শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সীমান্ত খুলে দিয়েছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া

সীমান্ত খুলে দিয়েছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া

হাঙ্গেরি সীমান্ত দিয়ে আসা হাজারো শরণার্থীর জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। আর তাদের পৌঁছে দিতে বাসের ব্যবস্থা করেছে হাঙ্গেরি। এরই মধ্যে অস্ট্রিয়াতে এসে পৌঁছছে প্রায় দুই হাজার শরণার্থী। ধারণা করা হচ্ছে আজ সারাদিনে দ্বিগুণ হয়ে যাবে এ সংখ্যা। এদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে অস্ট্রিয়ার রেড ক্রস। রয়েছে জার্মানিতেও প্রবেশের সুযোগও।
ছোট ছোট শিশুদের সাথে নিয়ে সারারাত পায়ে হেঁটে অস্ট্রিয়ায় এসে পৌঁছেছে হাজারো শরণার্থী।  হাঙ্গেরি সরকার রেলস্টেশন বন্ধ করে দেয়ায়, মরিয়া হয়েই হাঁটাপথ ধরে প্রায় এক হাজার দুইশ সিরীয় শরণার্থী।
অভূতপূর্ব এই পরিস্থিতিতে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গিলা মের্কেলের সাথে টেলিফোনে কথা বলে সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ওয়ের্নার ফেমান। এর পরপরই শরণার্থীদের পরিবহনে বাস সার্ভিস চালু করে হাঙ্গেরি।
একজন শরনার্থী জানান, “হাঙ্গেরি ছাড়তে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে আমার। কারণ সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ, বলা চলে কুৎসিত। সিরিয়ার মানুষ সহ সব শরণার্থীদের কাছে আমার বার্তা,  আপনারা কেউ হাঙ্গেরিতে আসবেন না”
কয়েকদিন ধরেই, বুদাপেস্টের কেলেতি রেলস্টেশন চত্বরে খাবার-পানির তীব্র সঙ্কটের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে কাটাচ্ছিল হাজারো শরণার্থী। নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের পাশাপাশি, অভিবাসন-বিরোধী হাঙ্গেরির গোঁড়া জাতীয়তাবাদীদের হামলার শিকারও হতে হয় তাদের।
মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন সংঘাতমুখর ও দরিদ্র দেশ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এ বছর ইউরোপে এসে পৌঁছেছে তিন লাখেরও বেশি শরণার্থী। এদের মধ্যে অন্তত দেড় লাখই পরবর্তীতে বলকান দেশগুলো হয়ে হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করেছে । তবে এদের অধিকাংশেরই প্রথম পছন্দের দেশ, জার্মানি। এ বছর প্রায় আট লাখ সব অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের এ সমৃদ্ধ দেশটি। চলমান সঙ্কট সমাধানে, ইইউ এর প্রতিটি সদস্য দেশকে অন্তত দুই লাখ করে শরণার্থীর দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।


SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: