অবশেষে ডিস লাইনওয়ালাদের একচেটিয়া দৌরাত্ম্যের অবসান হতে চলছে।বাংলাদেশে বর্তমানে ডিটিএইচ সেবার দেওয়ার ২টি অপারেটরকে লাইসেন্স দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আর বাদবাকি সবই অবৈধভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে। টিভি দর্শকদের কয়েকটি ক্যাবল অপারেটর ও টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভির ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্যক্তিগত ডিশ ব্যবহারকারীরা অল্প কয়েকটি ফ্রি চ্যানেল দেখতে পারে। ভারতীয় অপারেটররা দর্শকদের কোনো স্থানীয় বাংলা টিভি না দিয়ে সরকারকে কোনো কর না দিয়ে অবৈধভাবে উচ্চমুল্যে ডিটিএইচ ব্যবসা করছে। ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে টিভি দর্শক তার বাড়িতে একটি ছোট ডিস ও রিসিভারের মাধ্যমে সরাসরি সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারবেন। ডিশ লাইনওয়ালাদের মতো আলাদা তারের মাধ্যমে প্রতিটি টিভি সেটে ক্যাবল সংযোগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।সরকার গত ৩ বছর আগে ক্যাবল অপারেটরদের ব্যাপক বাধা সত্ত্বেও দেশের দুটি বড় কোম্পানিকে ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবার অনুমতি দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী প্রথম ডিটিএইচ কোম্পানি চালুর ঘোষণা দিয়েছে বেক্সিমকো। খুব শিগগির এই সেবা চালু হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সেবা চালু হলে একজন গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তার পছন্দমতো সব চ্যানেল ঝকঝকে এইচডি কোয়ালিটিতে দেখতে পারবেন। নতুন এ কোম্পানিতে বেক্সিমকোর অংশীদার হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠান জিএস গ্রুপ। বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড নামের এ যৌথ প্রকল্প জিএস গ্রুপের সমন্বিত প্রযুক্তি সেবা দেবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের। জানা গেছে, চলতি বছর বাণিজ্যিকভাবে ডিটিএইচর কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী বছরের মধ্যে ৩ লাখ গ্রাহককে এই সেবা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ডিটিএইচ। এরপর প্রতিবছর ৪ লাখ নতুন গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছানোর প্রাথমিক লক্ষ্য ঠিক করেছে কোম্পানিটি। যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় বাংলা ও শীর্ষ আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলো উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬
Author: সময়ের তাজা কাহিনী
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 comments: