চীন হবে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি
চীনকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে চীন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’ খবর সিএনএনের। পুনরায় চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি মঙ্গলবার সিনেট কমিটিতে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সামরিক শক্তিবিন্যাস, বন্ধুত্বের মেরুকরণ প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন। হাওয়াই থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর মেজি হিরোনোর এক প্রশ্নের উত্তরে ডানফোর্ড বলেন, ‘পরমাণু ও মিসাইল কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়া আজ সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামরিক সক্ষমতার কারণে রাশিয়াও বড় হুমকি। কিন্তু আগামী এক দশকের মধ্যে চীনই হবে আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।’ সিনেট কমিটির আগের শুনানিতে ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর মেজি হিরোনো রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি বলে উল্লেখ করেন। তার ওই কথার সূত্র ধরেই জেনারেল ডানফোর্ড চীনের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘যদি আমি ২০২৫ সালের দিকে তাকাই, যদি জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনা করি, তাহলে সম্ভবত ওই সময়ে চীনই হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।’
শুনানিতে ডানফোর্ড চীনের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন মিত্র জোটকে দুর্বল করে দিতে বেজিংয়ের কৌশলের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চীনের নেতারা সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করছেন। তারা মার্কিন সমারিক শক্তিকে লক্ষ্য করে নিজেদের সামরিক শক্তি আধুনিকীকরণে মনোযোগী। এছাড়া প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে আমাদের মিত্রদের বাগে নেয়ার চেষ্টাও করছে চীন।’ ডানফোর্ড আরও বলেন, ‘আমারা সামরিক সক্ষমতার মাপকাঠিতে রাশিয়া ও চীনকে বিবেচনায় নিয়ে থাকি। ওই দুটি দেশই অব্যাহত ভাবে সামরিক শক্তির অধুনিকীকরণ ঘটিয়ে চলেছে। এ অবস্থায় আমাদের সামরিক ব্যয় আরও বাড়ানো দরকার।’