ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে উচ্চ ক্ষমতার ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড করে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বোর্ড দেখেছে।
“শিশুটির প্রজনন অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত। সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সংক্রমণ রক্তে ছড়ায়, তাহলে বিষয়টি ভয়াবহ হবে।”
শিশুটির পুষ্টির অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুটিকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তার প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপ্রচার করতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।”
গত ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গত ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি পলাতক।
বুধবার গাইনি বিভাগের প্রধান ফেরদৌসি ইসলামের নেতৃত্বে এই বোর্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বোর্ডের সদস্যরা হলেন- আশরাফ উল হক কাজল, আমানুর রসুল, জিল্লুর রহমান, সাদিয়া আনোয়ার, মো. আবুল কালাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন বিলকিস বেগম।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের দুই সহকারী শিশুটিকে দেখতে যান।
শাকিল শিশুটির চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে বলে জানান। সূত্র-নেট
0 comments: