হঠাৎই শেষ হয়ে যায় মোবাইলের চার্জ। আর তাই অনেকেই সাথে রাখছে পাওয়ার ব্যাঙ্ক। তবে রাস্তা ঘাটে এবার মোবাইল চার্জ দিতে আর পাওয়ার ব্যাঙ্ক নয়, সঙ্গে রাখুন লেবু! শুনতে অবাক লাগছে! হ্যাঁ, এটাই সত্যি। এখন থেকে লেবু দিয়েই চার্জ করতে পারবেন আপনার মোবাইল। কিন্তু কিভাবে? আসুন জেনে নেয়া যাক।
প্রথমে একটি পুরাতন ইউএসবি চার্জার ক্যাবল নিয়ে নেন। ‘ইউএসবি এ’ প্লাগ অর্থাৎ যে পাশটি আপনি সুইচে লাগান সেই অংশ কেটে নিন। কাটার পর সেখানে চারটি তার দেখতে পাবেন। সেখান থেকে দুইটি তার অর্থাৎ সাদা ও সবুজ রংয়ের তারগুলো কেটে ফেলুন। এরপর কালো ও লাল রংয়ের তার রেখে দিন এবং সেই তার দুটি কারেন্ট পরিবহনের কাজে লাগানো হবে।
এবার কয়েকটি তামার মুদ্রা এবং দস্তা দিয়ে লেপা পিন নিয়ে নিন যা ইলেক্ট্রোড হিসেবে কাজ করবে এবং লেবুর রস ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কাজ করবে। কিছু তার ও পেপারক্লিপ নিয়ে এদেরকে লেবুটির আগ পিছ করে লাগিয়ে নিতে হবে। সেই ক্লিপগুলোকে তারের সাহায্যে একটি লেবুর সাথে আরেকটি লেবুকে সংযুক্ত করতে হবে। সর্বশেষ সংযুক্ত তারদুটি মোবাইলের চার্জার পয়েন্টের সাথে যুক্ত করে লাগিয়ে দিতে হবে। তখনি দেখতে পাবেন আপনার মোবাইলটি চার্জ হওয়া শুরু করছে।
উল্লেখ্য, একটি লেবু ০.৯৫ ভোল্ট জেনারেট বা সাপ্লাই করে। তাহলে যদি ৬টি লেবুকে একত্রে সংযুক্ত করা হয় তখান তা ৫.৭ ভোল্ট সাপ্লাই করবে। মোবাইল চার্জ করতে ৫ ভোল্ট কারেন্টের প্রয়োজন হয়, তাহলে ৬টি লেবু চার্জ দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এবার সেই ছয়টি লেবুর সাথে ইউএসবি এর সেই ক্যাবল সংযুক্ত করুন। এরপর আপনার মোবাইল চার্জে দিন। এবার আপনি নিজে এই যাদু দেখতে পারবেন।
পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন যে কাজকর্ম করে,তার একটা প্রতিক্রিয়া বিপরীত জগতে সৃষ্টি হওয়া বিপরীত সত্তার উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। পদার্থ বিজ্ঞানের রীতি অনুযায়ী এটি একটি চিরসত্য বিধান। কণিকা জগৎ বিষয়টি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে।
আধুনিক বিজ্ঞান দাবী করছে বস্তুজগতের পাশাপাশি সমান্তরালে বিপরীত জগৎ সৃষ্টি হয়ে আছে। আর সেই জগতে এ পৃথিবীতে যতো প্রকার সত্তা আছে,তার প্রতিটিরই বিপরীত সত্তা সৃষ্টি হয়ে বিদ্যমান আছে।অর্থাৎ আমাদের মানব সমাজের প্রত্যেকেরই একটি করে বিপরীত সত্তা তৈরী হয়ে আছে যাকে বলে identical twin.আগামীতে যতো মানুষ আসবে পৃথিবীতে,ঠিক ততোজনেরই বিপরীত সত্তা ঐ বিপরীত জগতে তৈরী হবে।
পৃথিবীর মানুষ প্রতিদিন যে কাজকর্ম করে,তার একটা প্রতিক্রিয়া বিপরীত জগতে সৃষ্টি হওয়া বিপরীত সত্তার উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। পদার্থ বিজ্ঞানের রীতি অনুযায়ী এটি একটি চিরসত্য বিধান। কণিকা জগৎ বিষয়টি প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বস্তুজগৎ ও প্রতিজগৎ অবশ্যই বিদ্যমান আছে। কোরআনে বলা হয়েছেঃ
“তিনি যথাযথভাবে (প্রতিটি বিষয়ে পরিমাপ ও পরিমাণের অনুপাত ঠিক করে) সমগ্র মহাবিশ্ব (বস্তুজগৎ ও প্রতিবস্তুজগৎ এ দু’ভাগে বিভক্ত করে) সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আয্ যুমার : ৫)
কোরআনে আরো বলা হয়েছেঃ
“আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়(পৃথিবীর মানুষ এবং একই চেহারার পরকালের জন্য প্রতিবস্তু দিয়ে সৃষ্ট বিপরীত মানুষ )।”(সূরা আন্ নাবা : ৮ )
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে বিজড়িত আলোর কণার জোড় থেকে ১ টি ফোটন কণিকা আলাদা করে যদি দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে বিভিন্ন অবস্থায় নাড়া-চাড়া করা হয়,তাহলে অপর ফোটন কণিকাটিও একইভাবে নড়ে-চটে ওঠে। যদিও তাদের মধ্যে অনেক দূরত্ব বজায় থাকে।এতে প্রমাণিত হলো পৃথিবীর মানুষ যে ধরনেরই আমল করুক না কেন,সাথে সাথে তা বিপরীত জগতে সৃষ্ট তাঁরই বিপরীত সত্ত্বার উপর হুবহু প্রতিফলিত হবে।এতে কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ঘটবেনা।কারণ মানুষসহ প্রত্যেকটি জিনিসই এ মহাবিশ্বে আলোর কণা ফোটন দিয়েই সৃষ্টি হয়েছে মৌলিকভাবে।এ তথ্যও প্রমাণিত সত্য।
তাই এ কারণে এবং আরো অন্যান্য কারণেও বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন নিশ্চয় আবিষ্কৃত অদৃশ্য বস্তু ও শক্তি আমাদের বস্তুজগতে (দৃশ্যমান বস্তুর জগতে) এতো প্রভাবশালী হতে পারলে অবশ্যই তাদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা আমদের জগতের সমান্তরালে দৃশ্যমান বস্তুর বিপরীতে অদৃশ্য বস্তু ও শক্তি দিয়ে প্রতিবস্তুর জগৎ সৃষ্টি করে থাকবে।অদৃশ্য বস্তু ও শক্তির প্রভাব বিদ্যমান থাকায় আমরা সেই প্রতিজগতকে কখনো দেখতে পাবো না।
এ বিষয়ে আল্লাহ্ পবিত্র কুরানে সূরা ‘নামল’-র ৬৫ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন এভাবে-
“বল আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ মহাবিশ্বে অদৃশ্য বিষয়সমূহের পূর্ণ জ্ঞান রাখে না।”
প্রতিজগৎ বা পরজগৎ সম্পর্কে কুরান সূরা মুমিনের ৩৯ নং আয়াতে মানব জাতিকে অবহিত করেছে এভাবে-
“(মুমিন ব্যক্তিটি বললো) হে আমার সম্প্রদায়! বস্তুজগৎ (ইহজগৎ) তো হচ্ছে অস্থায়ী উপভোগের বস্তু আর পরকালই (প্রতিজগৎ) হচ্ছে স্থায়ী উপভোগের আবাস।”
সুতরাং এই বস্তুজগতে যারা আল্লাহ্র কথামতো জীবন চালাবে,তারা সফলতা লাভ করবে,আর তার বিনিময়ে চিরশান্তির জান্নাত পাবে।
ফেসবুক ও টুইটারের দুই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) হুমকি
দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম দুটিতে জঙ্গিবাদ-সংশ্লিষ্ট তথ্যের আদান-প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগে ক্ষুব্ধ হয়ে এমন হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিতে সন্ত্রাসীদের পোস্ট করা তথ্য ও ছবিসংবলিত উপকরণ জব্দের চেষ্টা গ্রহণের পর থেকে আইএসের হুমকি পাওয়াটা একটা নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আইএসের প্রকাশিত ২৫ মিনিটের ওই ভিডিওতে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ ও টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসের পাশাপাশি দুটি ছবি দেখা যায়। এই ছবিতে বন্দুকের গুলির চিহ্ন রয়েছে। আইএসের সাম্প্রতিকতম ভিডিওতে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘যদি তোমরা আমাদের একটা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করো, তবে আমরা দশটা খুলব এবং শিগগিরই তোমাদের শেষ করার পর নাম মুছে ফেলব। আমরা যা বলি তা যে সত্যি, সেটা তোমরা দেখতে পারবে।’ ভিডিওতে দাবি করা হয়, ফেসবুকের ১০ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও রয়েছে দেড় শ ফেসবুক গ্রুপ ও পাঁচ হাজার টুইটার প্রোফাইল। টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেন, এ রকম হুমকি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হওয়ায় এই ভিডিওর কোনো সাড়া দেবেন না তাঁরা। তবে এমন কতগুলো হুমকি প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এই হুমকির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা উইলসন এনজি বলেন, টুইটার সদর দপ্তরের বিরুদ্ধে কোনো ‘বিশ্বাসযোগ্য হুমকির’ ব্যাপারে তাঁর জানা নেই। প্রসঙ্গত, অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলার উপায় নিয়ে গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাঁরা বৈঠক করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ফেসবুক ও টুইটারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। সূত্র-বিডি নিউজ ডেস্ক।
*The drama over Beyoncé’s performance during the Super Bowl 50 halftime show continues to occupy news space as a police union in Miami voted in favor of calling on all police offices to boycott the singer’s April 26 concert in the city.
The Huffington Post reports the boycott is motivated by claims of Beyoncé’s promoting an anti-police message in her latest music video for the song “Formation” as well as her performance of the new tune at the Super Bowl halftime show.
In a press release he wrote, Javier Ortiz, president of Miami Fraternal Order of Police, Lodge #20, stated that he didn’t watch Beyoncé’s halftime performance “out of respect for our profession.” The performance , which paid tribute to the 50th anniversary of the Black Panther Party, has come under fire from critics who viewed it as anti-police.
“The Miami Fraternal Order of Police has voted to have all law enforcement officers boycott Beyoncé’s concert which is being held at the Miami Marlins Stadium on Wednesday, April 26, 2016,” Ortiz said in a statement. “The fact that Beyoncé used this year’s Super Bowl to divide Americans by promoting the Black Panthers and her antipolice message shows how she does not support law enforcement.” The organization urged other law enforcement agencies around the country to do the same.
Ortiz goes on to mention that he had “mistakenly” seen the “Formation” video, which features an African-American boy dancing in front of police in riot gear as well as Beyoncé sitting on top of a sinking New Orleans police car and graffiti that reads “Stop shooting us.”
Commenting on its boycott, Ortiz voiced in an email to the Post that the union was urging officers not to work the concert. Along with the email, Ortiz sent HuffPost a meme featuring Beyoncé and her husband, Jay Z.in an effort to highlight that the entertainer was being hypocritical in light of the fact that she has received a police detail in the past.
Despite the union’s boycott, Miami Police Department spokesman Maj. Delrish Moss countered Ortiz and the Fraternal Order of Police, saying that they did not speak for the police department or the city of Miami. With that he emphasized that the venue where Beyoncé is scheduled to perform, Marlins Park, would be protected when she comes to town.
“Right now the union president has his First Amendment right to say whatever he wants to say, but that doesn’t always translate to reality. As far as we see, there’s no indication that anything that is said there will translate into police officers not working the job,” Moss said told the Post.
Despite a report from Fox 13 on Wednesday (Feb. 17) about no Tampa, Fla. police officers signing up to staff Beyoncé’s concert in that city, Tampa Police spokesman Steve Hegarty told HuffPost on Thursday (Feb. 18) that officers have signed up for the event, which he said would be fully staffed.
News of the MDPD’s boycott is the latest in a backlash that came after Beyoncé’s halftime performance. In addition to criticism from former New York City Mayor Rudy Giuliani, a Tennessee police sheriff said earlier this week that Beyoncé was responsible for the six gunshots he reportedly heard someone firing outside his house.
In addition, there was the planned protest on Wednesday against Beyoncé’s Super Bowl performance that fell flat with hardly anyone showing up for the cause.
Read more at http://www.eurweb.com/2016/02/miami-police-union-votes-boycott-beyonce-concert/#AUTvbKhQ5sKQeAVh.99
এশিয়ার শক্তিশালী দুই দেশ চীন ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক কোনো সময়ই ভালো নয়। তারা এক অপরকে হুমকি মনে করে। ভারতকে ঘায়েল করতে এশিয়ায় ক্রমাগতভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে চীন। তাই এবার চীনকে চাপে রাখতে ভারত মহাসাগরে দেশের বৃহত্তম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠাল দিল্লি।
মালদ্বীপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির রাজধানী মালেতে পাঠানো হয়েছে ‘আইএনএস-বিক্রমাদিত্য’ ও এর সঙ্গে পাঠানো হয়েছে ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস-মাইসোর’ ও একটি ট্যাঙ্কার ‘আইএনএস-দীপক’। রোববার এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কয়েকটি এলাককা ‘দখল’-এর পর কিছু দিন ধরে ভারত মহাসাগরেও তার কর্তৃত্ব বাড়াতে মরিয়া বেইজিং। কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানের গাওয়াদার ও শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে পোঁছেছে চীনা যুদ্ধজাহাজ। ভারত মহাসাগর এলাকার দেশগুলোর ওপর তার কর্তৃত্ব বজায় রাখতেই এ পদক্ষেপ বলে মনে করছে ভারত।
তবে মালদ্বীপে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোকে আদতে ‘প্রজেক্ট মৌসুম’-এরই অঙ্গ বলে দাবি করেছেন ভারতীয় নৌবহিনীর এক পদস্থ কর্মকর্তা।
গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর। তারপর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গায়ুম গত সপ্তাহে জানান, বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আবার নতুন করে আলাপ-আলোচনা শুরু করবে মালদ্বীপ।
এ যুদ্ধজাহাজ ভেড়ানোকে দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার উপলক্ষ হতে পারে।
১৪ ফেব্রুয়ারী- একদিকে বিশ্ব ভালবাসা দিবস অপরদিকে আজ রিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিশ মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দিন শেল নিক্ষেপ করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। রোববারের ওই হামলায় কুর্দিশ মিলিশিয়ার দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছে। দেশটিতে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমেন রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। সিরিয়ার কুর্দিশদের ওই এলাকা থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানিয়েছে তুরস্ক। সাম্প্রতিক সময়ে তারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোসহ মেনাঘ বিমানঘাঁটি থেকে জঙ্গিদের হটিয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সংঘাত শুরু হওয়ার পর কুর্দিশ মিলিশিয়ারা তুরস্ককে সতর্ক করেছিল। কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি ক্রমেই ওই অঞ্চলে বিস্তার লাভ করছিল। তারা দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক শাসনের বিরুদ্ধে তিন দশক ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। এদিকে কুর্দিদের ওপর তুরস্কের শেল নিক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ককে কুর্দিদের ওপর থেকে নজর সরিয়ে ইসলামিক স্টেটের ওপর নজর দেবার পরামর্শ দিয়েছে তারা। শনিবার তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়ায় কুর্দিদের দখল করা মেনাঘ বিমানঘাটি লক্ষ্য করে শেল নিক্ষেপ করে। তুরস্ক মনে করে, তার দেশের কুর্দিরা সিরিয়ার কুর্দিদের সঙ্গে এক জোট হয়ে তুরস্কের ভিতর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এজন্য সিরিয়ার কুর্দিদের ওপর তুরস্কের এই ক্ষোভ হামলায় পরিণত হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তুরস্ক সৌদি আরবের সঙ্গে স্থল অভিযানে যেতে প্রস্তুত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী দলগুলো বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর নিকট যুদ্ধবিরতিতে যাবার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
জিকা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্রাজিলে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। দেশটির সরকার দুই লাখ বিশ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, সেনা বাহিনীর সদস্যরা জিকা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মাঝে মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যেও কাজ করবে তারা। তবে কারো কারো কাছে মশা নিধনের জন্য সেনা মোতায়েনের বিষয়টা হাস্যকর হয়ে উঠেছে।
এদিকে মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রাজিল। এ দেশটিতেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহ্ণিত করা হয়।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গর্ভবর্তী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হলে মাইক্রোসেফালিসহ শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। শিশুর মাথা অস্বাভাবিকভাবে ছোট হয় এবং মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রিয় মানুষটিকে সঙ্গে নিয়ে রঙিন সাজে রাজধানীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ। দিনটিকে ঘিরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো রাজধানী ঢাকায় চলছে নানা আয়োজন। প্রিয়জনের সঙ্গে এ বন্ধন যেন অটুট থাকে সেই আশা নিয়ে, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিবসটি পালনের তোড়জোড়।
ফাগুনের ছোঁয়া লেগেছে তরুণ-তরুণীদের মনে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে তরুণীরা সেজেছেন নানা রঙে। পরনে শাড়ি, মাথায় রঙিন ফুলের মুকুট, গলায় মালা, হাতে-খোঁপায় ফুল; তরুণদের গায়ে পাঞ্জাবি। কেউ কেউ মুখে এঁকেছেন আলপনা। মুখে হাসি, চলনে উচ্ছ্বাস। এভাবেই দলে দলে তরুণ-তরুণী, কপোত-কপোতীরা হাতে হাত রেখে সারা দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা ঠাঁই খুঁজছেন প্রকৃতির মাঝে। এ দৃশ্য বেশি চোখে পড়ছে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায়। প্রকৃতি আর ভালোবাসা যেন এক হয়ে মিশে গেছে।
সখী ভালোবাসা কারে কয়...সে কি কেবলই যাতনাময়’—ভালোবাসা যাতনাময় হোক আর না হোক কিংবা মধুর হোক আজ ঘুরতে হবে এটাই আজ তাদের কাম্য ।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন পরিণত হয়েছে তরুণ-তরুণীদের প্রাণকেন্দ্র। পুব আকাশে সূর্য উঁকি দিতে না দিতেই ইট-পাথরের শহুরে জীবন থেকে মুক্তি নিতে সবাই ছুটে আসে ঢাকার মাঝে একচিলতে সবুজ ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, অপরাজেয় বাংলা, বটতলা, হাকিম চত্বর, ভিসি চত্বর, ফুলার রোড, ক্যাম্পাস শ্যাডো, বিবিএ অনুষদের সবুজ চত্বর, কার্জন হল, মুহসীন হল মাঠ—সবই যেন পরিণত হয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিলনমেলায়। কে কাকে আগে ভালোবাসার কথা জানাবে অথবা প্রিয় মানুষটিকে আবারও আজ বলবে ‘ভালোবাসি’—তারই যেন প্রতিযোগিতা চলছে।
ভালোবাসা দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সব দিনই ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন নেই। ও (সঙ্গী) চাইল এ জন্য একটু বের হলাম।’
সকাল থেকে জোড়ায় জোড়ায় আবার কেউ কেউ দল বেঁধে ঘুরতে বের হয়েছেন। তবে কম-বেশি সবার হাতেই রয়েছে ফুল। অনেকে একসঙ্গে উপভোগ করেছেন ক্যাম্পাসের নানা দৃশ্য, বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজিত নানা অনুষ্ঠান। ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ভ্যালেনটাইনের স্মৃতি ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে সেলফি ওঠানোর ধুম দেখা যায় সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একই ফ্রেমে বন্দী হতে ভুল করছেন না কেউই।
টিএসসিতে গিয়ে দেখা মিলল অর্পিতা আর শাহেদুজ্জামানের। তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিনের নয়। কথা বলার সময় দুজনই বেশ লজ্জা পাচ্ছিলেন। শাহেদ বললেন, ‘ভালোবাসা দিবসের জন্য নয়, ওর সঙ্গে ঘুরতেই ভালো লাগে।’
শাহবাগে চোখ পড়তে দেখা গেল এবারের ভালোবাসা দিবস শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তা হয়েছে সর্বজনীন। সব বয়সী মানুষের আগমনে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাণসখা ঢাকা নামে লাভ ফর ঢাকা কনসার্ট। সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে দেখা গেছে জলের গান, শিরোনামহীন এবং সর্বশেষ নগর বাউল জেমসও সেখানে সংগীত পরিবেশন করবেন। বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বেশি ভিড় এই এলাকাতেই। আর টিএসসিতে চলছে পথনাটক।
শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার প্রবেশমুখে ফুলের দোকানগুলো সবার নজর কাড়ছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দোকানগুলোতে এসেছে নীলকণ্ঠী লাল গোলাপ, হলুদ গাঁদা ফুল। এ ছাড়া বিভিন্ন ফুলের বাহারি সমাহার চোখে পড়ার মতো। সবার চাহিদা ‘ফুলের মালা’। বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
চাকরিজীবীর, কর্মচারী তথা সরবস্তরের লোকজন, অফিস, কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা আজ বের হয়েছেন ।
“ঘৃনা নয় ভালবাসা” এই বার্তা নিয়ে বিশ্ব ভালবাসা দিবসে নগরবাসীর মধ্যে ফুল বিতরণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ
১৪-০২-২০১৬ ইং তারিখ বিশ্ব ভালবাসা দিবসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাঃ আবদুল জলিল মন্ডল, বিপিএম মহোদয়ের নেতৃত্বে ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ নগরবাসীর মধ্যে ফুল বিতরণ করা হয়। নগরীর প্রত্যেক থানায় আগত লোকদের ও পথচারীদের মাঝে ফুল বিতরণ করা হয়। হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃনা ভুলে গিয়ে সবার প্রতি সবার ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টির আহবান জানান নগর পুলিশ কমিশনার । তিনি ভালবাসার এই নিদর্শন নগরবাসী পুলিশকে আরও কাছের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আজ বসন্তের রঙ লেগেছে। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনে মেলা প্রাঙ্গণকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, শিল্পকলা একাডেমী, শহীদ মিনারসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নেমেছে মানুষের ঢল। সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার বসন্তের প্রথম দিন হওয়ায় সকালে সবারই গন্তব্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও গ্রন্থমেলা। কারণ সকাল থেকেই ঢাবির চারুকলার বকুলতলায় বসন্ত বরণের উৎসব চলছে। সেই সঙ্গে মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ছিল শিশুকিশোরদের সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। সকাল ১১টায় মেলার ঝাঁপ খোলার সাথে সাথে বসন্তবরণ উৎসবে অংশ নেয়া তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের ঢলটি নামে মেলা প্রাঙ্গণে। এছাড়া সে সকল শিশুকিশোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলা একাডেমিতে এসেছে, তাদেরও একটা চাপ ছিল মেলায়। নিজস্ব সংস্কৃতির বসন্ত উৎসবকে ঘিরে নারীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হাতে-খোঁপায় হলুদ গাদা ফুলসহ বাহারি ফুলে নিজেদের সাজিয়ে আসে মেলা প্রাঙ্গণে। সেই সঙ্গে হাতে বাজে রিনিঝিনি শব্দে কাঁচের চুড়ি। অনেকে আবার পরিবারসহ মেলায় এসেছে বসন্তের সাজে। পুরুষরাও নিজেদের সাজ-পোশাকে রেখেছে বসন্তের ছোঁয়া। বসন্তের প্রথম দিনে আজ মেলার অন্যান্য দিনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিক্রি হয়েছে বলে প্রকাশকরা জানান। এমন জমজমাট বিক্রি এবারের মেলায় এ প্রথম উল্লেখ করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি। শুধু পাঠকদের মাঝেই না, বসন্তের এ আগামনী ছোঁয়া লেগেছিলো স্টলগুলোতেও। বিক্রয়কর্মীরাও সেজে এসেছিলেন বসন্তের রঙে। প্রতিটি স্টলে ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। যাচাই বাছাই করে তাদের পছন্দের লেখকের বইটি কিনতে দেখা গেছে। আগামীকাল রোববার সাপ্তাহিত ছুটি না থাকলেও ভালোবাসা দিবসের কারণে কালও এমন বিক্রি হবে বলে ওসমান গণি আশা করেন। নতুন বই আজ মেলার ১৩তম দিনে দেড় শতাধিক নতুন বই এসেছে। আজকের নতুন বইয়ের মধ্যে ঐতিহ্য এনেছে জিয়া হাশান ভাষান্তরিত হারুকি মুরাকামির শোনো বাতাসের সুর, তামিম কবিরের 'ইয়োলো ক্যাব' ও অশোক দাশগুপ্ত অনুদিত গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ 'গ্রেগরি রাবাসার লিফ স্টর্ম' ও অনুপ্রাণন এনেছে মাহতাব হোসেনের 'তনিমার সুইসাইড নোট।' শিশুকিশোর সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা আজ সকালে একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশুকিশোর সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, নাট্যজন মাসুম রেজা এবং শাহিদা খাতুন। মূলমঞ্চ বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধচর্চা: অতীত থেকে বর্তমান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ড. মোহাম্মদ সেলিম এবং দিব্যদ্যুতি সরকার। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঔষধী গাছ আর মধু সেবনে ডায়াবেটিকস রোগ স্থায়ীভাবে ভালো হয়। “আসুন আমরা ঔষধী গাছ চিনে নেব এবং আবাদ করবো, নিজের চিকিৎসা নিজে করবো- ডায়াবেটিকস মুক্ত জীবন গড়ব” এই শ্লোগান নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাগমারী কলেজ মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিকস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেক ডায়াবেটিকস রোগী ভাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
মো. মাসুদ মিয়া ঔষধী গাছ-গাছরার উপর গবেষনা করে ২০০৬ সালের শুরুর দিকে ডায়াবেটিকস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা পদ্ধতি বের করেন। পরে তার আবিস্কৃত ডায়াবেটিকস ঔষধ খেয়ে আশপাশের কয়েকজন রোগী স্থায়ীভাবে সুফল লাভ করেন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়াবেটিকস রোগীরা দুরদুরান্ত থেকে এসে প্রতিদিন মাসুদ মিয়ার চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে আসছে। মাসুদ মিয়ার ঔষধ খেয়ে ইনসুলিন নেয়া অনেক রোগীদের আর ইনসুলিন নিতে হয় না। ডায়াবেটিকস্ স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ঐ রোগীরা আগের মতো মিষ্টিসহ সব খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরও আর ডায়াবেটিকস বেড়ে উঠেনি।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেপারী পাড়ার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে (ডায়াবেটিকস রোগী) সাইদুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত ডাইবেটিস রোগে ভুগতে ছিলাম। পরে মাসুদ মিয়ার কাছে গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভাল হয়েছি।
বেড়াবুচনা ভালুককান্দি গ্রামের ফজল মিয়ার স্ত্রী তারাবানু জানান, তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহন করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না। পরে মাসুদ মিয়া গাছ-গাছরার চিকিৎসা সেবা নিয়ে ডায়াবেটিস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রনে এনেছেন। বর্তমানে তিনি ভাল আছেন। এমন আরো ১০/১৫ জন রোগীর সাথে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে সেতুর ওজন স্কেলে ওজন জালিয়াতির অভিযোগে এক স্কেল অপারেটরসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ের ওজন স্কেল স্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- বঙ্গবন্ধু সেতুর স্কেল অপারেটর (পশ্চিম) ওসমান গণি, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের তোছাদ্দেক আলীর ছেলে ট্রাক চালক বাবুল হোসেন ও একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের হুমায়ন কবিরের ছেলে ট্রাক চালক রাজু হোসেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ১৫ টনের বেশি মালবাহী যানবাহন চলাচলে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ট্রাক চালকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অতিরিক্ত মালবাহী গাড়ি পারাপার করছিলেন। এ কাজ বন্ধ করার জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তায় ওজন স্কেলে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তাদের ওপর গোপনে নজরদারি শুরু করে। ভোরে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী দুটি ট্রাকে প্রায় ২৫ টন মালামাল নিয়ে সেতু পার হচ্ছিল। এ সময় পুলিশ ট্রাক দুটিকে আটক করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে সেতুর স্কেল ওপারেটর (পশ্চিম) ওসমান গণিকে আটক করা হয়। ওসি আরও জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে আদালতে নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সূত্রঃ-দেশ বিদেশে ।