেবার মাশরাফির জয়ের নায়ক ছিলেন পাকিস্তানের ইমরান নাজির। ৪৩ বলে ছয় চার ও ছয় ছক্কায় ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নাজির।

২০১৩ সালের ফাইনাল
২০১৩ সালের বিপিএলের ফাইনালে মাশরাফির ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস। প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন চিটাগং কিংসে। কিন্তু মাশরাফির কাছে হার মানতেই হয় তাকে। আগে ব্যাটিং করে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস নয় উইকেটে ১৭২ রান তুলে নেয়। দলের হয়ে এনামুল হক বিজয় করেন ৫৮ রান। সাকিব আল হাসান করেছিলেন ৪১ রান। বড় পুঁজি পেয়ে ঢাকা ছিল বেশ লড়াকু। চিটাগংকে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট করে দেয় ঢাকা। আলফেনসো থমাস ও মোশারফ হোসেন রুবেল তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মোশাররফ হোসেন রুবেল।
প্রসঙ্গত, বিপিএলের প্রথম ও দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে খেলা মাশরাফি ২১ ম্যাচে দলকে ১৬ জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন।

সূত্র : বাংলাদেশের খেলা



SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: