আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের জামিনে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেছেন, অবশেষে সরকারের শুভবুদ্ধি ফিরে এসেছে। বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, “চেরাগ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে মান গেল মন্ত্রীর! অবশেষে সুবুদ্ধি ফিরে এসেছে, প্রবীর সিকদারের জামিন হয়েছে। আমি মনে করি, কেবল জামিন নয়, এ মামলা অবিলম্বে তুলে নেওয়া উচিত।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্নের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রোববার রাতে গ্রেপ্তার হন প্রবীর। পরে তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার মধ্যে বুধবার রিমান্ডের একদিনের মাথায় আদালতে হাজির করা হলে জামিন মেলে এই সাংবাদিকের।
প্রবীরের গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বুয়েটে প্রথম হওয়া ছাত্র, যিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান, পা-হারানো সাংবাদিক প্রবীর সিকদার তার প্রতিপক্ষ হতে পারে না। এর সামাধান রাজনৈতিকভাবে করা উচিত ছিল।”
এই মামলার কোনো ‘সার-গন্ধ’ নেই বলেও মন্তব্য করেন সরকার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত।
তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, একটা সময় আসবে সত্য প্রকাশ হবে।”সরকারকে আরও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “সমালোচনা আসবেই। ক্ষমতার সঙ্গে অহংকার, দম্ভ, তোষামোদি মানায় না। সরকারকে আরও অনেক বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে।”
এদিকে ক্রসফায়ারে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা।
তিনি বলেন, “দল ক্ষমতায় থাকতে ছাত্রলীগ নেতা ক্রসফায়ারে মারা যাবে, এটা ঠিক না। রাজনৈতিকভাবে এর সমাধান করতে হবে। সমস্ত সংকটের সমাধান ক্রসফায়ার নয়।
গত এক সপ্তাহে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত তিনজন নিহত হন এবং এই তিনজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী।
চলমান রাজনীতির উপর বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা নারায়ণ দেবনাথ।
0 comments: