পাকিস্তান ও ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্বু ও কাশ্মীর সীমান্তে আবারও দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এসব ঘটনায় দুই দেশের ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন।
আরএস পুরা ও আরিনা সেক্টর এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের গুলি ও মর্টার হামলায় ভারতের তিনজন স্থানীয় নাগরিক নিহত হয়েছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়। আহত হয়েছে ১৬ জন।
এদিকে পাকিস্তানের ডন অনলাইন জানিয়েছে, গোলাগুলিতে তাদের দেশের সাত বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় আট জন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কিষাণপুর, জোরা ফরম, জুগনো চক, নাবাপিন্ড, হারনা, সিয়া, আবদুল্লিয়ান ও চান্দু চক এলাকায় পাকিস্তানের সেনারা গুলি ও মর্টার ছোড়ে। হামলার সময় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
জবাবে ভারতের জওয়ানরা পাল্টা মর্টার হামলা চালায়। বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে ভারতীয় সেনা মোতায়েন অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের হামলার পাল্টা জবাব দিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে ডন জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে সিয়ালকোটের চারবাহ, হারপাল, চাপরা ও সুচিতগর এলাকায় ভারতীয় জওয়ানরা গোলা ছুড়ে মারলে সাতজন স্থানীয় নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরো অনেকে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব রেঞ্জ জানিয়েছে, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তারাও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
পাঞ্জাব রেঞ্জের একটি সূত্র জানায়, সিয়ালকোট সীমান্তের দিকে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে অনেক গবাদি পশুও। সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
পাকিস্তান ইস্যুকে অন্তর্ভুক্ত না করায় গত ২৩ আগস্টের উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে আলোচনা বাতিল করে পাকিস্তান। এর পর থেকে কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের মধ্যে কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
0 comments: